বিষয়বস্তুতে চলুন

শ্যামরায় মন্দির

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শ্যামরায় মন্দির
শ্যামরায় মন্দির
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিহিন্দুধর্ম
জেলাবাঁকুড়া জেলা
অবস্থান
অবস্থানবিষ্ণুপুর
দেশভারত
স্থাপত্য
ধরনপঞ্চরত্ন
সৃষ্টিকারীরঘুনাথ সিংহ

শ্যামরায় মন্দির ভারতীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার অন্তর্গত বিষ্ণুপুর শহরের একটি পুরাতাত্ত্বিক স্থাপনা।

মন্দিরটি পঞ্চ-রত্ন মন্দির স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত, যা মধ্যযুগীয় বাংলায় বিকশিত রত্ন শৈলীর অন্তর্গত।

নির্মাণকাল

[সম্পাদনা]
মন্দিরের দেওয়ালে নিবদ্ধ লিপি থেকে মন্দিরের নির্মাণকাল সম্বন্ধে জানা যায়

মল্লরাজা রঘুনাথ সিংহ ১৬৪৩ খৃষ্টাব্দে এই মন্দিরটি নির্মাণ করেন। এই মন্দিরের দক্ষিণদিকের দেওয়ালে নিবদ্ধ প্রাচীন উৎসর্গ লিপি থেকে এই তথ্য জানতে পারা যায়। এই লিপিটি নিম্নরূপ

এই লিপি থেকে জানা যায় রাধাকৃষ্ণের আনন্দের জন্য রাজা বীর হাম্বীরের পুত্র রাজা রঘুনাথ সিংহ ৯৪৯ মল্লাব্দে বা ১৬৪৩ খৃষ্টাব্দে এই নবরত্ন মন্দিরটি দান করেন।[]

স্থাপত্যশৈলী

[সম্পাদনা]
মন্দিরের দেওয়ালে টেরাকোটার শিল্পকর্ম

শ্যামরায় মন্দির বিষ্ণুপুরের প্রসিদ্ধ টেরাকোটা শৈলীতে নির্মিত একটি মন্দির। মন্দিরটি চৌকো, দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে ১১.৪ মিটার। মন্দিরের চারদিকের খিলানগুলি সুন্দর কারুকার্যময় স্তম্ভের ওপর নির্ভর করে নির্মিত হয়ে ফাঁকা দালানের মতো অংশের সৃষ্টি করেছে। এই দালানের ভেতরে মন্দিরের গর্ভগৃহটি অবস্থিত। গর্ভগৃহের দরজা টেরাকোটা শৈলীতে ফুল ও বিভিন্ন প্রকার নকশা দ্বারা সাজানো। মন্দিরের ছাদ চৌকো ও উত্তলাকার। ছাদের চার প্রান্তে চারটি শিখর বা শীর্ষ বর্তমান। উড়িষ্যার স্থাপত্যরীতিতে নির্মিত এই শিখরগুলি প্রত্যেকটি প্রতিসম। ছাদের ঠিক মাঝে একটি অষ্টভূজাকৃতি শিখর বা গম্বুজ বর্তমান। এই অংশে মন্দিরের উচ্চতা ১০.৭ মিটার। মন্দিরের বাইরের ও ভেতরের দেওয়ালে রাসলীলা, রামায়ণমহাভারতের কাহিনী এবং বিভিন্ন কারুকার্যের দৃশ্য আছে।[] []

রক্ষণাবেক্ষণ

[সম্পাদনা]

বর্তমানে এই মন্দিরটিকে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ রক্ষণাবেক্ষণ করে।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. মন্দির নগরী বিষ্ণুপুর, বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, মুদ্রক - মিনার্ভা অফসেট, বিষ্ণুপুর
  2. India, ডরলিং কিন্ডার্স্লে লিমিটেড, লন্ডন, আইএসবিএন ০-৭৫১৩-৩৩৫৬-৫