শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু
বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
১৯৮৮ – ১৯৯০
পূর্বসূরীএম এ খায়ের
উত্তরসূরীমোজাম্মেল হোসেন
চেয়ারম্যান -বাগেরহাট জেলা পরিষদ
কাজের মেয়াদ
১২ অক্টোবর ১৯৮৮ – ৬ নভেম্বর ১৯৯০
চেয়ারম্যান -বেসিক ব্যাংক লিমিটেড
কাজের মেয়াদ
২০০৯ – ২০১৪
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মবাগেরহাট জেলা
রাজনৈতিক দলজাতীয় পার্টি
দাম্পত্য সঙ্গীশেখ শিরিন আখতার

শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু বাংলাদেশের বাগেরহাঁট জেলার রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও বাগেরহাট-১ (চিতলমারী, মোল্লারহাটফকিরহাট) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন।[১]

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার আডুয়াডিহি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মৃত শেখ আব্দুল হামিদ পুলিশের উপপরিদর্শক ছিলেন। তার তিন ভাই ও তিন বোন রয়েছেন। এক ভাই অস্ট্রেলিয়ায় এবং অন্য দুই ভাই ঢাকায় বসবাস করেন। বাচ্চু শেখ শিরিন আখতার কে বিয়ে করেন, তাদের পুত্র শেখ সাবিদ হাই অনিক ও মেয়ে শেখ রাফা হাই, ছেলেটি বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী।

রাজনৈতিক ও কর্মজীবন[সম্পাদনা]

শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু ছাত্রজীবনে কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকার তথ্য পাওয়া যায়নি। আশির দশকে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হয়ে বাগেরহাট-১ (চিতলমারী, মোল্লারহাট ও ফকিরহাট) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[১]

সংসদ সদস্য থাকাকালীন তিনি ১২ অক্টোবর ১৯৮৮ সাল থেকে ৬ নভেম্বর ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বাগেরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ সময়ে তিনি বাগেরহাট জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ছিলেন।

১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় নির্বাচনে তিনি একই আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হয়ে পরাজিত হয়েছিলেন।

তাকে ২০০৯ সালে বেসিক ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়। ২০১৪ সালে ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠলে চাপের মুখে তিনি পদত্যাগ করেন।[২]

বিতর্ক[সম্পাদনা]

বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। ব্যাংকিং খাতের অত্যন্ত প্রভাবশালী এই ব্যক্তির সময়ই বেসিক ব্যাংকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে। লোপাট হওয়া অর্থের পরিমাণ প্রায় চার হাজার কোটি টাকা, যা উদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনা তেমন নেই বললেই চলে। এসব দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে সরকার তাকে ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়েও দিয়েছে। বর্তমান সরকারের অনেকের সাথেই তার সুসম্পর্ক রয়েছে বলে জানা যায়। এতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বেসিক ব্যাংকের দুর্নীতির বিরুদ্ধে মামলা করলেও বাচ্চুর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দায়ের করতে সক্ষম হয়নি। তিনি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের একজন অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন বলে একটি সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা উল্লেখ করেছে।[৩][৪][৫][৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "৪র্থ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ৮ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  2. নিজস্ব প্রতিবেদক (১৪ অক্টোবর ২০১০)। "বেসিককাণ্ডে 'ব্যর্থ' দুদক চেয়ারম্যানের সরে যাওয়া উচিৎ: তাপস"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২১ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৯ 
  3. "বাচ্চু পরিবারের ১৪ ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব তলব | banglatribune.com"Bangla Tribune। ২০২০-০৬-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-২০ 
  4. "বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি: ঘুষের টাকায় বাড়ি কেনেন বাচ্চু ও তাঁর ভাই"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-২০ 
  5. Welle (www.dw.com), Deutsche। "বাচ্চুর বিরুদ্ধে প্রমাণ পায় না দুদক! | DW | 16.10.2019"DW.COM। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-২০ 
  6. "আবদুল হাই বাচ্চুর অপকর্মের দায় বয়ে বেড়াচ্ছে বেসিক ব্যাংক"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-২০