রেলওয়ে লালমনিরহাট বিভাগ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বাংলাদেশে ২,৮০০ কিলোমিটার রেললাইন পরিচালনা করা হয় দুটি অঞ্চলের চারটি বিভাগের মাধ্যমে। বাংলাদেশের রংপুর বিভাগ, রাজশাহী বিভাগখুলনা বিভাগ নিয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে অঞ্চলটি গঠিত এবং ঢাকা বিভাগ, ময়মনসিংহ বিভাগ, সিলেট বিভাগচট্টগ্রাম বিভাগ নিয়ে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে গঠিত। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের অধীনে রেলপথ রয়েছে ১৪২৭ কিলোমিটার। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের অধীনে দুইটি বিভাগ রয়েছে একটি হচ্ছে রেলওয়ে লালমনিরহাট বিভাগ[১][২][৩] অপরটি রেলওয়ে পাকশী বিভাগ

কার্যক্রম[সম্পাদনা]

লালমনিনহাট বিভাগে ৯টি সেকশনে ৫৬টি ট্রেন চলাচলের কথা থাকলেও বর্তমানে(২০১৮) চলছে ৩৮টি ট্রেন। এছাড়া, লোকোমোটিভ ও ক্রু (ট্রেনচালক) সংকটের কারণে বিভিন্ন সময়ে ১৮টি ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। ফলে যাত্রীসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগ। লালমনিরহাট বিভাগে ৩২টি লোকোমোটিভের মধ্যে চারটি বিভিন্ন সময়ে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় এবং ছয়টি মেরামতের জন্য পাঠানো হয়েছে। অবশিষ্ট ২২টি লোকোমোটিভের মধ্যে একটির মেয়াদ থাকলেও বাকি ২১টি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে।[৪]

সেকশনগুলোর তালিকা[সম্পাদনা]

লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগে ৯টি সেকশন রয়েছে। সেকশন গুলো হচ্ছে:

  1. লালমনিরহাট-ঢাকা
  2. রংপুর-ঢাকা
  3. লালমনিরহাট-বুড়িমারী
  4. লালমনিরহাট-তিস্তা
  5. তিস্তা-রমনা বাজার
  6. লালমনিরহাট-পার্বতীপুর
  7. লালমনিরহাট-সান্তাহার
  8. পার্বতীপুর-বিরল ও
  9. কাঞ্চন-পঞ্চগড়।

রেলওয়ের সময়সূচি অনুযায়ী এসব সেকশনে প্রতিদিন মেইল ও এক্সপ্রেস ২০টি, লোকাল ও মিশ্র ২৪টি এবং আন্তঃনগর ১২টি ট্রেন চলাচলের কথা। বর্তমানে (২০১৮) ১২টি আন্তঃনগর, মেইল ও এক্সপ্রেস ১৬টি ও ১০টি লোকাল ও মিশ্র ট্রেন চলাচল করছে।[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "আদালতের নির্দেশ মানছেন না লালমনিরহাট রেল বিভাগ"Barta24 (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-২৯ 
  2. প্রতিনিধি। "লালমনিরহাট রেল বিভাগের বন্ধ থাকা পাঁচ জোড়া ট্রেন চালু"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-২৯ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "লালমনিরহাটে সোমবার থেকে ট্রেন চলাচল শুরু"Bangladesh Journal Online। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-২৯ 
  4. "জোড়াতালি দিয়ে চলছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগ"Bangla Tribune। ২০২২-০১-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-২৯