ম্যাসেডোনিয়া (প্রাচীন রাজ্য)
ম্যাসেডোনিয়া Μακεδονία | |||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
| |||||||||||||||||||||||
৩৩৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ম্যাসেডোনিয়া রাজ্য (কমলা) | |||||||||||||||||||||||
রাজধানী | |||||||||||||||||||||||
প্রচলিত ভাষা | প্রাচীন ম্যাসেডোনীয়, অ্যাটিক, কোইন গ্রিক | ||||||||||||||||||||||
ধর্ম | গ্রিক বহুবাদ, হেলেনীয় ধর্ম | ||||||||||||||||||||||
সরকার | রাজতন্ত্র | ||||||||||||||||||||||
রাজা | |||||||||||||||||||||||
• ৮০৮–৭৭৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দ | করানোস (প্রথম) | ||||||||||||||||||||||
• ১৭৯–১৬৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দ | পার্সিয়াস (শেষ) | ||||||||||||||||||||||
আইন-সভা | সিনেদ্রীণ (বাংলা: সম্মেলন) | ||||||||||||||||||||||
ঐতিহাসিক যুগ | ধ্রুপদী সভ্যতা | ||||||||||||||||||||||
• ক্যারানোস দ্বারা প্রতিষ্ঠিত | ৮০৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দ | ||||||||||||||||||||||
৫১২/৫১১–৪৯৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দ | |||||||||||||||||||||||
৪৯২–৪৭৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দ | |||||||||||||||||||||||
৩৫৯–৩৩৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দ | |||||||||||||||||||||||
৩৩৮–৩৩৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দ | |||||||||||||||||||||||
৩৩৫–৩২৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দ | |||||||||||||||||||||||
৩২৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দ | |||||||||||||||||||||||
৩২৩–৩৭৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দ | |||||||||||||||||||||||
১৬৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দ | |||||||||||||||||||||||
আয়তন | |||||||||||||||||||||||
৩২৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দ[৪][৫] | ৫২,০০,০০০ বর্গকিলোমিটার (২০,০০,০০০ বর্গমাইল) | ||||||||||||||||||||||
মুদ্রা | টেট্রাড্রাকম | ||||||||||||||||||||||
|
ম্যাসেডোনিয়া প্রত্নতাত্ত্বিক ও শাস্ত্রীয় গ্রিসের সীমান্তবর্তী একটি প্রাচীন রাজ্য[৬] এবং পরবর্তীকালে হেলেনীয় গ্রিসের প্রভাবশালী রাজ্যে পরিণত হয়।[৭] রাজ্যটি রাজকীয় আর্জিদ রাজবংশ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ও প্রারম্ভিক সময়ে শাসিত হয়, এর পরে এই রাজ্যটি অ্যান্টিপ্যাট্রিড ও অ্যান্টিগনিড রাজবংশ দ্বারা শাসিত হয়। প্রাচীন ম্যাসিডোনিয়দের আদি নিবাস, গ্রীস উপদ্বীপের উত্তর-পূর্ব অংশে কেন্দ্র করে,[৮] পশ্চিমে এপিরাস, উত্তরে পাওনিয়া, পূর্বে থ্রেস এবং দক্ষিণে থেসালির দ্বারা সীমাবদ্ধ ছিল।
খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীর আগে ম্যাসেডোনিয়া ছিল এথেন্স, স্পার্টা ও থিবেস-এর মহান নগর-রাজ্যসমূহের আধিপত্য বিস্তৃত অঞ্চলের বাইরে একটি ছোট রাজ্য এবং সংক্ষিপ্তভাবে আকিমিনীয় পারস্যের অধীনস্থ।[৩] আর্জিদ রাজা দ্বিতীয় ফিলিপের (৩৫৯-৩৩৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) রাজত্বকালে, ম্যাসেডোনিয়া বিজয় এবং কূটনীতির মাধ্যমে মূল ভূখণ্ডের গ্রীস ও থ্র্যাসিয়ান ওড্রেসিয়ান রাজ্যকে পরাধীন করে। সরিসা পাইকে চালিত ফ্যালানেক্সযুক্ত একটি সংশোধিত সেনাবাহিনী দিয়ে, দ্বিতীয় ফিলিপ ৩৩৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দে চেরোনিয়ার যুদ্ধে অ্যাথেন্স এবং থীবজের পুরাতন শক্তিগুলিকে পরাস্ত করেন। আলেকজান্ডার পরবর্তী সময়ে আকিমিনীয় সাম্রাজ্যকে ক্ষমতাচ্যুত করেন এবং সিন্ধু নদী পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চল জয় করেন। একটি সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য, তাঁর সাম্রাজ্য ছিল বিশ্বের সর্বাধিক শক্তিশালী - একটি নির্দিষ্ট গ্রিক সভ্যতার রাষ্ট্র, যা প্রাচীন গ্রিক সভ্যতার একটি নতুন সময়ান্তরে স্থানান্তরের উদ্বোধন করে। গ্রিক শিল্প ও সাহিত্য নতুন বিজয়িত জমিতে উন্নতি লাভ করে এবং দর্শন, প্রকৌশল ও বিজ্ঞানের অগ্রগতি প্রাচীন বিশ্বের বেশিরভাগ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। আলেকজান্ডারের গৃহশিক্ষক এরিস্টটলের অবদান বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল যার লেখাগুলি পাশ্চাত্য দর্শনের মূল ভিত্তি হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
৩২৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে আলেকজান্ডারের মৃত্যুর পরে, দায়াদোচির পরবর্তী যুদ্ধ এবং আলেকজান্ডারের সাম্রাজ্যের বিভাজন হওয়ার পরে, ম্যাসাডোনিয়া ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে টলেমাইক মিশর, সেলিউসিড সাম্রাজ্য ও পেরগ্যামন রাজ্যের পাশাপাশি গ্রিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কেন্দ্র হিসাবে বিকশিত হয়। পেলা, পাইডনা ও অ্যাম্পিপোলিসের মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলি এই অঞ্চল নিয়ন্ত্রণের জন্য শক্তি সংগ্রামে জড়িত হয়। দখলদার ক্যাসান্দার দ্বারা থেসালোনিকার মত নতুন শহরগুলি প্রতিষ্ঠা করা হয় (তাঁর স্ত্রী ম্যাসিডোনের থেসালোনিকিকের নামে নামকরণ করেন)।[৯] ম্যাসেডোনীয় যুদ্ধসমূহ ও প্রধান ভূমধ্যসাগরীয় শক্তি হিসাবে রোমের উত্থানের মধ্য দিয়ে ম্যাসেডোনিয়ার পতন শুরু হয়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Hatzopoulos 1996, পৃ. 105–106; Roisman 2010, পৃ. 156.
- ↑ Engels 2010, পৃ. 92; Roisman 2010, পৃ. 156.
- ↑ ক খ গ Sprawski 2010, পৃ. 135–138; Olbrycht 2010, পৃ. 342–345.
- ↑ Turchin, Peter; Adams, Jonathan M.; Hall, Thomas D. (ডিসেম্বর ২০০৬)। "East-West Orientation of Historical Empires"। Journal of World-Systems Research। 12 (2): 223। আইএসএসএন 1076-156X। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- ↑ Taagepera, Rein (১৯৭৯)। "Size and Duration of Empires: Growth-Decline Curves, 600 B.C. to 600 A.D."। Social Science History। 3 (3/4): 121। জেস্টোর 1170959। ডিওআই:10.2307/1170959।
- ↑ Hornblower 2008, পৃ. 55–58.
- ↑ Austin 2006, পৃ. 1–4.
- ↑ "Macedonia"। Encyclopædia Britannica। Encyclopædia Britannica Online। ২৩ অক্টোবর ২০১৫। ৮ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।.
- ↑ Adams 2010, পৃ. 215.