প্রাচীন গ্রিক সাহিত্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হেসিয়ডের কার্যাবলি ও দিবসগুলি গ্রন্থের প্রথম পৃষ্ঠার একটি গ্রিক পুথি

প্রাচীন গ্রিক সাহিত্য হলো সুপ্রাচীন কাল থেকে শুরু করে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সমসাময়িক কাল পর্যন্ত প্রাচীন গ্রিক ভাষায় রচিত সাহিত্য। প্রাচীন গ্রিক সাহিত্যের যে আদিতম রচনাগুলি অদ্যাবধি সুলভ, সেগুলি হল আদি সাবেকি যুগে রচিত দুই মহাকাব্য ইলিয়াডওডিসি। এই দুই মহাকাব্যের প্রেক্ষাপট এক আদর্শ সাবেকি অতীত, বর্তমানে যার সঙ্গে মাইসিনীয় যুগের একটি সম্পর্ক চিহ্নিত করা হয়। ইলিয়াডওডিসি-র সঙ্গে হোমারীয় স্তোত্রাবলি এবং হেসিয়ডের দুই কাব্য থিওগনিকার্যাবলি ও দিবসগুলি গ্রিক সাহিত্য ধারার প্রধান ভিত্তিগুলি স্থাপন করেছিল। এই ধারা অব্যাহত ছিল ধ্রুপদি, হেলেনীয়রোমান যুগেও

গীতিকবি স্যাফো, অ্যালসেয়াসপিন্ডার গ্রিক কাব্য ধারার আদি বিকাশের যুগে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করেছিলেন। ইস্কিলুস হলেন প্রাচীনতম গ্রিক ট্র্যাজিক নাট্যকার, যাঁর কোনও নাটক অদ্যাবধি পূর্ণাঙ্গ আকারে পাওয়া যায়। সোফোক্লেস খ্যাতি অর্জন করেছিলেন ইডিপাস-সংক্রান্ত ট্র্যাজেডিগুলি রচনা করে; এগুলির মধ্যে রাজা ইডিপাসআন্তিগোনি নাটক দু’টির নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। অন্যদিকে ইউরিপিদেস খ্যাতি অর্জন করেছিলেন তাঁর সেই নাটকগুলির জন্য যেগুলি ট্র্যাজিক বর্গের সীমানা প্রায়শই অতিক্রম করে যেত। কমেডি নাট্যকার অ্যারিস্টোফেনিস ছিলেন পুরনো কমেডি বর্গের নাট্যকার; অন্যদিকে পরবর্তীকালের নাট্যকার মিনান্ডার ছিলেন নতুন কমেডি বর্গের এক আদি অগ্রণী পথপ্রদর্শক। ইতিহাসবিদ হ্যালিকার্নাসাসের হিরোডোটাসথুসিডাইডিস (উভয়েই বিদ্যমান ছিলেন খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে) তাঁদের অব্যবহিত পূর্ববর্তী যুগের এবং সমসাময়িক ঘটনাবলির বিবরণ লিপিবদ্ধ করেছিলেন। দার্শনিক প্লেটো সংলাপ রচনা করতেন। এই সংলাপগুলির কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তু সাধারণভাবে ছিল তাঁর শিক্ষক সক্রেটিসের চিন্তাভাবনা। বিভিন্ন দার্শনিক বিষয় উঠে এসেছিল এই সংলাপগুলিতে। অন্যদিকে প্লেটোর শিশ্য অ্যারিস্টটল অসংখ্য গবেষণা-সন্দর্ভ রচনা করেন, যেগুলি পরবর্তী যুগেও অত্যন্ত প্রভাবশালী রচনা বলে পরিগণিত হত।

পরবর্তীকালের গুরুত্বপূর্ণ লেখকদের অন্যতম রোডসের অ্যাপোলোনিয়াস, আর্কিমিডিসপ্লুতার্কআর্গোনাটদের সমুদ্রযাত্রাকে কেন্দ্র করে আর্গোনটিকা মহাকাব্যটি রচনা করেন অ্যাপোলোনিয়াস। আর্কিমিডিস রচনা করেছিলেন একাধিক বৈপ্লবিক গাণিতিক গবেষণা-সন্দর্ভ। অন্যদিকে প্লুতার্ক অনেকগুলি জীবনী ও প্রবন্ধ রচনা করেছিলেন। খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীর গ্রিক লেখক সামোসাটার লুসিয়ান প্রধানত স্যাটায়ার রচনা করেছিলেন।[১] পরবর্তীকালের গ্রিক সাহিত্য এবং সার্বিকভাবে পাশ্চাত্য সাহিত্যের উপরেও প্রাচীন গ্রিক সাহিত্যের প্রভাব অপরিসীম। নির্দিষ্টভাবে বললে, অনেক প্রাচীন রোমান লেখকই তাঁদের গ্রিক পূর্বসূরিদের রচনা থেকে অনুপ্রেরণা গ্রহণ করেছিলেন। রেনেসাঁর সময় থেকে দান্তে আলিগিয়েরি, উইলিয়াম শেকসপিয়র, জন মিলটন, জেমস জয়েস প্রমুখ ইউরোপীয় লেখকেরাও ধ্রুপদি গ্রিক বিষয়বস্তু এবং ভাব থেকে নিজেদের রচনার বহু উপাদান সংগ্রহ করেছেন।

প্রাক্-ধ্রুপদি ও ধ্রুপদি প্রাচীন যুগ[সম্পাদনা]

লিনিয়ার বি ফলক, মাইসিনির প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর
এমওয়াই ওই ১০৬ ফলক (অপর পৃষ্ঠ), গ্রিসের জাতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরে প্রদর্শিত

গ্রিক সাহিত্যের এই পর্যায়ের পরিধির বিস্তার হোমারের যুগ থেকে খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দী এবং মহামতি আলেকজান্ডারের উত্থানের কাল পর্যন্ত। আদিতম জ্ঞাত গ্রিক রচনাগুলি মৃৎফলকের উপর মাইসিনীয় ভাষায় লিনিয়ার বি অক্ষরমালায় লিখিত হয়েছিল। গদ্যে রচিত এই নথিপত্রগুলির বিষয়বস্তু ছিল মূলত বাণিজ্যিক (তালিকা, পরিসংখ্যাপত্র, রসিদ ইত্যাদি); এই সময়কার প্রকৃত সাহিত্য কিছুই আবিষ্কৃত হয়নি।[২][৩] লিনিয়ার বি-এর প্রথম পাঠোদ্ধারকারী মাইকেল ভেন্ট্রিসজন ক্যাডউইক বলেছেন যে, মাইসিনীয় গ্রিসে সাহিত্যের অস্তিত্ব প্রায় নিশ্চিতভাবেই ছিল।[৩] কিন্তু হয় তা লিপিবদ্ধ করা হয়নি, অথবা লিপিবদ্ধ করা হলেও তা করা হয়েছিল পার্চমেন্ট কাগজ অথবা কাঠের ফলকে, যা খ্রিস্টপূর্ব দ্বাদশ শতাব্দীতে মাইসিনীয় প্রাসাদগুলি ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়ার পর আর রক্ষিত হয়নি।[৩]

উপভাষা ও ছন্দের গঠন প্রায় উভয় দিক থেকেই গ্রিক সাহিত্য সু-সংজ্ঞায়িত একাধিক সাহিত্য-বর্গে বিভাজিত ছিল; প্রতিটি বর্গেরই একটি আবশ্যিক পোষাকি গড়নও ছিল।[৪] প্রথম বিভাজনটি ছিল গদ্য ও পদ্যের মধ্যে। কাব্যসাহিত্যে তিনটি প্রধান অধিবর্গ ছিল: মহাকাব্য, গীতিকাব্য ও নাট্যকাব্য। প্রাচীন গ্রিক পরিভাষা থেকেই সাহিত্যের বর্গ-সংক্রান্ত সাধারণ ইউরোপীয় পরিভাষাগুলি উৎসারিত হয়।[৫] গীতিকাব্য ও নাট্যকাব্য আবার একাধিক উপবর্গে বিভক্ত ছিল: গীতিকাব্য চারটিতে (এলিজিয়াক, আইয়াম্বিক, মোনোডিক গীতিকবিতাক্যারোল গীতিকবিতা); নাট্যকাব্য তিনটিতে (ট্র্যাজেডি, কমেডিরাখালিয়া নাটক)।[৬] গদ্যসাহিত্যের সূত্রপাত হিরোডোটাসের হাত ধরে, এমন মতই বহুল প্রচলিত।[৭] সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গদ্যসাহিত্যে আরও একাধিক বর্গের উৎপত্তি ঘটেছিল;[৭] কিন্তু সেগুলির মধ্যে পার্থক্য অনেক ক্ষেত্রেই স্পষ্ট নয়।[৭]

মহাকাব্য[সম্পাদনা]

গ্রিক সাহিত্যের সূচনালগ্নেই হোমারের দুই বিশ্ববিখ্যাত কীর্তি ইলিয়াডওডিসি রচিত হয়েছিল।[৮]:১–৩ এই হোমার চরিত্রটি রহস্যাবৃত। এই দুই গ্রন্থ বর্তমানে হোমারের রচনা হিসেবে পরিচিত হলেও, এটা নিশ্চিত যে এগুলির আখ্যানবস্তুর মূল নিহিত ছিল হোমারের বহু পূর্ববর্তী যুগে (হোমারীয় প্রশ্ন দেখুন)।[৮]:১৫ দশবর্ষব্যাপী ট্রোজান যুদ্ধের শেষ দিকে দশ দিনের ঘটনাবলিকে কেন্দ্র করে রচিত হয়েছে ইলিয়াড মহাকাব্যটি। এই কাব্যের কেন্দ্রে রয়েছেন অ্যাকিলিস,[৯] ইলিয়াড-এ যিনি চিত্রিত হয়েছেন এক আদর্শ গ্রিক বীর হিসেবে।[১০][৮]:

ওডিসি-র দ্বাবিংশ সর্গের শেষ দৃশ্যে বর্ণিত ওডিসিউস, টেলামেকাস, ইউমেয়াসফিলোয়েটিয়াস কর্তৃক পেনেলোপির পাণিপ্রার্থীদের হত্যাকাণ্ড; ফরাসি নব্যধ্রুপদিবাদী চিত্রকর টমাস ডিজর্জ অঙ্কিত।

ওডিসি মহাকাব্যটি ট্রয়ে যুদ্ধ করতে যাওয়া অন্যতম গ্রিক বীর ওডিসিউসের অভিযানের কাহিনি।[৮]: দশ বছর যুদ্ধ করার পর সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ঘরে স্ত্রী ও পরিবারের কাছে ফিরতে ওডিসিউসের আরও দশ বছর লেগেছিল। ওডিসিউসের পত্নী পেনেলোপিকে আদর্শ নারী মনে করা হয়। প্রতিশ্রুতিপালন, বিনয়, সতীত্ব ও ওডিসিউসের সঙ্গে বিবাহবন্ধনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের ন্যায় গুণগুলি চিত্রিত করে হোমার পেনেলোপিকে এক আদর্শ নারী হিসেবে অঙ্কন করেছেন। দশ বছরের সমুদ্রযাত্রাকালে ওডিসিউসের সকল সঙ্গী ও জাহাজের সলিলসমাধি ঘটে। ইথাকায় স্বগৃহে তিনি প্রত্যাবর্তন করেন ভিক্ষুকের ছদ্মবেশে। ইলিয়াডওডিসি দুই মহাকাব্যই প্রাচীন কিংবদন্তির ভিত্তিতে রচিত হয়েছিল।[৮]:১৫ হোমারীয় উপভাষা ছিল এওলিক উপভাষাঅ্যাটিক উপভাষার কিছু উপাদান-মিশ্রিত আইয়োনিক উপভাষার ভিত্তিতে সৃষ্ট একটি সাবেকি ভাষা।[১১] অ্যাটিক উপভাষার মিশ্রণ ঘটেছিল খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীর এথেনীয় পাঠটির কারণে। মহাকাব্য দু’টি হেক্সামিটারে রচিত হয়।[১২]

প্রাক্-ধ্রুপদি যুগের আরেক বিশিষ্ট কবি হলেন হেসিয়ড[৮]:২৩–২৪[১৩] হোমার কাব্যে নিজের নাম উল্লেখ না করলেও, হেসিয়ড নিজের কাব্যে তা করেছেন।[১৪] অবশ্য তার বাইরে অন্য কোনও সূত্র থেকে হেসিয়ড সম্পর্কে কিছুই জানা যায় না। তিনি ছিলেন মধ্য গ্রিসের বোয়েশিয়া অঞ্চলের অধিবাসী এবং কথিত আছে যে খ্রিস্টপূর্ব ৭০০ অব্দ নাগাদ তিনি কাব্যরচনা করেছিলেন।[১৫] হেসিয়ডের কার্যাবলি ও দিনগুলিথিওগনি কাব্য দু’টিই বর্তমানে পাওয়া যায়। কার্যাবলি ও দিনগুলি হল কবির কাছে সুপরিচিত দারিদ্র্য-পীড়িত গ্রামীণ জীবনের এক বিশ্বস্ত চিত্রণ। সেই সঙ্গে এই কাব্যে তিনি কৃষকদের আদর্শ ও নিয়মাবলি উপস্থাপনা করেছেন। থিওগনি হল ব্রহ্মাণ্ড ও দেবতাদের উৎপত্তির এক প্রণালীবদ্ধ বিবরণ। এই কাব্যে সুদূর অতীতের সুবর্ণ যুগ থেকে শুরু করে মানবজাতির বিভিন্ন যুগের স্পষ্ট চিত্রণ পাওয়া যায়।[১৬]

হোমার ও হেসিয়ডের রচনা সমগ্র প্রাচীন যুগে অত্যন্ত উচ্চ মর্যাদার সঙ্গে পঠিত হয়ে এসেছে[১৩] এবং অনেক প্রাচীন লেখকই এগুলিকে প্রাচীন গ্রিক ধর্মের পিছনে মূল ধর্মগ্রন্থ হিসেবে বিবেচনা করেছেন।[১৭] হোমার বলেছেন এক বীরত্বপূর্ণ অতীতের কাহিনি, যেটিকে হেসিয়ড একটি সৃষ্টি আখ্যায়িকা এবং সমসাময়িক দৈনন্দিন জীবনের ব্যবহারিক বাস্তবতার এক বিবরণ দিয়ে ঘিরেছেন।[৮]:২৩–২৪

গীতিকবিতা[সম্পাদনা]

নারী কবি স্যাফো বীণাবাদনরত কবি অ্যালসেয়াসের দিকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছেন; ইংরেজ চিত্রকর স্যার লরেন্স অ্যালমা-ট্যাডেমা অঙ্কিত চিত্র, ঊনবিংশ শতাব্দী

গীতিকবিতা বা "লিরিক পোয়েট্রি"-র নামটির উৎপত্তি ঘটেছে আদিতে এই জাতীয় কবিতা এককভাবে বা সম্মেলক কণ্ঠে লায়ার নামে বীণাজাতীয় এক শ্রেণির বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গতে গীত হত বলে। এই নাম সত্ত্বেও এই সাধারণ অর্থে গীতিকবিতা চারটি বর্গে বিভক্ত ছিল, যার মধ্যে দু’টি বর্গ সিথারা নয়, বরং বাঁশি সহযোগে গীত হত। পরবর্তীকালীন এই দুই বর্গ ছিল এলিজিয়াক কবিতাআয়াম্বিক কবিতা। উভয় বর্গের কবিতাই লিখিত হত আইয়োনীয় উপভাষায়। এলিজিয়াক কবিতাগুলি লেখা হয় এলিজিয়াক দ্বিপদীতে এবং আয়াম্বিক কবিতা লেখা হত আয়াম্বিক ট্রাইমিটারে। প্রথম গীতিকবি ছিলেন সম্ভবত পারোসের আর্চিলোকাস। খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দীর ব্যক্তি আর্চিলোকাস ছিলেন সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ আয়াম্বিক কবি।[১৮] আর্চিলোকাসের রচনার শুধুমাত্র খণ্ডাংশই বর্তমানে পাওয়া যায়, অন্যান্য অধিকাংশ কবিদের রচনার ক্ষেত্রেও সেই একই অবস্থা। অল্প কয়েকটি রচনার অবশিষ্টাংশ থেকে এমন ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, তিনি ছিলেন তিক্ত অভিজ্ঞতার অভিযাত্রী এবং এক অত্যন্ত বিক্ষুব্ধ জীবন যাপন করতেন।[১৯]

অনেক গীতিকবিতাই লেখা হয়েছিল আয়েওলীয় উপভাষায়। গীতিকবিতায় প্রায়শই বহু বৈচিত্র্যময় ছন্দের প্রয়োগ ঘটতে দেখা যেত। সর্বাপেক্ষা খ্যাতনামা গীতিকবিরা ছিলেন তথাকথিত "নয় গীতিকবি"।[২০] সকল গীতিকবির মধ্যে লেসবোসের নারী কবি স্যাফো (আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৬৩০-৫৭০ অব্দ) অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। প্রাচীনকালে স্যাফোর কবিতা হোমারের কবিতার সমতুল্য সম্মান অর্জন করেছিল।[২১] স্যাফোর একটি মাত্র কবিতাই ("ওড টু আফ্রোদিতি") বর্তমানে মূল ও সম্পূর্ণ আকারে পাওয়া যায়।[২২] স্যাফোর সমসাময়িক লেসবোসের অ্যালসেয়াসও ছিলেন মোনোডিক গীতিকবিতার এক বিশিষ্ট কবি। অ্যালকম্যান ডোরিক উপভাষায় কবিতা রচনা করতেন। এই উপভাষাটিকে সাধারণভাবে শ্রুতিমধুর মনে করা না হলেও অ্যালকম্যানের কবিতাকে সুন্দর বলেই মনে করা হত।[২৩] পরবর্তীকালের কবি থিবসের পিন্ডার খ্যাতি অর্জন করেছিলেন কোরাল গীতিকবিতা রচনা করে।[২৪]

নাটক[সম্পাদনা]

মিডিয়া নিজের পুত্রকে হত্যা করছেন (ইউরিপিডিসের মিডিয়া নাটকের দৃশ্য), ক্যামপ্যানীয় লাল-রঙা অ্যাম্ফোরা, আনু. খ্রিস্টপূর্ব ৩৩০ অব্দ, ল্যুভর (কে ৩০০)

প্রাচীন গ্রিক নাট্যসাহিত্যের যে সকল কীর্তি আজও পাওয়া যায়, সেগুলি সবই এথেন্সের নাট্যকারদের রচনা এবং একচেটিয়াভাবে আত্তীয় উপভাষায় রচিত।[২৫] সম্মেলক উপস্থাপনা ছিল সকল গ্রিক নগর-রাষ্ট্রের এক সাধারণ প্রথা।[২৫] এথেনীয়রা থেসপিস নামে এক ব্যক্তিকে নাটকের আবিষ্কর্তা মনে করতেন।[২৫] কথিত আছে, ইনিই প্রথম অভিনেতার ধারণাটির মাধ্যমে নাটক ধারাটি উদ্ভাবন করেছিলেন। এই অভিনেতার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সম্মেলক দলের নেতার সঙ্গে ভাববিনিময় করা।[২৬] পরবর্তীকালের নাট্যকারেরা অভিনেতার সংখ্যা তিনজন অবধি বৃদ্ধি করেন, যার ফলে গল্পকথনে বৃহত্তর স্বাধীনতা গ্রহণ করা যেত।[২৭]

গ্রিস-পারস্য যুদ্ধের পরবর্তী যুগে এথেন্সের জেগে-ওঠা জাতীয় চেতনা প্রকাশলাভ করেছিল অতীতের বীরগাথা ও কিংবদন্তির ভিত্তিতে রচিত শতাধিক ট্রাজেডির মধ্য দিয়ে। দেবতা ডায়োনিসাসের উৎসবগুলিতে উপস্থাপিত সাদামাটা সম্মেলক সংগীত ও সংলাপ থেকে ট্রাজিক নাটকগুলির উৎপত্তি ঘটে। ধ্রুপদি যুগে একই অতিকথার চারটি ভিন্ন ভিন্ন পর্ব অলম্বনে তিনটি ট্রাজেডি ও একটি রাখালিয়া নাটক উপস্থাপিত হত। ধনবান নাগরিকদের সাধারণ ও ধর্মীয় কর্তব্য হিসেবে সম্মেলক দলকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ও তাদের পোষাক-পরিচ্ছদের খরচ বহনের জন্য বেছে নেওয়া হত। উৎসবে নাটকের উপস্থাপনায় উপস্থিতিকে পূজাকৃত্য হিসেবে গণ্য করা হত। এথেন্সে ডায়োনিসাসের সুবিশাল মুক্তমঞ্চে নাটকগুলি উপস্থাপিত হত। শ্রেষ্ঠ নাটকের জন্য যে সব পুরস্কার ঘোষিত হত, তা জয় করার জন্য কবিরা পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হতেন।[২৮]

সম্পূর্ণ আকারে অদ্যাবধি সুলভ সব ক’টি গ্রিক ট্রাজেডিই প্রথাগতভাবে ইস্কিলাস, সোফোক্লেস বা ইউরিপিদেস কর্তৃক রচিত বলে মনে করা হয়। যদিও প্রোমেথিউস বাউন্ড (প্রথাগতভাবে ইস্কিলাসের রচনা বলে কথিত[২৯]) ও রেসাস (প্রথাগতভাবে ইউরিপিদেসের রচনা বলে কথিত) নাটক দু’টির প্রকৃত রচয়িতা কে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।[৩০] ইস্কিলাসের রচনা হিসেবে পরিচিত সাতটি ট্রাজেডি পাওয়া যায়। এগুলির মধ্যে অ্যাগামেমনন, দ্য লাইবেশন-বিয়ারারসদ্য ইউমেনিদেস নাটক তিনটি ওরেস্টিয়া নামে এক নাট্য-ত্রয়ী গঠন করে।[৩১] উক্ত সাতটি নাটকের অন্যতম প্রোমেথিউস বাউন্ড যদিও সম্ভবত ইস্কিলাসের পুত্র ইউফোরিয়নের রচনা।[৩২]

সোফোক্লেসের সাতটি রচনা আজও পাওয়া যায়। এগুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রশংসিত রচনা হল তিনটি থিবীয় নাটক। এই তিনটি নাটকের কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তু হল ইদিপাস ও তার পুত্রদের কাহিনি।[৩৩] থিবীয় ত্রয়ীর মধ্যে রয়েছে রাজা ইদিপাস, কলোনাসে ইদিপাসআন্তিগোনি। এই নাটকগুলিকে ত্রয়ী বলা হলেও, প্রকৃতপক্ষে এগুলি রচিত হয়েছিল বেশ কয়েক বছরের ব্যবধানে। কাহিনিক্রম অনুযায়ী সর্বশেষ নাটক আন্তিগোনি আসলে লেখা হয়েছিল সবার আগে, খ্রিস্টপূর্ব ৪৪১ অব্দে, সোফোক্লেসের কর্মজীবনের গোড়ার দিকে।[৩৪] তিনটি নাটকের মধ্যে সর্বাপেক্ষা খ্যাতনামা রাজা ইদিপাস রচিত হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব ৪২৯ অব্দে, সোফোক্লেসের কর্মজীবনের মধ্যভাগে।[Notes ১] তিনটি নাটকের মধ্যে কাহিনিক্রম অনুযায়ী দ্বিতীয় কলোনাসে ইদিপাস প্রকৃতপক্ষে সোফোক্লেসের শেষ নাটক এবং নাট্যকারের মৃত্যুর পর খ্রিস্টপূর্ব ৪০১ অব্দে প্রথম অভিনীত হয়।[৩৫]

ইউরিপিদেসের রচনা বলে পরিচিত উনিশটি নাটক এখনও পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সুপরিচিত নাটকগুলি হল মেদেয়া, হিপোলাইটাসব্যাকি[৩৬] রেসাস নাটকটিকে হয় ইউরিপিদেসের পুত্রের রচনা অথবা ইউরিপিদেসেরই মরণোত্তর প্রথম অভিনীত নাটক মনে করা হয়।[৩৭] ইউরিপিদেস ট্রাজিক বর্গের সীমা অনেকটাই প্রসারিত করেন। নাটকের মধ্যে তিনি এমন অনেক উপাদান গ্রহণ করেছিলেন তা ঠিক ট্রাজেডির নয়, বরং কমেডির উপাদান।[৩৮] উদাহরণস্বরূপ, ইউরিপিদেসের অ্যালসেস্টিস নাটকটিকে প্রকৃত ট্রাজেডির পরিবর্তে অনেক সময়ই "জটিল নাটক" বা ট্রাজিকমেডি বর্গের রচনা হিসেবে গণ্য করা হয়; কারণ, এই নাটকের মধ্যে কমেডি-সুলভ উপাদানগুলি বিদ্যমান এবং এটির সমাপ্তিও মিলনান্তিক।[৩৯][৪০]

অ্যারিস্টোফেনিসের লাইসিস্ট্রাটা নাটকের অলংকরণ; অব্রে বিয়ার্ডস্লি অঙ্কিত (১৮৯৬)

ট্রাজেডির মতো কমেডির উত্থানও ঘটেছিল ডায়নিসাসের আনুষ্ঠানিক পূজার একটি আচার থেকে। কিন্তু এই ক্ষেত্রের নাটকগুলি খোলামেলা অশ্লীলতা, গালিগালাজ ও অপমানমূলক মন্তব্যে পরিপূর্ণ থাকত। এথেন্সে খ্রিস্টপূর্ব ৪৮৬ অব্দে উৎসবের আনুষ্ঠানিক অঙ্গে পরিণত হয় এবং সেই সময় থেকেই শ্রেষ্ঠ প্রযোজনাগুলির জন্য পুরস্কার দেওয়া হতে থাকে। ট্রাজেডিয়ানদের রচনার মতো মহৎ কমেডি রচয়িতাদেরও অল্প কীর্তিই বর্তমানে পাওয়া যায়। ধ্রুপদি কমেডির মধ্যে একমাত্র নাট্যকার অ্যারিস্টোফেনিসের এগারোটি রচনায় সম্পূর্ণ আকারে আজও পাওয়া যায়।[৪১] এগুলি কমেডি নাটকের সম্পদ বলে গণ্য হয়। তিনি প্রতিটি ব্যক্তি ও প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে হাস্যস্পদ করেছিলেন। দ্য বার্ডস নাটকে তিনি এথেনীয় গণতন্ত্রকে উপহাস করেন। দ্য ক্লাউডস নাটকে তিনি আক্রমণ করেন দার্শনিক সক্রেটিসকেলাইসিস্ট্রাটা নাটকে তিনি প্রকাশ্যে নিন্দা করেছেন যুদ্ধের।[৪২] অ্যারিস্টোফেনিসের নাটকীয় দক্ষতা ও শিল্পসুষমা বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়। জন লেম্পিয়েরের বিবলিওথিকা ক্লাসিকা গ্রন্থে অ্যারিস্টোফেনিসের বর্ণনায় সরাসরি বলা হয়েছে "বিশ্ব সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কমিক নাট্যকার: অ্যারিস্টোফেনিসের পাশে মলিয়েরকে নিষ্প্রভ এবং শেকসপিয়রকে গেঁয়ো মনে হয়।"[৪৩] অবশ্য অ্যারিস্টোফেনিসের সকল নাটকের মধ্যে যে নাটকটি সর্বাপেক্ষা দীর্ঘস্থায়ী স্বীকৃতি লাভ করেছে সেটি হল দ্য ফ্রগস। এই নাটকে এথেনীয় ট্রাজেডির দুই মহারথী ইস্কিলাস ও ইউরিপিদেসকে একাধারে ব্যঙ্গ করা হয়েছে এবং অমরত্ব প্রদান করেছে। ইউরিপিদেসের মৃত্যুর ঠিক এক বছর পরে খ্রিস্টপূর্ব ৪০৫ অব্দে যখন এটি প্রথম লেনাইয়া উৎসবে প্রথম অভিনীত হয়, তখন এথেনীয়রা এটিকে প্রথম পুরস্কার প্রদান করেছিল।[৪৪] এটিই একমাত্র গ্রিক নাটক যেটিকে এক এনকোর উপস্থাপনার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল; দুই মাস পরে ডায়োনিসিয়া শহরে নাটকটি পুনরাভিনীত হয়।[৪৫] আজও দ্য ফ্রগস নাটকটি আধুনিক দর্শকদের কাছে বিশেষ অর্থ বহন করে। ২০০৪ সালে ব্রডওয়েতে এটির একটি বাণিজ্যসফল আধুনিক সাংগীতিক অভিযোজনা মঞ্চায়িত হয়।[৪৬]

তৃতীয় নাট্যবর্গটি ছিল স্যাটার নাটক। বর্গটি জনপ্রিয় ছিল। তবে এই বর্গের একটি মাত্র সম্পূর্ণ উদাহরণই বর্তমানে পাওয়া যায়: ইউরিপিদেসের সাইক্লপস[৪৭] একটি দ্বিতীয় স্যাটার নাটকের বৃহৎ অংশ মিশরের অক্সিরাইনকাস প্রত্নক্ষেত্র থেকে অক্সিরাইনকাস প্যাপিরাই-এর মধ্যে পাওয়া গিয়েছে। এই নাটকটি হল সোফোক্লেসের ইশ্নেউটে[৪৮]

ইতিহাস লিখনধারা[সম্পাদনা]

হিরোডোটাসের খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীর প্রথমার্ধে নির্মিত একটি আবক্ষ মূর্তির খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীর রোমান প্রতিরূপ

ধ্রুপদি যুগের দুই বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ছিলেন হ্যালিকার্নাসাসের হিরোডোটাসথাসাইডিডেস। হিরোডোটাসকে সাধারণভাবে "ইতিহাসের জনক" বলা হয়।[৪৯] হিরোডোটাসের ইতিহাস গ্রন্থটি এখনও লভ্য গদ্যসাহিত্যের প্রাচীনতম গ্রন্থগুলির একটি। থাসাইডিডেসের গ্রন্থ পেলোপোনেসীয় যুদ্ধের ইতিহাস পরবর্তীকালের লেখক ও ইতিহাসবিদদের উপর গভীর প্রভাব বিস্তার করেছিল। এমনকি প্রেরিতদের কার্য গ্রন্থের রচয়িতা এবং বাইজেনটাইন যুগের ইতিহাসবিদ সিজারিয়ার প্রোকোপিয়াসও এই গ্রন্থ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন।[৫০]

প্রাচীন গ্রিসের তৃতীয় এক ইতিহাসবিদ ছিলেন এথেন্সের জেনোফোন। খ্রিস্টপূর্ব ৪১১ অব্দে থাসাইডিডেস যেখানে নিজের কাজ শেষ করেছিলেন, সেখান থেকেই জেনোফোন শুরু করেন হেলেনিকা । এই গ্রন্থে বিধৃত হয় খ্রিস্টপূর্ব ৩৬২ অব্দ পর্যন্ত ইতিহাস।[৫১] জেনোফোনের সর্বাপেক্ষা খ্যাতনামা গ্রন্থটি হল দি অ্যানাবেসিস। যে গ্রিক ভাড়াটে সেনাবাহিনী পারস্যের সাইরাসকে তার ভ্রাতাকে সিংহাসনচ্যুত করতে সাহায্য করছিল, তাতে যোগদানের বিস্তারিত ও প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে জেনোফোন এই গ্রন্থটি রচনা করেছিলেন। দার্শনিক সক্রেটিসের প্রশংসা করেও তিনটি গ্রন্থ রচনা করেছিলেন: দি অ্যাপোলজি অফ সক্রেটিস টু দ্য জ্যুরি, দ্য সিম্পোজিয়ামমেমোরাবিলিয়া। জেনোফোন ও প্লেটো উভয়েই সক্রেটিসকে চিনতেন; তা সত্ত্বেও উভয়ের বিবরণে ফারাক রয়েছে। সামরিক ইতিহাসবিদের বিবরণ এবং কবি-দার্শনিকের বর্ণনার মধ্যে অনেক তুলনা করা হয়ে থাকে।[৫২]

দর্শন[সম্পাদনা]

খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম ও চতুর্থ শতাব্দীতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী দার্শনিকেরা জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আদিতম গ্রিক দার্শনিকদের মধ্যে ছিলেন তিনজন তথাকথিত "মিলেসীয় দার্শনিক": মিলেটাসের থেলিস, অ্যানাকজিম্যান্ডারঅ্যানাকজিমেনিস[৫৩] এই দার্শনিকদের রচনার মধ্যে যদিও শুধুমাত্র অ্যানাকজিম্যান্ডারের রচনার খণ্ডাংশ বর্তমানে পাওয়া যায়। এটি সংরক্ষণ করেছিলেন সিলিসিয়ার সিমপ্লিসিয়াস[Notes ২][৫৪]

সামোসের পিথাগোরাস নামে অপর এক দার্শনিকের জীবন সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য অল্পই জানা যায়। বর্তমানে পিথাগোরাসের কোনও রচনাই আর পাওয়া যায় না।[৫৫] তবে পিথাগোরাসের শিষ্য অ্যাক্রাগ্যাসের এমপেডোক্লেসের লেখা এক চিত্তাকর্ষক কাব্য-সংগ্রহ আজও সুলভ। এই কারণে এমপেডোক্লেসকে প্রাক্-সক্রেটিক দার্শনিকদের মধ্যে অন্যতম সর্বাপেক্ষা খ্যাতনামা দার্শনিক গণ্য করা হয়।[৫৬] ইফিসাসের হিরাক্লিটাস [৫৭]অ্যাবডেরার ডিমোক্রিটাস নামে দুই দার্শনিকের রচনার অনেক খণ্ডাংশও বর্তমানে পাওয়া যায়।[৫৮]

ধ্রুপদি যুগের সকল দার্শনিকদের মধ্যে যদিও সক্রেটিস, প্লেটোঅ্যারিস্টটলকেই সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী মনে করা হয়। সক্রেটিস কোনও গ্রন্থ রচনা করেননি। প্লেটোও সক্রেটিসের যে বর্ণনা দিয়েছেন তা যথাযথ কিনা তা নিয়ে আধুনিক গবেষকদের মধ্যে মতান্তর রয়েছে। কোনও কোনও গবেষকের মতে, সক্রেটিসের অনেক ধ্যানধারণা, অথবা অন্তত সেগুলির এক অস্পষ্ট নিকটবর্তী ধারণা প্লেটোর আদি সক্রেটিক সংলাপে প্রকাশিত হয়েছিল।[৫৯] অপর দিকে অন্যান্য গবেষকদের মতে, প্লেটো নিজের মতামত ব্যাখ্যা করার জন্য নিছকই এক কাল্পনিক চরিত্র হিসেবে সক্রেটিসকে উপস্থাপিত করেছিলেন; ওই নামের ঐতিহাসিক চরিত্রটির সঙ্গে প্লেটো-বর্ণিত সক্রেটিসের সাদৃশ্য অতি অল্পই রয়েছে।[৬০] প্লেটোর বর্ণনায় সক্রেটিসের কোন কোন বক্তব্য প্রকৃতপক্ষেই সক্রেটিসের বক্তব্য তা নিয়ে বিতর্কটি সক্রেটিক সমস্যা নামে পরিচিত।[৬১][৬২]

দ্য ডেথ অফ সক্রেটিস, জ্যাক-লুই ডেভিড অঙ্কিত (১৭৮৭)

প্লেটো নিজের ধ্যানধারণা প্রকাশ করেছেন সংলাপের মাধ্যমে। এই সংলাপগুলি হল বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে কথোপথনের সটীক বিবরণ। এগুলির মধ্যে কয়েকটি অতি-পরিচিত সংলাপ হল: দি অ্যাপোলজি অফ সক্রেটিস (বিচারের সময় সক্রেটিস যে বক্তৃতাটি দিয়েছিলেন তার সটীক বর্ণনা[৬৩]), ফিডো (মৃত্যুবরণের আগে সক্রেটিসের সঙ্গে শিষ্যদের সর্বশেষ কথোপকথনের একটি বিবরণ),[৬৪] দ্য সিমপোজিয়াম (প্রেমের প্রকৃতি বিষয়ক একটি সংলাপ)[৬৫]দ্য রিপাবলিক (আদর্শ সরকারব্যবস্থা বর্ণনাকারী এক দীর্ঘ সংলাপ[৬৬])। শেষোক্ত গ্রন্থটিকেও প্লেটোর সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ রচনা মনে করা হয়।[৬৭][৬৮]

স্ট্যাগিরার অ্যারিস্টটলকেও সর্বকালের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী দার্শনিক-চিন্তাবিদের অন্যতম মনে করা হয়।[৬৯] অ্যারিস্টটলের মেটাফিজিক্স প্রথম বাক্যে বলা হয়েছে: "সকল মানুষই প্রকৃতিগতভাবে জানতে ইচ্ছা করে।" এই কারণেই অ্যারিস্টটলকে বলা হয় "যারা জানতে চায় তাদের জনক"। অ্যারিস্টটলের মধ্যযুগীয় শিষ্য টমাস অ্যাকুইনাস অ্যারিস্টটলকে সরলভাবে "দ্য ফিলোজফার" ("দার্শনিক") আখ্যা দেন। অ্যারিস্টটল ছিলেন প্লেটোর অ্যাকাডেমির ছাত্র। নিজের শিক্ষকের মতো তিনিও সংলাপ বা কথোপকথন রচনা করতেন। যদিও এই সংলাপগুলির একটিও আজ পাওয়া যায় না। অ্যারিস্টটলের রচনার যে সংগ্রহটি আজও পাওয়া যায়, সেটি সম্ভবত এথেন্সে নিজের বিদ্যালয় লাইসিয়ামে প্রদত্ত বক্তৃতামালা।[৭০] এই গ্রন্থগুলি থেকেও অ্যারিস্টটলের আগ্রহের বিস্তৃত ক্ষেত্রটি স্পষ্টভাবে বোঝা যায়: আজ যে বিষয়গুলিকে দার্শনিক বলে গণ্য করা হয়, তার বাইরেও অনেক বিষয় তিনি অনুপূঙ্খভাবে পরীক্ষা করে দেখেছিলেন। প্রাপ্ত অভিসন্দর্ভগুলির বিষয় যুক্তিবিদ্যা, ভৌত ও জীববিজ্ঞান, নীতিবিদ্যা, রাজনীতি ও সাংবিধানিক সরকার। অ্যারিস্টটলের সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য রচনাগুলির মধ্যে রয়েছে পলিটিকস, নিকোমেশিয়ান এথিকস, পোয়েটিকস, অন দ্য সোলরেটোরিক[৭১]

হেলেনীয় যুগ[সম্পাদনা]

প্রাচীন আলেকজান্দ্রিয়া গ্রন্থাগারের ঊনবিংশ শতাব্দীর কাল্পনিক খোদাইচিত্র

খ্রিস্টপূর্ব ৩৩৮ অব্দের মধ্যে স্পার্টা ছাড়া সকল গ্রিক নগর-রাষ্ট্র ম্যাসিডনের দ্বিতীয় ফিলিপ কর্তৃক ঐক্যবদ্ধ হয়।[৭২] ফিলিপের পুত্র মহান অ্যালেকজান্ডার পিতার রাজ্যকে বহুদূরে সম্প্রসারিত করেন। গ্রিক সংস্কৃতির অগ্রণী রূপে এথেন্স তার পূর্বখ্যাতি লুপ্ত হয় এবং সেই স্থান সাময়িকভাবে অর্জন করে মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া[৭৩]

খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দী থেকে উত্তর মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া শহরটি গ্রিক সংস্কৃতির এক উৎকৃষ্ট কেন্দ্রে পরিণত হতে শুরু করে। অনতিকালের মধ্যে ইহুদি জনসংখ্যার একটি বৃহৎ অংশকে আকর্ষণ করে এই শহর পরিণত হয় প্রাচীন বিশ্বে ইহুদি বিদ্যাচর্যার বৃহত্তম কেন্দ্রেও। হিব্রু বাইবেলের এক গ্রিক অনুবাদ সেপ্টুয়াজিন্টের রচনা আলেকজান্দ্রিয়ায় সূচিত হয়েছিল বলে প্রসিদ্ধি রয়েছে। হেলেনীয় ইহুদি দার্শনিক ফিলো খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দীর গোড়ার দিকে আলেকজান্দ্রিয়ার বাইরে গিয়ে সক্রিয় হন। সেই সঙ্গে পরবর্তীকালে আলেকজান্দ্রিয়া খ্রিস্টীয় ধ্যানধারণার বিকাশের একটি অন্যতম প্রধান কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। প্রথম টলেমি আলেকজান্দ্রিয়ায় মিউজিয়াম অর্থাৎ গ্রন্থাগার ও বিদ্যালয় সহ মিউজগণের মন্দির স্থাপন করেন। এই প্রতিষ্ঠানটি গোড়া থেকেই এক মহৎ আন্তর্জাতিক বিদ্যালয় ও গ্রন্থাগারের খ্যাতি অর্জন করেছিল।[৭৪] গ্রন্থাগারটি ক্রমে পাঁচ লক্ষেরও বেশি গ্রন্থের সংগ্রহে পরিণত হয়, যার অধিকাংশই ছিল গ্রিক ভাষায় রচিত গ্রন্থ। এটি স্থাপনের উদ্দেশ্য ছিল ধ্রুপদি গ্রিক সাহিত্যের প্রাপ্তব্য সকল গ্রন্থের একটি ভাণ্ডার গড়ে তোলা।[৭৫]

কবিতা[সম্পাদনা]

জন উইলিয়াম ওয়াটারহাউস অঙ্কিত চিত্রে রোডসের অ্যাপোলোনিয়াস রচিত আর্গোনটিকা-র একটি দৃশ্য

কবি থিওক্রিটাস প্রথম গোষ্ঠকাব্যের ধারাটির প্রবর্তনা করেন।[৭৬] পরবর্তীকালে রোমান কবি ভার্জিলের লেখা একলগস-ও এই বর্গের অন্তর্গত।[৭৭] আলেকজান্দ্রিয়া গ্রন্থাগারের পণ্ডিত ক্যালিমেকাস রচনা করেন ইটিয়া ("কারণসমূহ"),[৭৮] নামে এক দীর্ঘ কবিতা। চার খণ্ডে এলিজিয়াক দ্বিপদীতে রচিত এই কাব্যে অখ্যাত প্রথা, উৎসব ও নামের কিংবদন্তি উৎসগুলির কথা বর্ণিত হয়েছে।[৭৮] সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে ক্যালিমেকাস বেশ কয়েক বছর ধরে একাধিক পর্যায়ে রচনা করেছিলেন এই কাব্যটি।[৭৮] মধ্যযুগে ইটিয়া কাব্যটি হারিয়ে গিয়েছিল;[৭৮] কিন্তু বিংশ শতাব্দীতে বিভিন্ন প্রাচীন প্যাপিরাই আবিষ্কারের ফলে এই কাব্যের অনেকটাই পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে।[৭৮] গবেষকেরা প্রথম দিকে এই কাব্যটিকে "দ্বিতীয় শ্রেণি"-র কাব্য আখ্যা দিয়েছিলেন; কারণ, পাণ্ডিত্যের প্রকাশ থাকলেই এই কাব্যে "শিল্পবোধ"-এর অভাব পরিস্ফূট।[৭৮] কিন্তু শতাব্দীকালের মধ্যেই এই কাব্য সম্পর্কে গবেষকদের মনোভাবের পরিবর্তন ঘটে; অনেক গবেষকই এটির অধিকতর ইতিবাচক দিকগুলি তুলে ধরতে শুরু করেন।[৭৮] ক্যালিমেকাস বিশেষ বিশেষ উপলক্ষ্যে ছোটো কবিতাও রচনা করেছিলেন। আইবিস অন্তত একটি ছোটো মহাকাব্য তিনি রচনা করেছিলেন প্রাক্তন ছাত্র অ্যাপোলোনিয়াসের বিরুদ্ধে।[৭৯] এছাড়া তিনি পিনাকেস নামে একটি গদ্য সন্দর্ভে আলেকজান্দ্রিয়া গ্রন্থাগারের সকল প্রধান গ্রন্থের একটি তালিকা প্রদান করেন।[৮০]

আলেকজান্দ্রীয় কবি রোডসের অ্যাপোলিনিয়াস আর্গোনটিকা মহাকাব্য রচনার জন্য সমধিক পরিচিত। এই মহাকাব্যের বিষয়বস্তু হল কোলকিস দ্বীপে সুবর্ণ মেষলোম উদ্ধারে জেসন ও তার জাহাজের সহযাত্রী আর্গোনাটদের অভিযানের কাহিনি।[৮১] কবি অ্যারাটাস রচনা করেছিলেন হেক্সামিটার কাব্য ফেনোমেনা। এটি ছিল খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতাব্দীতে নিডাসের ইউডোজাস কর্তৃক রচিত নক্ষত্র-বিষয়ক একটি সন্দর্ভের কাব্যরূপ।[৮২]

নাটক[সম্পাদনা]

প্রজাতান্ত্রিক বা আদি সাম্রাজ্যিক উদ্গত শিল্পকর্মে উপবিষ্ট মিনান্ডারের হাতে নতুন কমেডির মুখোশ (খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতাব্দী – খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দীর প্রথম ভাগ), প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি আর্ট মিউজিয়াম

হেলেনীয় যুগে ধ্রুপদি যুগের পুরনো কমেডি প্রতিস্থাপিত হয় নতুন কমেডি দ্বারা। নতুন কমেডির সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য লেখক ছিলেন এথেন্সীয় নাট্যকার মিনান্ডার। মিনান্ডারের কোনও নাটকই আজ সম্পূর্ণ আকারে পাওয়া যায় না; শুধুমাত্র দ্য ব্যাড-টেম্পারড ম্যান বর্তমানে প্রায়-সম্পূর্ণ আকারে পাওয়া যায়। দ্য গার্ল ফ্রম সামোস নামে আরেকটি নাটকের অধিকাংশ এবং অপর পাঁচটি নাটকের বৃহৎ অংশ আজও পাওয়া যায়।[৮৩]

ইতিহাস লিখনধারা[সম্পাদনা]

ইতিহাসবিদ টিমেয়াসের জন্ম সিসিলিতে, কিন্তু জীবনের অধিকাংশ সময় তিনি অতিবাহিত করেছিলেন এথেন্সে[৮৪] টিমেয়াসের ইতিহাস গ্রন্থখানি এখন হারিয়ে গেলেও পলিবায়াসের উপর এটির প্রভাবের জন্যই গ্রন্থটি গুরুত্বপূর্ণ। আটত্রিশটি খণ্ডে এই গ্রন্থে খ্রিস্টপূর্ব ২৬৪ অব্দ পর্যন্ত সিসিলি ও ইতালির ইতিহাস বিবৃত হয়েছে। এরপর থেকেই পলিবায়াস নিজের রচনার কাজ শুরু করেছিলেন। টিমেয়াস অলিম্পিয়নিকাই গ্রন্থটিও রচনা করেন; এটি অলিম্পিক ক্রীড়ার একটি মূল্যবান কালপঞ্জিমূলক অধ্যয়ন।[৮৫]

প্রাচীন জীবনীসাহিত্য[সম্পাদনা]

প্রাচীন জীবনীসাহিত্য বা বায়োস আধুনিক জীবনীসাহিত্যের থেকে অনেকটাই আলাদা। গ্রিক (ও রোমান) সাহিত্যের এই বর্গটিতে প্রাচীন ঐতিহাসিক ব্যক্তিবর্গের জীবনের উদ্দেশ্য, কীর্তি, ব্যর্থতা ও চরিত্র বর্ণিত হয়েছে; সে পূর্ববর্তী রচনা অনুকরণ করেই হোক বা না করেই হোক। প্রাচীন বায়োস-গুলির মধ্যে নেপোসের রচনাবলি এবং প্লুটার্কের প্যারালাল লাইভস প্রাচীন গ্রিসের সমসাময়িক ইতিহাস লিখনধারার একই সূত্র ও পদ্ধতি অনুকরণ করে লেখা হয়েছিল; যেগুলির মধ্যে হিরোডোটাসথাসাইডিডেসের গ্রন্থাবলি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। প্রাচীন জীবনীগুলি বিভিন্ন ধরনের হত:[৮৬]

  1. দার্শনিক জীবনী, যা দার্শনিকদের চিন্তাভাবনার নৈতিক চরিত্রটি উদ্ঘাটিত করে (যেমন, ডায়োজিনেস লিয়ার্টিয়াসের লাইভস অ্যান্ড ওপিনিয়নস অফ এমিনেন্ট ফিলোজফারস
  2. সাহিত্যিক জীবনী, যেগুলিতে বক্তা ও কবিদের জীবনকথা আলোচিত হত (যেমন, ফিলোস্ট্র্যাটাসের লাইভস অফ দ্য সোফিস্টস)
  3. বিদ্যালয়পাঠ্য ও তথ্যসূত্রমূলক জীবনী, যেগুলিতে বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের বংশপরিচয়, জীবনের প্রধান ঘটনা, কীর্তি ও মৃত্যু সহ সংক্ষিপ্ত জীবনী অন্তর্ভুক্ত থাকত
  4. আত্মজীবনী, টীকাগ্রন্থ এবং স্মৃতিকথা, যেগুলিতে লেখকেরা নিজেদের জীবনকথা উপস্থাপনা করতেন
  5. ঐতিহাসিক/রাজনৈতিক জীবনী, যেগুলিতে অন্যান্য ধরনের ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে সামরিক বাহিনীতে সক্রিয় ব্যক্তিদের জীবনীর উপরেও আলোকপাত করা হত।

বিজ্ঞান ও গণিত[সম্পাদনা]

১৯০৬ সালে আর্কিমিডিস প্যালিম্পসেস্ট কর্তৃক আর্কিমিডিসের সেই রচনাগুলি প্রকাশিত হয় যেগুলিকে ইতিপূর্বে হারিয়ে যাওয়া গ্রন্থ মনে করা হয়েছিল।

আলেকজান্দ্রিয়ার এরাটোস্থেনিস (আনু. খ্রিস্টপূর্ব ২৭৬ অব্দ – আনু. ১৯৫/১৯৪ অব্দ) জ্যোতির্বিজ্ঞান ও ভূগোল বিষয়ে গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। কিন্তু এই গ্রন্থগুলি সম্পর্কে প্রধানত পরবর্তীকালীন সারসংক্ষেপগুলি থেকেই তথ্য সংগ্রহ করা যায়। কথিত আছে, তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি পৃথিবীর পরিধি পরিমাপ করেন। গণিতজ্ঞ ইউক্লিডআর্কিমিডিসের অধিকাংশ রচনা এখন সংরক্ষিত হয়েছে। ইউক্লিড পরিচিত এলিমেন্টস গ্রন্থটির জন্য; এই গ্রন্থের সম্পর্কে অধিকাংশ তথ্য ইউক্লিডের পূর্বসূরি নিডাসের ইউডোজাসের রচনা থেকে সংকলিত হয়েছে। এলিমেন্টস গ্রন্থটি হল জ্যামিতি-সংক্রান্ত একটি সন্দর্ভ; গণিতশাস্ত্রে এই গ্রন্থের প্রভাব আধুনিক যুগেও বিদ্যমান। আর্কিমিডিসের যুগ থেকে অনেক সন্দর্ভই বর্তমান কাল পর্যন্ত সুলভ। এগুলির মধ্যে রয়েছে মেজারমেন্টস অফ দ্য সার্কেল (যে গ্রন্থে পাইয়ের মান নির্ণয় করা হয়েছে) দ্য মেথড অফ মেকানিক্যাল থিওরেমস (বলবিদ্যা-সংক্রান্ত রচনা), দ্য স্যান্ড রেকনার, ও অন ফ্লোটিং বডিজআর্কিমিফিসের রচনার একটি পাণ্ডুলিপি নিয়ে বর্তমানে গবেষণা চলছে।[৮৭]

গদ্যসাহিত্য[সম্পাদনা]

হেলেনীয় যুগের গদ্যসাহিত্যের মধ্যে অতি অল্পই বর্তমানে পাওয়া যায়। অ্যারিস্টাইডেসের দ্য মাইলেসায়াকা সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীতে রচিত। এই গ্রন্থটি যদিও বর্তমানে সম্পূর্ণ আকারে পাওয়া যায় না, তবে অন্যান্য গ্রন্থে এর উদ্ধৃতি অনেক রক্ষিত আছে। এই বইটি তথাকথিত "মিলেসীয় কথামালা" নামে একটি সম্পূর্ণ নতুন বর্গের জন্ম দিয়েছিল; যে বর্গের প্রধান উদাহরণ হল পরবর্তীকালীন রোমান লেখক অ্যাপুলেইয়াসের দ্য গোল্ডেন অ্যাস[৮৮][৮৯]

প্রাচীন গ্রিক উপন্যাস কেরেস অ্যান্ড ক্যালিরহো[৯০] (ক্যারিটন রচিত) এবং মেটিওকাস অ্যান্ড পার্থেনোপি[৯১][৯২] সম্ভবত রচিত হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতাব্দীর শেষ পর্বে বা খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দীর প্রথম ভাগে, অর্থাৎ হেলেনীয় যুগের পরবর্তী পর্যায়ে। লোলিয়ানোসের ফিনিশিয়ান টেল গ্রন্থের বিভিন্ন খণ্ডাংশ আবিষ্কার হওয়ায় প্রাচীন গ্রিক পিকারেস্ক উপন্যাস বর্গের অস্তিত্বের কথা জানা গিয়েছে।[৯৩]

রোমান যুগ[সম্পাদনা]

একদিকে যখন নগর-রাষ্ট্র থেকে সাম্রাজ্যে রাষ্ট্রের রূপান্তর দর্শনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করছিল, তখনই রাজনৈতিক তত্ত্ব থেকে ব্যক্তিগত নীতিবিদ্যায় প্রাধান্যও অধিকতর হারে দেওয়া হচ্ছিল। গ্রিক বর্ণমালার বিকাশও উত্তরসূরিগণের (বিশেষত টলেমিদের) এবং রোমান শাসনে অব্যাহত ছিল। সাহিত্যে ও ছন্দশাস্ত্রে আগ্রহী রোমানরা গ্রিক আদর্শের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতেন এবং সব ধরনের গ্রিক সাহিত্য শুধুমাত্র গ্রিসের স্থানীয় গ্রিকভাষীদের দ্বারাই নয় বরং পরবর্তীকালের রোমান লেখকদের দ্বারাও পঠিত ও লিখিত হয়েছিল। এই যুগের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল বর্গ হিসেবে সাহিত্য সমালোচনার প্রসারণ। এই বিষয়ে ডিমিট্রিয়াস, ছদ্ম-লঙ্গিনাস ও হ্যালিকার্নাসাসের ডায়োনিসিয়াসকে উদাহরণ হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে। কইন গ্রিক ভাষার বিভিন্ন গুণমানে বিভিন্ন লেখক কর্তৃক রচিত নূতন নিয়ম এই যুগেরই রচনা।[৯৪][৮]:২০৮–২০৯ এই গ্রন্থের সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য অংশগুলি হল সুসমাচারসন্ত পৌলের পত্রাবলি[৯৫][৮]:২০৮–২১৩

কবিতা[সম্পাদনা]

মাইকোনোস পাত্র, ট্রোজান অশ্বের অতিকথার আদিতম অধুনালভ্য চিত্রণগুলির অন্যতম। এই অতিকথাটি স্মাইরনার কুইন্টাস কর্তৃক পোস্থোমেরিকা গ্রন্থে বিশদভাবে বর্ণিত হয়েছিল।

স্মাইরনার কবি কুইন্টাস সম্ভবত খ্রিস্টীয় চতুর্শ শতাব্দীর শেষভাগের ব্যক্তি ছিলেন।[৯৬][৯৭] তিনি পোস্থোমেরিকা নামক মহাকাব্যে ট্রয়ের পতনের কাহিনি সেইখান থেকে বর্ণনা করেন যেখানে ইলিয়াড মহাকাব্যের কাহিনি সমাপ্ত হয়েছিল।[৯৮]

পানোপোলিসের কবি নোনাসের রচনা করেন ডায়োনিসিয়াকা। এটিই প্রাচীনকালের দীর্ঘতম অধুনালভ্য মহাকাব্য। এছাড়া তিনি যোহন লিখিত সুসমাচারের একটি কাব্যিক শব্দান্তরণ রচনা করেন।[৯৯][১০০] নোনাস সম্ভবত খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতাব্দীর শেষভাগ অথবা খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতাব্দীর প্রথম ভাগের ব্যক্তি ছিলেন।[১০১][১০২]

ইতিহাস লিখনধারা[সম্পাদনা]

প্রাচীন গ্রিসের অন্যতম সর্বাপেক্ষা খ্যাতনামা ইতিহাসবিদ প্লুটার্কের আবক্ষ মূর্তি। তিনি ছিলেন কেরোনিয়ার অধিবাসী।

ইতিহাসবিদ পলিবায়াস জন্মগ্রহণ করেছিলেন মোটামুটি খ্রিস্টপূর্ব ২০০ অব্দ নাগাদ। খ্রিস্টপূর্ব ১৬৮ অব্দে পণবন্দী হিসেবে তিনি রোমে আনীত হন। সেখানে সেনাধ্যক্ষ সিপিও এমিলিয়ানাস পলিবায়াসের বন্ধুতে পরিণত হন। সম্ভবত সেনাধ্যক্ষের সঙ্গে তিনি কার্থেজের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় স্পেন ও উত্তর আফ্রিকাতেও গিয়েছিলেন। খ্রিস্টপূর্ব ১৪৬ অব্দে কার্থেজ ধ্বংসের সময়ও তিনি সিপিওর সঙ্গে ছিলেন।[১০৩]

ডায়োডোরাস সিক্যুলাস ছিলেন খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতাব্দীর (জুলিয়াস সিজার ও অগাস্টাসের) এক গ্রিক ইতিহাসবিদ। তিনি ৪০ খণ্ডে বিবলিওথিকা হিস্টোরিকা নামে একটি বিশ্বজনীন ইতিহাস রচনা করেন। এগুলির মধ্যে প্রথম পাঁচটি এবং একাদশ থেকে বিংশ খণ্ডগুলি এখনও পাওয়া যায়। প্রথম দুই খণ্ডে আদি হেলেনীয় যুগ পর্যন্ত ইতিহাস বিবৃত হয়েছে। তৃতীয় খণ্ডের ইতিহাস শুরু হয়েছে গলের (অধুনা ফ্রান্স) বিরুদ্ধে সিজারের যুদ্ধ থেকে।[১০৪] হ্যালিকার্নাসাসের ডায়োনাইসিয়াস ছিলেন খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতাব্দীর ব্যক্তিত্ব। রোমের যে ইতিহাস তিনি লিখেছিলেন তার সূত্রপাত প্রথম পিউনিক যুদ্ধের সমসাময়িক কাল (খ্রিস্টপূর্ব ২৬৪-২৪১ অব্দ)। রোমান দৃষ্টিভঙ্গি থেকে লেখা হলেও এই গ্রন্থটি সযত্নে গবেষণা করে লিখিত হয়েছিল। এছাড়া তিনি অন্যান্য সন্দর্ভও রচনা করেছিলেন, তার মধ্যে রয়েছে অন ইমিটেশন, কমেন্ট্রিজ অন দি এনশিয়েন্ট অর্যাটরসঅন দি অ্যারেঞ্জমেন্টস অফ ওয়ার্ডস[১০৫]

আলেকজান্দ্রিয়ার আপ্পিয়াননিকোমিডিয়ার অ্যারিয়ান নামে দুই ইতিহাসবিদ খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীতে বিদ্যমান ছিলেন।[১০৬][১০৭] আপ্পিয়ান রোম ও রোমানদের বিজয়ের কথা লিখেছিলেন, অন্যদিকে অ্যারিয়ানকে স্মরণ করা হয় মহান আলেকজান্ডারের অভিযান-বিষয়ক রচনাগুলির জন্য। অ্যারিয়ান রোমান সেনাবাহিনীতে কাজ করতেন। এই কারণে নিজের গ্রন্থে তিনি আলেকজান্ডারের জীবনের সামরিক দিকগুলি নিয়ে বেশি আলোচনা করেছিলেন। এছাড়া অ্যারিয়ান নিজের গুরু এপিক্টেটাসের শিক্ষার ভিত্তিতে ডায়াট্রিবাই নামে একটি দার্শনিক সন্দর্ভও রচনা করেন।

পরবর্তীকালীন গ্রিক ইতিহাসবিদদের মধ্যে আধুনিক পাঠকদের কাছে সর্বাপেক্ষা পরিচিত হলেন কেরোনিয়ার প্লুটার্ক (মৃত্যু: ১১৯ খ্রিস্টাব্দ)। গ্রিক ও রোমান নেতৃবর্গের জীবন নিয়ে প্লুটার্কের লেখা প্যারালাল লাইভস গ্রন্থটি প্রকাশকের পর থেকে প্রত্যেক প্রজন্ম কর্তৃক পঠিত হয়ে আসছে। প্লুটার্কের অপর এক অধুনালভ্য রচনা মরালিয়া হল নীতিবিদ্যা, ধর্ম, রাজনীতি, প্রাকৃতিক নিয়ম ও সাহিত্য।[১০৮][১০৯]

পরবর্তীকালে তথাকথিত "কমনপ্লেস বুকস" বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এই বইগুলিতে ঐতিহাসিক ঘটনা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত চিত্তাকর্ষক কাহিনিগুলি বর্ণিত হয়েছে। এই জনপ্রিয় বর্গের অধুনালভ্য উদাহরণগুলির মধ্যে অন্যতম আউলাস সেলিয়াসের অ্যাটিক নাইটস,[১১০] নউক্রেটিসের এথেনিয়াসের ডেইপনোসোফিস্টি,[১১১]ক্লডিয়াস এলিয়ানাসের ডে ন্যাচ্যুরা অ্যানিম্যালিয়ামভারিয়া হিস্টোরিয়া[১১২]

বিজ্ঞান ও গণিত[সম্পাদনা]

পসেনিয়াসের গ্রিসের বর্ণনা গ্রন্থের পুথি (১৪৮৫), লরেন্টিয়ান লাইব্রেরি

চিকিৎসক গ্যালেন খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীর ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি অঙ্গব্যবচ্ছেদ-বিদ্যা সযত্নে অধ্যয়ন করেছিলেন। ঔষধিবিজ্ঞানের উপর গ্যালেনের রচনাগুলির প্রভাব পরবর্তী ১,৪০০ বছরে খুব শক্তিশালী ছিল। স্ট্র্যাবো (মৃত্যু আনু. ২৩ খ্রিস্টাব্দ) ছিলেন একজন ভূগোলবিদ ও ইতিহাসবিদ। স্ট্র্যাবোর লেখা ৪৭ খণ্ডে হিস্টোরিক্যাল স্কেচেস গ্রন্থটির প্রায় সম্পূর্ণ অংশই এখন হারিয়ে গিয়েছে। অপর গ্রন্থ জিওগ্র্যাফিক্যাল স্কেচেস একমাত্র অধুনালভ্য প্রাচীন গ্রন্থ, যেটিতে অগাস্টাসের সময়কাল পর্যন্ত গ্রিক ও রোমানদের কাছে পরিচিত সকল জাতি ও দেশের বিবরণ পাওয়া যায়।[১১৩] খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীর অপর এক ভূগোলবিদ ছিলেন পসেনিয়াস[১১৪] আবার ডেসক্রিপশন অফ গ্রিস নামক এক ভ্রমণ-সহায়িকায় তিনি দ্বিতীয় শতাব্দীর গ্রিসের ভূগোল ও পুরাণমূলক ইতিহাস বর্ণনা করেন। এই গ্রন্থ এথেন্স থেকে শুরু করে নউপ্যাক্টাস পর্যন্ত গ্রিসের ভ্রমণ-বৃত্তান্তের আকারে লেখা।[১১৫]

পরবর্তী প্রজন্মগুলির উপর গভীরতম প্রভাব বিস্তারে সক্ষম রোমান যুগের বিজ্ঞানী নিঃসন্দেহে জ্যোতির্বিজ্ঞানী টলেমি। তিনিও খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীর ব্যক্তি ছিলেন।[১১৬] যদিও টলেমির জীবন সম্পর্কে অল্পই জানা যায়। টলেমির শ্রেষ্ঠ কীর্তিটির আদি শিরোনাম ছিল দ্য ম্যাথামেটিক্যাল কালেকশন; বর্তমানে আরব জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের অনুবাদের নামানুসারে এটি পরিচিত আলমাজেস্ট নামে।[১১৭] টলেমিই প্রথম এক পৃথিবী-কেন্দ্রিক মহাবিশ্বের বিস্তারিত বিবরণ প্রদান করেছিলেন।[১১৮] এই ধারণাটি জ্যোতির্বিজ্ঞানী সমাজে ১,৩০০ বছরেরও বেশি সময়কাল অত্যন্ত শক্তিশালী ছিল।[১১৯] কোপারনিকাস, গ্যালিলিও, কেপলার ও অন্যান্য আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সূর্যকেন্দ্রিকতাবাদ প্রতিষ্ঠার পূর্বাবধি মহাবিশ্ব সম্পর্কে টলেমির ধারণাই জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মেনে চলতেন।[১২০]

দর্শন[সম্পাদনা]

রোমান যুগের বিশিষ্ট দার্শনিক প্লটিনাসের মস্তক

এপিক্টেটাস (আনু. ৫৫ – ১৩৫ খ্রিস্টাব্দ) স্টোইকদের নীতিবাদী দর্শনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এপিক্টেটাসের শিষ্য অ্যারিয়ান গুরুর শিক্ষা সংকলিত করেন ডিসকোর্সেসএনকিরিডিয়ন (গবেষণা-সার) গ্রন্থে।[১২১]

খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতাব্দীতে ডায়াজেনিস লিয়ার্টিয়াস রচনা করেন লাইভস অ্যান্ড ওপিনিয়নস অফ এমিনেন্ট ফিলোজফারস নামে এক বিশাল জীবনী-সংকলন। এই গ্রন্থে প্রায় সকল গ্রিক দার্শনিকের জীবনী বর্ণিত হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে লিয়ার্টিয়াস প্রায়শই নিজের রচনার সূত্র উল্লেখ করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন এবং অনেক আধুনিক ইতিহাসবিদই এই গ্রন্থটিকে নির্ভরযোগ্য মনে করেন না।[১২২] তা সত্ত্বেও এই গ্রন্থটিই অনেক প্রাচীন গ্রিক দার্শনিকের জীবন সম্পর্কে একমাত্র প্রাপ্তব্য তথ্যসূত্রের কাজ করে।[১২৩] তবে গ্রন্থখানি একেবারেই গুণবর্জিত নয়; এই গ্রন্থে তথ্যের সে সুবিপুল সম্পদ সংরক্ষিত হয়েছিল তা অন্য কোথাও করা হয়নি। উদাহরণস্বরূপ, এই গ্রন্থে এপিকারাসের জীবনীটি নির্দিষ্টভাবে বেশ উচ্চ মানের এবং এই জীবনীর সঙ্গে এপিকারাসের রচনা বলে কথিত তিনটি দীর্ঘ চিঠি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যার মধ্যে অন্তত দু’টি চিঠি প্রামাণিক বলে সাধারণভাবে গবেষকেরা মনে করেন।[১২৪]

এই যুগের অপর এক প্রধান দার্শনিক ছিলেন প্লটিনাস। তিনি প্লেটোর দর্শনকে নব্যপ্লেটোবাদ নামে একটি শাখায় রূপান্তরিত করেন।[১২৫] প্লটিনাসের এনিডস গ্রন্থটি অন্তত সপ্তদশ শতাব্দী পর্যন্ত ইউরোপীয় চিন্তাজগতে নানা ধরনের প্রভাব বিস্তার করেছিল।[১২৬] প্লটিনাসের দর্শন প্রধানত কেন্দ্রীভূত ছিল নউস, সাইকি ও "এক"-এর ধারণাগুলিকে ঘিরে।[১২৭]

খ্রিস্টধর্মের উত্থানের পর খ্রিস্টানদের মধ্যেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ দার্শনিকের উত্থান ঘটে। দ্বিতীয় শতাব্দীর খ্রিস্টান আত্মপক্ষসমর্থক শহিদ জাস্টিন গ্রিক ভাষায় অনেক গ্রন্থ রচনা করেছিলেন এবং বিশেষভাবে প্লেটোবাদ সহ গ্রিক দর্শনের নানা শাখা থেকে ধ্যানধারণা গ্রহণ করেছিলেন।[১২৮] খ্রিস্টীয় ধর্মতত্ত্বের প্রবর্তক আলেকজান্দ্রিয়ার ওরিজেনও[১২৯] গ্রিক দর্শন থেকে অনেক ধ্যানধারণার ব্যবহার ঘটিয়েছিলেন[১৩০] এবং নিজের আত্মপক্ষসমর্থন-মূলক সন্দর্ভ কনট্রা সেলসাম-এ পৌত্তলিক দার্শনিক সেলসাসের মতের বিরুদ্ধে নিজের মত ধরে রাখতেও সক্ষম হয়েছিলেন।[১৩১]

গদ্য সাহিত্য[সম্পাদনা]

ড্যাফনিস অ্যান্ড ক্লোই-এর একটি দৃশ্য, সুইস-ফরাসি চিত্রকর চার্লস গ্লেইয়ার অঙ্কিত ঊনবিংশ শতাব্দীর চিত্র

রোমান যুগেই গ্রিক গদ্যসাহিত্যের বৃহত্তর অংশটি লিখিত হয়েছিল। প্রাচীন গ্রিক উপন্যাস অ্যাকিলিস ট্যাটিয়াসের ল্যুসিপি অ্যান্ড ক্লিটোফোন[১৩২][১৩৩]লংগাসের ড্যাফনিস অ্যান্ড ক্লোই[১৩৪] দু’টিই সম্ভবত খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীর গোড়ার দিকে রচিত। এখনও পর্যন্ত পাঁচটি অধুনালভ্য প্রাচীন গ্রিক রোম্যান্স উপন্যাসের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাতটি হল ড্যাফনিস অ্যান্ড ক্লোই। এটির উপজীব্য গ্রিসের লেসবোস দ্বীপে রাখালিয়া পরিবেশে বেড়ে ওঠা দুই অল্পবয়সী প্রেমিক-প্রেমিকার স্মৃতিমেদুর কাহিনি।[১৩৫] অ্যান্টোনিয়াস ডায়োজেনাসের দ্য ওয়ান্ডারস বিয়ন্ড থুল সম্ভবত রচিত হয়েছিল খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীর গোড়ায়, যদিও গবেষকদের মধ্যে এই গ্রন্থের সঠিক তারিখ নিয়ে মতান্তর আছে। এই গ্রন্থটিও সম্পূর্ণ আকারে পাওয়া যায় না, তবে কনস্ট্যান্টিনোপলের প্রথম ফোটিয়সের লেখা একটি অতি দীর্ঘ সারসংক্ষেপ পাওয়া যায়।[১৩৬] ইফিসাসের জেনোফোন রচিত ইফেসিয়ান টেল সম্ভবত খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীর শেষভাগে রচিত।[১৩৪]

সামোসাটার লুসিয়ানের আ ট্রু স্টোরি-র প্রথম খণ্ডে বর্ণিত একটি যুদ্ধদৃশ্যের উইলিয়াম স্ট্র্যাং অঙ্কিত অলংকরণ, ১৮৯৪

ব্যঙ্গরচয়িতা সামোসাটার লুসিয়ান খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীর শেষভাগের ব্যক্তি ছিলেন। লুসিয়ানের রচনাবলি প্রাচীনকালে অবিশ্বাস্য জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। বর্তমানে লুসিয়ানের রচনা বলে পরিচিত আশিটিরও বেশি আলাদা আলাদা গ্রন্থ পাওয়া যায়।[১৩৭] লুসিয়ানের প্রায় সকল রচনাই প্রাচীন গ্রিক ভাষার অতিমাত্রায় আত্তীয়ায়িত উপভাষায় রচিত, যা সেকালে শিক্ষিত সমাজে সুপ্রচলিত ছিল। লুসিয়ানের সিরীয় দেবী অবশ্য এক ধরনের কৃত্রিম-আইয়োনীয় উপভাষায় রচিত, যা ইচ্ছাকৃতভাবে হিরোডোটাসের উপভাষা ও রচনাশৈলীর অনুকরণ।[১৩৮][১৩৯] লুসিয়ানের সর্বাপেক্ষা বিখ্যাত রচনাটি ছিল আ ট্রু স্টোরি, যেটিকে কোনও কোনও লেখক কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের প্রাচীনতম অধুনালভ্য নিদর্শন বলে বর্ণনা করেন।[১৪০][১৪১] লুসিয়ানের সংলাপ মিথ্যার প্রেমিক গ্রন্থে প্রাচীনতম পরিচিত ভূতের গল্পের মধ্যে বেশ কয়েকটি পাওয়া যায়[১৪২] সেই সঙ্গে "দ্য সোরসারার’স অ্যাপ্রেনটিশ"-এর আদিতম পরিচিত পাঠটিও এই গ্রন্থেই পাওয়া যায়।[১৪৩] লুসিয়ানের চিঠি পাসিং অফ পেরেগ্রিনাস ছিল খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে লেখা এক নির্মম ব্যঙ্গরচনা। এই গ্রন্থেই আদি খ্রিস্টধর্ম সম্পর্কে আদিতম পৌত্তলিক মূল্যায়নগুলির একটি পাওয়া যায়।[১৪৪]

এমেসার হেলিওডোরাস কর্তৃক ইথিওপিকা সম্ভবত খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতাব্দীতে রচিত হয়েছিল।[১৪৫] এই গ্রন্থে ক্যারিক্লিয়া নামে এক তরুণী ইথিওপীয় রাজকুমার কাহিনি বর্ণিত হয়েছে; তিনি পরিবার-বিচ্ছিন্না হয়ে জ্ঞাত বিশ্বের নানা স্থানে দুর্ভাগ্যতাড়িত হয়ে ঘুরে বেড়ান।[১৪৬] সকল প্রাচীন গ্রিক উপন্যাসের মধ্যে যেটি সর্বাধিক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল সেটি হল আলেকজান্ডার রোম্যান্স; খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতাব্দীতে রচিত এই উপন্যাসটি ছিল মহান আলেকজান্ডারের বিজয়াভিযানগুলির এক কাল্পনিক বিবরণ। চব্বিশটি ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় এই গ্রন্থের আশিটি পাঠান্তর পাওয়া যায়। তা থেকে বোঝা যায় যে মধ্যযুগে বইটি প্রায় বাইবেলের মতোই জনপ্রিয় হয়েছিল।[১৪৭]:৬৫০–৬৫৪ চতুর্দশ শতাব্দীতে আলেকজান্ডার রোম্যান্স-এর পাঠান্তরগুলি এতটাই সুলভ ছিল যে, জিওফ্রে চসার লেখেন "...every wight that hath discrecioun / Hath herd somwhat or al of [Alexander's] fortune."[১৪৭]:৬৫৩–৬৫৪

উত্তরাধিকার[সম্পাদনা]

হিরো মর্নস দ্য ডেড লিয়ান্ডার, গিলিস ব্যাকরিল অঙ্কিত (১৬৪০-এর দশক)

সামগ্রিকভাবে পাশ্চাত্য সাহিত্যের উপর প্রাচীন গ্রিক সাহিত্যের প্রভাব অপরিসীম।[১৪৮] প্রাচীন রোমান লেখকেরা প্রাচীন গ্রিক সাহিত্য থেকে ভিন্ন শৈলী ও বিষয়ধারণা গ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তীকালে এই ধ্যানধারনাগুলিই আবার গ্রহণ করেন পাশ্চাত্য ইউরোপীয় লেখক ও সাহিত্য সমালোচকেরা।[১৪৮] প্রাচীন গ্রিক সাহিত্য বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করে পরবর্তীকালীন গ্রিক সাহিত্যকে। উদাহরণস্বরূপ, গ্রিক উপন্যাসগুলির প্রভাব পড়েছিল পরবর্তীকালে মিউসেয়াস গ্র্যামাটিকাস রচিত হিরো অ্যান্ড লিয়ান্ডার গ্রন্থের উপর।[১৪৯] প্রাচীন রোমান লেখকেরা প্রাচীন গ্রিক সাহিত্যের উত্তরাধিকার সম্পর্কে অনূপুঙ্খ জ্ঞান রাখতেন এবং অনেকে ইচ্ছাকৃতভাবেই নিজদের রচনায় গ্রিক ধ্রুপদি সাহিত্যের শৈলী ও পদ্ধতির সমতুল্য হতে চেষ্টা করতেন। উদাহরণস্বরূপ, রোমান কবি ভার্জিল নিজের মহাকাব্য ইনিড-এর আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন ইলিয়াডওডিসি মহাকাব্য দু’টিকে।[১৫০]

মধ্যযুগে পশ্চিম ইউরোপ প্রাচীন গ্রিক সাহিত্যকে প্রায় ভুলেই গিয়েছিল। মধ্যযুগীয় লেখক রজার বেকন লিখেছিলেন যে, "লাতিন খ্রিস্টান-জগতে চার জন মানুষও নেই যারা গ্রিক, হিব্রু ও আরবি ব্যাকরণের সঙ্গে পরিচিত।"[১৫১] রেনেসাঁর পূর্বে গ্রিক রচনাগুলি পশ্চিম ইউরোপীয় গবেষকেরা পুনরাবিষ্কার করতে পারেননি।[১৫২] রেনেসাঁর যুগে পশ্চিম ইউরোপীয় কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে প্রথম গ্রিক ভাষা শিক্ষাদান শুরু হয়, তারই ফলশ্রুতিতে পশ্চিম ইউরোপীয় গবেষকেরা প্রাচীন গ্রিসের সাহিত্য পুনরাবিষ্কার করেন।[১৫৩] মূল গ্রিকে মুদ্রিত প্রথম নূতন নিয়ম টেক্সটাস রিসেপ্টাস ১৫১৬ খ্রিস্টাব্দে ওলন্দাজ মানবতাবাদী পণ্ডিত ডেসিডেরিয়াস এরাসমাস কর্তৃক প্রথম প্রকাশিত হয়।[১৫৪] এরাসমাস এছাড়াও ধ্রুপদি গ্রিক গ্রন্থের লাতিন অনুবাদও প্রকাশ করেন, যার মধ্যে অন্যতম ছিল হেসিয়ডের কার্যাবলি ও দিনগুলি গ্রন্থের একটি লাতিন অনুবাদ।[১৫৫]

অ্যারিস্টটলের পোয়েটিকস গ্রন্থের আবু বিশ্র মাত্তা ইবন ইউনুস কৃত আরবি অনুবাদের একটি পৃষ্ঠা

আধুনিক সাহিত্যেও ধ্রুপদি গ্রিক সাহিত্যের প্রভাব লক্ষণীয়। ধ্রুপদি সাহিত্য ও পুরাণের অনেক চরিত্রই ঘুরেফিরে এসেছে দান্তে আলিগিয়েরির দ্য ডিভাইন কমেডি গ্রন্থে।[১৫৬] প্লুটার্কের লাইভস গ্রন্থটির বিশেষ প্রভাব পড়েছিল উইলিয়াম শেকসপিয়রের উপরে এবং এই গ্রন্থই শেকসপিয়রের জুলিয়াস সিজার, অ্যান্টনি অ্যান্ড ক্লিওপেট্রাকোরিওলেনাস শিরোনামাঙ্কিত ট্র্যাজেডিগুলির উৎসসূত্র।[১৫৭]:৮৮৩–৮৮৪ শেকসপিয়রের আ কমেডি অফ এররসদ্য টুয়েলফথ নাইট নামাঙ্কিত কমেডি দু’টিও গ্রিকো-রোমান নতুন কমেডি থেকে অনেক বিষয়বস্তু ধার করেছিল।[১৫৭]:৮৮১–৮৮২ অন্যদিকে শেকসপিয়রের ট্র্যাজেডি টাইমন অফ এথেন্স লুসিয়ান রচিত একটি কাহিনি থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিল[১৫৮] এবং কমেডি পেরিক্লিস, প্রিন্স অফ টায়ার রচিত হয়েছিল জন গাওয়ায়ের কনফেসিও অ্যামানটিস-এ প্রাপ্ত প্রাচীন গ্রিক উপন্যাস অ্যাপোলোনিয়াস অফ টায়ার-এর একটি অভিযোজনার ভিত্তিতে।[১৫৯]

জন মিলটনের মহাকাব্য প্যারাডাইস লস্ট দুই হোমারীয় মহাকাব্যের অনুরূপ শৈলীতে রচিত হয়।[১৬০] এছাড়াও এই গ্রন্থে খ্রিস্টীয় বার্তা প্রকাশ করার জন্য প্রতীক হিসেবে ধ্রুপদি সাহিত্য ও পুরাণের চরিত্রগুলির পরোক্ষ উল্লেখ করা হয়।[১৬১] লুসিয়ানের আ ট্রু স্টোরি ছিল জোনাথান সুইফটের গ্যালিভার’স ট্রাভেলস উপন্যাসের অনুপ্রেরণার একটি অংশ।[১৫৭]:৫৪৫ ১৮৬৭ সালে প্রকাশিত গ্রিক পুরাণ-বিষয়ক গ্রন্থ বাফিঞ্চ’স মাইথোলজি প্রকাশিত হয় সাধারণ পাঠকদের জন্য। কার্ল জে. রিচার্ড এই গ্রন্থটিকে বলেন "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত জনপ্রিয়তম গ্রন্থগুলির অন্যতম"।[১৬২]

জর্জ বার্নার্ড শ-র নাটক পিগম্যালিয়ন হল প্রাচীন গ্রিক পিগম্যালিয়ন কিংবদন্তির এক আধুনিক ও যুক্তিসম্মত পুনর্কথন।[১৫৭]:৭৯৪ জেমস জয়েসের ইউলিসিস উপন্যাসটিকে সমালোচকেরা আধুনিক সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কীর্তিগুলির অন্যতম মনে করেন।[১৬৩][১৬৪] এই উপন্যাসটি আধুনিক কালের ডাবলিন শহরের প্রেক্ষাপটে হোমারের ওডিসি মহাকাব্যের পুনর্কথন।[১৬৫][১৬৬] মধ্য বিংশ শতাব্দীর ব্রিটিশ লেখক মেরি রেনল্ট দ্য লাস্ট অফ দ্য ওয়াইনদ্য কিং মাস্ট ডাই প্রভৃতি বেশ কতকগুলি উপন্যাস রচনা করেন গ্রিক সাহিত্য ও পুরাণ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে।[১৬৭]

এমনকি যে রচনাগুলিতে সচেতনভাবে গ্রিকো-রোমান সাহিত্য থেকে বিষয়বস্তু আহরণ করা হয়নি, সেখানেও লেখকেরা প্রায়শই প্রাচীন গ্রিসে উৎপন্ন ধ্যানধারণা ও বিষয়ের প্রয়োগ ঘটিয়েছিলেন। বিশেষত আরিস্টটলের পোয়েটিকস গ্রন্থে কথিত ধারণাগুলি বহু প্রজন্ম ধরে পাশ্চাত্যের লেখক ও সাহিত্য সমালোচকদের প্রভাবিত করে আসছে।[১৬৮] মধ্যযুগে পোয়েটিকস গ্রন্থের একটি আরবি সংস্করণের অ্যাভাররোস কৃত একটি লাতিন অনুবাদও সুলভ ছিল।[১৬৯] যে সকল সাধারণ গ্রিক সাহিত্য পরিভাষার প্রচলন আজও রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল: ক্যাথারসিস,[১৭০] ইথোজ,[১৭১] অ্যানাগনরিসিস,[১৭২] হ্যামারশিয়া,[১৭৩] hubris,[১৭৪] মাইমেসিস,[১৭৫] মিথোজ,[১৭৬] নেমেসিস,[১৭৭]পেরিপেটিয়া[১৭৮]

পাদটীকা[সম্পাদনা]

  1. যদিও রাজা ইদিপাস-সম্বলিত নাটকগুচ্ছের জন্য সোফোক্লেস দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন, তবুও এই রচনাগুলির রচনাকাল অনিশ্চিত। নাটকের সূচনায় থিবীয় মহামারীর গুরুত্ব দৃষ্টে অনেক গবেষক মনে করেন যে এটি খ্রিস্টপূর্ব ৪৩০ অব্দে এথেন্সকে বিধ্বস্ত করা মহামারীর উল্লেখ। সেই কারণে এই রচনাগুলির রচনাকাল উক্ত মহামারীর ঠিক পরে হওয়াই সম্ভব। উদাহরণের জন্য দেখুন নক্স, বার্নার্ড (১৯৫৬)। "দ্য ডেট অফ দি ইদিপাস টাইরানাস অফ সোফোক্লেস"। আমেরিকান জার্নাল অফ ফিলোলজি৭৭ (২): ১৩৩–১৪৭। জেস্টোর 292475ডিওআই:10.2307/292475 
  2. সিমপ্লিসিয়াস, কমেন্টস অন অ্যারিস্টটল’স ফিজিক্স (২৪, ১৩):
    "Ἀναξίμανδρος [...] λέγει δ' αὐτὴν μήτε ὕδωρ μήτε ἄλλο τι τῶν καλουμένων εἶναι στοιχείων, ἀλλ' ἑτέραν τινὰ φύσιν ἄπειρον, ἐξ ἧς ἅπαντας γίνεσθαι τοὺς οὐρανοὺς καὶ τοὺς ἐν αὐτοῖς κόσμους• ἐξ ὧν δὲ ἡ γένεσίς ἐστι τοῖς οὖσι, καὶ τὴν φθορὰν εἰς ταῦτα γίνεσθαι κατὰ τὸ χρεών• διδόναι γὰρ αὐτὰ δίκην καὶ τίσιν ἀλλήλοις τῆς ἀδικίας κατὰ τὴν τοῦ χρόνου τάξιν, ποιητικωτέροις οὕτως ὀνόμασιν αὐτὰ λέγων. δῆλον δὲ ὅτι τὴν εἰς ἄλληλα μεταβολὴν τῶν τεττάρων στοιχείων οὗτος θεασάμενος οὐκ ἠξίωσεν ἕν τι τούτων ὑποκείμενον ποιῆσαι, ἀλλά τι ἄλλο παρὰ ταῦτα• οὗτος δὲ οὐκ ἀλλοιουμένου τοῦ στοιχείου τὴν γένεσιν ποιεῖ, ἀλλ' ἀποκρινομένων τῶν ἐναντίων διὰ τῆς αἰδίου κινήσεως."
    প্রাচীন গ্রিকে উদ্ধৃতিগুলি সচরাচর আগের ও পরের বক্তব্যের সঙ্গে মিশে থাকে। সেই কারণে উদ্ধৃতাংশটি কোথায় শুরু হয়েছে এবং কোথায় শেষ হয়েছে তা নির্ধারণ করা প্রায়শই কঠিন হয়ে পড়ে। অবশ্য সাধারণভাবে গবেষকেরা এই বিষয়ে একমত যে এই উদ্ধৃতিটি সিমপ্লিসিয়াসের নিজস্ব ব্যাখ্যা নয়, বরং সিমপ্লিসিয়াসের বর্ণনা অনুযায়ী "কতকটা কাব্যিক ভাষায়" অ্যানাকজিম্যান্ডারের

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "লুসিয়ান | গ্রিক রাইটার"এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-০৩Lucian [...] ancient Greek rhetorician, pamphleteer, and satirist. 
  2. ক্যাডউইক, জন (১৯৬৭)। দ্য ডেসিফারমেন্ট অফ লিনিয়ার বি (সেকন্ড সংস্করণ)। কেমব্রিজ, ইংল্যান্ড: কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ১০১। আইএসবিএন 978-1-107-69176-6  "The glimpse we have suddenly been given of the account books of a long-forgotten people..."
  3. ভেন্ট্রিস, মাইকেল; ক্যাডউইক, জন (১৯৫৬)। ডক্যুমেন্টস ইন মাইসিনিয়ান গ্রিক। কেমব্রিজ, ইংল্যান্ড: কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ঊনত্রিশ। আইএসবিএন 978-1-107-50341-0 
  4. হিথ, ম্যালকম, সম্পাদক (১৯৯৭)। অ্যারিস্টটল’স পোয়েটিকস। পেঙ্গুইন বুকস। আইএসবিএন 0-14-044636-2 
  5. গ্রেন্ডলার, পল এফ (২০০৪)। দি ইউনিভার্সিটিজ অফ দি ইতালিয়ান রেনেসাঁ। জোহানস হোপকিনস ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ২৩৯। আইএসবিএন 0-8018-8055-6 
  6. ফ্রো, জন (২০০৭)। জেনর্ (পুনর্মুদ্রণ সংস্করণ)। রটলেজ। পৃষ্ঠা ৫৭–৫৯। আইএসবিএন 978-0-415-28063-1 
  7. এঙ্গেলস, জোহানেস (২০০৮)। "অধ্যায় দশ: ইউনিভার্সাল হিস্ট্রি অ্যান্ড কালচারাল জিওগ্রাফি অফ দ্য ওইকোউমিনি ইন হিরোডোটাস' হিস্টোরিয়াই অ্যান্ড স্ট্র্যাবো'জ জিওগ্রাফিকা"। পাইগন, জাকুব। দ্য চিল্ড্রেন অফ হিরোডোটাস: গ্রিক অ্যান্ড রোমান হিস্টোরিওগ্রাফি অ্যান্ড রিলেটেড জেনরস। নিউকাসল আপঅন টাইন, ইংল্যান্ড: কেমব্রিজ স্কলার পাবলিশিং। পৃষ্ঠা ১৪৬। আইএসবিএন 978-1-4438-0015-0 
  8. জেনকিনস, রিচার্ড (২০১৬)। ক্ল্যাসিকাল লিটারেচার: অ্যান এপিক জার্নি ফ্রম হোমার টু ভার্জিল অ্যান্ড বিয়ন্ড। নিউ ইয়র্ক সিটি, নিউ ইয়র্ক: বেসিক বুকস, আ মেম্বার অফ দ্য পার্সিউস বুক গ্রুপ। আইএসবিএন 978-0-465-09797-5 
  9. ল্যাটিমোর, রিচমন্ড (২০১১)। দি ইলিয়াড অফ হোমার। দি ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো প্রেস, লি., লন্ডন: দি ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো প্রেস। সর্গ ১, পংক্তি সংখ্যা ১৫৫ (পৃ. ৭৯)। আইএসবিএন 978-0-226-47049-8 
  10. গাই হেড্রিন, "দ্য কাল্ট অফ অ্যাকিলিস ইন দি ইউজাইন" হেসপেরিয়া ৬০.৩ (জুলাই ১৯৯১), পৃ. ৩১৩–৩৩০।
  11. স্ট্যানফোর্ড, উইলিয়াম বেডেল (১৯৫৯) [1947]। "ইন্ট্রোডাকশন, গ্র্যামাটিক্যাল ইন্ট্রোডাকশন"। হোমার: ওডিসি এক-বারো (২য় সংস্করণ)। ম্যাকমিলান এডুকেশন। পৃষ্ঠা নয়–অষ্টআশি। আইএসবিএন 1-85399-502-9 
  12. হ্যারিস, উইলিয়াম। "দ্য গ্রিক ড্যাকটিলিক হেক্সামিটার: আ প্র্যাকটিক্যাল রিডিং অ্যাপ্রোচ"। মিডলবেরি কলেজ। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৭ 
  13. এম. হাদাস (২০১৩-০৮-১৩)। আ হিস্ট্রি অফ গ্রিক লিটারেচার (পৃ. ১৬)কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি প্রেস. ১৩ অগস্ট ২০১৩, পৃ. ৩২৭। আইএসবিএন 978-0-231-51486-6। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৯-০৮ 
  14. জে. পি. ব্যারন ও পি. ই. ইস্টারলিং, "হেসিয়ড"; মূল গ্রন্থ: দ্য কেমব্রিজ হিস্ট্রি অফ ক্ল্যাসিকাল লিটারেচার: গ্রিক লিটারেচার, পি. ইস্টারলিং ও বি. নক্স (সম্পা.), কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস (১৯৮৫), পৃ. ৯২
  15. ওয়েস্ট, এম. এল. থিওগনি। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস (১৯৬৬), পৃ. ৪০
  16. জেসপার গ্রিফিন, "গ্রিক মিথ অ্যান্ড হেসিয়ড", জে. বোর্ডম্যান, জে. গ্রিফিন অ্যান্ড ও. মারে (সম্পা.), দি অক্সফোর্ড হিস্ট্রি অফ দ্য ক্ল্যাসিকাল ওয়ার্ল্ড, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস (১৯৮৬), পৃ. ৮৮
  17. কার্টরাইট, মার্ক। "গ্রিক রিলিজিয়ন"ওয়ার্ল্ড হিস্ট্রি এনসাইক্লোপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০১৭  "... These traditions were first recounted only orally as there was no sacred text in Greek religion and later, attempts were made to put in writing this oral tradition, notably by Hesiod in his Theogony and more indirectly in the works of Homer.
  18. জে. পি. ব্যারন ও পি. ই. ইস্টারলিং, 'এলিজি অ্যান্ড আয়াম্বাস', মূল গ্রন্থ: দ্য কেমব্রিজ হিস্ট্রি অফ ক্ল্যাসিকাল লিটারেচার: গ্রিক লিটারেচার, পি. ইস্টারলিং ও বি. নক্স (সম্পা.), কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস (১৯৮৫), পৃ. ১১৭
  19. ডেভিড এ. ক্যাম্পবেল, গ্রিক লিরিক পোয়েট্রি, ব্রিস্টল ক্ল্যাসিকাল প্রেস (১৯৮২), পৃ. ১৩৬
  20. জে. এম. এডমন্ডস - লিরা গ্রেসিয়া (পৃ. ৩) ওয়াইল্ডসাইড প্রেস এলএলসি, ২০০৭ আইএসবিএন ১-৪৩৪৪-৯১৩০-৭ [পুনরুদ্ধার ২০১৫-০৫-০৬]
  21. হ্যালেট, জুডিথ পি. (১৯৭৯). "স্যাফো অ্যান্ড হার সোশ্যাল কনটেক্সট: সেন্স অ্যান্ড সেন্স্যুয়ালিটি". সাইনস. ৪ (৩).
  22. রেয়র, ডায়ানি; লার্ডিনয়িস, আন্দ্রে (২০১৪). স্যাফো: আ নিউ এডিশন অফ দ্য কমপ্লিট ওয়ার্কস. কেমব্রিজ: কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস. আইএসবিএন ৯৭৮-১-১০৭-০২৩৫৯-৮.
  23. পউসানিয়াস ৩.১৫.২ Ἀλκμᾶνι ποιήσαντι ἄισματα οὐδὲν ἐς ἡδονὴν αὐτῶν ἐλυμήνατο τῶν Λακῶνων ἡ γλῶσσα ἥκιστα παρεχομένη τὸ εὔφωνον.
  24. এম. ডেভিসে’স "মোনোডাই, কোরাল লিরিক, অ্যান্ড দ্য টাইর‍্যানি অফ দ্য হ্যান্ড-বুক", পত্রিকা: ক্ল্যাসিকাল কোয়ার্টারলি, এনএস ৩৮ (১৯৮৮), পৃ. ৫২–৬৪.
  25. গারল্যান্ড, রবার্ট (২০০৮)। এনশিয়েন্ট গ্রিস: এভরিডে লাইফ ইন দ্য বার্থপ্লেস অফ ওয়েস্টার্ন সিভিলাইজেশন। নিউ ইয়র্ক সিটি, নিউ ইয়র্ক: স্টারলিং। পৃষ্ঠা ২৮৪। আইএসবিএন 978-1-4549-0908-8 
  26. বাকহ্যাম, ফিলিপ ওয়েন্টওয়ার্থ, থিয়েটার অফ দ্য গ্রিকস, কেমব্রিজ: জে. স্মিথ, ১৮২৭.
  27. গারল্যান্ড, রবার্ট (২০০৮)। এনশিয়েন্ট গ্রিস: এভরিডে লাইফ ইন দ্য বার্থপ্লেস অফ ওয়েস্টার্ন সিভিলাইজেশন। নিউ ইয়র্ক সিটি, নিউ ইয়র্ক: স্টারলিং। পৃষ্ঠা ২৯০। আইএসবিএন 978-1-4549-0908-8 
  28. গারল্যান্ড, রবার্ট (২০০৮)। এনশিয়েন্ট গ্রিস: এভরিডে লাইফ ইন দ্য বার্থপ্লেস অফ ওয়েস্টার্ন সিভিলাইজেশন। নিউ ইয়র্ক সিটি, নিউ ইয়র্ক: স্টারলিং। পৃষ্ঠা ২৮৪–২৯৬। আইএসবিএন 978-1-4549-0908-8 
  29. গ্রিফিথ, মার্ক। দি অথেন্টিসিটি অফ দ্য প্রোমেথিউস বাউন্ড। কেমব্রিজ, ১৯৭৭
  30. ওয়ালটন, জে. মাইকেল, ইউরিপিদেস আওয়ার কনটেম্পোরারি, ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া প্রেস, ২০০৯, আইএসবিএন ০-৫২০-২৬১৭৯-৮
  31. বার্ক, কেনেথ (১৯৫২)। "ফর্ম অ্যান্ড পার্সিকিউশন ইন দি ওরেস্টিয়া"। দ্য সিউয়ানি রিভিউ। ৬০(৩: জুলাই – সেপ্টেম্বর): ৩৭৭–২৯৬। জেস্টোর 27538150
  32. ওয়েস্ট, এম. এল. স্টাডিজ ইন ইস্কিলাস। স্টারটগার্ট, ১৯৯০
  33. সুডা (সম্পা. ফিনকেল ও অন্যান্য): s.v. Σοφοκλῆς.
  34. ফেগলস, রবার্ট (১৯৮৬)। দ্য থ্রি থিবান প্লেজ। নিউ ইয়র্ক: পেঙ্গুইন। পৃষ্ঠা ৩৫। 
  35. পোমেরয়, সারাহ; বার্স্টেইন, স্ট্যানলি; ডনলান, ওয়াল্টার; রবার্টস, জেনিফার (১৯৯৯)। এনশিয়েন্ট গ্রিস: আ পলিটিক্যাল, সোশ্যাল, অ্যান্ড কালচারাল হিস্ট্রি। নিউ ইয়র্ক: অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা 322আইএসবিএন 0-19-509742-4 
  36. বি. নক্স। "ইউরিপিদেস"; মূল গ্রন্থ: দ্য কেমব্রিজ হিস্ট্রি অফ ক্ল্যাসিকাল লিটারেচার ওয়ান: গ্রিক লিটারেচার, পি. ইস্টারলিং ও বি. নক্স (সম্পা.), কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস (১৯৮৫), পৃ. ৩১৬
  37. ওয়াল্টন (১৯৯৭, আট, উনিশ)
  38. বি. নক্স। "ইউরিপিদেস"; মূল গ্রন্থ: দ্য কেমব্রিজ হিস্ট্রি অফ ক্ল্যাসিকাল লিটারেচার ওয়ান: গ্রিক লিটারেচার, পি. ইস্টারলিং ও বি. নক্স (সম্পা.), কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস (১৯৮৫), পৃ. ৩৩৯
  39. ব্যানহ্যাম, মার্টিন, সম্পা. ১৯৯৮। দ্য কেমব্রিজ গাইড টু থিয়েটার। কেমব্রিজ: কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন ০-৫২১-৪৩৪৩৭-৮
  40. ব্রোকেট, অস্কার জি. ও ফ্র্যাংকলিন জে. হিল্ডি। ২০০৩। হিস্ট্রি অফ দ্য থিয়েটার। ৯ম সংস্করণ, আন্তর্জাতিক সংস্করণ। বস্টন: অ্যালিন অ্যান্ড বেকন। আইএসবিএন ০-২০৫-৪১০৫০-২
  41. অ্যারিস্টোফেনিস: ক্লাউডস কে. জে. ডোভার (সম্পা.), অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৭০, ভূমিকা, পৃষ্ঠা দশ
  42. ডেভিড ব্যারেট’স সংস্করণে অ্যারিস্টোফেনিস: দ্য ফ্রগস অ্যান্ড আদার প্লেজ (পেঙ্গুইন ক্লাসিকস, ১৯৬৪), পৃ. ১৩
  43. রক, পল (২০০৫)। অ্যারিস্টোফেনিস: দ্য কমপ্লিট প্লেজ: আ নিউ ট্রান্সলেশন বাই পল রক। নিউ ইয়র্ক: নিউ আমেরিকান লাইব্রেরি। পৃষ্ঠা দশ–এগারো। আইএসবিএন 978-0-451-21409-6 
  44. রক, পল (২০০৫)। অ্যারিস্টোফেনিস: দ্য কমপ্লিট প্লেজ: আ নিউ ট্রান্সলেশন বাই পল রক। নিউ ইয়র্ক: নিউ আমেরিকান লাইব্রেরি। পৃষ্ঠা ৫৩৭–৫৪০। আইএসবিএন 978-0-451-21409-6 
  45. গারল্যান্ড, রবার্ট (২০০৮)। এনশিয়েন্ট গ্রিস: এভরিডে লাইফ ইন দ্য বার্থপ্লেস অফ ওয়েস্টার্ন সিভিলাইজেশন। নিউ ইয়র্ক সিটি, নিউ ইয়র্ক: স্টারলিং। পৃষ্ঠা ২৮৮। আইএসবিএন 978-1-4549-0908-8 
  46. হল, এডিথ; রিগলি, আমান্ডা (২০০৭)। অ্যারিস্টোফেনিস ইন পারফরমেন্সেস, ৪২১ বিসি-এডি ২০০৭: পিস, বার্ডস অ্যান্ড ফ্রগসআইএসবিএন 9781904350613। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০১১ 
  47. ইউরিপিদেস। ম্যাকহিউজ, হিথার, অনূ. সাইক্লপস; গ্রিক ট্রাজেডি ইন নিউ ট্রান্সলেশনস। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস (২০০১) আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৯-৮০৩২৬৫-৬
  48. হান্ট, এ. এস. (১৯১২) দি অক্সিরাইনকাস প্যাপিরাই: পার্ট নাইন। লন্ডন
  49. টি. জেমস ল্যুস, দ্য গ্রিক হিস্টোরিয়ানস, ২০০২, পৃ. ২৬
  50. প্রোকোপিয়াস, জন মুরহেড, এনসাইক্লোপিডিয়া অফ হিস্টোরিয়ানস অ্যান্ড হিস্টোরিক্যাল রাইটিংন: এম–জেড, ২য় খণ্ড, কেলি বয়েড, (ফিৎজরয় ডিয়ারবর্ন পাবলিশার্স, ১৯৯৯), পৃ. ৯৬২
  51. জেনোফোন, হেলেনিকা ৭.৫.২৭; জেনোফোন, জেনোফোনটিস অপেরা অমনিয়া, ১ম খণ্ড, অক্সফোর্ড, ক্ল্যারেনডন প্রেস, ১৯০০, পুনর্মুদ্রণ ১৯৬৮
  52. ড্যানজিগ, গ্যাব্রিয়েল, ২০০৩, "অ্যাপোলোজাইজিং ফর সক্রেটিস: প্লেটো অ্যান্ড জেনোফোন অন সক্রেটিসেস’ বিহেভিয়র ইন কোর্ট" ট্র্যানজ্যাকশনস অফ দি আমেরিকান ফিলোলজিক্যাল অ্যাসোশিয়েসন, ১৩৩তম খণ্ড, সংখ্যা ২, পৃ. ২৮১–৩২১
  53. জি. এস. কার্ক ও জে. ই. র্যাভেন অ্যান্ড এম. শোফিল্ড, দ্য প্রেসোক্রেটিক ফিলোজফারস (কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৮৩, পৃ. ১০৮–১০৯
  54. কার্ড, প্যাট্রিশিয়া, আ প্রিসক্রেটিকস রিডার: সিলেক্টেড ফ্র্যাগমেন্টস অ্যান্ড টেস্টিমোনিয়া (হ্যাকেট পাবলিশিং, ১৯৯৬), পৃ. ১২
  55. টেমপ্লেট:DGRBM
  56. সাইমন ট্রিপেনিয়ার, (২০০৪), এমপেডোক্লেস: অ্যান ইন্টারপ্রিটেশন, রটলেজ
  57. কান, চার্লস এইচ. (১৯৭৯)। দি আর্ট অ্যান্ড থট অফ হিরাক্লিটাস। অ্যান এডিশন অফ দ্য ফ্র্যাগমেন্টস উইথ ট্রান্সলেশন অ্যান্ড কমেন্ট্রি। কেমব্রিজ: কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 0-521-21883-7 
  58. বেরিম্যান, সিলভিয়া। "ডিমোক্রিটাস"স্ট্যানফোর্ড এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ফিলোজফি। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০১৭ 
  59. কফম্যান, সারা (১৯৯৮)। সক্রেটিস: ফিকশনস অফ আ ফিলোজফার। পৃষ্ঠা ৩৪। আইএসবিএন 0-8014-3551-X 
  60. কোহেন, এম., ফিলোসফিক্যাল টেলস: বিইং অ্যান অল্টারনেটিভ হিস্ট্রি রিভিলিং দ্য ক্যারেকটারস, দ্য প্লটস, অ্যান্ড দ্য হিডেন সিনস দ্যাট মেক আপ দ্য ট্রু স্টোরি অফ ফিলোজফি, জন উইলি অ্যান্ড সনস, ২০০৮, পৃ. ৫, আইএসবিএন ১-৪০৫১-৪০৩৭-২
  61. রুবেল, এ.; ভাইকারস, এম. (১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪)। ফিয়ার অ্যান্ড লোথিং ইন এনশিয়েন্ট এথেন্স: রিলিজিয়ন অ্যান্ড পলিটিকিস ডিউরিং দ্য পেলোপোনেসিয়ান ওয়ার। রটলেজ। পৃষ্ঠা 147আইএসবিএন 978-1-317-54480-7 
  62. ডোরিয়ন, লুই-আঁদ্রে (২০১১)। দ্য রাইজ অ্যান্ড ফল অফ দ্য সক্রেটিক প্রবলেম (পৃ. ১–২৩) (দ্য কেমব্রিজ কমপ্যানিয়ন টু সক্রেটিস)। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। hdl:10795/1977আইএসবিএন 978-0-521-83342-4ডিওআই:10.1017/CCOL9780521833424.001। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৫-০৭ 
  63. হেনরি এস্টিনে (সম্পা.), প্লেটোনিস অপেরা কুই এক্সটেন্ট অমনিয়া, ১ম খণ্ড, ১৫৭৮, পৃ. ১৭
  64. লরেঞ্জ, হেনরিক (২২ এপ্রিল ২০০৯)। "এনশিয়েন্ট থিওরিজ অফ সোল"। স্ট্যানফোর্ড এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ফিলোজফি। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১২-১০ 
  65. প্লেটো, দ্য সিমপোজিয়াম, অনুবাদ ও ভূমিকা: ওয়াল্টার হ্যামিলটন, পেঙ্গুইন ক্ল্যাসিকস, ১৯৫১। আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৪-০৪৪০২৪-৯
  66. বার্ড, ফরেস্ট ই.; ওয়াল্টার কফম্যান (২০০৮)। ফ্রম প্লেটো টু দেরিদা। আপার স্যাডেল রিভার, নিউ জার্সি: পিয়ারসন প্রেন্টিস হল। আইএসবিএন 978-0-13-158591-1 
  67. ন্যাশনাল পাবলিক রেডিও (অগস্ট ৮, ২০০৭)। প্লেটো’জ 'রিপাবলিক' স্টিল ইনফ্লুয়েন্সিয়াল, অথর সেজ। টক অফ দ্য নেশন।
  68. প্লেটো: দ্য রিপাবলিক। প্লেটো: হিজ ফিলোজফি অ্যান্ড হিজ লাইফ, allphilosophers.com
  69. ম্যাগি, ব্রায়ান (২০১০)। দ্য স্টোরি অফ ফিলোজফি। ডোরলিং কিন্ডারস্লে। পৃষ্ঠা ৩৪। 
  70. মরিসন, উইলিয়াম (২০০৬)। "দ্য লাইসিয়াম"ইন্টারনেট এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ফিলোজফি। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০০৯ 
  71. "গ্রেট ফিলোসফারস: অ্যারিস্টটল (৩৮৪-৩২২ বিসিই)"গ্রেট ফিলোজফারস। ওরিগন স্টেট ইউনিভার্সিটি। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১৭ 
  72. বেরি, জে. বি. (১৯৩৭)। আ হিস্ট্রি অফ গ্রিস টু দ্য ডেথ অফ আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটবিনামূল্যে নিবন্ধন প্রয়োজন। নিউ ইয়র্ক: মডার্ন লাইব্রেরি। পৃষ্ঠা পৃ. ৬৬৮–৭২৩ 
  73. বেরি, জে. বি. (১৯৩৭)। আ হিস্ট্রি অফ গ্রিস টু দ্য ডেথ অফ আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটবিনামূল্যে নিবন্ধন প্রয়োজন। নিউ ইয়র্ক: মডার্ন লাইব্রেরি। পৃষ্ঠা পৃ. ৭২৪–৮২১ 
  74. Entry Μουσείον - লিডেল অ্যান্ড স্কট
  75. ফিলিপস, হিথার এ. (আগস্ট ২০১০)। "দ্য গ্রেট লাইব্রেরি অফ আলেকজান্দ্রিয়া?"লাইব্রেরি ফিলোজফি অ্যান্ড প্র্যাকটিশআইএসএসএন 1522-0222। ২০১২-০৪-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৫-১৭ 
  76. ভার্জিলের ভূমিকা (পৃ. ১৪): দি একলগস অনূ. গাই লি (পেঙ্গুইন ক্ল্যাসিকস)
  77. নিবন্ধ: "বিউকোলিক পোয়েট্রি", মূল গ্রন্থ: দি অক্সফোর্ড কমপ্যানিয়ন টু ক্ল্যাসিকাল লিটারেচার (১৯৮৯)
  78. হার্ডার, অ্যানিটি (২০১২)। ক্যালিমেকাস: ইটিয়া। অক্সফোর্ড, ইংল্যান্ড: অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ১–৫। আইএসবিএন 978-0-19-958101-6 
  79. নিসেটিক, ফ্র্যাংক (২০০১)। দ্য পোয়েমস অফ ক্যালিমেকাস। অক্সফোর্ড, ইংল্যান্ড: অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা xviii–xx। আইএসবিএন 0-19814760-0। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৭ 
  80. ব্লুম ১৯৯১, পৃ. ২৩৬, উদ্ধৃতি: ফিলিপস, হিথার এ. (আগস্ট ২০১০)। "দ্য গ্রেট লাইব্রেরি অফ আলেকজান্দ্রিয়া?"লাইব্রেরি ফিলোজফি অ্যান্ড প্র্যাকটিশআইএসএসএন 1522-0222। ২০১২-০৪-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৫-১৭ 
  81. স্টিফেনস, সুসান (২০১১), "টলেমিক এপিক", টি. পাপাঘেলিস; এ. রেনগাকোস, ব্রিল’স কমপ্যানিয়ন টু অ্যাপোলোনিয়াস রোডিয়াস; সেকেন্ড (সংশোধিত সংস্করণ), ব্রিল 
  82. এ. ডব্লিউ. মেয়ার ও জি. আর. মেয়ার, অনূ., ক্যালিমেকাস অ্যান্ড লাইকোফ্রোন; অ্যারাটাস, লোয়েব ক্ল্যাসিকাল লাইব্রেরি (নিউ ইয়র্ক: জি. পি. পুটন্যাম’স সনস, ১৯২১), পৃ. ৩৬৩
  83. কোনস্টান, ডেভিড (২০১০), মিনান্ডার অফ এথেন্স, অক্সফোর্ড: অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, পৃ. ৩–৬. আইএসবিএন ০-১৯-৯৮০৫১৯-৯
  84. ব্যারন, ক্রিস্টোফার এ. (২০১৩), টিমেয়াস অফ টরোমেনিয়াম অ্যান্ড হেলেনিস্টিক হিস্টোরিওগ্রাফি, কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস
  85. ব্রাউন, ট্রুসডেল এস. (১৯৫৮), টিমেয়াস অফ টরোমেনিয়াম, বার্কলে: ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া প্রেস
  86. ম্যারিনকোলা, জন, সম্পা. আ কমপ্যানিয়ন টু গ্রিক অ্যান্ড রোমান হিস্টোরিওগ্রাফি, জন উইলি অ্যান্ড সনস, ২০১০, পৃ. ৫২৮-৫৩১
  87. বার্গম্যান, উই। "এক্স-রে ফ্লুওরেসেন্স ইমেজিং অফ দি আর্কিমিফিস প্যালিম্পসেস্ট: আ টেকনিক্যাল সামারি" (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৯-২৯ 
  88. ওয়ালশ, পি.জি. (১৯৬৮)। "লুসিয়াস ম্যাডাউরেনসিস"। ফিনিক্স২২ (২): ১৪৩–১৫৭। জেস্টোর 1086837ডিওআই:10.2307/1086837 
  89. অ্যাপুলেইয়াস ম্যাডাউরেনসিস, লুসিয়াস; অনূ. লিন্ডসে, জ্যাক (১৯৬০)। দ্য গোল্ডেন অ্যাস। ব্লুমিংটন, ইন্ডিয়ানা: ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৩১আইএসবিএন 0-253-20036-9 
  90. এডমন্ড পি. কুয়েভা (হেমন্ত, ১৯৯৬), "প্লুটার্ক’স অ্যারিয়াডনি ইন ক্যারিটন’স কেরেস অ্যান্ড ক্যালিরহো", আমেরিকান জার্নাল অফ ফিলোলজি, ১১৭ (৩): পৃ ৪৭৩–৪৮৪ ডিওআই:10.1353/ajp.1996.0045
  91. সিএফ. টমাস হ্যাগ, 'দি ওরিয়েন্টাল রিসেপশন অফ গ্রিক নভেলস: আ সার্ভে উইথ সাম প্রিলিমিনারি কনসিডারেশনস', সিম্বলাই অসলোয়েনসেস, ৬১ (১৯৮৬), ৯৯–১৩১ (পৃ. ১০৬), ডিওআই:10.1080/00397678608590800
  92. টমাস হ্যাগ ও বো উটাস, দ্য ভার্জিন অ্যান্ড হার লাভার: ফ্র্যাগমেন্টস অফ অ্যান এনশিয়েন্ট গ্রিক নভেল অ্যান্ড আ পার্সিয়ান এপিক পোয়েম, ব্রিল স্টাডিজ ইন মিডল ইস্টার্ন লিটারেচারস, ৩০ (লেইডেন: ব্রিল, ২০০৩), পৃ. ১
  93. রেয়ারডন, ব্রায়ান পি. (১৯৮৯)। কালেক্টেড এনশিয়েন্ট গ্রিক নভেলস। বার্কলে: ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া প্রেস। পৃষ্ঠা 809–810। আইএসবিএন 0-520-04306-5। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০১৭ 
  94. মেটজগার, ব্রুস এম. (১৯৮৭)। দ্য ক্যানন অফ দ্য নিউ টেস্টামেন্ট: ইটস অরিজিন, ডেভেলপমেন্ট, অ্যান্ড সিগনিফিকেন্স (পিডিএফ)। পৃষ্ঠা ২৯৫–২৯৬। আইএসবিএন 0-19-826180-2। ২০১৩-০৬-০১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  95. ট্রবিসক, ডেভিড (১৯৯৪)। পল’স লেটার কালেকশন: ট্রেসিং দ্য অরিজিনস। পৃষ্ঠা ১–২৭আইএসবিএন 0-8006-2597-8 
  96. টমাস ক্রিস্টিয়ান টিকসেন, Quinti Smyrnaei Posthomericorum libri XIV. Nunc primum ad librorum manoscriptorum fidem et virorum doctorum coniecturas recensuit, restituit et supplevit Thom. Christ. Tychsen acceserunt observationes Chr. Gottl. Heynii (স্ট্রাসবার্গ: টাইফোগ্রাফিয়া সোসাইটিস বাইপন্টিনে) ১৮০৭
  97. আর্মিন এইচ. কোচলি, Quinti Smyrnaei Posthomericorum libri XIV. Recensuit, prolegomenis et adnotatione critica instruxit Arminius Koechly (লেইপজিগ: ওয়েডম্যানোস) ১৮৫০
  98. এ. এস. ওয়ে, ইন্ট্রোডাকশন ১৯১৩
  99. ভিয়ান, ফ্রান্সিস। '"Mârtus" chez Nonnos de Panopolis. Étude de sémantique et de chronologie.' আরইজি ১১০, ১৯৯৭, ১৪৩-৬০। পুনর্মুদ্রিত হয়েছে: L'Épopée posthomérique, রেস্যুয়েইল ডি'এটুডেস, সম্পা. ডোমেনিকো অ্যাকোরিন্টি, আলেসান্দ্রিয়া: এডিজিওনি ডেল'অরসো, ২০০৫ (হেলেনিকা ১৭), ৫৬৫-৮৪
  100. ক্যামেরন, অ্যালান, ২০১৫, ওয়ান্ডারিং পোয়েটস অ্যান্ড আদার এসেজ অন লেট গ্রিক লিটারেচার অ্যান্ড ফিলোজফি, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, পৃ. ৮১
  101. আগাথিয়াস স্কলাস্টিকাস, Hist. ৪.২৩. (৫৩০ x ৫৮০)
  102. ফরনারো, এস. এস.ভি. নোনাস, মূল গ্রন্থ: ব্রিল’স নিউ পলি, ৯ম খণ্ড (সম্পা. ক্যানিক অ্যান্ড স্নেইডার) (লেইডেন, ২০০৬) কল.৮১২–৮১৫
  103. "টাইটাস লিভিয়াস (লিভি), দ্য হিস্ট্রি অফ রোম, খণ্ড ৩৯, অধ্যায় ৩৫"www.perseus.tufts.edu। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১১-০২ 
  104. স্যাকস, কেনেথ এস. (১৯৯০), ডায়োডোরাস সিক্যুলাস অ্যান্ড দ্য ফার্স্ট সেঞ্চুরি, প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি প্রেস আইএসবিএন ০-৬৯১-০৩৬০০-৪
  105. টি. হিডবার, এনসাইক্লোপিডিয়া অফ এনশিয়েন্ট গ্রিস (পৃ. ২২৯), রটলেজ, ৩১ অক্টোবর ২০১৩, আইএসবিএন ১-১৩৬-৭৮৭৯৯-২, (সম্পাদনা এন. উইলসন)
  106. হোয়াইট, হোরাস (১৯১২)। "ভূমিকা"। আপ্পিয়ান’স রোমান হিস্ট্রি। কেমব্রিজ, মাস: দ্য লোয়েব ক্ল্যাসিকাল লাইব্রেরি। পৃষ্ঠা vii–xiiআইএসবিএন 0-674-99002-1 
  107. এফ. ডব্লিউ. ওয়ালব্যাংক (নভেম্বর ১৯৮৪)। এফ. ডব্লিউ. ওয়ালব্যাংক, সম্পাদক। দ্য কেমব্রিজ এনশিয়েন্ট হিস্ট্রি। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস, ৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৪। আইএসবিএন 0-521-23445-X। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৪-০১ 
  108. "প্লুটার্ক", অক্সফোর্ড ডিকশনারি অফ ফিলোজফি
  109. স্ট্যাডটার, ফিলিপ এ. (২০১৫), প্লুটার্ক অ্যান্ড হিজ রোমান রিডার্স, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, পৃ. ৬৯ আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৯-৮৭১৮৩৩-৮। প্লুটার্ক যদিও গ্রিক ভাষায় গ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে লিখেছিলেন, […] তিনি রোমান এবং সেই সঙ্গে গ্রিক পাঠকবর্গের কথায় মাথায় রেখেছিলেন।
  110. র‍্যামসে, উইলিয়াম (১৮৬৭), "এ. গেলিয়াস", মূল: স্মিথ, উইলিয়াম, ডিকশনারি অফ গ্রিক অ্যান্ড রোমান বায়োগ্রাফি অ্যান্ড মাইথোলজি, ২, বস্টন, পৃ. ২৩৫
  111. Ἀθήναιος [এথেনিয়াস], Δειπνοσοφισταί [ডেইপনোসোফিস্টি, সোফিস্টস অ্যাট ডিনার], আনু. ৩য় শতাব্দী (প্রাচীন গ্রিক), অনূ. চার্লস বার্টন গালিক, এথেনিয়াস নামে, ১ম খণ্ড, পৃ. আট, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস (কেমব্রিজ), ১৯২৭
  112. ইলিয়ান, হিস্টোরিক্যাল মিসেলেনি, অনূ. নাইজেল জি. উইলসন, ১৯৯৭, লোয়েব ক্ল্যাসিকাল লাইব্রেরি আইএসবিএন ৯৭৮-০-৬৭৪-৯৯৫৩৫-২
  113. ডুয়েক, ড্যানিয়েলা (২০০০)। স্ট্র্যাবো অফ অ্যামাসিয়া: আ গ্রিক ম্যান অফ লেটারস ইন অগাস্টান রোম। লন্ডন, নিউ ইয়র্ক: রটলেজ: টেলর অ্যান্ড ফ্রান্সিস গ্রুপ। পৃষ্ঠা ১৪৫। আইএসবিএন 0-415-21672-9 
  114. হিস্টোরিক্যাল অ্যান্ড এথনোলজিক্যাল সোসাইটি অফ গ্রিস, অ্যারিস্টি পাপানিকোলাউ ক্রিস্টেনসেন, দ্য প্যানাথেনিয়াক স্টেডিয়াম – ইটস হিস্ট্রি ওভার দ্য সেঞ্চুরিজ (২০০৩), পৃ. ১৬২
  115. পসেনিয়াস (১৮ অক্টোবর ২০১৪)। ডেসক্রিপশন অফ গ্রিস: কমপ্লিট। ফার্স্ট রেট পাবলিশার্স। আইএসবিএন 978-1-5028-8547-0 
  116. "টলেমি | অ্যাকমপ্লিশমেন্ট, বায়োগ্রাফি, অ্যান্ড ফ্যাক্টস"এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৩-০৬ 
  117. এ. আই. সাবরা, "কনফিগারিং দ্য ইউনিভার্স: অ্যাপোরেটিক, প্রবলেম সলভিং, অ্যান্ড কিনেম্যাটিক মডেলিং অ্যাজ থিমস অফ আরাবিক অ্যাস্ট্রোনমি", পার্সপেক্টিভস অন সায়েন্স, ৬.৩ (১৯৯৮): ২৮৮–৩৩০, পৃ. ৩১৭–১৮
  118. এনটি হ্যামিলটন, এন. এম. সিয়ার্ডলো, জি. জে. টুমার, "দ্য ক্যানোবিক ইনস্ক্রিপশন: টলেমি’জ আর্লিয়েস্ট ওয়ার্কস", মূল: বার্জরেন ও গোল্ডস্টেইন, সম্পা., ফ্রম এনশিয়েন্ট ওমেনস টু স্ট্যাটিস্টিক্যাল মেকানিকস, কোপেনহেগেন: ইউনিভার্সিটি লাইব্রেরি, ১৯৮৭
  119. ফ্রেজার, ক্রেইগ জি. (২০০৬), দ্য কসমস: আ হিস্টোরিক্যাল পার্সপেকটিভ, পৃ. ১৪
  120. ল্যাটিস, জেমস এল. (১৯৯৫), বিটুইন কোপারনিকাস অ্যান্ড গ্যালিলিও: ক্রিস্টোফ ক্লেভিয়াস অ্যান্ড দ্য কোলাপস অফ টলেমিক কসমোলজি, ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো প্রেস, পৃ. ১৮৬–১৯০
  121. এপিক্টেটাস, ডিসকোর্সেস ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১০ এপ্রিল ২০১১ তারিখে, মুখবন্ধ
  122. লং, হারবার্ট এস. (১৯৭২)। "ভূমিকা"। লাইভস অফ এমিনেন্ট ফিলোজফারস। by লিয়ার্টিয়াস, ডায়াজেনিস। (পুনর্মুদ্রণ সংস্করণ)। লোয়েব ক্ল্যাসিকাল লাইব্রেরি। পৃষ্ঠা ষোলো। 
  123. "ডায়াজেনিস লিয়ার্টিয়াস", দ্য কলম্বিয়া ইলেকট্রনিক এনসাইক্লোপিডিয়া, ২০১৩
  124. টেমপ্লেট:Cite LotEP
  125. ফিলিপ মেরলান, ফ্রম প্লেটোনিজম টু নিওপ্লেটোনিজম (দ্য হগ: মার্টিনাস নিঝোফ, ১৯৫৪, ১৯৬৮), পৃ. ৩
  126. Detlef Thiel: Die Philosophie des Xenokrates im Kontext der Alten Akademie, München 2006, pp. 197ff. and note 64; Jens Halfwassen: Der Aufstieg zum Einen.
  127. "হু ওয়াজ প্লটিনাস?"অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন। ১১ জুন ২০১১। 
  128. নিউ শ্যাফ-হার্জগ এনসাইক্লোপিডিয়া অফ রিলিজিয়াস নলেজ, ৩য় সং., ১৯১৪, পৃ. ২৮৪
  129. মুর, এডওয়ার্ড। "ওরিজেন অফ আলেকজান্দ্রিয়া (দি ইন্টারনেট এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ফিলোজফি গ্রন্থের ভুক্তি)"দি ইন্টারনেট এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ফিলোজফিইন্টারনেট এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ফিলোজফিআইএসএসএন 2161-0002। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৪-২৭ 
  130. শ্যাফ, ফিলিপ (১৯১০)। দ্য নিউ শ্যাফ-হার্জগ এনসাইক্লোপিডিয়া অফ রিলিজিয়াস নলেজ: এমব্রেসিং বিবলিক্যাল, হিস্টোরিক্যাল, ডকট্রিনাল, অ্যান্ড প্র্যাকটিক্যাল থিওলজি অ্যান্ড বিবলিক্যাল, থিওলজিক্যাল, অ্যান্ড ইকলেসিয়াস্টিক্যাল বায়োগ্রাফি ফ্রম দি আর্লিয়েস্ট টাইমস টু দ্য প্রেজেন্ট ডে। ফাংক অ্যান্ড ওয়াগন্যালস কোম্পানি। পৃষ্ঠা ২৭২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৭-৩০ 
  131. হার্জগ, জোহান জেকব; ফিলিপ শ্যাফ; অ্যালবার্ট হাউক (ডিসেম্বর ১৯০৮)। "সেলসাস"। স্যামুয়েল ম্যাকাউলি জ্যাকসন। দ্য নিউ শ্যাফ-হার্জগ এনসাইক্লোপিডিয়া অফ রিলিজিয়াস নলেজ২য়। নিউ ইয়র্ক ও লন্ডন: ফাংক অ্যান্ড ওয়াগন্যালস কোম্পানি। পৃষ্ঠা ৪৬৬। 
  132. The "early dating of P.Oxy 3836 holds, Achilles Tatius' novel must have been written 'nearer 120 than 150'" অ্যালবার্ট হেনরিকস, কালচার ইন পিসেস: এসেজ অন এনশিয়েন্ট টেক্সটস ইন অনার অফ পিটার পারসনস, সম্পা. ডার্ক ওবিঙ্ক, রিচার্ড র্যাচারফোর্ড, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, ২০১১, পৃ. ৩০৯, সং. ২৯আইএসবিএন ০-১৯-৯২৯২০১-৯, 9780199292011
  133. "the use (albeit mid and erratic) of the Attic dialect suggest a date a little earlier [than mid-2nd century] in the same century." দ্য গ্রিক নভেল: অক্সফোর্ড বিবলিওগ্রাফিজ অনলাইন রিসার্চ গাইড, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, ২০১০, পৃ. ৭ আইএসবিএন ০-১৯-৯৮০৩০৩-X, 9780199803033
  134. লংগাস; জেনোফোন অফ ইফেসাস (২০০৯), হেন্ডারসন, জেফ্রি, সম্পা., আন্থিয়া অ্যান্ড হাব্রোকামোস (অনুবাদ), কেমব্রিজ, ম্যাসাচুয়েটস: হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, পৃ. ৬৯ & ১২৭, আইএসবিএন ৯৭৮-০-৬৭৪-৯৯৬৩৩-৫
  135. রিচার্ড হান্টার (১৯৯৬)। "লংগাস, ড্যাফনিস অ্যান্ড ক্লোই"। গ্যারেথ এল. শ্মেলিং। দ্য নভেল ইন দি এনশিয়েন্ট ওয়ার্ল্ড। ব্রিল। পৃষ্ঠা ৩৬১–৮৬। আইএসবিএন 90-04-09630-2 
  136. জে. আর. মর্গ্যান, লুসিয়ান’স ট্রু হিস্ট্রিজ অ্যান্ড দ্য ওয়ান্ডারস বিয়ন্ড থুল অফ অ্যান্টোনিয়াস ডায়োজেনাস, দ্য ক্ল্যাসিকাল কোয়ার্টারলি (নিউ সিরিজ), ৩৫, পৃ. ৪৭৫–৪৯০ ডিওআই:10.1017/S0009838800040313
  137. মোয়েসার, মারিয়ন (১৫ ডিসেম্বর, ২০০২), দি অ্যানেকডোট ইন মার্ক, দ্য ক্ল্যাসিকাল ওয়ার্ল্ড অ্যান্ড দ্য র্যাবিটস: আ স্টাডি অফ ব্রিফ স্টোরিজ ইন দ্য ডেমোন্যাক্স, দ্য মিশনাহ, অ্যান্ড মার্ক ৮:২৭–১০:২৫, এ অ্যান্ড সি ব্ল্যাক, পৃ. ৮৮ আইএসবিএন ৯৭৮-০-৮২৬৪-৬০৫৯-২
  138. লাইটফুট, ডে ডিস সিরিয়া (২০০৩)
  139. লুসিন্ডা ডারভেন, "দি অথর অফ ডে ডিয়া সিরিয়া অ্যান্ড হিজ কালচারাল হেরিটেজ", নুমেন, ৪৪.২ (মে ১৯৯৭), পৃ. ১৫৩–১৭৯
  140. গ্রেগ গ্রেওয়াল: "কলোনাইজিং দ্য ইউনিভার্স: সায়েন্স ফিকশনস দেন, নাও, অ্যানফ ইন দি (ইম্যাজিনড) ফিউচার", রকি মাউন্টেন রিভিউ অফ ল্যাংগুয়েজ অ্যান্ড লিটারেচার, ৫৫তম খণ্ড, সংখ্যা ২ (২০০১), পৃ. ২৫–৪৭ (৩০এফ.)
  141. ফ্রেডেরিকস, এস. সি.: "লুসিয়ান’স ট্রু হিস্ট্রি অ্যাজ এসএফ", সায়েন্স ফিকশন স্টাডিজ, ৩য় খণ্ড, সংখ্যা ১ (মার্চ ১৯৭৬), পৃ. ৪৯–৬০
  142. "দ্য ডাউটার", লুসিয়ান; মূল: রজার ল্যান্সলিন গ্রিন (১৯৭০) থার্টিন আনক্যানি টেলস, লন্ডন, ডেন্ট: ১৪–২১; ও ফিনুকেন, পৃ. ২৬
  143. জর্জ লাক, "উইচেস অ্যান্ড সোরসারারস ইন ক্ল্যাসিকাল লিটারেচার", পৃ. ১৪১, উইচক্র্যাফট অ্যান্ড ম্যাজিক ইন ইউরোপ: এনশিয়েন্ট গ্রিস অ্যান্ড রোম, সম্পা. বেংট অ্যাংকারলু ও স্টুয়ার্ট ক্লার্ক আইএসবিএন ০-৮১২২-১৭০৫-৫
  144. রবার্ট ই. ভ্যান ভুর্স্ট, জেসাস আউটসাইড দ্য নিউ টেস্টামেন্ট, ডব্লিউএম. বি. এর্ডম্যানস পাবলিশিং, ২০০০
  145. হোলজবার্গ, নিকলাস, দি এনশিয়েন্ট নভেল, ১৯৯৫, পৃ. ৭৮
  146. বাওয়ারসক, গ্ল্যানউইল ডব্লিউ., দ্য ইথিওপিকা অফ হেলিওডোরাস অ্যান্ড হিস্টোরিয়া অগাস্টা, মূল: Historiae Augustae Colloquia n.s. 2, Colloquium Genevense, ১৯৯১, পৃ. ৪৩
  147. রেয়ারডন, ব্রায়ান পি. (১৯৮৯)। কালেক্টেড এনশিয়েন্ট গ্রিক নভেলস। বার্কলে: ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া প্রেস। আইএসবিএন 0-520-04306-5। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৭ 
  148. "ওয়েস্টার্ন লিটারেচার"এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১৭ 
  149. মিউসেয়াস গ্র্যামাটিকাসের হিরো অ্যান্ড লিয়ান্ডার: দ্য ডিভাইন পোয়েম অফ মিউসেয়াস: ফার্স্ট অফ অল বুকস ট্রান্সলেটেড অ্যাকর্ডিং টু দি অরিজিন্যাল গ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদসমূহ (জর্জ চ্যাপম্যান, ১৬১৬); হিরো অ্যান্ড লিয়ান্ডার (ই. ই. সিকেস, ১৯২০)
  150. জেনকিনস, রিচার্ড (২০০৭)। ক্ল্যাসিকাল এপিক: হোমার অ্যান্ড ভার্জিল। লন্ডন: ডাকওয়ার্থ। পৃষ্ঠা ৫৩। আইএসবিএন 978-1-85399-133-2 
  151. স্যান্ডিস, স্যার জন এডউইন (১৯২১)। আ হিস্ট্রি অফ ক্ল্যাসিকাল স্কলারশিপ; ১ম খণ্ড: ফ্রম দ্য সিক্সথ সেঞ্চুরি বি.সি. টু দি এন্ড অফ দ্য মিডল এজেস (3 সংস্করণ)। কেমব্রিজ, ইংল্যান্ড: কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৫৯১। আইএসবিএন 978-1-108-02706-9। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০১৭ 
  152. ওয়েস্টার্ন সিভিলাইজেশন: আইডিয়াজ, পলিটিকস, অ্যান্ড সোসাইটি, মার্ভিন পেরি, মার্না চেস, মার্গারেট সি. জেকব, জেমস আর. জেকব, ২০০৮, পৃ. ২৬১-৬২
  153. রেনল্ডস অ্যান্ড উইলসন, পৃ. ১১৯, ১৩১
  154. ডব্লিউ. ডব্লিউ. কম্বস, এরাসমাস অ্যান্ড দ্য টেক্সটাস রিসেপ্টাস, ডিবিএসজে ১ (বসন্ত ১৯৯৬), পৃ. ৪৫
  155. মিগার, রবার্ট ই. (২০০২)। দ্য মিনিং অফ হেলেন: ইন সার্চ অফ অ্যান এনশিয়েন্ট আইকনবিনামূল্যে নিবন্ধন প্রয়োজন। ওয়াউকোন্ডা, ইলিনয়িস: বোলকেজি-কার্দুসি পাবলিশার্স। পৃষ্ঠা 56আইএসবিএন 0-86516-510-6। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১৭ 
  156. অসবর্ন, কেভিন; বার্জেস, ডানা (১৯৯৮-০৭-০১)। দ্য কমপ্লিট ইডিয়ট’স গাইড টু ক্ল্যাসিকাল মাইথোলজি। পেঙ্গুইন। পৃষ্ঠা ২৭০। আইএসবিএন 9780028623856। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০১২ 
  157. গ্র্যাফটন, অ্যান্টনি; মোস্ট, গ্লিন ডব্লিউ.; সেটিস, স্যালভাটোর (২০১০)। দ্য ক্ল্যাসিকাল ট্র্যাডিশন। কেমব্রিজ, ম্যাসাচুয়েটস অ্যান্ড লন্ডন, England: দ্য বেকনাপ প্রেস অফ হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-674-03572-0 
  158. আর্মস্ট্রং, এ. ম্যাক, "টাইমন অফ এথেন্স – আ লেজেন্ডারি ফিগার?", গ্রিস অ্যান্ড রোম, ২য় ধারাবাহিক, ৩৪তম খণ্ড, ১ম সংখ্যা (এপ্রিল ১৯৮৭), পৃ. ৭–১১
  159. রেয়ারডন, ব্রায়ান পি. (১৯৮৯)। কালেক্টেড এনশিয়েন্ট গ্রিক নভেলস। বার্কলে: ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া প্রেস। পৃষ্ঠা ৭৩৭। আইএসবিএন 0-520-04306-5। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১৭ 
  160. কার্ক, জি. এস. (১৯৭৬)। হোমার অ্যান্ড দি ওরাল ট্র্যাডিশনবিনামূল্যে নিবন্ধন প্রয়োজন। কেমব্রিজ, ইংল্যান্ড: কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৮৫–৯৯। আইএসবিএন 978-0-521-13671-6Homeric style. 
  161. অসগুড, চার্লস গ্রসভেনর (১৯০০)। দ্য ক্ল্যাসিকাল মাইথোলজি অফ মিলটন’স ইংলিশ পোয়েমস। নিউ ইয়র্ক সিটি, নিউ ইয়র্ক: হেনরি হল্ট। পৃষ্ঠা নয়-এগারো। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১৭ 
  162. রিচার্ড, কার্ল জে., দ্য গোল্ডেন এজ অফ দ্য ক্ল্যাসিকস ইন আমেরিকা, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, ২০০৯, পৃ. ৩৩
  163. হার্ট, টিম (গ্রীষ্ম ২০০৩)। "সারা ড্যানিয়াস, দ্য সিনস অফ মডার্নিজম: টেকনোলজি, পারসেপশন, অ্যান্ড এস্থেটিকস"ব্রায়ান মাওর রিভিউ অফ কমপ্যারাটিভ লিটারেচার (১)। 2003-11-05 তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ 2001-07-10  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য) (রিভিউ অফ ড্যানিয়াস বুক)
  164. কিবার্ড, ডিক্ল্যান (১৬ জুন ২০০৯)। "ইউলিসিস, মডার্নিজম'স মোস্ট সোশিয়েবল মাস্টারপিস"দ্য গার্ডিয়ান। লন্ডন। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১১ 
  165. Jaurretche, কলিন (২০০৫)। বেকেট, জয়েস অ্যান্ড দি আর্ট অফ দ্য নেভেটিভ। ইউরোপিয়ান জয়েস স্টাডিজ। ১৬। রোডোপি। পৃষ্ঠা 29। আইএসবিএন 978-90-420-1617-0। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ১, ২০১১ 
  166. এলম্যান, রিচার্ড, জেমস জয়েস, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, সংশোধিত সংস্করণ (১৯৮৩)
  167. "হু ওয়াজ মেরি রেনল্ট?"দ্য মেরি রেনল্ট সোসাইটি। দ্য মেরি রেনল্ট সোসাইটি। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০১৭ 
  168. ফরস্টার, ই. এম.; হান্স-জর্জ, গ্যাডামার। "অ্যারিস্টটল:পোয়েটিকস"ক্রিটিক্যাললিংক। হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১৭ 
  169. হাবিব, এম. এ. আর. (২০০৫)। আ হিস্ট্রি অফ লিটারারি ক্রিটিসিজম অ্যান্ড থিওরি: ফ্রম প্লেটো টু দ্য প্রেজেন্টউইলি-ব্ল্যাকওয়েল। পৃষ্ঠা ৬০আইএসবিএন 0-631-23200-1 
  170. "ক্যাথারসিস"এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১৭ 
  171. "ইথোজ"এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১৭ 
  172. "অ্যানাগনরিসিস"এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১৭ 
  173. "হ্যামারশিয়া"Encyclopaedia Britannica। Encyclopaedia Britannica। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১৭ 
  174. "Hubris"এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১৭ 
  175. "মাইমেসিস"এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১৭ 
  176. "প্লট"এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১৭ 
  177. "নেমেসিস"এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১৭ 
  178. "পেরিপেটিয়া"এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১৭ 

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]