সিমিন বেহবাহানি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা |
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা |
||
৩২ নং লাইন: | ৩২ নং লাইন: | ||
সিমিন বেহবাহানি বারো বছর বয়সে কবিতা লেখা শুরু করেন এবং চৌদ্দ বছর বয়সে তার রচিত প্রথম কবিতা প্রকাশ করেন। তিনি [[নিমা ইয়োশিজ|নিমা ইয়ুশজি]]<nowiki/>র "চর পারেহ" শৈলী ব্যবহার করতেন এবং পরবর্তীকালে তা ''[[গজল]]'' পরিণত হয়। ''বেহবাহানি'' কবিতায়''গজল'' শৈলী ব্যবহারের মাধ্যমে কবিতায় নাট্য বিষয় এবং দৈনন্দিন ঘটনা ও কথোপকথন যোগ করে একটি ঐতিহাসিক উন্নয়ন সাধনে অবদান রাখেন। তিনি ঐতিহ্যবাহী ফার্সি শ্লোকের পরিসর প্রসারিত করেন এবং বিংশ শতাব্দীতে ফার্সি সাহিত্যের বেশকিছু উল্লেখযোগ্য রচনা তৈরি করেন। |
সিমিন বেহবাহানি বারো বছর বয়সে কবিতা লেখা শুরু করেন এবং চৌদ্দ বছর বয়সে তার রচিত প্রথম কবিতা প্রকাশ করেন। তিনি [[নিমা ইয়োশিজ|নিমা ইয়ুশজি]]<nowiki/>র "চর পারেহ" শৈলী ব্যবহার করতেন এবং পরবর্তীকালে তা ''[[গজল]]'' পরিণত হয়। ''বেহবাহানি'' কবিতায়''গজল'' শৈলী ব্যবহারের মাধ্যমে কবিতায় নাট্য বিষয় এবং দৈনন্দিন ঘটনা ও কথোপকথন যোগ করে একটি ঐতিহাসিক উন্নয়ন সাধনে অবদান রাখেন। তিনি ঐতিহ্যবাহী ফার্সি শ্লোকের পরিসর প্রসারিত করেন এবং বিংশ শতাব্দীতে ফার্সি সাহিত্যের বেশকিছু উল্লেখযোগ্য রচনা তৈরি করেন। |
||
তিনি [[ইরানি লেখক সমিতি|ইরানি লেখক সমিতির সভাপতি]] ছিলেন এবং ১৯৯৯ এবং ২০০২ সালে [[সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার|সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে]]<nowiki/>র জন্য তিনি মনোনীত হন। ২০১৩ সালে, তিনি |
তিনি [[ইরানি লেখক সমিতি|ইরানি লেখক সমিতির সভাপতি]] ছিলেন এবং ১৯৯৯ এবং ২০০২ সালে [[সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার|সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে]]<nowiki/>র জন্য তিনি মনোনীত হন। ২০১৩ সালে, তিনি কবিতার জন্য জানুস প্যানোনিয়াস গ্র্যান্ড প্রাইজ পেয়েছিলেন।<ref name=":1">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://jpa.hu/en/laureates/simin-behbahani-2.html|শিরোনাম=Laureates: 2013 Simin Behbahani|বছর=2013|ওয়েবসাইট=Janus Pannonius Grand Prize for Poetry|সংগ্রহের-তারিখ=5 June 2019}}</ref> |
||
২০১০ সালের মার্চের প্রথম দিকে, সরকারী নিষেধাজ্ঞার কারণে তিনি দেশ ছাড়তে পারেননি। যখন তিনি প্যারিসে একটি বিমানে চড়তে যাচ্ছিলেন, তখন পুলিশ তাকে আটক করে এবং তাকে "সারা রাত" জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তার পাসপোর্ট ছাড়াই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তার ইংরেজ অনুবাদক (ফারজানেহ মিলানি) গ্রেপ্তারের ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন কারণ বেহবানীর বয়স তখন ৮২ এবং তিনি প্রায় অন্ধ ছিলেন। তিনি বলেন, "আমরা সবাই ভেবেছিলাম যে তিনি অস্পৃশ্য।"<ref name="NPR">[https://www.npr.org/templates/story/story.php?storyId=124768269 Tehran Halts Travel By Poet Called 'Lioness Of Iran'] by Mike Shuster, NPR, 17 March 2010</ref> |
২০১০ সালের মার্চের প্রথম দিকে, সরকারী নিষেধাজ্ঞার কারণে তিনি দেশ ছাড়তে পারেননি। যখন তিনি প্যারিসে একটি বিমানে চড়তে যাচ্ছিলেন, তখন পুলিশ তাকে আটক করে এবং তাকে "সারা রাত" জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তার পাসপোর্ট ছাড়াই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তার ইংরেজ অনুবাদক (ফারজানেহ মিলানি) গ্রেপ্তারের ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন কারণ বেহবানীর বয়স তখন ৮২ এবং তিনি প্রায় অন্ধ ছিলেন। তিনি বলেন, "আমরা সবাই ভেবেছিলাম যে তিনি অস্পৃশ্য।"<ref name="NPR">[https://www.npr.org/templates/story/story.php?storyId=124768269 Tehran Halts Travel By Poet Called 'Lioness Of Iran'] by Mike Shuster, NPR, 17 March 2010</ref> |
১৯:৩৪, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
এই নিবন্ধটি উইকি লাভস উইমেন দক্ষিণ এশিয়া ২০২১ উপলক্ষে তৈরি করা হচ্ছে। নিবন্ধটিকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিবন্ধকার অনুবাদ করে এর মানোন্নয়ন ও সম্প্রসারণ সাধন করবেন; আপনার যেকোনও প্রয়োজনে এই নিবন্ধের আলাপ পাতাটি ব্যবহার করুন। আপনার আগ্রহের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। |
Simin Behbahani سیمین بهبهانی | |
---|---|
জন্ম | সিমিনবার খলিলি[১] ২০ জুলাই ১৯২৭ |
মৃত্যু | ১৯ আগস্ট ২০১৪ | (বয়স ৮৭)
সমাধি | বেহেস্ত-ই জাহরা |
জাতীয়তা | ইরানীয় |
অন্যান্য নাম | সিমিন বেহবাহানি, সিমিন খলিলি |
শিক্ষা | তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | কবি, গীতিকার, লেখক |
দাম্পত্য সঙ্গী | হাসান বেহবাহানি (বি. ১৯৪৬; বিচ্ছেদ. ১৯৭০) মনুচেহর কোশিয়ার (বি. ১৯৭১; মৃ. ২০০২) |
পিতা-মাতা |
|
সিমিন বেহবাহানি (সিমিনবার খলিলি,[১] ফার্সি: سیمین بهبهانی ; ২০শে জুলাই ১৯২৭- ১৯শে আগস্ট ২০১৪) ছিলেন একজন বিশিষ্ট ইরানি সমসাময়িক কবি, গীতিকার এবং কর্মী। তিনি গজল -কাব্যিক রীতির কবিতার জন্য পরিচিত। তিনি আধুনিক ফার্সি কবিতার একটি প্রতিমূর্তি, ইরানী বুদ্ধিজীবী এবং শিক্ষিতরা ভালোভেসে তাকেইরানের সিংহী হিসেবে ডেকে থাকেন।[১][২] তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জন্য দুবার মনোনীত হয়েছিলেন এবং বিশ্বজুড়ে অনেক প্রশংসা পেয়েছিলেন।[৩]
প্রাথমিক জীবন এবং পরিবার
ক্যারিয়ার
সিমিন বেহবাহানি বারো বছর বয়সে কবিতা লেখা শুরু করেন এবং চৌদ্দ বছর বয়সে তার রচিত প্রথম কবিতা প্রকাশ করেন। তিনি নিমা ইয়ুশজির "চর পারেহ" শৈলী ব্যবহার করতেন এবং পরবর্তীকালে তা গজল পরিণত হয়। বেহবাহানি কবিতায়গজল শৈলী ব্যবহারের মাধ্যমে কবিতায় নাট্য বিষয় এবং দৈনন্দিন ঘটনা ও কথোপকথন যোগ করে একটি ঐতিহাসিক উন্নয়ন সাধনে অবদান রাখেন। তিনি ঐতিহ্যবাহী ফার্সি শ্লোকের পরিসর প্রসারিত করেন এবং বিংশ শতাব্দীতে ফার্সি সাহিত্যের বেশকিছু উল্লেখযোগ্য রচনা তৈরি করেন।
তিনি ইরানি লেখক সমিতির সভাপতি ছিলেন এবং ১৯৯৯ এবং ২০০২ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জন্য তিনি মনোনীত হন। ২০১৩ সালে, তিনি কবিতার জন্য জানুস প্যানোনিয়াস গ্র্যান্ড প্রাইজ পেয়েছিলেন।[৪]
২০১০ সালের মার্চের প্রথম দিকে, সরকারী নিষেধাজ্ঞার কারণে তিনি দেশ ছাড়তে পারেননি। যখন তিনি প্যারিসে একটি বিমানে চড়তে যাচ্ছিলেন, তখন পুলিশ তাকে আটক করে এবং তাকে "সারা রাত" জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তার পাসপোর্ট ছাড়াই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তার ইংরেজ অনুবাদক (ফারজানেহ মিলানি) গ্রেপ্তারের ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন কারণ বেহবানীর বয়স তখন ৮২ এবং তিনি প্রায় অন্ধ ছিলেন। তিনি বলেন, "আমরা সবাই ভেবেছিলাম যে তিনি অস্পৃশ্য।"[৩]
ব্যক্তিগত জীবন
তিনি দুটি বিয়ে করেছিলেন, প্রথমটি হাসান বেহবাহানির সাথে এবং এর পরিণতি ছিল বিবাহবিচ্ছেদ।[১] প্রথম পক্ষে তার তিনটি সন্তান ছিল, যার একটি মেয়ে ও দুইটি ছেলে।[১] তার দ্বিতীয় বিয়ে ছিল মনুচেহর কৌশিয়ারের সাথে এবং ১৯৮৪ সালে মনুচেহর মারা গেলে বিয়ের সূত্রপাত ঘটে।[১]
মৃত্যু
২০১৪ সালের ৬ই আগস্ট বেহবাহানি হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি ৬ই আগস্ট থেকে ১৯শে আগস্ট তার মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত কোমায় ছিলেন এবং ৮৭ বছর বয়সে তেহরানের পালমোনারি হৃদরোগের পার্স হাসপাতালে তিনি মারা যান।[৫] হাজার হাজার লোকের উপস্থিতিতে, ২২ আগস্ট বাহাদত হলে এই বিশিষ্ট কবির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং তার লাশ বেহেস্ত-ই-জাহরাতে দাফন করা হয়।[৬]
কাজ
- দ্য ব্রোকেন লুট [সেহ-তার-ই শেকাস্তেহ, ১৯৫১]
- ফুটপ্রিন্ট [জা-ইয়ে পা, ১৯৫৪]
- শ্যান্ডেলিয়ার [চেলচেরাঘ, ১৯৫৫]
- মার্বেল [মারমার ১৯৬১]
- রেসাররাকশন [রাস্তাখিজ, ১৯৭১]
- এ লাইন অফ স্পিড এন্ড ফায়ার [খাত্তি জে সোরাত ভা আতশ, ১৯৮০]
- আরজান প্লেইন [দাশ্ত-ই আরজান, ১৯৮৩]
- পেপার ড্রেস [কাগজিন জামেহ, ১৯৯২]
- আ উইন্ডো অফ ফ্রিডম [ইয়েক দারিচে আজাদী, ১৯৯৫]
- কালেক্টেড পোয়েমস [তেহরান ২০০৩]
- মেইবি ইটস দ্যা মেসিয়াহ [শায়াদ কে মেসিহাস্ট, তেহরান ২০০৩] নির্বাচিত কবিতা, আলি সালামি কতৃক অনুবাদিত
- এ কাপ অফ সিন, নির্বাচিত কবিতা, অনুবাদ করেছেন ফারজানেহ মিলানি এবং কাভে সাফা
পুরস্কার এবং সম্মাননা
- ১৯৯৮-হিউম্যান রাইটস ওয়াচ হেলম্যান-হ্যামেট গ্রান্ট
- ১৯৯৯- কার্ল ভন অসিয়েৎস্কি পদক
- ২০০৬- নরওয়েজিয়ান লেখকদের ইউনিয়ন ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন পুরস্কার
- ২০০৯ -এমটিভিইউ কবি বিজয়ী[৭]
- ২০১৩- হাঙ্গেরিয়ান পেন ক্লাব থেকে জানুস প্যানোনিয়াস কাব্য পুরস্কার[৮][৪]
আরও দেখুন
- মিনা আসাদী
- পারভিন ইতেসামি
- ফারোখজদ
- লীলা কাসরা
তথ্যসূত্র
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ Martin, Douglas (২১ আগস্ট ২০১৪)। "Simin Behbahani, Outspoken Iranian Poet, Dies at 87"। The New York Times। আইএসএসএন 0362-4331। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১৯।
- ↑ Keshavarz, Fatemeh (১৩ জুলাই ২০০৭)। "Banishing the Ghosts of Iran"। The Chronicle Review of Higher Education। পৃষ্ঠা B6।
- ↑ ক খ Tehran Halts Travel By Poet Called 'Lioness Of Iran' by Mike Shuster, NPR, 17 March 2010
- ↑ ক খ "Laureates: 2013 Simin Behbahani"। Janus Pannonius Grand Prize for Poetry। ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১৯।
- ↑ "Simin Behbahani, celebrated poet known as the 'lioness of Iran,' dies at 87"। The Washington Post। ২৩ আগস্ট ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ Esfandiari, Golnaz (২২ আগস্ট ২০১৪)। "Thousands Attend Iranian Poet Behbahani's Funeral"। RadioFreeEurope/RadioLiberty। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ "MTVU – College Music, Activism, Shows and Activities On Campus"। MTVU। ১২ নভেম্বর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Annamária Apró (২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩)। "Janus Pannonius Prize goes to Simin Behbahani"। Hungarian Literature Online। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৩।
আরও পড়ুন
- চোপড়া, আরএম, "ফারসি ভাষার বিশিষ্ট কবিরা", ইরান সোসাইটি, কলকাতা, ২০১০
বহিঃসংযোগ
- সিমিন বেহবাহানির জীবনী
- সিমিন বেহবাহানির জীবন ও কবিতা নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়াম
- একজন কবি যিনি 'কখনো তার কলম বা আত্মাকে বিক্রি করেননি'
- সিমিন বেহবাহানির বক্তৃতা এবং বই স্বাক্ষর - ইউসিএলএ
- সিমিন বেবাহানি এসওএএস, লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের, ৬ই ফেব্রুয়ারী ২০০৫, ইউটিউব ( অংশ ১, অংশ ২ ) এ কবিতা পড়েন।
- সারা ওম্মাত-ই আলী, সিমিন বেহবাহানি: আমি বেঁচে আছি, ইন ফার্সি, সারমায়েহ [ক্যাপিটাল] সংবাদপত্র (রুজ'নামেহ-ইয়ে সারমায়েহ)। পুনরায় মুদ্রিত: অ্যাসোসিয়েশন অফ দ্য ইরানি উইমেন ( কানুন-ই-জানান-ই ইরানি ), বুধবার ৫ ডিসেম্বর ২০০৭।
- শাহাব মির্জাই, A Line Made From Swiftness and Fire ( Khatti ze Sor'at va Ātash ), ফারসি ভাষায়, জাদিদ অনলাইন, ২০০৮, [http://www.jadidonline.com/story/17072008/frnk/simin_behbahani ।