জামিয়াত-ই নেসভান-ই বতনখাহ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জামিয়াত-ই-নেসভান-ই ভাতানখার বোর্ড অফ গভর্নরস, দেশপ্রেমিক মহিলাদের সংগঠন, তেহরান, ১৯২২-১৯৩৩।

জামিয়াত-ই নেসভান-ই বতনখাহ (ফার্সি: جمعیت نسوان وطنخواه যার অর্থ " ইরানের দেশপ্রেমিক মহিলা লীগ " বা " দেশপ্রেমিক নারীদের সমাজ ") (১৯২২ – ১৯৩৩), পারস্যের সাংবিধানিক বিপ্লবের পর গঠিত ইরানের নারী অধিকার আন্দোলনের অন্যতম সক্রিয় সংগঠন।[১] সোসাইটিটি ১৯২২ সালে জামায়াত-এ-তারাক্কি-ই নেসওয়ান নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। মেয়েদের জন্য প্রতিষ্ঠিত রাজ্য বিদ্যালয়ের ৫ নম্বর স্কুলের পরিচালক মোহতারাম এস্কান্দারি এ সংগটন প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি নূর-ওল-হোদা মঙ্গনেহ, মাস্তুরে আফশার এবং অন্যান্য নারী অধিকার কর্মীদের বিপ্লবের ফলাফল দেখে হতাশ হয়েছিলেন।[২]

উদ্দেশ্য[সম্পাদনা]

জামিয়াত-ই নেসভান-ই বতনখাহর উদ্দেশ্য ছিল :

ইসলামের আইন ও আচার-অনুষ্ঠানের প্রতি ক্রমাগত শ্রদ্ধার জোর দেয়া। যেমন বিবাহ, আকিকা, ঈদ উৎসব, রমজান পালন, তালাক, লিয়ান, যিহার, আভিভাকত্ব ইত্যাদি।

মেয়েদের শিক্ষা ও নৈতিক লালনপালনকে উৎসাহিত করা। যেমন শিক্ষা ও জীবনের সব ক্ষেত্রে নর-নারীর সমান অধিকার প্রয়োগ করা।

জাতীয় শিল্পকে উৎসাহিত করা। কেননা জাতীয় শিল্পের মাধ্যমে দেশ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হয।

প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের মধ্যে সাক্ষরতা ছড়িয়ে দেওয়া। যাতে কোন নারী নিরক্ষর না থাকে।

এতিম মেয়েদের যত্ন প্রদান করা। এটা নারীশিশুকে রক্ষার অন্যতম পথ।

দরিদ্র মহিলাদের জন্য হাসপাতাল চালু করা। কেননা তারা অর্থ ও চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করে।

জাতীয় শিল্প বিকাশের মাধ্যম হিসেবে সমবায়কে সংগঠিত করা এবং

যুদ্ধের সময় দেশের রক্ষাকর্তাদের বস্তুগত ও নৈতিক সমর্থন দেওয়া।

"জামিয়াত-ই নেসভান-ই বতনখাহ" এই অঞ্চলের নারীদের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডকৃত প্রচেষ্টায়" অবদান রেখেছে। [৩]

জামিয়াত-ই নেসভান-ই বতনখাহ বক্তৃতা এবং প্রচারণা চালায়। ১৯৩২ সালে, এটি তেহরানে প্রাচ্য মহিলা কংগ্রেসের আয়োজন করে। [৩] জামিয়াত-ই নেসভান-ই বতনখাহ ১৯২২ সাল থেকে গুরুত্বপূর্ণ নারী জার্নাল, নোসভান ভাতানখাহ [ দেশপ্রেমিক নারী ] প্রকাশ করেছে। [১]

প্রতিষ্ঠাতা[সম্পাদনা]

তেহরানে এই নারী সংগঠন “জামিয়াত-ই নেসভান-ই বতনখাহ” প্রতিষ্ঠার পিছনে যাদের অবদান সর্বাগ্রে তাদের মধ্যে মাস্তুরে আফশার, মোহতারাম এস্কান্দারি এবং নূর-ওল-হোদা মঙ্গেনেহ। তাদের কয়েকজনের পরিচয় হলো-

মোহতারাম এস্কান্দারি যিনি জমিয়তে-ই-তরক্কি-ই নেসওয়ারে প্রধান প্রতিষ্ঠাতা এবং মেয়েদের জন্য রাজ্য বিদ্যালয়ের ৫ নম্বর স্কুলের পরিচালক ছিলেন।

মাস্তুরে আফশার (ফার্সি: مستوره افشار; ১৮৯৮, উর্মিয়া, পশ্চিম আজারবাইজান - মৃত্যু ১৯৫১, তেহরানে), ছিলেন একজন ইরানি বুদ্ধিজীবী এবং ইরানে নারী অধিকার আন্দোলনের অন্যতম অগ্রণী ব্যক্তিত্ব। তিনি এ সংগঠনটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা্ সদস্য।

নূর-ওল-হোদা মঙ্গেনেহ (জন্ম ১৯০০২, মৃত্যুর তারিখ অজানা), একজন ইরানি বুদ্ধিজীবী এবং ইরানে নারী অধিকার আন্দোলনের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব ছিলেন।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

  • ইরানের সাংবিধানিক বিপ্লব
  • নারী স্বাধীনতা সমিতি
  • ইরানে নারী আন্দোলন
  • মোখদারত ভাতান সমিতি
  • ইরানি নারীরা
  • সাংবিধানিক বিপ্লবের সমিতি

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Sanasarian, Eliz. The Women's Rights Movements in Iran, Praeger, New York: 1982, আইএসবিএন ০-০৩-০৫৯৬৩২-৭.
  2. Dawlatšāhī, Mehrangīz (২০১২)। "ESKANDARĪ, MOḤTARAM"Encyclopedia Iranica। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মার্চ ২০১৯ 
  3. Homa Hoodfar (Winter ১৯৯৯)। "The Women's Movement in Iran" (পিডিএফ)। ১১ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪