বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গা বাংলাদেশ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
'''বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গা''', [[বাংলাদেশ]] ৷ সংক্ষেপে '''গওহরডাঙ্গা বোর্ড''', হলো বাংলাদেশের কওমি মাদরাসাসমূহের একটি বৃহত্তম বোর্ড। এটি বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড নামেও পরিচিত। এটি ছাড়াও বাংলাদেশের কওমি মাদরাসা সমূহের ছোট-বড় আরো প্রায় আঠারোটি শিক্ষা বোর্ড আছে। বেফাকুল মাদারিস তাদের নিবন্ধিত শিক্ষাপ্রতিষ্টানের পাঠ্যসূচি প্রণয়ন, উন্নয়ন, বিভিন্ন স্তরভেদে পরীক্ষা গ্রহণ এবং সনদ প্রদানের কাজ করে। ২০১ খ্রিস্টাব্দের রিপোর্ট অনুযায়ী তাদের অধীনে পাঁচ শ'য়েরও বেশি কওমি মাদরাসা রয়েছে।
'''বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গা বাংলাদেশ'''হলো বাংলাদেশের কওমি মাদরাসাসমূহের একটি বোর্ড। এটি ‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীনস্থ ৬টি কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের একটি।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bdlaws.minlaw.gov.bd/act-details-1263.html|শিরোনাম=‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীন ‘কওমি মাদরাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি)-এর সমমান প্রদান আইন, ২০১৮’|ওয়েবসাইট=bdlaws.minlaw.gov.bd|সংগ্রহের-তারিখ=2020-09-10}}</ref> বেফাকুল মাদারিস তাদের নিবন্ধিত শিক্ষাপ্রতিষ্টানের পাঠ্যসূচি প্রণয়ন, উন্নয়ন, বিভিন্ন স্তরভেদে পরীক্ষা গ্রহণ এবং সনদ প্রদানের কাজ করে। ২০১ খ্রিস্টাব্দের রিপোর্ট অনুযায়ী তাদের অধীনে পাঁচ শ'য়েরও বেশি কওমি মাদরাসা রয়েছে।


== বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা ==
== বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা ==
১৩ নং লাইন: ১৩ নং লাইন:
* ৪র্থ স্তর:- মারহালাতুল তাকমিল (মাস্টার্স ডিগ্রি)। এতে রয়েছে দু'বছর। এ স্তরকে দাওরায়ে হাদীস বলা হয়।
* ৪র্থ স্তর:- মারহালাতুল তাকমিল (মাস্টার্স ডিগ্রি)। এতে রয়েছে দু'বছর। এ স্তরকে দাওরায়ে হাদীস বলা হয়।
তৃতীয় পর্যায়: এ পর্যায়ে রয়েছে বিষয়ভিত্তিক ডিপ্লোমা ও গভেষনামূলক শিক্ষা কোর্স। যথা: হাদীস, তাফসির, ফিকহ, ফতওয়া, তাজবিদ, আরবিসাহিত্য, বাংলা সাহিত্য, ইংরেজি, উর্দূ ও ফারসি ভাষা, ইসলামের ইতিহাস, ও সীরাত, ইলমুল কালাম, ইসলামি দর্শন, অর্থনীতি, রাষ্টবিজ্ঞান, পৌর বিজ্ঞান ও সমাজ বিজ্ঞান, ইত্যাদি বিষয়ের গবেষণামূলক শিক্ষা।
তৃতীয় পর্যায়: এ পর্যায়ে রয়েছে বিষয়ভিত্তিক ডিপ্লোমা ও গভেষনামূলক শিক্ষা কোর্স। যথা: হাদীস, তাফসির, ফিকহ, ফতওয়া, তাজবিদ, আরবিসাহিত্য, বাংলা সাহিত্য, ইংরেজি, উর্দূ ও ফারসি ভাষা, ইসলামের ইতিহাস, ও সীরাত, ইলমুল কালাম, ইসলামি দর্শন, অর্থনীতি, রাষ্টবিজ্ঞান, পৌর বিজ্ঞান ও সমাজ বিজ্ঞান, ইত্যাদি বিষয়ের গবেষণামূলক শিক্ষা।

==তথ্যসূত্র==
{{সূত্র তালিকা}}

{{কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড}}

[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের শিক্ষা বোর্ড]]
[[বিষয়শ্রেণী:কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা বোর্ড]]

২০:২৬, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গা বাংলাদেশহলো বাংলাদেশের কওমি মাদরাসাসমূহের একটি বোর্ড। এটি ‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীনস্থ ৬টি কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের একটি।[১] বেফাকুল মাদারিস তাদের নিবন্ধিত শিক্ষাপ্রতিষ্টানের পাঠ্যসূচি প্রণয়ন, উন্নয়ন, বিভিন্ন স্তরভেদে পরীক্ষা গ্রহণ এবং সনদ প্রদানের কাজ করে। ২০১ খ্রিস্টাব্দের রিপোর্ট অনুযায়ী তাদের অধীনে পাঁচ শ'য়েরও বেশি কওমি মাদরাসা রয়েছে।

বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা

বেফাকের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা

বেফাক কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা ব্যবস্থা তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত। প্রথম পর্যায়: এ পর্যায়ে রয়েছে দু'টি স্তর।

  • প্রথম স্তর: প্রথমিক শিক্ষা। কুরআন তিলোওয়াত ও ইসলামিয়াতসহ গনিত, বাংলা, ইংরেজী এ সমাজ বিজ্ঞান প্রভৃতি ৫ম শ্রেনীর মান পর্যন্ত। একে বলা হয় আল মারহালাতুল ইবতিদাইয়্যাহ বা কওমী প্রাইমারি/ প্রাইমারি মাদরাসা।
  • দ্বিতীয় স্তর: এতে রয়েছে সাধারন শিক্ষা সহ ইসলামিক শিক্ষা। অর্থাৎ আরবিভাষা, আরবি ব্যকরণ ও ফিকাহশাস্ত্র, গনিত, বাংলা, ইংরেজি এ সমাজ বিজ্ঞান। একে বলা হয় মারহালাতুল মুতাওয়াসসিতাহ। এর মধ্যে রয়েছেঃ- ৩ বছর। অর্থাৎ: ৬ষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি।

দ্বিতীয় পর্যায়: এপর্যায়ে রয়েছে ৪টি স্তর।

  • ১ম স্তর:- আল - মারহালাতুস সানাবিয়াতুল(মাধ্যমিক স্তর): এতে রয়েছে দু'বছর (৯ম-১০ম)
  • ২য় স্তর: আল - মারহালাতুস সানাবিয়াহ্ আল উলইয়া (উচ্চ মাধ্যমিক স্তর): এতে রয়েছে দু'বছর (১১শ শ্রেনী থেকে দ্বাদশ শ্রেণি)।
  • ৩য় স্তর: মারহালাতুল ফজিলাত (স্নাতক ডিগ্রি)। এতে রয়েছে দু'বছর (১৩শ শ্রেণি থেকে ১৪শ শ্রেনী)।
  • ৪র্থ স্তর:- মারহালাতুল তাকমিল (মাস্টার্স ডিগ্রি)। এতে রয়েছে দু'বছর। এ স্তরকে দাওরায়ে হাদীস বলা হয়।

তৃতীয় পর্যায়: এ পর্যায়ে রয়েছে বিষয়ভিত্তিক ডিপ্লোমা ও গভেষনামূলক শিক্ষা কোর্স। যথা: হাদীস, তাফসির, ফিকহ, ফতওয়া, তাজবিদ, আরবিসাহিত্য, বাংলা সাহিত্য, ইংরেজি, উর্দূ ও ফারসি ভাষা, ইসলামের ইতিহাস, ও সীরাত, ইলমুল কালাম, ইসলামি দর্শন, অর্থনীতি, রাষ্টবিজ্ঞান, পৌর বিজ্ঞান ও সমাজ বিজ্ঞান, ইত্যাদি বিষয়ের গবেষণামূলক শিক্ষা।

তথ্যসূত্র