আবদুল মান্নান (রাজনীতিবিদ): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
+
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৩৬ নং লাইন: ৩৬ নং লাইন:


[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ]]
[[বিষয়শ্রেণী:বীর বিক্রম]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৪২-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৪২-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা]]
[[বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি]]

১১:২০, ৫ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

মেজর (অব:) আবদুল মান্নান
জন্ম১৯৪২
জাতীয়তাবাংলাদেশী
পেশারাজনীতিবিদ
পরিচিতির কারণমুক্তিযুদ্ধা, রাজনীতিবিদ

মেজর (অব:) আবদুল মান্নান একজন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ ও শিল্পোদ্যক্তা। তিনি ১৯৯১, ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাবনে ঢাকা-১০ আসন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে বিকল্পধারা বাংলাদেশ গঠিত হলে তিনি বিকল্পধারায় যোগদান করেন। বর্তমানে দলটির মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন।[১]

আবদুল মান্নান পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে চাকুরীজীবন শুরু করেন এবং ১৯৮০'র দশকে পোশাক কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে বিশেষ সাফল্য লাভ করেন। বাংলাদেশে ওয়াইম্যাক্স ইনটারনেট সার্ভিস প্রদানে তিনি পথিকৃৎের ভূমিকা পালন করেন। তিনি বাংলালায়ন ওয়াইম্যাক্স, সানম্যান গ্রুপ এবং বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিনান্স কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।[১] সানম্যান গ্রুপ ছাড়াও তিনি বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, ইস্টার্ন ইন্সুরেন্স লিমিটেড, পানীয়, এয়ারলাইন্স ও ওষুধ ব্যবসা ইত্যাদি।[১]

প্রারম্ভিক জীবন

আবদুল মান্নান ১৯৪২ সালে নোয়াখালী জেলার সোনাপুরের দক্ষিণের চর শুল্যকিয়া ইউনিয়নের ইসহাকপুর গ্রামে এক প্রভাবশালী জমিদার পরিবারে জন্ম নেন। তার পিতার নাম মরহুম ইসহাক মিয়া। চার ভাই চার বোনের মাঝে তিনি সবার বড়। তিনি নোয়াখালী জিলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক পর্যায় শেষ করে ফেনী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি তদানীন্তন পাকিস্তান সামরিক বাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৬২ সালে তিনি পাকিস্তান সামরিক শিক্ষালয় থেকে ডিগ্রি পাস করেন।

কর্মজীবন

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর আবদুল মান্নান পাকিস্তান সামরিক বাহিনী ছেড়ে বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীতে যোগদান করেন। ১৯৭৪ সালে সামরিক বাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন। অবসর গ্রহণের পর আজিম মান্নান গার্মেন্টস নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে যা সানম্যান গ্রপ নামে পরিচিত।

রাজনৈতিক জীবন

আবদুল মান্নান ১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসন থেকে শেখ হাসিনাকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে রাজনীতির অঙ্গণে আলোচনায় আসেন। এ সময় তিনি বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[২] তিনি ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাবনেও একই সান থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

২০০৪ সালে একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে বিকল্পধারা বাংলাদেশ গঠিত হলে তিনি বিকল্পধারায় যোগদান করেন। বর্তমানে দলটির মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন।[১]

বিতর্ক

বিভিন্ন সময় সংবাদমাধ্যমে ও বইয়ে প্রকাশিত তথ্যানুসারে, আবদুল মান্নান বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের অনুগত ছিলেন।[১] লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ লিখিত ২০১৭ সালে প্রকাশিত ‘আওয়ামী লীগ: যুদ্ধদিনের কথা ১৯৭১’ বইয়ে এক সাক্ষাৎকারে শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, ১৯৭১ সালের ৩০শে মার্চ মেজর মান্নানের নেতৃত্বে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি কমান্ডো ইউনিট চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করে।[৩][৪] এছাড়া, ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ১৪ ডিভিশনের অধীন ৩ কমান্ডো ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে) ব্রিগেডিয়ার জহির আলম খানের (জেড এ খান) সে সময়কার ঘটনা নিয়ে লিখিত ‘দ্য ওয়ে ইট ওয়াজ’ নামক বইয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পাঠানো একটি কমান্ডো ইউনিটে মেজর মান্নানকে যুক্ত করার কথা উল্লেখ করেন।[৪] যদিও আব্দুল মান্নান পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থানের কথা অস্বীকার করেছেন।[৪]

তথ্যসূত্র

  1. "বিশ্বের অন্যতম 'শীর্ষ ধনী রাজনীতিক' বিকল্পের মান্নান"bangla.bdnews24.com। ২১ নভে ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসে ২০১৮ 
  2. "প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব"কমলনগর উপজেলা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসে ২০১৮ 
  3. বই: আওয়ামী লীগ: যুদ্ধদিনের কথা ১৯৭১; লেখক: মহিউদ্দিন আহমদ; পৃষ্ঠা-৯৬
  4. prothomalo.com (৫ ডিসে ২০১৮)। "মেজর (অব.) মান্নান লড়েছিলেন পাকিস্তানি বাহিনীর হয়ে"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসে ২০১৮