ওয়াকায়ামা প্রশাসনিক অঞ্চল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
অ (GR) File renamed: File:Symbol of Wakayama Prefecture.svg → File:Emblem of Wakayama Prefecture.svg File renaming criterion #4: to harmonize the file names of a set of images: so that only one part of... |
||
৪ নং লাইন: | ৪ নং লাইন: | ||
| Rōmaji = Wakayama-ken |
| Rōmaji = Wakayama-ken |
||
| Flag = Flag of Wakayama Prefecture.svg |
| Flag = Flag of Wakayama Prefecture.svg |
||
| Symbol = |
| Symbol = Emblem of Wakayama Prefecture.svg |
||
| Capital = [[ওয়াকায়ামা]] |
| Capital = [[ওয়াকায়ামা]] |
||
| Region = [[কান্সাই অঞ্চল|কান্সাই]] |
| Region = [[কান্সাই অঞ্চল|কান্সাই]] |
০২:৪৮, ১১ আগস্ট ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
ওয়াকায়ামা প্রশাসনিক অঞ্চল 和歌山県 | |
---|---|
প্রশাসনিক অঞ্চল | |
জাপানি প্রতিলিপি | |
• জাপানি | 和歌山県 |
• রোমাজি | Wakayama-ken |
দেশ | জাপান |
অঞ্চল | কান্সাই |
দ্বীপ | হোনশু |
রাজধানী | ওয়াকায়ামা |
আয়তন | |
• মোট | ৪,৭২৫.৬৭ বর্গকিমি (১,৮২৪.৫৯ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | ৩০শ |
জনসংখ্যা (১লা এপ্রিল ২০১২) | |
• মোট | ৯,৮৯,৯৮৩ |
• ক্রম | ৩৯তম |
• জনঘনত্ব | ২০৯.৪৯/বর্গকিমি (৫৪২.৬/বর্গমাইল) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | JP-30 |
জেলা | ৬ |
পৌরসভা | ৩০ |
ফুল | উমে ফুল (প্রুনাস মুমে) |
গাছ | উবামে ওক (কোয়ার্কাস ফিলিরেওইডেস) |
পাখি | জাপানি সাদাচোখো (যোস্টেরপ্স জাপোনিকা) |
ওয়েবসাইট | www.wakayama.lg.jp/ english/ |
ওয়াকায়ামা প্রশাসনিক অঞ্চল (和歌山県? ওয়াকায়ামা কেন্) হল জাপানের মূল দ্বীপ হোনশুর কান্সাই অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।[১] এর রাজধানী ওয়াকায়ামা নগর।[২]
ইতিহাস
আজকের ওয়াকায়ামা প্রশাসনিক অঞ্চল অতীতের কিই প্রদেশের পশ্চিম ভাগের অধিকাংশ নিয়ে গড়ে উঠেছে।[৩]
ওয়াকায়ামায় মানুষের বসতি ২৫,০০০ বছরের প্রাচীন। অন্তিম তুষার যুগের বিভিন্ন প্রাণী যেমন নাউমান এওয়া, ওকিনোশিকা ভালুক ও বৃহৎ বাদামী ভালুক প্রভৃতির সাথে মানুষের সহাবস্থান ছিল। এই সময় অর্থাৎ পুরা প্রস্তর যুগের নমুনা ৪০ টি স্থান থেকে পাওয়া গেছে।
জোমোন যুগের নমুনা পাওয়া গেছে শতাধিক ক্ষেত্র থেকে। নারুকামিতে প্রাপ্ত এঁটো খোলার ঢিবিটি জাপানে প্রাপ্ত এই ধরণের সবচেয়ে প্রাচীন ঢিবি। অন্যান্য সমসাময়িক ধ্বংসাবশেষ হল ওয়াকায়ামা নগরের কাওয়াবে, হিরোকাওয়া মাচি তাকাশিমা ইত্যাদি। উল্লেখ্য, হাইনান শহরের মিযোনোগুচি ধ্বংসাবশেষে একটি পাথর দিয়ে ঘেরা স্থান পাওয়া গেছে।
প্রাচীন জাপানের ক্ষমতার কেন্দ্রের নিকটে অবস্থানের ফলে ওয়াকায়ামায় বহু শতাব্দী ধরে জাতীয় স্তরে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। অবশেষে ১৮৭১ খ্রিঃ ২৯শে আগস্ট হান্ ব্যবস্থার বিলোপের মাধ্যমে আধুনিক ওয়াকায়ামা প্রশাসনিক অঞ্চলের জন্ম হয়।
১৯৫৩ খ্রিঃ ১৮ই জুলাই আরিতা, হিদাকাগাওয়া ও কিশিকাওয়া নদীর প্রবল বন্যায় বিশেষত আরিতা ও হিদাকা জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
২০০৪ খ্রিঃ ৭ই জুলাই “কিই পর্বতের পবিত্র মন্দির ও তীর্থসমূহ” ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা পায়।
ভূগোল
ওয়াকায়ামা প্রশাসনিক অঞ্চলের পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূল, উত্তরে ওসাকা এবং পূর্বে রয়েছে নারা ও মিয়ে প্রশাসনিক অঞ্চল। এর আয়তন ৪৭২৬ বর্গ কিমি এবং তার মধ্যে ৮১% পর্বত। কিই পর্বতমালার অংশ ওমিনে পর্বতমালা ওয়াকায়ামার মাঝ বরাবর উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রসারিত। ওয়াকায়ামার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ গিমায়ামা পর্বতের উচ্চতা ১৩৭২ মিটার।
ওয়াকায়ামার উত্তরাংশের জলবায়ু সেতো অন্তর্দেশীয় সাগর ও দক্ষিণাংশ প্রশান্ত মহাসাগর দ্বারা প্রভাবিত। দক্ষিণাংশের পূর্ব ভাগে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৪,০০০ মিমি ছাড়িয়ে যায়।
সংস্কৃতি
ইতো জেলার কোওয়্যা পর্বতে জাপানি বৌদ্ধধর্মের শিঙ্গোন শাখার প্রধান কার্যালয় অবস্থিত। পর্যটনকেন্দ্র হিসেবেও স্থানটির খ্যাতি প্রাচীন। কিই পর্বতের তীর্থস্থানসমূহ সমগ্র প্রশাসনিক অঞ্চল জুড়ে ইতস্তত ছড়িয়ে আছে; এগুলি একত্রে জাপানের একাদশতম বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান।[৪]
কুমানো তীর্থস্থানসমূহ ওয়াকায়ামার দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত। ৪টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দ্বীপের সমষ্টি তোমোগাশিমা দ্বীপপুঞ্জও ওয়াকায়ামার অংশ।
পর্যটন
ওয়াকায়ামায় কয়েকটি উষ্ণ প্রস্রবণ আছে, যেমন শিরাহামা, কাওয়ায়ু এবং য়ুনোমিনে। নাচিকাৎসু-উরা শহরের উষ্ণ প্রস্রবণ ও নাচি জলপ্রপাত উল্লেখযোগ্য। মানবীয় সংস্কৃতির নিদর্শনের মধ্যে পূর্বোক্ত মন্দির ইত্যাদির পাশাপাশি ওয়াকায়ামা দুর্গ, ওয়াকায়ামার আধুনিক শিল্পকলার জাদুঘর, চোওহোও-জি প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্যসূত্র
- ↑ Nussbaum, Louis-Frédéric. (2005). "Wakayama prefecture" in গুগল বইয়ে Japan Encyclopedia, p. 1026, পৃ. 1026,; "Kansai" in গুগল বইয়ে p. 477, পৃ. 477,.
- ↑ Nussbaum, "Wakayama" in গুগল বইয়ে p. 1025, পৃ. 1025,.
- ↑ Nussbaum, "Provinces and prefectures" in গুগল বইয়ে p. 780, পৃ. 780,.
- ↑ UNESCO.org