শিগা প্রশাসনিক অঞ্চল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শিগা প্রশাসনিক অঞ্চল
滋賀県
প্রশাসনিক অঞ্চল
জাপানি প্রতিলিপি
 • জাপানি滋賀県
 • রোমাজিShiga-ken
শিগা প্রশাসনিক অঞ্চল পতাকা
পতাকা
শিগা প্রশাসনিক অঞ্চল অফিসিয়াল লোগো
শিগা প্রশাসনিক অঞ্চলের প্রতীক
শিগা প্রশাসনিক অঞ্চল অবস্থান
দেশজাপান
অঞ্চলকান্‌সাই
দ্বীপহোনশু
রাজধানীওওৎসু
আয়তন
 • মোট৪,০১৭.৩৮ বর্গকিমি (১,৫৫১.১২ বর্গমাইল)
এলাকার ক্রম৩৮শ
জনসংখ্যা (১লা অক্টোবর, ২০১৫)
 • মোট১৪,১৩,১৮৭
 • ক্রম২৬শ
 • জনঘনত্ব৩৫০/বর্গকিমি (৯১০/বর্গমাইল)
আইএসও ৩১৬৬ কোডJP-25
জেলা
পৌরসভা১৯
ফুলরোডোডেন্ড্রন (রোডোডেন্ড্রন মেটার্নিকিয়াই var. হন্ডোয়েন্স)
গাছজাপানি ম্যাপ্‌ল (এসার পামেটাম)
পাখিলিট্‌ল গ্রেবে (ট্যাকিব্যাপ্টাস রুফিকোলিস)
ওয়েবসাইটwww.pref.shiga.lg.jp/multilingual/english/index.html

শিগা প্রশাসনিক অঞ্চল (滋賀県? শিগা কেন্‌) হল জাপানের মূল দ্বীপ হোনশুর কান্‌সাই অঞ্চলের অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল[১] এর রাজধানী ওওৎসু নগর।[২] জাপানের বৃহত্তম মিষ্টি জলের হ্রদ বিওয়া এই প্রশাসনিক অঞ্চলের কেন্দ্রে অবস্থিত।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

এন্‌রিয়াকু-জি।

প্রশাসনিক অঞ্চল ব্যবস্থার প্রচলনের আগে শিগার নাম ছিল ওওমি অথবা গোওশুউ প্রদেশ।[৩] ওওমি প্রদেশ ছিল নারা ও কিয়োতোর পার্শ্ববর্তী, পূর্ব ও পশ্চিম জাপানের সংযোগস্থলে। ৬৬৭ থেকে ৬৭২ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে সম্রাট তেঞ্জি ওওৎসুতে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করেন। ৭৪২ খ্রিঃ সম্রাট শোওমু শিগারাকিতে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করেন। হেইয়ান যুগের প্রথম ভাগে ওওৎসু নগরের উত্তরে সাইচোও-র জন্ম হয়। তিনি এন্‌রিয়াকু-জি মন্দির নির্মাণ করে সেখানে নিজ আবিষ্কৃত তেন্দাই বৌদ্ধধর্মের মন্দির ও মুখ্য কার্যালয় স্থাপন করেন। এটি বর্তমানে একটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান এবং প্রাচীন কিয়োতোর অন্যতম সৌধ।

মধ্যযুগে ক্রমান্বয়ে সাসাকি পরিবার, রোক্কাকু পরিবার, কিয়োগোকু পরিবার ও আযাই পরিবার ওওমি প্রদেশ শাসন করত। ১৫৭০ এর দশকে ওদা নোবুনাগা ওওমি অধিকার করেন এবং ১৫৭৯ খ্রিঃ বিওয়া হ্রদের তীরে আযুচি দুর্গ নির্মাণ করেন। সেন্‌গোকু যুগে ওওমি প্রদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে ছিলেন তোওদোও তাকাতোরা, গামোও উজিসাতো, ওইচি, য়োদো-দোনো, ওহাৎসু এবং ওয়েয়ো প্রমুখ।

মেইজি যুগের আরম্ভে প্রদেশ বিভাজনের হান্‌ ব্যবস্থার বিলোপের পর ওওমি অঞ্চলে আটটি প্রশাসনিক অঞ্চল গঠিত হয়। ১৮৭২ এর সেপ্টেম্বর মাসে এইগুলিকে শিগা প্রশাসনিক অঞ্চল নামে একত্র করা হয়। এই নতুন নামকরণের কারণ ছিল শিগা জেলা, যেহেতু ১৮৯৮ খ্রিঃ অবধি ঐ জেলাতেই ছিল প্রাচীন ওওৎসু নগরের অবস্থান। ১৮৭৬ এর আগস্ট থেকে ১৮৮১ এর ফেব্রুয়ারি অবধি দক্ষিণ ফুকুই প্রশাসনিক অঞ্চল শিগার অন্তর্ভুক্ত ছিল।

২০১৫ তে শিগার গভর্নর তাইযোও মিকাযুকি শিগা নামটি পরিবর্তনের জন্য অধিবাসীদের মধ্যে একটি সমীক্ষা চালান। নাম বদলের লক্ষ্য ছিল পর্যটকদের কাছে প্রশাসনিক অঞ্চলটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা।[৪]

ভূগোল[সম্পাদনা]

স্থলবেষ্টিত শিগা প্রশাসনিক অঞ্চলের চারদিকে অবস্থিত অন্যান্য প্রশাসনিক অঞ্চলগুলি হল: উত্তরে ফুকুই, পূর্বে গিফু, দক্ষিণ-পূর্বে মিয়ে এবং পশ্চিমে কিয়োতো

ওমিহাচিমান।

জাপানের বৃহত্তম মিষ্টি জলের হ্রদ বিওয়া এই প্রশাসনিক অঞ্চলের কেন্দ্রে অবস্থিত। এর আয়তন শিগার মোট আয়তনের ছয় ভাগের এক ভাগ। সেতা নদী বিওয়া হ্রদে উৎপন্ন হয়ে কিয়োতোর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ওসাকা উপসাগরে মিশেছে। এটিই এই হ্রদ থেকে উৎপন্ন একমাত্র প্রাকৃতিক নদী। এর সাথে সংযুক্ত অন্যান্য নদীগুলির সব কয়টিই অন্যত্র উৎপন্ন হয়ে হ্রদটিতে এসে মিশেছে। বিওয়ার উপকূলে অনেকগুলি লেগুন বা উপহ্রদ ছিল ,কিন্তু ১৯৪০ এর দশকে সেগুলির অধিকাংশকেই বুজিয়ে ফেলা হয়েছে। একটি সংরক্ষিত উপহ্রদ হল ওমিহাচিমান জলাভূমি। এটিকে ২০০৬ খ্রিঃ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ভূদৃশ্য হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। বিওয়া হ্রদের পূর্বে আছে সংকীর্ণ সমভূমি।

শিগা প্রশাসনিক অঞ্চলটি পর্বতবেষ্টিত। এর পশ্চিমে আছে হিরা পর্বতমালা ও হিয়েই পর্বত, উত্তর-পূর্বে ইবুকি পর্বতমালা এবং দক্ষিণ-পূর্বে শিযুওকা পর্বতমালা। ইবুকি পর্বত শিগার উচ্চতম শৃঙ্গ।

শিগা প্রশাসনিক অঞ্চলের জলবায়ুতে উত্তর ও দক্ষিণে ব্যাপক প্রভেদ দেখা যায়। দক্ষিণ শিগা সাধারণত উষ্ণ, কিন্তু উত্তর শিগায় শীতের প্রকোপ বেশি ও এই অঞ্চলে অনেকগুলি স্কি ক্ষেত্র আছে। সবচেয়ে উত্তরে অবস্থিত গ্রাম নাকানোকাওয়াচি-তে ১৯৩৬ খ্রিঃ সাড়ে পাঁচ ফুট গভীর বরফ পড়েছিল।[৫]

২০১৪ এর ১লা এপ্রিলের হিসেব অনুযায়ী শিগার ৩৭ শতাংশ এলাকা সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এই হার জাপানের সমস্ত প্রশাসনিক অঞ্চলের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর মধ্যে আছে বিওয়াকো ও সুযুকা উপ-জাতীয় উদ্যান এবং তিনটি প্রশাসনিক আঞ্চলিক উদ্যান।[৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Nussbaum, Louis-Frédéric. (2005). "Shiga-ken" in গুগল বইয়ে Japan Encyclopedia, p. 853, পৃ. 853,; "Kansai" at গুগল বইয়ে Japan Encyclopedia, p. 477, পৃ. 477,.
  2. Nussbaum, "Ōtsu" at গুগল বইয়ে Japan Encyclopedia, p. 765, পৃ. 765,.
  3. Nussbaum, "Provinces and prefectures" at গুগল বইয়ে Japan Encyclopedia, p. 780, পৃ. 780,.
  4. "Shiga Prefecture mulls name change to draw more visitors"The Japan Times 
  5. Encyclopedia Shiga. p436.
  6. "General overview of area figures for Natural Parks by prefecture" (পিডিএফ)Ministry of the Environment। ১ এপ্রিল ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০১৫