রমেশ শীল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
wikify |
Rashid.naim (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৪ নং লাইন: | ৪ নং লাইন: | ||
কবির বাবার নাম চন্ডিচরণ শীল। এগার বছর বয়সে পিতার আকস্মিক মৃত্যুতে পরিবারের সকল দায়িত্ব এসে পড়ে কবির কাধে, কবি তখন ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র । কবির প্রাতিষ্ঠানিক পরিসমাপ্তি এখানেই। তার নিজের লেখণীতে রয়েছে, |
কবির বাবার নাম চন্ডিচরণ শীল। এগার বছর বয়সে পিতার আকস্মিক মৃত্যুতে পরিবারের সকল দায়িত্ব এসে পড়ে কবির কাধে, কবি তখন ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র । কবির প্রাতিষ্ঠানিক পরিসমাপ্তি এখানেই। তার নিজের লেখণীতে রয়েছে, |
||
{{উক্তি|আমিই বালক, চালক,পালক, আমার আর কেহ নাই। মায়ের অলংকার সম্বল আমার বিক্রি করে খাই'}} |
{{উক্তি|আমিই বালক, চালক,পালক, আমার আর কেহ নাই। মায়ের অলংকার সম্বল আমার বিক্রি করে খাই'}} |
||
প্রাথমিকভাবে জীবিকা হিসাবে পারিবারিক পেশা কবিরাজি চিকিৎসাকে গ্রহণ করেছিলেন। ঘটনাক্রমে কোনরকম পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়াই [[১৮৯৭]] সালে প্রথম মঞ্চে কবিগান পরিবেশণ করেন এবং সমাদৃত হন। [[১৮৯৯]] সালে কবিগান পরিবেশনায় প্রতিদ্বন্দী তিনজন কবিয়ালকে পরাজিত করলে উদ্যোক্তা ও শ্রোতাকূলের কাছ থেকে মোট তের টাকা সন্মানী লাভ করেন, যা পেশা হিসাবে পরবর্তিকালে কবিগানকে বেছে নিতে রমেশ শীলকে অনুপ্রানিত করে। |
প্রাথমিকভাবে জীবিকা হিসাবে পারিবারিক পেশা কবিরাজি চিকিৎসাকে গ্রহণ করেছিলেন। ঘটনাক্রমে কোনরকম পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়াই [[১৮৯৭]] সালে প্রথম মঞ্চে কবিগান পরিবেশণ করেন এবং সমাদৃত হন। [[১৮৯৯]] সালে কবিগান পরিবেশনায় প্রতিদ্বন্দী তিনজন কবিয়ালকে পরাজিত করলে উদ্যোক্তা ও শ্রোতাকূলের কাছ থেকে মোট তের টাকা সন্মানী লাভ করেন, যা পেশা হিসাবে পরবর্তিকালে কবিগানকে বেছে নিতে রমেশ শীলকে অনুপ্রানিত করে। |
||
<ref name= রমেশ শীল রচনাবলী ।>{{cite book |
|||
| last = সম্পা শাহেদ |
|||
| first = সৈয়দ মোহাম্মদ |
|||
| year = ১৯৯৩ |
|||
| title = রমেশ শীল রচনাবলী |
|||
| publisher = বাংলা একাডেমি |
|||
| pages = ১১ |
|||
| id = ISBN 984-07-2745-1 |
|||
}}</ref> |
|||
[[১৯৩৮]] সালে বাংলা কবিগানের ইতিহাসে প্রথম সমিতি গঠিত হয় রমেশ শীলের উদ্যোগে। কবিয়ালদের এই সমিতির নাম রাখা হয় ‘রমেশ উদ্বোধন কবি সংঘ’। অশ্লীলতা মুক্ত [[কবিগান]] ছিল এ সমিতির অন্যতম লক্ষ্য। [[১৯৪৪]] সালে কবি কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ করেন। [[১৯৪৮]] সালে শ্রদ্ধানন্দ পার্কে কবিকে সম্বর্ধিত ও ‘বঙ্গের শ্রেষ্ঠতম কবিয়াল’ উপাধিতে ভুষিত করা হয়। [[১৯৫৪]] সালে প্রাদেশিক নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের পক্ষে জোরাল অবস্থান নিয়েছিলেন। যে কারণে [[যুক্তফ্রন্ট]] সরকার ভেঙ্গে দেওয়ার পরে অন্যান্য নেতা-কর্মীর সাথে রমেশ শীলকেও গ্রেফতার করা হয়। তার ‘ভোট রহস্য’ পুস্তিকাটি বাজেয়াপ্ত করে কেন্দ্রীয় সরকার। কবি দীর্ঘ্যদিন কারাভোগ করেন এসময়। [[১৯৫৮]] সালে [[পাকিস্তান|পাকিস্তানের]] সামরিক সাসনের বিরধিতা করায় রমেশ শীলের সাহিত্য ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়। শেষ জীবনে কবি নিদারুণ অর্থ কষ্টের সম্মুখিন হন। কবির প্রথম স্ত্রী ছিলেন অপূর্ববালা, এবং দ্বিতীয় স্ত্রী অবলাবালা। এ ঘরে কবির চার পুত্র ও এক কন্যা জন্মলাভ করে। |
[[১৯৩৮]] সালে বাংলা কবিগানের ইতিহাসে প্রথম সমিতি গঠিত হয় রমেশ শীলের উদ্যোগে। কবিয়ালদের এই সমিতির নাম রাখা হয় ‘রমেশ উদ্বোধন কবি সংঘ’। অশ্লীলতা মুক্ত [[কবিগান]] ছিল এ সমিতির অন্যতম লক্ষ্য। [[১৯৪৪]] সালে কবি কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ করেন। [[১৯৪৮]] সালে শ্রদ্ধানন্দ পার্কে কবিকে সম্বর্ধিত ও ‘বঙ্গের শ্রেষ্ঠতম কবিয়াল’ উপাধিতে ভুষিত করা হয়। [[১৯৫৪]] সালে প্রাদেশিক নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের পক্ষে জোরাল অবস্থান নিয়েছিলেন। যে কারণে [[যুক্তফ্রন্ট]] সরকার ভেঙ্গে দেওয়ার পরে অন্যান্য নেতা-কর্মীর সাথে রমেশ শীলকেও গ্রেফতার করা হয়। তার ‘ভোট রহস্য’ পুস্তিকাটি বাজেয়াপ্ত করে কেন্দ্রীয় সরকার। কবি দীর্ঘ্যদিন কারাভোগ করেন এসময়। [[১৯৫৮]] সালে [[পাকিস্তান|পাকিস্তানের]] সামরিক সাসনের বিরধিতা করায় রমেশ শীলের সাহিত্য ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়। শেষ জীবনে কবি নিদারুণ অর্থ কষ্টের সম্মুখিন হন। কবির প্রথম স্ত্রী ছিলেন অপূর্ববালা, এবং দ্বিতীয় স্ত্রী অবলাবালা। এ ঘরে কবির চার পুত্র ও এক কন্যা জন্মলাভ করে। |
||
১০ নং লাইন: | ১৯ নং লাইন: | ||
==সাহিত্য ধারা== |
==সাহিত্য ধারা== |
||
প্রথম দিকে প্রথাগত কবিয়ালদের মত রমেশ শীল পুরাণ ও কিংবদন্তী নির্ভর গান বাধতেন। তখন তার গানের বিষয় ছিল নারী-পুরুষ, সত্য-মিথ্যা, গুরু-শিষ্য, সাধু-গেরস্থ ইত্যাদি কেন্দ্রিক। পরবর্তি কালে সমাজতান্ত্রিক আদর্শে অনুপ্রাণিত কবি প্রবলভাবে সমাজ সচেতন হয়ে ওঠেন। কবিগানের বিষয়বস্তুতে আসে আমুল পরিবর্তন। যুদ্ধ-শান্তি, চাষী-মযুদদার, মহাজন-খাতক, স্বৈরতন্ত্র-গনতন্ত্র, এসব হয়ে যায় কবিগানের উপজীব্য। |
প্রথম দিকে প্রথাগত কবিয়ালদের মত রমেশ শীল পুরাণ ও কিংবদন্তী নির্ভর গান বাধতেন। তখন তার গানের বিষয় ছিল নারী-পুরুষ, সত্য-মিথ্যা, গুরু-শিষ্য, সাধু-গেরস্থ ইত্যাদি কেন্দ্রিক। পরবর্তি কালে সমাজতান্ত্রিক আদর্শে অনুপ্রাণিত কবি প্রবলভাবে সমাজ সচেতন হয়ে ওঠেন। কবিগানের বিষয়বস্তুতে আসে আমুল পরিবর্তন। যুদ্ধ-শান্তি, চাষী-মযুদদার, মহাজন-খাতক, স্বৈরতন্ত্র-গনতন্ত্র, এসব হয়ে যায় কবিগানের উপজীব্য। |
||
<ref name= রমেশ শীল :জীবনী সিরিজ ৮ ।>{{cite book |
|||
| last = শাহেদ |
|||
| first = সৈয়দ মোহাম্মদ |
|||
| year = নভেম্বর ১৯৮৭ |
|||
| title = রমেশ শীল |
|||
| publisher = বাংলাদেশ শিশু একাডেমি |
|||
| pages = ১৪-১৫ |
|||
}}</ref> |
|||
কবিগানের ভাষা ও পরিবেশনা থেকে অশ্লীলতা বিসর্জনে কবি ছিলেন সদা সতেষ্ট। স্থুল অঙ্গভঙ্গি ও কুরুচিপূর্ণ শব্দযোগে যৌনতার পরিবেশন ছিল কবিগানে আসল আকর্ষণ। রমেশ শীলের শিল্পীত উপস্থাপন ও মার্জিত শব্দচয়ন কবিগানে রুচিশীলতার এক বিরল দৃষ্টান্ত। |
কবিগানের ভাষা ও পরিবেশনা থেকে অশ্লীলতা বিসর্জনে কবি ছিলেন সদা সতেষ্ট। স্থুল অঙ্গভঙ্গি ও কুরুচিপূর্ণ শব্দযোগে যৌনতার পরিবেশন ছিল কবিগানে আসল আকর্ষণ। রমেশ শীলের শিল্পীত উপস্থাপন ও মার্জিত শব্দচয়ন কবিগানে রুচিশীলতার এক বিরল দৃষ্টান্ত। |
||
১৮ নং লাইন: | ৩৫ নং লাইন: | ||
==তথ্যসূত্র== |
==তথ্যসূত্র== |
||
{{reflist}} |
|||
সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ :রমেশ শীল,বাংলাদেশ শিশু একাডেমি নভেম্বর ১৯৮৭<br /> |
|||
রমেশ শীল রচনাবলী : সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ সম্পা।,বাংলা একাডেমি মার্চ ১৯৯৩ |
|||
[[category:বাঙালি কবি]] |
[[category:বাঙালি কবি]] |
১৪:২৬, ১২ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
রমেশ শীল বা কবিয়াল রমেশ শীল (বাং ২৬শে বৈশাখ ১২৮৪ চট্টগ্রাম জেলা - ২৩শে চৈত্র ১৩৭৩, ইং ১৮৭৭ - এপ্রিল ৬, ১৯৬৭) বাংলা কবিগানের অন্যতম রূপকার।কবিগানের লোকায়ত ঐতিহ্যের সাথে আধুনিক সমাজ সচেতনতার সার্থক মেলবন্ধন ঘটিয়ে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন।
জীবন ও কর্ম
কবির বাবার নাম চন্ডিচরণ শীল। এগার বছর বয়সে পিতার আকস্মিক মৃত্যুতে পরিবারের সকল দায়িত্ব এসে পড়ে কবির কাধে, কবি তখন ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র । কবির প্রাতিষ্ঠানিক পরিসমাপ্তি এখানেই। তার নিজের লেখণীতে রয়েছে,
আমিই বালক, চালক,পালক, আমার আর কেহ নাই। মায়ের অলংকার সম্বল আমার বিক্রি করে খাই'
প্রাথমিকভাবে জীবিকা হিসাবে পারিবারিক পেশা কবিরাজি চিকিৎসাকে গ্রহণ করেছিলেন। ঘটনাক্রমে কোনরকম পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়াই ১৮৯৭ সালে প্রথম মঞ্চে কবিগান পরিবেশণ করেন এবং সমাদৃত হন। ১৮৯৯ সালে কবিগান পরিবেশনায় প্রতিদ্বন্দী তিনজন কবিয়ালকে পরাজিত করলে উদ্যোক্তা ও শ্রোতাকূলের কাছ থেকে মোট তের টাকা সন্মানী লাভ করেন, যা পেশা হিসাবে পরবর্তিকালে কবিগানকে বেছে নিতে রমেশ শীলকে অনুপ্রানিত করে। [১]
১৯৩৮ সালে বাংলা কবিগানের ইতিহাসে প্রথম সমিতি গঠিত হয় রমেশ শীলের উদ্যোগে। কবিয়ালদের এই সমিতির নাম রাখা হয় ‘রমেশ উদ্বোধন কবি সংঘ’। অশ্লীলতা মুক্ত কবিগান ছিল এ সমিতির অন্যতম লক্ষ্য। ১৯৪৪ সালে কবি কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ করেন। ১৯৪৮ সালে শ্রদ্ধানন্দ পার্কে কবিকে সম্বর্ধিত ও ‘বঙ্গের শ্রেষ্ঠতম কবিয়াল’ উপাধিতে ভুষিত করা হয়। ১৯৫৪ সালে প্রাদেশিক নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের পক্ষে জোরাল অবস্থান নিয়েছিলেন। যে কারণে যুক্তফ্রন্ট সরকার ভেঙ্গে দেওয়ার পরে অন্যান্য নেতা-কর্মীর সাথে রমেশ শীলকেও গ্রেফতার করা হয়। তার ‘ভোট রহস্য’ পুস্তিকাটি বাজেয়াপ্ত করে কেন্দ্রীয় সরকার। কবি দীর্ঘ্যদিন কারাভোগ করেন এসময়। ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের সামরিক সাসনের বিরধিতা করায় রমেশ শীলের সাহিত্য ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়। শেষ জীবনে কবি নিদারুণ অর্থ কষ্টের সম্মুখিন হন। কবির প্রথম স্ত্রী ছিলেন অপূর্ববালা, এবং দ্বিতীয় স্ত্রী অবলাবালা। এ ঘরে কবির চার পুত্র ও এক কন্যা জন্মলাভ করে।
সাহিত্য ধারা
প্রথম দিকে প্রথাগত কবিয়ালদের মত রমেশ শীল পুরাণ ও কিংবদন্তী নির্ভর গান বাধতেন। তখন তার গানের বিষয় ছিল নারী-পুরুষ, সত্য-মিথ্যা, গুরু-শিষ্য, সাধু-গেরস্থ ইত্যাদি কেন্দ্রিক। পরবর্তি কালে সমাজতান্ত্রিক আদর্শে অনুপ্রাণিত কবি প্রবলভাবে সমাজ সচেতন হয়ে ওঠেন। কবিগানের বিষয়বস্তুতে আসে আমুল পরিবর্তন। যুদ্ধ-শান্তি, চাষী-মযুদদার, মহাজন-খাতক, স্বৈরতন্ত্র-গনতন্ত্র, এসব হয়ে যায় কবিগানের উপজীব্য।
উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref>
ট্যাগে অবৈধ প্যারামিটার
কবিগানের ভাষা ও পরিবেশনা থেকে অশ্লীলতা বিসর্জনে কবি ছিলেন সদা সতেষ্ট। স্থুল অঙ্গভঙ্গি ও কুরুচিপূর্ণ শব্দযোগে যৌনতার পরিবেশন ছিল কবিগানে আসল আকর্ষণ। রমেশ শীলের শিল্পীত উপস্থাপন ও মার্জিত শব্দচয়ন কবিগানে রুচিশীলতার এক বিরল দৃষ্টান্ত। দেশাত্মবোধ, দুর্ভিক্ষ-মনন্তর, ঔপনিবেশিক বিরোধী আন্দোলন তার গানের ভাষায় উঠে এসেছে জোরালো ভাবে। যেমন- ‘ব্যবসার ছলে বণিক এল/ ডাকাত সেজে লুট করিল/ মালকোঠার ধন হরে নিল- আমারে সাজায়ে বোকা;/ কৃষক মজদুর একযোগেতে/ হাত মেলালে হাতে হাতে/ শ্বেতাঙ্গ দুষমনের হতে- যাবে জীবন রাখা’। অথবা- ‘দেশ জ্বলে যায় দুর্ভিক্ষের আগুনে/ এখনো লোকে জাগিল না কেনে’। কবির দেশাত্মবোধ ছিল সুগভীর – ‘বাংলার জন্য জীবন গেলে হব স্বর্গবাসি/ আমার বাংলার দাবি ঠিক থাকিবে যদিও হয় ফাসি’।
প্রকাশিত গ্রন্থ
রমেশ শীল রচিত পুস্তক সংখ্যা সম্পর্কে নির্ভূল তথ্য পাওয়া যায় না। যেসকল গ্রন্থের নাম পাওয়া যায় তার মধ্যে আশেকমালা, শান্তিভান্ডার, নুরে দুনিয়া, দেশের গান, ভোট রহস্য, চট্টল পরিচয়, ভান্ডারে মওলা, জীবন সাথী, মুক্তির দরবার, মানব বন্ধু, চাটগায়ের পল্লীগীতি ১ম ও ২য় ভাগ ইত্যাদী উল্লেখযোগ্য।
তথ্যসূত্র
- ↑ সম্পা শাহেদ, সৈয়দ মোহাম্মদ (১৯৯৩)। রমেশ শীল রচনাবলী। বাংলা একাডেমি। পৃষ্ঠা ১১। ISBN 984-07-2745-1।