গিফু প্রশাসনিক অঞ্চল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
'''গিফু প্রশাসনিক অঞ্চল''' (岐阜県<sup>[[উইকিপিডিয়া:বাংলা ভাষায় জাপানি শব্দের প্রতিবর্ণীকরণ|?]]</sup> ''গিফু কেন্‌'') হল [[জাপান|জাপানের]] মূল দ্বীপ [[হোনশু|হোনশুর]] [[চুউবু অঞ্চল|চুউবু অঞ্চলে]] অবস্থিত একটি [[জাপানের প্রশাসনিক অঞ্চল|প্রশাসনিক অঞ্চল]]।<ref>Nussbaum, Louis-Frédéric. (2005). "Gifu-ken" in {{Google books|p2QnPijAEmEC|''Japan Encyclopedia'', p. 246|page=246}}; "Chūbu" in {{Google books|p2QnPijAEmEC|p. 126|page=126}}</ref> এর রাজধানী গিফু নগর।<ref>Nussbaum, "Gifu" in {{Google books|p2QnPijAEmEC|p. 246|page=246}}</ref>
{{কাজ চলছে}}

'''গিফু প্রশাসনিক অঞ্চল''' (岐阜県<sup>[[উইকিপিডিয়া:বাংলা ভাষায় জাপানি শব্দের প্রতিবর্ণীকরণ|?]]</sup> ''গিফু কেন্‌'') হল জাপানের মূল দ্বীপ হোনশুর চুউবু অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।<ref>Nussbaum, Louis-Frédéric. (2005). "Gifu-ken" in {{Google books|p2QnPijAEmEC|''Japan Encyclopedia'', p. 246|page=246}}; "Chūbu" in {{Google books|p2QnPijAEmEC|p. 126|page=126}}</ref> এর রাজধানী গিফু নগর।<ref>Nussbaum, "Gifu" in {{Google books|p2QnPijAEmEC|p. 246|page=246}}</ref>


== ইতিহাস ==
== ইতিহাস ==
গিফু প্রাচীন কাল থেকে জাপানের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ অনেক যুদ্ধেরও ঘটনাস্থল ছিল এখানেই। চতুর্থ শতাব্দীতে এখানে য়ামাতো রাজসভার আসন স্থাপিত হয়। ৬৭২ খ্রিঃ জিন্‌শিন যুদ্ধের মাধ্যমে সম্রাট তেম্মু জাপানের চত্বারিংশ (চল্লিশ তম) সম্রাট হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
গিফু প্রাচীন কাল থেকে জাপানের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ অনেক যুদ্ধেরও ঘটনাস্থল ছিল এখানেই। চতুর্থ শতাব্দীতে এখানে য়ামাতো রাজসভার আসন স্থাপিত হয়। ৬৭২ খ্রিঃ জিন্‌শিন যুদ্ধের মাধ্যমে সম্রাট তেম্মু জাপানের চত্বারিংশ (চল্লিশ তম) সম্রাট হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।


আধুনিক গিফু প্রশাসনিক অঞ্চল অতীতে হিদা ও মিনো প্রদেশ এবং এচিযেন ও শিনানো প্রদেশের অংশবিশেষে বিভক্ত ছিল।<ref>Nussbaum, "Provinces and prefectures" in {{Google books|p2QnPijAEmEC|p. 780|page=780}}</ref> এর বর্তমান রাজধানী গিফু নগরের নামকরণ হয় ১৫৬৭ খ্রিঃ যখন ওদা নোবুনাগা তাঁর সমগ্র জাপানের একত্রীকরণ অভিযান উপলক্ষ্যে এই নগরের নামকরণ করেন।<ref name="kashimoristone">Stone ledger in front of [[Kashimori Shrine]]. Erected by Kashimori Shrine.</ref> গিফু নামটি লিখতে ব্যবহৃত দুটি চিত্রাক্ষরের প্রথমটি আসে ঐতিহাসিক কিশান পর্বত ('''岐'''山) থেকে; কিশান পর্বত প্রাচীন চীনের একত্রীকরণ সংক্রান্ত কিংবদন্তী বিশেষ। দ্বিতীয় অক্ষরটি আসে কনফুশিয়াসের জন্মস্থান কুফু (曲'''阜''') অঞ্চলের নাম থেকে।<ref name="gkankou">[http://www.kankou-gifu.jp/en/outline/index.html Gifu tour guide – Outline of Gifu Prefecture] {{webarchive|url=https://web.archive.org/web/20111001133648/http://www.kankou-gifu.jp/en/outline/index.html|date=October 1, 2011}}. Gifu Prefecture Tourist Federation. Accessed September 9, 2007.</ref> অনুমান করা যায়, নোবুনাগা জাপানের একত্রীকরণ চেয়েছিলেন বলে এই চিত্রাক্ষরগুলি নির্বাচন করেন।
আধুনিক গিফু প্রশাসনিক অঞ্চল অতীতে হিদা ও মিনো প্রদেশ এবং এচিযেন ও শিনানো প্রদেশের অংশবিশেষে বিভক্ত ছিল।<ref>Nussbaum, "Provinces and prefectures" in {{Google books|p2QnPijAEmEC|p. 780|page=780}}</ref> এর বর্তমান রাজধানী গিফু নগরের নামকরণ হয় ১৫৬৭ খ্রিঃ যখন ওদা নোবুনাগা তাঁর সমগ্র জাপানের একত্রীকরণ অভিযান উপলক্ষ্যে এই নগরের নামকরণ করেন।<ref name="kashimoristone">Stone ledger in front of [[Kashimori Shrine]]. Erected by Kashimori Shrine.</ref> গিফু নামটি লিখতে ব্যবহৃত দুটি চিত্রাক্ষরের প্রথমটি আসে ঐতিহাসিক কিশান পর্বত ('''岐'''山) থেকে; কিশান পর্বত প্রাচীন চীনের একত্রীকরণ সংক্রান্ত কিংবদন্তী বিশেষ। দ্বিতীয় অক্ষরটি আসে [[কনফুসিয়াস|কনফুশিয়াসের]] জন্মস্থান কুফু (曲'''阜''') অঞ্চলের নাম থেকে।<ref name="gkankou">[http://www.kankou-gifu.jp/en/outline/index.html Gifu tour guide – Outline of Gifu Prefecture] {{webarchive|url=https://web.archive.org/web/20111001133648/http://www.kankou-gifu.jp/en/outline/index.html|date=October 1, 2011}}. Gifu Prefecture Tourist Federation. Accessed September 9, 2007.</ref> অনুমান করা যায়, নোবুনাগা জাপানের একত্রীকরণ চেয়েছিলেন বলে এই চিত্রাক্ষরগুলি নির্বাচন করেন।


== ভূগোল ==
== ভূগোল ==
স্থলবেষ্টিত গিফু প্রশাসনিক অঞ্চলের পার্শ্ববর্তী প্রশাসনিক অঞ্চলগুলি হল আইচি, ফুকুই, ইশিকাওয়া, মিয়ে, নাগানো, শিগা এবং তোয়্যামা। উত্তরের হিদা অঞ্চল পার্বত্য; এখান দিয়ে জাপানি আল্পস পর্বতমালার অংশবিশেষ প্রসারিত হয়েছে। দক্ষিণের মিনো অঞ্চল প্রধানত উর্বর সমতল, নোওবি সমভূমির অংশ। জনবসতির অধিকাংশই দক্ষিণের মনোনীত নগর নাগোয়্যা ও তৎসন্নিহিত অংশে কেন্দ্রীভূত।
স্থলবেষ্টিত গিফু প্রশাসনিক অঞ্চলের পার্শ্ববর্তী প্রশাসনিক অঞ্চলগুলি হল [[আইচি প্রশাসনিক অঞ্চল|আইচি]], [[ফুকুই প্রশাসনিক অঞ্চল|ফুকুই]], [[ইশিকাওয়া প্রশাসনিক অঞ্চল|ইশিকাওয়া]], [[মিয়ে প্রশাসনিক অঞ্চল|মিয়ে]], [[নাগানো প্রশাসনিক অঞ্চল|নাগানো]], [[শিগা প্রশাসনিক অঞ্চল|শিগা]] এবং [[তোয়্যামা প্রশাসনিক অঞ্চল|তোয়্যামা]]। উত্তরের হিদা অঞ্চল পার্বত্য; এখান দিয়ে জাপানি আল্পস পর্বতমালার অংশবিশেষ প্রসারিত হয়েছে। দক্ষিণের মিনো অঞ্চল প্রধানত উর্বর সমতল, নোওবি সমভূমির অংশ। জনবসতির অধিকাংশই দক্ষিণের মনোনীত নগর [[নাগোয়্যা]] ও তৎসন্নিহিত অংশে কেন্দ্রীভূত।


=== জলবায়ু ===
=== জলবায়ু ===

১৩:৪৬, ৩০ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

গিফু প্রশাসনিক অঞ্চল (岐阜県? গিফু কেন্‌) হল জাপানের মূল দ্বীপ হোনশুর চুউবু অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল[১] এর রাজধানী গিফু নগর।[২]

ইতিহাস

গিফু প্রাচীন কাল থেকে জাপানের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ অনেক যুদ্ধেরও ঘটনাস্থল ছিল এখানেই। চতুর্থ শতাব্দীতে এখানে য়ামাতো রাজসভার আসন স্থাপিত হয়। ৬৭২ খ্রিঃ জিন্‌শিন যুদ্ধের মাধ্যমে সম্রাট তেম্মু জাপানের চত্বারিংশ (চল্লিশ তম) সম্রাট হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।

আধুনিক গিফু প্রশাসনিক অঞ্চল অতীতে হিদা ও মিনো প্রদেশ এবং এচিযেন ও শিনানো প্রদেশের অংশবিশেষে বিভক্ত ছিল।[৩] এর বর্তমান রাজধানী গিফু নগরের নামকরণ হয় ১৫৬৭ খ্রিঃ যখন ওদা নোবুনাগা তাঁর সমগ্র জাপানের একত্রীকরণ অভিযান উপলক্ষ্যে এই নগরের নামকরণ করেন।[৪] গিফু নামটি লিখতে ব্যবহৃত দুটি চিত্রাক্ষরের প্রথমটি আসে ঐতিহাসিক কিশান পর্বত (山) থেকে; কিশান পর্বত প্রাচীন চীনের একত্রীকরণ সংক্রান্ত কিংবদন্তী বিশেষ। দ্বিতীয় অক্ষরটি আসে কনফুশিয়াসের জন্মস্থান কুফু (曲) অঞ্চলের নাম থেকে।[৫] অনুমান করা যায়, নোবুনাগা জাপানের একত্রীকরণ চেয়েছিলেন বলে এই চিত্রাক্ষরগুলি নির্বাচন করেন।

ভূগোল

স্থলবেষ্টিত গিফু প্রশাসনিক অঞ্চলের পার্শ্ববর্তী প্রশাসনিক অঞ্চলগুলি হল আইচি, ফুকুই, ইশিকাওয়া, মিয়ে, নাগানো, শিগা এবং তোয়্যামা। উত্তরের হিদা অঞ্চল পার্বত্য; এখান দিয়ে জাপানি আল্পস পর্বতমালার অংশবিশেষ প্রসারিত হয়েছে। দক্ষিণের মিনো অঞ্চল প্রধানত উর্বর সমতল, নোওবি সমভূমির অংশ। জনবসতির অধিকাংশই দক্ষিণের মনোনীত নগর নাগোয়্যা ও তৎসন্নিহিত অংশে কেন্দ্রীভূত।

জলবায়ু

গিফুর জলবায়ু দক্ষিণে আর্দ্র উপক্রান্তীয় থেকে উত্তরে আর্দ্র মহাদেশীয় জলবায়ু অঞ্চলে পরিবর্তিত হয়।

মিনো অঞ্চল নিচু পর্বত দ্বারা বেষ্টিত হওয়ায় কিছুটা চরমভাবাপন্ন। পূর্বের তাজিমি নগরে প্রায়ই জাপানের উষ্ণতম গ্রীষ্মকাল পরিলক্ষিত হয়। এই নগরের গ্রীষ্মকালীন গড় উষ্ণতা ৩৪.১⁰ সেলসিয়াস। ২০০৭ এর ১৬ই আগস্ট জাপানের ইতিহাসে উষ্ণতম দিন হিসেবে তাজিমিতে ৪০.৯⁰ সেলসিয়াস উষ্ণতা নথিভুক্ত হয়।[৬] হিদা অঞ্চলে শীতকাল জোরালো; বিশেষত উত্তরের পার্বত্যাঞ্চলে প্রবল তুষারপাত হয়।

অর্থনীতি

গিফু প্রশাসনিক অঞ্চলে মজবুত - এমনকি যুদ্ধে ব্যবহারের মত মজবুত কাগজ প্রস্তুতি[৭] ও কৃষির মত প্রথাগত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড থাকলেও বর্তমানে আকাশযান ও স্থলযান নির্মাণের মত কারিগরী শিল্প প্রধান হয়ে উঠেছে। নাগোয়্যা নগরের লাগোয়া অঞ্চল সম্পূর্ণ শিল্পায়িত। ক্ষুদ্র শিল্পের মধ্যে আছে ডাই শিল্প, ছাঁচ নির্মাণ ও প্লাস্টিক প্রক্রিয়াকরণ।

পর্যটন

গিফুতে অনেক পর্যটন কেন্দ্র আছে, যাদের মধ্যে প্রধান হল শিরাকাওয়ার ঐতিহাসিক গ্রামপুঞ্জ। এই গ্রামগুলি ইউনেস্কো নির্দিষ্ট বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান।

তথ্যসূত্র

  1. Nussbaum, Louis-Frédéric. (2005). "Gifu-ken" in গুগল বইয়ে Japan Encyclopedia, p. 246, পৃ. 246,; "Chūbu" in গুগল বইয়ে p. 126, পৃ. 126,
  2. Nussbaum, "Gifu" in গুগল বইয়ে p. 246, পৃ. 246,
  3. Nussbaum, "Provinces and prefectures" in গুগল বইয়ে p. 780, পৃ. 780,
  4. Stone ledger in front of Kashimori Shrine. Erected by Kashimori Shrine.
  5. Gifu tour guide – Outline of Gifu Prefecture ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত অক্টোবর ১, ২০১১ তারিখে. Gifu Prefecture Tourist Federation. Accessed September 9, 2007.
  6. Gifu Prefecture sees highest temperature ever recorded in Japan – 40.9 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত আগস্ট ১৮, ২০১৬ তারিখে – Japan News Review ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত অক্টোবর ১৯, ২০১৬ তারিখে
  7. The Fire Balloons ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত মার্চ ৩, ২০১৬ তারিখে. Greg Goebel. Accessed November 23, 2007.