জ্যাকব টাওয়ার
জ্যাকব টাওয়ার | |
---|---|
সাধারণ তথ্য | |
অবস্থান | কলেজ রোড, চরফ্যাশন সদর, চর ফ্যাশন, ভোলা, বাংলাদেশ |
নির্মাণকাজের প্রাক্কলিত সমাপ্তি | ১৬ জানুয়ারি, ২০১৮ |
কার্যারম্ভ | ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১২ |
নির্মাণব্যয় | ২০ কোটি টাকা (প্রায়) |
স্বত্বাধিকারী | চরফ্যাশন পৌরসভা |
ব্যবস্থাপনা | চরফ্যাশন পৌরসভা |
উচ্চতা | |
শুঙ্গ বা শিখর পর্যন্ত | ২২৫ ফুট |
কারিগরী বিবরণ | |
তলার সংখ্যা | ১৬ |
উত্তোলক (লিফট) সংখ্যা | ১ টি |
নকশা এবং নির্মাণ | |
স্থপতি | কামরুজ্জামান লিটন |
জ্যাকব টাওয়ার বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের ভোলা দ্বীপের চরফ্যাশন শহরে অবস্থিত পর্যটকদের জন্য নির্মিত একটি ওয়াচ টাওয়ার। এ টাওয়ার থেকে চারপাশের ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।[১] এটি বাংলাদেশ ও উপমহাদেশের সবচেয়ে উঁচু ওয়াচ টাওয়ার গুলোর মধ্যে একটি।[২] আইফেল টাওয়ারের আদলে নির্মিত ১৬ তলা বিশিষ্ট এই ওয়াচ টাওয়ারে প্রতিটি তলায় ৫০ জন ও পুরো টাওয়ারে ৫০০ জন দর্শক অবস্থান করতে পারবেন।
অবস্থান[সম্পাদনা]
ভোলা জেলা শহর থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরের উপকূল ঘেঁষে উপজেলা শহর চরফ্যাশন কলেজ রোডে খাসমহল মসজিদের সামনে ওয়াচ টাওয়ারটি অবস্থিত।[৩]
নামকরণ[সম্পাদনা]
নির্মাণের শুরুতে এর নাম জ্যাকব টাওয়ার ছিলো না। গত ১৮ মে ২০১৭ নির্মাণাধীন টাওয়ার পরিদর্শনে এসে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ টাওয়ারটির নির্মাণশৈলী আর নান্দনিক সৌন্দর্যে অভিভূত হয়ে তিনি এর নাম দেন ‘জ্যাকব টাওয়ার’। ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের নামে টাওয়ারটির নামকরণ করা হয়।[৪]
নির্মাণ ও গঠন[সম্পাদনা]
২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই টাওয়ার নির্মাণের কাজ শুরু হয়। টাওয়ার নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় ২০ কোটি টাকা। এর উচ্চতা ২২৫ ফুট। ১ একর জমিতে টাওয়ার নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে চরফ্যাশন পৌরসভা। টাওয়ারটির নকশা করেছেন স্থপতি কামরুজ্জামান লিটন। মাটির ৭৫ ফুট নিচ থেকে ঢালাই-পাইলিং ফাউন্ডেশনের ওপর সম্পূর্ণ ইস্পাত নির্মিত এই টাওয়ার ৮ মাত্রার ভূমিকম্প সহ্য করতে পারে। ভূমির উপর থেকে টাওয়ারের ওপরে অবস্থিত গম্বুজ আকৃতির ওয়াচ পয়েন্ট পর্যন্ত চারদিকে অ্যালুমিনিয়ামের ওপর রয়েছে ৫ মিলিমিটার ব্যাসের স্বচ্ছ কাঁচ। এর চূড়ায় ওঠার জন্য সিঁড়ির পাশাপাশি রয়েছে ক্যাপসুল লিফট। টাওয়ার চূড়ায় স্থাপন করা হয়েছে উচ্চক্ষমতার বাইনোকুলার। এর সাহায্যে পর্যটকরা দূরবর্তী স্থান দেখতে পারবেন।[৫]
পর্যটন[সম্পাদনা]
জ্যাকব টাওয়ারের শীর্ষ থেকে আশেপাশে প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা দেখা যায়। দূরের স্থান স্পষ্ট ভাবে দেখার জন্য বাইনোকুলারের ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে থেকে দেখা যাবে সংরক্ষিত বনাঞ্চল চর কুকরি-মুকরি, তারুয়া সৈকত, স্বপ্নদ্বীপ মনপুরার চর পিয়াল, হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ আর বঙ্গোপসাগর।[৬]
চিত্র[সম্পাদনা]
-
জ্যাকব টাওয়ারের উপর থেকে দেখা ফ্যাশন চত্বর
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "জ্যাকব টাওয়ার ঘিরে এ যেন পর্যটন মেলা"। কালের কন্ঠ। ২০১৮-০৮-৩১। ২০১৮-০৯-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-০১।
- ↑ "উপমহাদেশের সর্বোচ্চ ওয়াচ টাওয়ার ভোলায়"। https://wwww.jagonews24.com। ২০২০-১২-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৮।
|ওয়েবসাইট=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য) - ↑ "ভোলায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্বাধুনিক জ্যাকব টাওয়ারের উদ্বোধন আজ | banglatribune.com"। বাংলা ট্রিবিউন। ২০১৮-০৮-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-০১।
- ↑ "পর্যটন সম্ভাবনার দ্বার খুলবে চরফ্যাশন জ্যাকব টাওয়ার"। যুগান্তর। ২০২০-১২-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-০১।
- ↑ "খুলে দেওয়া হচ্ছে জ্যাকব টাওয়ার, প্রবেশ ফি ১০০০ টাকা"। আমাদের সময়। ২০২০-১২-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-০১।
- ↑ "পর্যটনে নতুন দিগন্ত জ্যাকব টাওয়ার: রাষ্ট্রপতি"। ঢাকা টাইমস। ২০২০-১২-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-০১।