চিত্রিত পি-উ
চিত্রিত পিউ | |
---|---|
অপ্রজননকালীন চিত্রিত পিউ | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | প্রাণীজগৎ |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | পক্ষী |
বর্গ: | Charadriiformes |
পরিবার: | Scolopacidae |
গণ: | Tringa |
প্রজাতি: | T. erythropus |
দ্বিপদী নাম | |
Tringa erythropus (পালাস, ১৭৬৪) |
চিত্রিত পিউ (বৈজ্ঞানিক নাম: Tringa erythropus), তিলা লালপা বা চিট্টো পি-উ Scolopacidae (স্কলোপ্যাসিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত Tringa (ট্রিঙ্গা) গণের অন্তর্ভুক্ত এক প্রজাতির পানিকাটা পাখি।[২][৩][৪] পাখিটি বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও ইউরোপ, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে দেখা যায়। চিত্রিত পিউর বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ লালপায়ের জলচর পাখি (গ্রিক: trungas = অ্যারিস্টটল বর্ণিত জলচর পাখি, eruthropous = লাল পায়ের)।[৪] সারা পৃথিবীতে এক বিশাল এলাকা জুড়ে এরা বিস্তৃত, প্রায় ৩৭ লক্ষ ২০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এদের আবাস।[৫] বিগত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে, আশঙ্কাজনক পর্যায়ে যেয়ে পৌঁছেনি। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে।[১] বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতিটিকে সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয় নি।[৪]
আকার
[সম্পাদনা]পিউ পাখির মাপ ৩৩ সেন্টিমিটার। বুক ও পেট সাদা রঙের, কপাল,মাথা ও ঘাড় ছাই-বাদামি রঙের, পিঠ চকচকে ছাই-ধূসর, তার ওপর অসংখ্য সাদাটে ছিট-ছোপ থাকে। পা লম্বা, পায়ের রং কমলা-হলুদ, লম্বা নলাকার ঠোঁটের গোড়া লাল, বাকিটা কালচে ধূসর। চোখের ওপর দিয়ে চওড়া সাদা একটি টান আছে। লেজের গোড়ার উপরিভাগ সাদা। লেজের আগার দিকের ওপরে সুবিন্যস্তভাবে সাদা ও কালো রেখা আড়াআড়িভাবে টানা। পালকের উপরিভাগের পেছন দিকে সাদা সাদা ছোট ছোট চৌকো ছোপ আঁকা।[২]
খাদ্য
[সম্পাদনা]পিউ পাখির মূল খাদ্য এদের কুচোমাছ, ব্যাঙাচি, জলজ পোকা,পতঙ্গ,লার্ভা ও সুতোপোকা ইত্যাদি। ছোট গুগলি শামুকও খায়।[২]
স্বভাব
[সম্পাদনা]পিউ পাখি জোড়ায় চলে, ছোট দলে বা বড় দলে চলে এরা। ভালো সাঁতার জানে। লম্বা ঠোঁট জলের তলার কাদায় সেধিয়ে দিয়ে সামনে-পেছনে ও ডানে-বাঁয়ে চালাতে ওস্তাদ। প্রয়োজনে ডুবও দেয়। এক পায়ে ভর করে ঘুমায়। সতর্ক এই পাখি হাওর,বিল,মাঠ,ঝিলসহ উপকূলেও চরে।[২]
প্রজনন
[সম্পাদনা]প্রজনন ঋতুতে রং হয় কালো, পিঠ-ডানা ও লেজের উপরিভাগে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম সাদা ছিট থাকে অসংখ্য। পা হয় আলতা লাল রঙের।[২]
গ্যালারি
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ BirdLife International (২০১২)। "Tringa erythropus"। বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2012.1। প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১২।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ পি-উ ডাকে পিউ পিউ, শরীফ খান, দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: নভেম্বর ০৪, ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
- ↑ রেজা খান (২০০৮)। বাংলাদেশের পাখি। ঢাকা: বাংলা একাডেমী। পৃষ্ঠা ৭৩। আইএসবিএন 9840746901।
- ↑ ক খ গ জিয়া উদ্দিন আহমেদ (সম্পা.) (২০০৯)। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ: পাখি, খণ্ড: ২৬। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ১৭৩।
- ↑ "Tringa erythropus"। BirdLife International। ২০১৩-১০-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৯-১৮।
গ্রন্থপঞ্জি
[সম্পাদনা]- O'Brien, Michael; Crossley, Richard; Karlson, Kevin (২০০৬)। The Shorebird Guide। New York, NY: Houghton Mifflin। আইএসবিএন 0-618-43294-9।
- Pereira, S. L., & Baker, A. J. (2005). Multiple Gene Evidence for Parallel Evolution and Retention of Ancestral Morphological States in the Shanks (Charadriiformes: Scolopacidae). Condor 107 (3): 514–526. DOI: 10.1650/0010-5422(2005)107[0514:MGEFPE]2.0.CO;2 HTML abstract
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]চিসাম, হিউ, সম্পাদক (১৯১১)। "Redshank"। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ (১১তম সংস্করণ)। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস।