এমিলি ব্লান্ট
এমিলি ব্লান্ট | |
---|---|
Emily Olivia Laura Blunt | |
জন্ম | এমিলি ওলিভিয়া লরা ব্লান্ট ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৩ ওয়ান্ডসওর্থ, লন্ডন, যুক্তরাজ্য |
জাতীয়তা | ইংরেজ |
নাগরিকত্ব |
|
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ২০০১-বর্তমান |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | |
দাম্পত্য সঙ্গী | জন ক্রাসিন্স্কি (বি. ২০১০) |
সন্তান | ২ |
পিতা-মাতা |
|
আত্মীয় | পিটার ব্লান্ট (দাদা) ক্রিসপিন ব্লান্ট (চাচা) |
পুরস্কার | পূর্ণ তালিকা |
এমিলি ওলিভিয়া লরা ব্লান্ট (এমিলি ব্লান্ট নামে পরিচিত; জন্ম: ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৩) হলেন একজন ব্রিটিশ-মার্কিন চলচ্চিত্র ও মঞ্চ অভিনেত্রী। ব্লান্ট তার কর্মজীবন শুরু করেন ২০০১ সালে লন্ডনে মঞ্চস্থ দ্য রয়্যাল ফ্যামিলি মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। ২০০৩ সালে টেলিভিশন চলচ্চিত্র বৌডিকা (ওয়ারিয়র কুইন) দিয়ে টেলিভিশনে অভিষেক হয়। ২০০৪ সালে মাই সামার অফ লাভ চলচ্চিত্রে তার অভিনয়ের জন্য তিনি ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ড ব্রিটিশ চলচ্চিত্র পুরস্কার এ সবচেয়ে সম্ভাবনাময় নতুন মুখের খ্যাতি লাভ করেন। গিডিয়ন্স ডটার (২০০৬) টেলিভিশন চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি সেরা টিভি পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার লাভ করেন। একই বছর তিনি দ্য ডেভিল্স ওয়্যার্স প্রাডা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা চলচ্চিত্র পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার ও বাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
প্রাথমিক জীবন
[সম্পাদনা]এমিলি ১৯৮৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ওয়ান্ডসওর্থ, লন্ডন এ জন্মগ্রহণ করেন।[১][২] তার পিতা অলিভার সিমন পিটার ব্লান্ট ছিলেন একজন ব্যারিস্টার[৩][৪][৫] এবং মাতা জোয়ানা একজন অভিনেত্রী ও শিক্ষক।[৬][৭] তিনি চার ভাই-বোনের মধ্যে দ্বিতীয়।[৮] তার অন্য ভাই-বোনেরা হলেন ফেলিসিটি, সেবাস্টিন, ও সুজানাহ।[৯] তার দাদা পিটার ব্লান্ট ছিলেন একজন মেজর-জেনারেল এবং তার এক চাচা ক্রিসপিন ব্লান্ট কনজারভেটিভ পার্টির সংসদ সদস্য।[১০]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]২০০১-০৪: কর্মজীবনের শুরু
[সম্পাদনা]২০০১ সালের নভেম্বর মাসে স্যার পিটার হলের নির্দেশনায় দ্য রয়্যাল ফ্যামিলি মঞ্চনাটকে জুডি ডেঞ্চের সাথে ব্লান্টের পেশাদারী কর্মজীবন শুরু হয়। এই নাটকে তিনি ডেঞ্চের চরিত্রে ফ্যানি ক্যাভেন্ডিশের নাতনী গোয়েন চরিত্রে অভিনয় করেন। সমালোচক টম কিটিঞ্জ এই নাটকে প্রশংসা করে লিখেন, "পিটার হলের নির্দেশনা ও অ্যান্থনি ওয়ার্ডের সেটের যোগসূত্রের ফলে দ্য রয়্যাল ফ্যামিলি অসাধারণ বিনোদনপূর্ণ একটি রাত উপহার দিয়েছে" এবং লিখেন, "এতে সকল অভিনয়শিল্পীদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ সুন্দর মানসম্পন্ন অভিনয় পাওয়া গেছে।"[১১] ব্লান্ট তার অভিনয়ের জন্য ইভেনিং স্ট্যান্ডার্ডে "শ্রেষ্ঠ নবাগত" হিসেবে ভূষিত হন। ২০০২ সালে তিনি ন্যাশনাল থিয়েটারে নিকোলাস রাইটের ভিনসেন্ট ইন ব্রিক্সটন মঞ্চনাটকে ইউজিনি চরিত্রে এবং চিসেস্টার ফেস্টিভ্যাল থিয়েটারে ইন্ধু রুবাসিঙ্ঘম নির্দেশিত রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট মঞ্চনাটকে জুলিয়েট চরিত্রে অভিনয় করেন।.[১২] ২০০৩ সালে রোমানদের জন্য যুদ্ধ করা প্রাচীন সেল্টিক যুদ্ধা-রানীর জীবনী নিয়ে নির্মিত বোদিকা নাটক দিয়ে তার ব্রিটিশ টেলিভিশনে অভিষেক হয়। একই বছর তিনি দুই খণ্ড বিশিষ্ট ব্রিটিশ টেলিভিশন নাটক এইটথ হেনরি-তে ষোড়শ শতাব্দীর রানী ক্যাথরিন হাওয়ার্ড চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত হন।[১২]
চলচ্চিত্রের তালিকা
[সম্পাদনা]চলচ্চিত্র
[সম্পাদনা]- চাবি
আসন্ন মুক্তি/নির্মাণাধীন |
টেলিভিশন
[সম্পাদনা]বছর | চলচ্চিত্রের শিরোনাম | চরিত্র | টীকা |
---|---|---|---|
২০০৩ | বোদিকা | ইসোলদা | |
২০০৬ | গিডিয়ন্স ডটার | নাতাশা | মনোনীত: গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী - ধারবাহিক, মিনি ধারাবাহিক, বা টেলিচলচ্চিত্র |
২০০৯ | কিউরিসিটি | এমা |
পুরস্কার ও মনোনয়ন
[সম্পাদনা]এমিলি ব্লান্ট গৃহীত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি পুরস্কার ও মনোনয়ন হল:
বছর | পুরস্কারের বিভাগ | মনোনয়নপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র/নাটক | ফলাফল |
---|---|---|---|
২০০৭ | সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী - চলচ্চিত্র | দ্য ডেভিল ওয়ের্স প্রাডা | মনোনীত |
সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী - ধারাবাহিক, মিনি ধারাবাহিক, বা টেলিচলচ্চিত্র | গিডিয়ন্স ডটার | বিজয়ী | |
২০১০ | সেরা অভিনেত্রী - নাট্য চলচ্চিত্র | দ্য ইয়ং ভিক্টোরিয়া | মনোনীত |
২০১৩ | সেরা অভিনেত্রী - কমেডি বা সঙ্গীতধর্মী চলচ্চিত্র | দ্য স্যালমন ফিশিং ইন ইয়েমেন | মনোনীত |
২০১৫ | সেরা অভিনেত্রী - কমেডি বা সঙ্গীতধর্মী চলচ্চিত্র | ইনটু দ্য উডস | মনোনীত |
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Person Details for Emily Olivia L Blunt, "England and Wales Birth Registration Index, 1837-2008" — FamilySearch.org"। familysearch.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ "Emily Blunt: Biography" (ইংরেজি ভাষায়)। টিভি গাইড। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪।
- ↑ Day, Elizabeth (২১ জুন ২০০৯)। "Enter a new leading lady"। দ্য গার্ডিয়ান (ইংরেজি ভাষায়)। London। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০০৯।
- ↑ Stein, Ruthe (২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৭)। "Blunt moves from the runway to the royal family"। সান ফ্রান্সিসকো ক্রনিকল (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০০৯।
- ↑ "Oliver Blunt, Esq, QC Authorised Biography – Debrett's People of Today"। debretts.com। ২ মার্চ ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১৭।
- ↑ Taylor, Ella (১ মার্চ ২০০৯)। "Down to Earth, Even When Off the Wall"। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0362-4331। সংগ্রহের তারিখ ২৮ নভেম্বর ২০১৫।
- ↑ "Emily Blunt interview: on Tom Cruise, her new baby and acting mean"। দ্য টেলিগ্রাফ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৮ নভেম্বর ২০১৫।
- ↑ Taylor, Ella (১ মার্চ ২০০৯)। "Down to Earth, Even When Off the Wall"। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0362-4331। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ Day, Elizabeth। "Elizabeth Day meets young British actress Emily Blunt"। দ্য গার্ডিয়ান (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ "Stanley Tucci Marries Felicity Blunt"। পিপল (ইংরেজি ভাষায়)। ৮ আগস্ট ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০১২।
- ↑ Keatinge, Tom। "The Royal Family"। London Theatre Archive (ইংরেজি ভাষায়)। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- ↑ ক খ "Emily Blunt- Biography"। ইয়াহু মুভিজ (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ মার্চ ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ১৯৮৩-এ জন্ম
- জীবিত ব্যক্তি
- ২১শ শতাব্দীর ইংরেজ অভিনেত্রী
- লন্ডনের অভিনেত্রী
- মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী
- ব্রিটিশ মঞ্চ অভিনেত্রী
- ব্রিটিশ টেলিভিশন অভিনেত্রী
- ইংরেজ কণ্ঠাভিনেত্রী
- ২১শ শতাব্দীর মার্কিন অভিনেত্রী
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইংরেজ অভিবাসী
- অডিওবই পাঠক
- গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার (সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী - টেলিভিশন) বিজয়ী
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্রিটিশ প্রবাসী অভিনেত্রী
- ইংরেজ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী
- স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার (সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী - চলচ্চিত্র) বিজয়ী