চিকবল্লাপুর জেলা
চিক্কাবল্লাপুর জেলা ಚಿಕ್ಕಬಳ್ಳಾಪುರ | |
---|---|
কর্ণাটকের জেলা | |
কর্ণাটক রাজ্যের মধ্যে চিক্কাবল্লাপুর জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ১৩°২৬′ উত্তর ৭৭°৪৩′ পূর্ব / ১৩.৪৩° উত্তর ৭৭.৭২° পূর্ব | |
Country | ভারত |
রাজ্য | কর্ণাটক |
District | চিকবল্লাপুর জেলা |
প্রতিষ্ঠিত | 10 November 2007 |
প্রতিষ্ঠাতা | কর্ণাটক সরকার |
সরকার | |
• জেলা শাসক | শ্রীমতি আর লতা (আই এ এস) |
আয়তন | |
• মোট | ৪,২৪৪ বর্গকিমি (১,৬৩৯ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা [১] | |
• মোট | ১২,৫৫,১০৪ |
• জনঘনত্ব | ৩০০/বর্গকিমি (৭৭০/বর্গমাইল) |
ভাষা | |
• সরকারি | কন্নড় |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+5:30) |
ডাক সূরচক সংখ্যা | 562 101 |
টেলিফোন কোড | ০৮১৫৬ |
যানবাহন নিবন্ধন | Chikkaballapur KA-40 Chintamani KA-67 |
ওয়েবসাইট | http://www.chikballapur.nic.in |
চিক্কাবল্লাপুর জেলা ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের একটি প্রশাসনিক জেলা। তদানীন্তন কর্ণাটকের চতুর্থ বৃহত্তম জেলা কোলার জেলা থেকে গৌরীবিদানুর, গুড়িবাণ্ডা, বাগেপল্লি, চিক্কবল্লাপুর, সিডলঘাট্টা ও চিন্তামণি তালুকগুলিকে আলাদা করে ২০০৭-এর ২৩শে আগস্ট এই নতুন জেলাটি তৈরি করা হয়। জেলার সরকারি ও সর্বাধিক ব্যবহৃত ভাষা কন্নড়। [২][৩]
চিক্কাবল্লাপুর শহরটি জেলা সদর এবং উত্তর ব্যাঙ্গালোর অঞ্চলের একটি মূল পরিবহন কেন্দ্র। উত্তর-দক্ষিণ ছয়-লেন জাতীয় সড়ক ৪৪ (এনএইচ -৪৪) এবং পাশাপাশি পূর্ব-পশ্চিম সড়ক-৬৯টি এই জেলার মধ্য দিয়ে যায়। একটি রেললাইন বেঙ্গালুরু থেকে চিক্কাবল্লাপুরশহর, পূর্বে দোডাগঞ্জুর থেকে শ্রীনিবাসপুর এবং দক্ষিণে কোলার শহর পর্যন্ত বিস্তৃত।
ভোগ নন্দীশ্বর মন্দির একটি হিন্দু মন্দির যা ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের চিক্কাবল্লাপুর জেলার নন্দী পাহাড়ের (বা নন্দীদুর্গা) গোড়ায় নন্দী গ্রামে অবস্থিত।এটি দেবাদিদেব মহাদেব শিবকে উত্সর্গীকৃত একটি মন্দির।
ভূগোল
[সম্পাদনা]চিকবল্লাপুর জেলাটির পূর্ব দিকে রয়েছে তুমকুর জেলা, দক্ষিণ দিকে রয়েছে বেঙ্গালুরু গ্রামীণ জেলা, দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রয়েছে কোলার জেলা, উত্তর দিকে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের অনন্তপুর জেলা এবং পূর্ব দিকে রয়েছে চিত্তুর জেলা৷
ইতিহাস
[সম্পাদনা]একটি জনপ্রিয় কিংবদন্তি অনুসারে, প্রধান অবথিমল্লা বীরগৌড়ার পুত্র মেরিগৌডা একদিন কোডিমাঞ্চলহালির বনে শিকার করছিলেন। তিনি শিকারের কুকুরের সামনে নির্ভয়ে একটি খরগোশকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখতে পেলেন। এতে উচ্ছ্বসিত হয়ে তিনি তার ছেলেকে বলেছিলেন যে এটি স্থানীয় মানুষের সাহসের একটি চিহ্ন। সুতরাং, তিনি বিজয়নগরের রাজার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে একটি দুর্গ এবং একটি শহর নির্মাণ করেছিলেন। এটি সময়ের সাথে সাথে চিক্কাবল্লাপুর শহরে বিকশিত হয়েছিল। বাইচেগৌড়ার শাসনামলে, মহীশুরের রাজা দুর্গে আক্রমণ করেছিলেন কিন্তু মারাঠাদের হস্তক্ষেপের কারণে তাকে সরে যেতে হয়েছিল। বাইচেগৌড়ার পরে ক্ষমতায় আসা ডোড্ডা বাইরেগৌড়া মহীশূরের দখলে নেওয়া অঞ্চলগুলি পুনরুদ্ধার করতে শুরু করেছিলেন। ১৭৬২ খ্রিস্টাব্দে, চিক্কাপানায়কের শাসনকালে, হায়দার আলী তিন মাসের জন্য এই শহর অবরোধ করেছিলেন। তারপরে চিক্কাপনায়েক 5 লক্ষ প্যাগোডা দিতে সম্মত হন এবং সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
এর পরে, চিক্কাপনায়ক গুটির মুরারায়ার সাহায্যে তার ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি নন্দী পাহাড়ে লুকিয়ে ছিলেন। কিন্তু হায়দার আলী চিক্বল্লাপুর এবং অন্যান্য স্থানগুলি গ্রহণ করেন এবং চিক্কাপনায়ককে গ্রেপ্তার করেন। এরপরে লর্ড কর্নওয়ালিসের হস্তক্ষেপে চিকবল্লাপুরকে নারায়ণগৌড়াকে হস্তান্তর করা হয়েছিল। কিছু সূত্রে জানা যায় যে লর্ড কর্নোয়ালিস পেরেসান্দ্রায় শিবের মন্দিরটি দেখতে গিয়েছিলেন যা চিক্বাবল্লাপুর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ব্রিটিশ পাঠ্যে দেখা যায় যে পেরেসেন্দ্রর এক অসাধারণ ইতিহাস রয়েছে; এটি জানতে পেরে টিপু সুলতান আবার চিক্বল্লাপুর অধিকার করেন। ১৭৯১ সালে ব্রিটিশরা নন্দীপর্বত দখল করে এবং শহরটি শাসন করার জন্য নারায়ণগৌড়াকে ভার দেয়; ব্রিটিশ এবং টিপু সুলতানের আবার লড়াই শুরু হয়েছিল। পরে ব্রিটিশরা টিপু সুলতানকে পরাজিত করে।চিক্কবল্লাপুর মহীশূরের ওয়াদেয়ারদের প্রশাসনের অধীনে এসেছিল যা এখন কর্ণাটকের একটি অংশ।
জনমিতি
[সম্পাদনা]২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী চিক্কবল্লাপুর জেলার জনসংখ্যা ১,২৫৫,১০৪ জন [১] যা প্রায় ত্রিনিদাদ ও টোবাগো[৪] রাষ্ট্রের জনসংখ্যা অথবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ার[৫] রাজ্যের জনসংখ্যার সমতুল্য। জনসংখ্যার বিচারে ভারতের ৬৪০টি জেলার মধ্যে চিক্কবল্লাপুরের স্থান ৩৮৫তম। জেলায় জনসংখ্যার ঘনত্ব ২৯৮ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (৭৭০ জন/বর্গমাইল) । ২০০১ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে জেলার জনসংখ্যা-বৃদ্ধির হার ছিল ৯.১৭ শতাংশ।[৬] জেলার লিঙ্গানুপাত প্রতি ১০০০ জন পুরুষ পিছু ৯৬৮ জন নারী এবং সাক্ষরতার হার ৭০.০৮ শতাংশ[৭]।
বছর | জন. | ±% |
---|---|---|
১৯০১ | ৩,৩২,৪২১ | — |
১৯১১ | ৩,৫২,৪২৪ | +৬% |
১৯২১ | ৩,৫৭,৮১২ | +১.৫% |
১৯৩১ | ৩,৮০,৯১২ | +৬.৫% |
১৯৪১ | ৪,১৭,৩৭১ | +৯.৬% |
১৯৫১ | ৪,৭৯,০৬৮ | +১৪.৮% |
১৯৬১ | ৫,৬৮,৩২২ | +১৮.৬% |
১৯৭১ | ৬,৯০,০৮৩ | +২১.৪% |
১৯৮১ | ৮,৬১,০৯৮ | +২৪.৮% |
১৯৯১ | ১০,০৫,০৩১ | +১৬.৭% |
২০০১ | ১১,৪৯,০০৭ | +১৪.৩% |
২০১১ | ১২,৫৫,১০৪ | +৯.২% |
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;districtcensus
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" (পিডিএফ)। ৫ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০২০।
- ↑ Chitra Phalguni। "10 yrs on CB Pur yet to fully reap benefits of development"। Online Edition of deccanherald, dated 23 August 2017। 2017,deccanherald.com। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ US Directorate of Intelligence। "Country Comparison:Population"। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১১।
Benin 9,325,032
- ↑ "2010 Resident Population Data"। U. S. Census Bureau। ২৩ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১১।
North Carolina 9,535,483
- ↑ "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০।
- ↑ "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০।