২০১৬ এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপ
بطولة آسيا تحت 19 سنة لكرة القدم 2016 | |
---|---|
বিবরণ | |
স্বাগতিক দেশ | বাহরাইন |
তারিখ | 13–30 October 2016 |
দল | 16 (1টি কনফেডারেশন থেকে) |
মাঠ | 2 (2টি আয়োজক শহরে) |
চূড়ান্ত অবস্থান | |
চ্যাম্পিয়ন | জাপান (1তম শিরোপা) |
রানার-আপ | সৌদি আরব |
পরিসংখ্যান | |
ম্যাচ | ৩১ |
গোল সংখ্যা | ৮৪ (ম্যাচ প্রতি ২.৭১টি) |
দর্শক সংখ্যা | ৩৯,৩০৪ (ম্যাচ প্রতি ১,২৬৮ জন) |
শীর্ষ গোলদাতা | Sami Al-Najai Abdulrahman Al-Yami (4 goals each) |
সেরা খেলোয়াড় | Ritsu Doan |
ফেয়ার প্লে পুরস্কার | জাপান |
২০১৬ এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপ হল এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন কর্তৃক এশিয়ার জাতীয় যুব ফুটবল দলসমূহের জন্য আয়োজিত এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের ৩৯তম আসর। প্রতিযোগিতাটি ১৩ - ৩০ অক্টোবর ২০১৬ তে বাহরাইনের রিফা ও ইশা শহরে অনুষ্ঠিত হয়।[১] এতে ১৬টি জাতীয় দল অংশগ্রহণ করে।
বাছাইপর্ব
[সম্পাদনা]২০১৬ এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বের জন্য ড্র ২০১৫ সালের ৫ জুন অনুষ্ঠিত হয়।[২] ড্রয়ে ৪৩টি দল ১০টি গ্রুপে ভাগ করা হয়। প্রতিটি গ্রুপের বিজয়ী এবং ৫টি সেরা রানার্সআপ দল মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। বাহরাইন স্বাগতিক দল হিসাবে সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করলেও তারা বাছাইপর্বে অংশগ্রহণ করে।
বাছাইপর্বের খেলাসমূহ ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত হয়।[৩]
যোগ্যতা অর্জনকারী দল
[সম্পাদনা]চূড়ান্ত পর্বে খেলার জন্য ১৬টি দল নির্বাচিত হয়েছে।[৪]
দল | যোগ্যতার ধরন | উপস্থিতি | পূর্বের সেরা সাফল্য |
---|---|---|---|
বাহরাইন | স্বাগতিক | ৯ম | রানার্স-আপ (১৯৮৬) |
জাপান | গ্রুপ J বিজয়ী | ৩৬তম | রানার্স-আপ (১৯৭৩, ১৯৯৪, ১৯৯৮, ২০০০, ২০০২, ২০০৬) |
ইরাক | গ্রুপ F বিজয়ী | ১৬তম | চ্যাম্পিয়ন (১৯৭৫, ১৯৭৭, ১৯৭৮, ১৯৮৮, ২০০০) |
গণচীন | গ্রুপ I বিজয়ী | ১৭তম | চ্যাম্পিয়ন (১৯৮৫) |
ভিয়েতনাম | গ্রুপ G বিজয়ী | ৭ম | গ্রুপ পর্ব (২০০২, ২০০৪, ২০০৬, ২০১০, ২০১২, ২০১৪) |
উজবেকিস্তান | গ্রুপ A বিজয়ী | ৭ম | রানার্স-আপ (২০০৮) |
দক্ষিণ কোরিয়া | গ্রুপ H বিজয়ী | ৩৭তম | চ্যাম্পিয়ন (১৯৫৯, ১৯৬০, ১৯৬৩, ১৯৭৮, ১৯৮০, ১৯৮২, ১৯৯০, ১৯৯৬, ১৯৯৮, ২০০২, ২০০৪, ২০১২) |
তাজিকিস্তান | গ্রুপ F (সেরা ১ম) রানার্স-আপ | ৩য় | গ্রুপ পর্ব (২০০৬, ২০০৮) |
সংযুক্ত আরব আমিরাত | গ্রুপ C বিজয়ী | ১৩তম | চ্যাম্পিয়ন (২০০৮) |
অস্ট্রেলিয়া | গ্রুপ J (সেরা ২য়) রানার্স-আপ | ৬ষ্ঠ | রানার্স-আপ (২০১০) |
কাতার | গ্রুপ D বিজয়ী | ১৩তম | চ্যাম্পিয়ন (২০১৪) |
থাইল্যান্ড | গ্রুপ H (সেরা ৩য়) রানার্স-আপ | ৩২তম | চ্যাম্পিয়ন (১৯৬২, ১৯৬৯) |
সৌদি আরব | গ্রুপ B বিজয়ী | ১৩তম | চ্যাম্পিয়ন (১৯৮৬, ১৯৯২) |
উত্তর কোরিয়া | গ্রুপ I (সেরা ৪র্থ) রানার্স-আপ | ১২তম | চ্যাম্পিয়ন (১৯৭৬, ২০০৬, ২০১০) |
ইরান | গ্রুপ E বিজয়ী | ২০তম | চ্যাম্পিয়ন (১৯৭৩, ১৯৭৪, ১৯৭৫, ১৯৭৬) |
ইয়েমেন | গ্রুপ B (সেরা ৫ম) রানার্স-আপ | ৬ষ্ঠ | গ্রুপ পর্ব (১৯৭৮, ২০০৪, ২০০৮, ২০১০, ২০১৪) |
মাঠ
[সম্পাদনা]ড্র
[সম্পাদনা]চূড়ান্ত লড়াইয়ের জন্য ড্র ৩০ এপ্রিল মানামাতে স্থানীয় সময় AST (ইউটিসি +৩:০০টায়) অনুষ্ঠিত হয়।[৫] ড্রয়ে ১৬জি দলকে ৪টি গ্রুপে ভাগ করা হয়।[৬]
পাত্র ১ | পাত্র ২ | পাত্র ৩ | পাত্র ৪ |
---|---|---|---|
বাহরাইন (স্বাগতিক; অবস্থান A1) |
খেলোয়াড়
[সম্পাদনা]যেসকল খেলোয়াড়ের জন্ম ১ জানুয়ারি ১৯৯৭ বা তার পরে সেসকল খেলোয়াড় ২০১৬ চ্যাম্পিয়নশিপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্য বলে বিবেচিত হয়। একটি দল সর্বোচ্চ ২৩ খেলোয়াড়ের নাম নথিভূক্ত করতে পারবে, তবে তাদের মধ্যে সর্বনিম্ন তিনজন গোলরক্ষক থাকতে হবে।[৭]
গ্রুপ পর্ব
[সম্পাদনা]নকআউট পর্ব
[সম্পাদনা]চূড়ান্ত অবস্থান
[সম্পাদনা]প্রতি খেলায় নির্দিষ্ট সময়ে বিজয়ী নির্ধারিত না হলে, বিজয়ী ও পরাজিত দল নির্ধারনের জন্য অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয় এবং তারপরেও সমাধান না হলে পেনাল্টি শুট আউট পদ্ধতি ব্যবহার করার বদলে খেলা ড্র ধরা হয়।
অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | চূড়ান্ত অবস্থান |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | জাপান | ৬ | ৪ | ২ | ০ | ১৩ | ০ | +১৩ | ১৪ | চ্যাম্পিয়ন |
২ | সৌদি আরব | ৬ | ৩ | ২ | ১ | ১৬ | ১১ | +৫ | ১১ | রানার্স-আপ |
৩ | ইরান | ৫ | ২ | ২ | ১ | ৯ | ৭ | +২ | ৮ | সেমি-ফাইনাল |
৪ | ভিয়েতনাম | ৫ | ২ | ২ | ১ | ৪ | ৫ | −১ | ৮ | |
৫ | ইরাক | ৪ | ২ | ২ | ০ | ৭ | ২ | +৫ | ৮ | কোয়ার্টার ফাইনালে বিদায় |
৬ | উজবেকিস্তান | ৪ | ২ | ১ | ১ | ৫ | ৫ | ০ | ৭ | |
৭ | বাহরাইন (H) | ৪ | ২ | ০ | ২ | ৭ | ৭ | ০ | ৬ | |
৮ | তাজিকিস্তান | ৪ | ১ | ১ | ২ | ৩ | ৬ | −৩ | ৪ | |
৯ | দক্ষিণ কোরিয়া | ৩ | ২ | ০ | ১ | ৬ | ৪ | +২ | ৬ | গ্রুপ পর্বে বিদায় |
১০ | সংযুক্ত আরব আমিরাত | ৩ | ১ | ১ | ১ | ৪ | ৩ | +১ | ৪ | |
১১ | অস্ট্রেলিয়া | ৩ | ১ | ১ | ১ | ৩ | ৩ | ০ | ৪ | |
১২ | কাতার | ৩ | ১ | ১ | ১ | ২ | ৪ | −২ | ৪ | |
১৩ | গণচীন | ৩ | ০ | ১ | ২ | ০ | ৩ | −৩ | ১ | |
১৪ | ইয়েমেন | ৩ | ০ | ০ | ৩ | ০ | ৫ | −৫ | ০ | |
১৫ | থাইল্যান্ড | ৩ | ০ | ০ | ৩ | ৩ | ১০ | −৭ | ০ | |
১৬ | উত্তর কোরিয়া | ৩ | ০ | ০ | ৩ | ২ | ৯ | −৭ | ০ |
ফিফা বিশ্বকাপের জন্য যোগ্য দল
[সম্পাদনা]২০১৭ ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন বা এএফসি বাছাইপর্ব থেকে নিম্নোক্ত পাচঁটি দল নির্বাচিত হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া স্বাগতিক হিসাবে যোগ্যতা অর্জন করেছে।[৮]
দল | নির্বাচিত হয়েছে | পূর্ববর্তী অংশগ্রহণ1 |
---|---|---|
দক্ষিণ কোরিয়া | ৫ ডিসেম্বর ২০১৩ | 13 (1979, 1981, 1983, 1991, 1993, 1997, 1999, 2003, 2005, 2007, 2009, 2011, 2013) |
জাপান | ২৪ অক্টোবর ২০১৬ | 8 (1979, 1995, 1997, 1999, 2001, 2003, 2005, 2007) |
সৌদি আরব | ২৩ অক্টোবর ২০১৬ | 7 (1985, 1987, 1989, 1993, 1999, 2003, 2011) |
ইরান | ২৪ অক্টোবর ২০১৬ | 2 (1977, 2001) |
ভিয়েতনাম | ২৩ অক্টোবর ২০১৬ | 0 (debut) |
- 1 বোল্ড হল এ বছরের চ্যাম্পিয়ন নির্দেশক। ইটালিক হল স্বাগতিক নির্দেশক।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]- ২০১৬ এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপ
- ২০১৬ এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপ
- ২০১৬ সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপ
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "AFC Calendar of Competitions 2016" (PDF)। AFC।
- ↑ "Champions Qatar learn Bahrain 2016 qualifying opponents"। AFC। ৫ জুন ২০১৫।
- ↑ "AFC Calendar of Competitions 2015" (PDF)। AFC।
- ↑ "AFC U-19 Championship Bahrain 2016 Draw: The Groups"। AFC। ১ মে ২০১৬।
- ↑ "AFC confirms raft of crucial draw dates"। AFC। ১৭ মার্চ ২০১৬।
- ↑ "Nations learn AFC U-19 Championship Bahrain 2016 fate"। AFC। ১ মে ২০১৬।
- ↑ "Regulations AFC U-19 Championship 2016" (পিডিএফ)। AFC।
- ↑ "Asian quartet book Korea 2017 tickets"। FIFA.com। ২৪ অক্টোবর ২০১৬। ৬ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- AFC U-19 Championship, the-AFC.com