২০২৩ মণিপুর সহিংসতা
এই নিবন্ধটি মেয়াদোত্তীর্ণ।(আগস্ট ২০২৩) |
২০২৩ মণিপুর সহিংসতা | |||
---|---|---|---|
তারিখ | ২০২৩ মণিপুর সহিংসতা | ||
অবস্থান | |||
কারণ | মণিপুরে মৈতৈ ও কিকু সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত উত্তেজনা | ||
পদ্ধতি | দাঙ্গা, অগ্নিসংযোগ | ||
অবস্থা | চলমান | ||
পক্ষ | |||
ক্ষয়ক্ষতি | |||
নিহত | ৫৪[১] | ||
আহত | ১৫০+ |
২০২৩ মণিপুর সহিংসতা হল মণিপুর রাজ্যের আদিবাসী ও মৈতেই জাতির মধ্যে ২০২৩ সালে ঘটা জাতিগত সহিংসতা।[২][৩] আদিবাসী সংগঠনগুলি মৈতেই জাতিকে তফশিলি উপজাতির মর্যাদা প্রদানের বিরোধিতা করে ২০২৩ সালের ৩ মে বিক্ষোভ শুরু করেছিল। অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন মণিপুর (এটিএসইউএম) দ্বারা ডাকা "উপজাতি সংহতি মার্চ" চলাকালীন চূড়াচাঁদপুর জেলায় সহিংসতা ছড়িয়ে পরে, যাতে কমপক্ষে ৫৪ জন নিহত হয়েছিল।[১][২][৩]
৩রা মে দাঙ্গার পর, আসাম রাইফেলস ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্মীদের আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের জন্য রাজ্যে মোতায়েন করা হয়েছিল।[৪][২][৫] মণিপুর রাজ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা ৫ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছিল[৬] এবং আইপিসি-এর ১৪৪ নং ধারা জারি করা হয়েছিল।[৪]
পটভূমি
[সম্পাদনা]মণিপুর হাইকোর্ট ২০২৩ সালের ২০ই এপ্রিল রাজ্য সরকারকে "তফসিলি উপজাতি (এসটি) তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য মৈতৈ সম্প্রদায়ের অনুরোধ বিবেচনা করার" নির্দেশ দেয়। কুকি জাতির মানুষ আশঙ্কা করছে যে এসটি মর্যাদা রাজ্যে মৈতৈদের জমি কেনার অনুমতি দেবে।
মণিপুরের ভূমি সংস্কার আইনের অধীনে রাজ্যের জনসংখ্যার ৫৩% গঠনকারী মৈতৈদের রাজ্যের পাহাড়ী অঞ্চলে বসতি স্থাপন করা নিষিদ্ধ, এবং তাদের বসবাস রাজ্যের ১০% জমি নিয়ে ইম্ফল উপত্যকায় সীমাবদ্ধ। উপত্যকা অঞ্চলে উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর বসতি নিষিদ্ধ নয়।[৭] কুকি ও নাগাদের সমন্বয়ে উপজাতীয় জনগোষ্ঠী রাজ্যের বাকি ৯০% অংশ নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত ও সুরক্ষিত পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাস করে।[৩][৫][৮][৭]
রাজ্যের মৈতৈ জনগণ সন্দেহ করে যে রাজ্যে উপজাতীয় জনসংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা "প্রাকৃতিক জন্ম দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায় না"। তারা মিয়ানমার থেকে অবৈধ অভিবাসন শনাক্ত করার জন্য রাজ্যে জাতীয় নাগরিক পঞ্জী (এনআরসি) আবেদনের অনুরোধ করছে।[৯][১০][১১] কুকিরা উল্লেখ করেছে যে অবৈধ অভিবাসন একটি অজুহাত, যার অধীনে মৈতৈ জনগোষ্ঠী তাদের জমি থেকে উপজাতীয় জনগোষ্ঠীকে তাড়িয়ে দিতে চায়।[৩]
জমি ও অবৈধ অভিবাসন নিয়ে বিরোধগুলি কয়েক দশক ধরে বিদ্যমান উত্তেজনার প্রাথমিক মূল হিসাবে কাজ করে চলেছে।[৩]
প্রতিক্রিয়া
[সম্পাদনা]মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন. বীরেন সিং বলেছেন যে দাঙ্গাগুলি "দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত ভুল বোঝাবুঝির" দ্বারা প্ররোচিত হয়েছিল, এবং তিনি স্বাভাবিকতা পুনরুদ্ধারের জন্য আবেদন করেছিলেন।[১২] মণিপুরের বাসিন্দা অলিম্পিক পদক বিজয়ী মেরি কম নিজ রাজ্যের জন্য সাহায্য চেয়ে একটি আবেদন টুইটারে টুইট করেছিলেন।[১৩] কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কর্ণাটক নির্বাচনের জন্য তার প্রচার কর্মসূচি বাতিল করেছিলেন, এবং মণিপুরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে বীরেন সিংয়ের সাথে বৈঠক করেন।[১৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ PTI (২০২৩-০৫-০৬)। "Manipur violence | At least 54 people dead, Imphal Valley returning to normalcy"। দ্য হিন্দু (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০২৩।
- ↑ ক খ গ Karmakar, Rahul (২০২৩-০৫-০৪)। "Fifty-five Army columns deployed in violence-hit Manipur, 9,000 people shifted to safer places"। দ্য হিন্দু (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-০৫।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "Manipur violence: State is burning, but what is the decades-old fuel behind the fire"। ইন্ডিয়া টুডে (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-০৫।
- ↑ ক খ "In violence-hit Manipur, Army rescues 9,000 people; Amit Shah dials CM Biren Singh"। ইন্ডিয়া টুডে (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-০৫।
- ↑ ক খ "Manipur: Curfew in Indian state after protests turn violent"। বিবিসি নিউজ (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৫-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-০৫।
- ↑ "অশান্ত মণিপুরে ৫ দিন বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা, ৮ জেলায় কার্ফু"। আনন্দবাজার। আনন্দবাজার পত্রিকা। ৪ মে ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০২৩।
- ↑ ক খ "Manipur violence: How Christianisation widened socio-cultural gap between Meiteis of Valley and Hill tribes"। ফার্স্টপোস্ট (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৫-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-০৫।
- ↑ "Manipur clashes: Genesis of the decades-old Meitei-Kuki divide"। হিন্দুস্তান টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৫-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-০৫।
- ↑ "India: Close The gap for Burmese refugees" (পিডিএফ)। ৮ জানুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Online Burma Library > Main Library > Refugees > Burmese refugees in India"। burmalibrary.org।
- ↑ "Survival, Dignity, and Democracy: Burmese Refugees in India, 1997 (From the SAHRDC Resource Centre)"। hrdc.net। ১ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০২৩।
- ↑ "Manipur violence: 'Misunderstanding, communication gap between two communities,' says CM N Biren Singh"। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৫-০৪। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০২৩।
- ↑ "'My state Manipur is burning, kindly help': Boxer Mary Kom asks PM Modi, Shah"। হিন্দুস্তান টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৫-০৪। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০২৩।
- ↑ "Amit Shah Cancels Karnataka Poll Campaign Amid Manipur Violence: Report"। NDTV.com। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০২৩।