২০০১ জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় জঙ্গি হামলা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
২০০১ জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা জঙ্গি হামলা
স্থানশ্রীনগর, জম্মু ও কাশ্মীর, ভারত
তারিখ১ অক্টোবর, ২০০১
হামলার ধরন৫ বোমা বিস্ফোরণ
নিহত৩৮
সন্দেহভাজন হামলাকারী দল
জইশ-ই-মুহাম্মদ

২০০১ সালের ১ অক্টোবর জইশ-ই-মুহাম্মদ জঙ্গিরা শ্রীনগরে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য বিধানসভা চত্বরে একটি গাড়িবোমা ও ৩ জন ফিদায়েন আত্মঘাতী জঙ্গির সাহায্যে একটি বিস্ফোরণ ঘটায়।[১] এই বিস্ফোরণে ৩৮ জন নাগরিক ও ৩ জন ফিদায়েন জঙ্গি নিহত হয়।[২]

হামলা[সম্পাদনা]

অফিস ছুটির পর দুপুর দুটোয় বিস্ফোরণটি ঘটে। একজন জঙ্গি বিস্ফোরক-ভর্তি জিপ নিয়ে মূল ফটকের সামনে এসে বিস্ফোরণ ঘটায়। অন্যান্য জঙ্গিরা বিধানসভা ভবনে ঢুকে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে তুলে নেয়। কয়েক ঘণ্টা নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর সব জঙ্গিই মারা যায়।[৩] বিধায়কেরা কেউ নিহত হয়নি। কারণ বিধানসভা ভবনটি এই ঘটনার কিছুদিন আগে একটি অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিধায়কেরা অন্য একটি অস্থায়ী ভবনে কাজ চালাচ্ছিলেন।[৪] প্রবীণ নেতারা বিধানসভায় ছিলেন না। বিধানসভার অধ্যক্ষকে নিরাপত্তারক্ষীরা নিরাপদে বাইরে বের করে আনতে পেরেছিল।

প্রতিক্রিয়া[সম্পাদনা]

জইশ-ই-মুহাম্মদ জঙ্গিগোষ্ঠীটি এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে। তারা পাকিস্তানি নাগরিক ওয়াজাহাত হুসেনকে আত্মঘাতী জঙ্গি বলে উল্লেখ করে।[৫] এর পর ভারত সরকার কঠোর ভাষায় পাকিস্তান সরকারকে প্রতিক্রিয়া জানায়। এই প্রতিবাদপত্রে বলা হয়েছিল, “সীমান্তের ওপারে ঘৃণা ও সন্ত্রাসের চর্চা ভারত মেনে নেবে না। ভারতের ধৈর্যের সীমা আছে।”[৬] জম্মু ও কাশ্মীরের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লাহ জঙ্গি হানায় নিহত ৩৮ জনকে শহিদ আখ্যা দেন এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনেন। তিনি বলেছিলেন, “পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এখনই যুদ্ধ ঘোষণা করে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরে বোমা নিক্ষেপ করা উচিত। আমাদের ধৈর্য শেষ হয়ে আসছে।”[৭]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

পাদটীকা[সম্পাদনা]