হোমালিন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হোমালিন

ဟုမ္မလင်း

হোম্মালিন, হোনমালিন
শহর
স্যাটেলাইট থেকে নেয়া। হোমালিন বিমান বন্দর।
স্যাটেলাইট থেকে নেয়া, হোমালিন বিমান বন্দর।
হোমালিন মিয়ানমারে অবস্থিত
হোমালিন
হোমালিন
মিয়ানমারে অবস্থান
Coordinates: 24°53′20″N 94°55′26″E / 24.88889°N 94.92389°E / 24.88889; 94.92389ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক ব্যবস্থা: 24°53′20″N 94°55′26″E / 24.88889°N 94.92389°E / 24.88889; 94.92389
দেশ  মিয়ানমার
মিয়ানমারের প্রশাসনিক অঞ্চল  সাগাইন অঞ্চল
জেলা হাকামতি জেলা
শহর হোমালিন শহর
সময় অঞ্চল +৬ঃ০০ (MST)

হোমালিন (বর্মী: ဟုမ္မလင်း မြို့ [hóʊɴməlɪ́ɴ mjo̰]) হলো উত্তর পশ্চিমা মিয়ানমারের একটি ছোট শহর যেটি সাগাইং অঞ্চলে অবস্থিত হাকামতি জেলার রাজধানী শহর। এই শহরটি চিন্দুইন নদী এর তীরে অবস্থিত এবং এর রয়েছে হোমালিন বিমান বন্দর।

হোমালিন শহরের তামানথির প্রাণীজগৎ খুবই বিচিত্র। উইয়ু নদীর বালিতে সোনা পাওয়া গিয়েছে। রাশিয়ার সাথে মিলে সেই সোনা বের করার ও খননের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯০৮সালে ইম্পেরিয়াল গেজেটিয়ার অব ইন্ডিয়া তথ্য উল্লেখ করে যে ইর্রাওয়াডি ফ্লোটিল্লা কোম্পানি পাকোক্কু এবং হোমালিনের মাঝে সরবরাহ করত।[১][২] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এর সময়, চীন্দউয়িন নদীর তীরে হোমালিন দখল করেছিল জাপান মে বা জুন ১৯৯৪সালে।[৩][৪]

ভূগোল[সম্পাদনা]

চীন্দোয়িন নদী

হোমালিন, একটি ছোট শহর ভারতের সীমান্তের কাছে অবস্থিত যা একটি দ্বীপের পর এবং চীন্দউয়িন নদীর তীরে। এটির পেছনে অনেক বড় পর্বতমালা রয়েছে যেগুলো প্রায় ৯০০০ফুট উচু। পাহাড়ের নিচু অংশ গুলোতে কিছু কৃষি কাজ দেখা যায়।[৫] Theএই শহরটির গড় উচ্চতা ১০১ মিটার।[৬]

জলবায়ু[সম্পাদনা]

হোমালিনে একটি উষ্ঞ প্রকৃতির জলবায়ু রয়েছে। এখানে তাপমাত্রা সবসময় বেশি থাকে তবে শীতকালে (ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারি) এটি একটু কমে যায়।

হোমালিনপর জলবায়ু তথ্য (১৯৮১–২০১০)
মাস জান ফেব মার এপ্র মে জুন জুল আগ সেপ্ট অক্টো নভে ডিসে বছর
সর্বোচ্চ °C (°F) 30.5
(86.9)
34.5
(94.1)
39.7
(103.5)
40.0
(104)
41.2
(106.2)
41.4
(106.5)
35.7
(96.3)
36.0
(96.8)
37.0
(98.6)
37.7
(99.9)
33.5
(92.3)
29.5
(85.1)
41.4
(106.5)
Average high °C (°F) 25.6
(78.1)
28.2
(82.8)
31.3
(88.3)
33.4
(92.1)
33.6
(92.5)
31.6
(88.9)
30.5
(86.9)
31.0
(87.8)
31.3
(88.3)
31.4
(88.5)
29.0
(84.2)
26.0
(78.8)
30.2
(86.4)
গড়ে নিম্ন °C (°F) 10.3
(50.5)
12.4
(54.3)
15.6
(60.1)
19.4
(66.9)
22.2
(72)
24.0
(75.2)
24.0
(75.2)
23.8
(74.8)
23.0
(73.4)
21.1
(70)
16.2
(61.2)
11.7
(53.1)
18.6
(65.5)
সর্বনিম্ন °C (°F) 5.0
(41)
5.7
(42.3)
7.4
(45.3)
15.0
(59)
17.5
(63.5)
20.0
(68)
19.5
(67.1)
19.5
(67.1)
18.5
(65.3)
4.0
(39.2)
10.0
(50)
4.2
(39.6)
4.0
(39.2)
গড় বৃষ্টিপাত মিমি (ইঞ্চি) 6.8
(0.268)
15.1
(0.594)
24.2
(0.953)
45.9
(1.807)
187.1
(7.366)
436.0
(17.165)
521.8
(20.543)
421.2
(16.583)
349.4
(13.756)
181.1
(7.13)
32.3
(1.272)
11.9
(0.469)
2,232.8
(87.906)
Source: Norwegian Meteorological Institute[৭]

জনতত্ত্ব[সম্পাদনা]

এই শহরে সর্বোচ্চ ১৫০০জন লোক বাস করে। নাগা এবং কুকি জাতিগোষ্ঠীরা হোমালিনে বসবাস করে এবং তারা তাদের সংস্কৃতি অনুযায়ী বিভিন্ন অনুষ্ঠান পালন করে থাকে।

পরিবহন ব্যবস্থা[সম্পাদনা]

প্রধান পরিবহন সড়ক হলো তাবেইক্কিন-ফাউংবিন-হোমালিন সড়ক যা ৩৩০ মাইল দীর্ঘ।[৮] ১০০০ফুট লম্বা ও ১৬ফুট প্রস্থের একটি সেতু সাম্প্রতিক কালে নির্মান করা হয়েছে।[কখন?] যা তেতকেয়িন-ফাউংপিন-হোমালিন-খামতি সড়ককে মিলিত করে।[৯]

অর্থনীতি[সম্পাদনা]

দেখা গিয়েছে হোমালিনের জলবায়ু এবং আবহাওয়া রাবার চাষ করার জন্য খুবই উপযোগী। তাছাড়া এখানকার মাটি রাবার গাছের জন্য খুবই উর্বর। এর ফলে শহরাঞ্চলেও রাবার চাষের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার কারণে অনেকের জন্য কাজ করার একটি বিশাল সুযোগ হয়েছে এবং স্থানীয় লোকেরা এর মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে অনেক লাভবান হচ্ছে এবং নিজেদের জীবন মান তারা উনৃনত করছে। আনারস গাছও রাবার গাছের পাশাপাশি চাষ করা হয়ে থাকে যা অর্থনীতির চাকাকে আরও সচল করতে সাহায্য করে।[১০] Sinceসারা বিশ্ববযাপি রাবারের চাহিদা থাকায়, স্থানীয় লোকেরা রাবার চাষের এলাকাকে আরও বৃদ্ধি করছে এবং বাণিজ্যিক লাভের আশায় এর পাশাপাশি চা পাতাও চাষ করছে।

জলসম্পদ খনন

হোমালিনের উইয়ু নদীতে সোনা পাওয়ার বিষয়টি আরও লাভজনক হয় যখন মিয়ানমারের ভৌগোলিক গবেষণা সংস্থা রাশিয়ার সাথে চুক্তু সম্পাদন করে থাকে।[১১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Imperial gazetteer of India: provincial series, Volume 11। Superintendent of Government Printing। ১৯০৮। পৃষ্ঠা 229। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-২৮ 
  2. SirWilliam Stevenson Meyer (১৯০৮)। Volume 10 of Imperial Gazetteer of IndiaClarendon Press। পৃষ্ঠা 248। 
  3. Bisheshwar Prasad। The reconquest of Burma, June 1942 - August 1945। Official history of the Indian Armed Forces in the Second World War, 1939-1945। পৃষ্ঠা 54। 
  4. Commager, Henry Steele (২০০৪)। The Story of the Second World War। Brassey's। পৃষ্ঠা 214। আইএসবিএন 1-57488-741-6। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-২৮ 
  5. Anon (২০০৬)। The Silken East। READ BOOKS। পৃষ্ঠা 440–441। আইএসবিএন 1-4067-3402-0। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-২৮ 
  6. "Homalin Burma Page"। Falling rain। ২০১৭-১২-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-২৮ 
  7. "Information Sheet Collections since 1996"। Myanmar Information Committee, Yangon। অক্টোবর ১৬, ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-২৮ 
  8. "U-ru Bridge inaugurated in Homalin Township, Sagaing Division"। Myanmar times। সেপ্টেম্বর ২২, ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-২৮ 
  9. "White gold plantations of Chindwin region"Rubber and pineapple plants seen in Aung Thukha (Lin) rubber plantation of U Aung Than Myint in Homalin Township। Mirror Daily। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-২৭ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  10. "Russian company gains right to explore for minerals in Myanmar"। New York Times। ২০০৮-০২-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-২৮