হেলোপেলটিস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

হেলোপেলটিস
চায়ের গান্ধিপোকা Helopeltis antonii
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: Arthropoda
শ্রেণী: Insecta
বর্গ: Hemiptera
উপবর্গ: Heteroptera
পরিবার: Miridae
উপপরিবার: Bryocorinae
গোত্র: Monaloniini
গণ: Helopeltis
Signoret, 1858
Species

14 currently recognized:

  • H. antonii (type sp.)
  • H. bakeri
  • H. bradyi = H. ceylonensis & H. romundei
  • H. clavifer = H. australiae & H. niger
  • H. cinchonae = H. brevicornis
  • H. collaris
  • H. cuneata = H. elegans
  • H. fasciaticollis = H. pallidus
  • H. insularis
  • H. obscuratus
  • H. pelucida
  • H. sulawesi
  • H. sumatranus
  • H. theivora = H. theobromae

হেলোপেলটিস (ইংরেজি: Helopeltis) গণ এর সকল কীট যা চায়ের গান্ধি পোকা (ইংরেজি: Tea mosquito bug) নামেই বেশি পরিচিত চা গাছের অন্যতম প্রধান অনিষ্টকারী কীটপতঙ্গ। বাংলাদেশসহ ভারতের আসাম, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, ও ইন্দোনেশিয়ায় এ পোকা ব্যাপকভাবে বিন্তৃত।[১] আকৃতিগত দিক থেকে এগুলো অনেকটা মশার মতো বলে এগুলোকে মশা-জাবপোকা (ইংরেজি: mosquito bug) বলে। চা গাছের ক্ষতি ছাড়াও এটি কোকো, তুলা ও নানা রকমের ডাল জাতীয় ফসলের ক্ষতিসাধন করে।[২]

আকার আকৃতি[সম্পাদনা]

চায়ের গান্ধি পোকা আকারে লম্বা ধরনের। দেহ গড়ে ৬ মি.মি. লম্বা। মাধার রঙ জলপাই সবুজ ও কালো; ব্ক্ষাঞ্চল হালকা হলুদ ও কালো; উদরাঞ্চল হলুদ ও কালচে সবুজ রঙের। এগুলোর সামনের ডানা সামান্য পুরু ও স্বচ্ছ। শুঙ্গ বেশ লম্বা ও সূত্রাকার। স্কুলেটামের উপরিভাগে ড্রামের কাঠির মতো এক প্রকার কাঁটা বর্তমান।[৩] পূর্নবয়স্ক পোকার দেহে চারটি ডানা থাকে। এর সাহা্যে এরা উড়তে পারে।[২]

জীবনবৃত্তান্ত[সম্পাদনা]

পূর্নাঙ্গ স্ত্রী পোকা একটি একটি করে এক সাথে প্রায় ৫০০ টি পর্যন্ত ডিম পাড়ে।[২] ডিমগুলো ডালের নরম অংশ, পাতার মধ্যশিরা এবং পত্রাক্ষে আটকে থাকে। ডিমগুলো লম্বা শসার আকৃতির এবং এক প্রান্তে দুটি লোম থাকে। গ্রীষ্মকালে ৫-১০ দিন ও শীতকালে ১১-২৭ দিনের মধ্যে ডিম ফুটে নিম্ফ বের হয়।[২] এরা দেখতে অনেকটা মাকড়সার মতো হয়। নিম্ফ অবস্থায় এগুলো চলাফেরা করতে পারে। নিম্ফের দেহ ৪.৫ মিমি. লম্বা। নিম্ফ প্রথমে ফ্যাকাশে হলুদ বর্নের দেখায়। ধীরে ধীরে এগুলো সবুজাফ-হলুদ বর্ণ ধারণ করে। পর পর পাঁচ বার খোলস ত্যাগ করার পর নিম্ফ পূর্ণবয়স্ক কীটপতঙ্গে পরিণত হয়। বাংলাদেশে চায়ের গান্ধিপোকা বছরে প্রায় ১৮ বার বংশবিস্তার করে।[২][৪]

ক্ষতির প্রকৃতি[সম্পাদনা]

গান্ধি পোকা সাধারনত চা গাছের কচি ডগা ও পাতার বেশি ক্ষতি করে।[১] এগুলো ডগা ও পাতায় অসংখ্য ছিদ্র করে রস চুষে খায়। একটি পোকা দৈনিক গড়ে দুটি কচি ডগা নষ্ট করে।[৫]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. ভট্টাচার্য, গোপালচন্দ্র (১৯৮৬)। "কৃষি কীটত্ত্ব"। বাংলার কীটপতঙ্গ। কোলকাতা, ভারত: দে’জ পাবলিশিং। 
  2. বিশ্বাস, বিবেকানন্দ (জুন ২০১৪)। "কৃষি কীটতত্ত্ব"। ওয়াহাব, আবদুল। আধুনিক কীটতত্ত্ব। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলা একাডেমী। পৃষ্ঠা ৫১৯। আইএসবিএন 984-07-5355-X 
  3. Stonedahl GM (1991) Oriental species of Helopeltis (Heteroptera: Miridae): a review of economic literature and guide to identification. Bulletin of Entomological Research 81: 465–490
  4. Schmitz G (1968) 'Monographie des especes Africaines du genre Helopeltis Signoret (Heteroptera, Miridae) avec un exposedes problemes relatifes aux structures genitales', Ann. Mus. Roy. Afr. Cent. 168: 247 pp.
  5. Entwistle PF (1972) Pests of Cocoa, Longmans, London, 779 pp