হালিল বে মসজিদ

স্থানাঙ্ক: ৪০°৫৫′৫৭.১১″ উত্তর ২৪°২৪′৫৪.৮৩″ পূর্ব / ৪০.৯৩২৫৩০৬° উত্তর ২৪.৪১৫২৩০৬° পূর্ব / 40.9325306; 24.4152306
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হালিল বে মসজিদ
Τζαμί Χαλίλ Μπέη
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
জেলাকাভালা
প্রদেশপূর্ব মেসিডোনিয়া ও থ্রেস
যাজকীয় বা
সাংগঠনিক অবস্থা
যাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে
অবস্থাস্থায়ী
অবস্থান
অবস্থানকাভালা, গ্রিস
পৌরসভাকাভালা
রাজ্যগ্রিস
হালিল বে মসজিদ গ্রিস-এ অবস্থিত
হালিল বে মসজিদ
গ্রিসে অবস্থান
স্থানাঙ্ক৪০°৫৫′৫৭.১১″ উত্তর ২৪°২৪′৫৪.৮৩″ পূর্ব / ৪০.৯৩২৫৩০৬° উত্তর ২৪.৪১৫২৩০৬° পূর্ব / 40.9325306; 24.4152306
স্থাপত্য
ধরনমসজিদ
স্থাপত্য শৈলীউসমানীয় স্থাপত্য
অর্থায়নেহালিল বে
সম্পূর্ণ হয়১৬ শতক
বিনির্দেশ
গম্বুজসমূহ
মিনার১ (ধ্বংসপ্রাপ্ত)
উপাদানসমূহইট এবং পাথর

হালিল বে মসজিদ (গ্রিক: Τζαμί Χαλίλ Μπέη, তুর্কি: Halil Bey Camii) গ্রিসের পূর্ব মেসিডোনিয়া ও থ্রেস অঞ্চলের কাভালা শহরে অবস্থিত উসমানীয় সম্রাজ্যের একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। মসজিদটি বর্তমানে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত একটি জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

মসজিদটি একটি বন্দরের কাছে ছোট একটি উপদ্বীপের কেন্দ্রে অবস্থিত। এটির পাশে বেশ কয়েকটি পুরানো দুর্গ রয়েছে। মসজিদটি সম্ভবত ১৫৩০ দশকে নির্মিত হয়েছিল। এই সময়ে কলাভা শহরের আরেক বিখ্যাত ইব্রাহিম পাশা মসজিদও প্রতিষ্ঠিত হয়। ইব্রাহিম পাশা মসজিদ বর্তমানে সেন্ট নিকোলাস গির্জা নামে একটি গ্রীক অর্থোডক্স গ্রির্জা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। হালিল বে মসজিদ ইব্রাহিম পাশা মসজিদের পরে কাভালার দ্বিতীয় বৃহত্তম মসজিদ। মসজিদটি একটি বাইজেন্টাইন গির্জার উপরে নির্মিত হয়েছিল যা সেন্ট পারাসকেভিকে উৎসর্গ করা হয়েছিল। গির্জার ধ্বংসাবশেষ এখনও মসজিদের কাঁচের মেঝের ভিতর দিয়ে দৃশ্যমান।[১] ধারণা করা হয়, প্রথমে গির্জাটিকে মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়েছিল এবং পরে সেই জায়গায় পুনরায় মসজিদ ভবন তৈরি করা হয়েছিল। এই ধারণার পিছনে যুক্তি হচ্ছে যে, উসমানীয়রা সাধারণত কোনো অঞ্চল জয় করে সেখানকার গির্জামন্দিরকে মসজিদে পরিণত করতো।[২]

বলকান যুদ্ধের পর বৃহত্তর কাভালা অঞ্চলসহ মসজিদটিও গ্রিস রাজ্যের অংশ হয়। ২০ শতকের শুরুতে মসজিদটি একটি বালিকা বিদ্যালয় হিসাবে ব্যবহৃত হত। গ্রিস এবং তুরস্কের মধ্যে জনসংখ্যা বিনিময়ের পরে, এই মসজিদ এবং এটির মাদ্রাসা ভবনে তুরস্ক থেকে পালিয়ে আসা অনেক গ্রিক শরণার্থী বসবাস করতো। [২] ১৯৩০-১৯৪০ সময়কালে মসজিদটিতে পৌরসভার ফিলহারমোনিক অর্কেস্ট্রা বা সঙ্গিতদল থাকতো। এজন্যই এটিকে "সংগীতের মসজিদ" বলা হয়। আজ অবধি কাভালার সাধারণ মানুষ এটিকে "পুরাতন সঙ্গীত [হল]" (Παλιά Μουσική) বলে ডাকে।[১] ১৯৫০-এর দশকে মসজিদটির মিনার ভেঙে ফেলা হয়।[২]

মসজিদ এবং মাদ্রাসা (মিনার ব্যতীত) ভবন বেশ কয়েকবার পুনঃনির্মাণ ও মেরামত করা হয়েছে। বর্তমানে, এটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত একটি যাদুঘর এবং একটি ভেন্যু হল হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।[১] [২]

স্থাপত্য[সম্পাদনা]

মসজিদটি একটি বিস্তৃত কমপ্লেক্সের অংশ ছিল যার মধ্যে একটি মাদ্রাসাও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এখানে ছাত্রদের জন্য মোট আটটি কক্ষ ছিল। কক্ষ আটটি এখনো ভালোভাবেই সংরক্ষণ করা হয়েছে।[১] মসজিদটির উজ্জ্বল লাল রঙের।

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Παλιά Μουσική (Τζαμί Χαλίλ Μπέη)"visitkavala.gr (গ্রিক ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ১০, ২০২২ 
  2. "Τζαμί Χαλίλ Μπέη (Παλιά Μουσική)"kavalagreece.gr (গ্রিক ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ১০, ২০২২ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]