হাওয়ার্থ অভিক্ষেপ
অবয়ব
রসায়নে হাওয়ার্থ অভিক্ষেপ (ইংরেজি: Haworth projection) হল বিজ্ঞানী ওয়াল্টার নর্মান হেওয়র্থ কর্তৃক প্রদত্ত একটি পদ্ধতি যার দ্বারা ত্রিমাত্রিক মনোস্যাকারাইড অণুর গঠনকে দ্বিমাত্রিক ভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব।[১] মূলত শর্করা রসায়নে এর বিস্তৃত ব্যবহার লক্ষ্যণীয়। ত্রিমাত্রিক চক্রাকার ফিউরানোজ বা পাইরানোজ মনোস্যাকারাইড অণুর গঠন কল্পনা করা যথেষ্ট কষ্টসাধ্য ব্যাপার হওয়ার জন্য হাওয়ার্থ এই পদ্ধতির আবিষ্কার করেন।[২]

এটির বৈশিষ্ট্য নিম্নলিখিত:[৩]
- 1 থেকে 6 পর্যন্ত চিহ্নিত প্রতিটি পরমাণুই কার্বন। C1 হল অ্যানোমেরিক কার্বন।
- 1 থেকে 6 পর্যন্ত চিহ্নিত প্রতিটি কার্বন পরমাণুতেই হাইড্রোজেন যুক্ত আছে।
- মোটা দাগ দ্বারা দর্শকের দিকে এগিয়ে থাকা বন্ধন বোঝানো হয়।
- তলের নীচের পরমাণুগুলি ফিশার অভিক্ষেপে ডানদিকে অবস্থিত।
- চক্রাকার রূপ ধারণ করার ফলে নতুন ধরনের সমাবয়বতার সৃষ্টি হয় যা অ্যানোমেরিজম নামে পরিচিত। এটিতে অক্সিজেন পরমাণুর ঠিক পার্শ্ববর্তী কার্বনে হাইড্রক্সিল গ্রুপের অবস্থানের ভিত্তিতে দুটি রূপ কল্পনা করা হয়, যথাক্রমে আলফা ও বিটা। রূপ দুটির আন্তঃপরিবর্তন হবার ঘটনাকে মিউটাঘূর্ণন বলে।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Haworth, Walter Norman (১৯২৯)। The Constitution of Sugars। London, England: Edward Arnold & Co.।
- ↑ Campbell, Mary K. (২০১২)। "16"। Biochemistry। Shawn O. Farrell (7th সংস্করণ)। Belmont, CA: Brooks/Cole, Cengage Learning। পৃষ্ঠা 456। আইএসবিএন 978-0-8400-6858-3। ওসিএলসি 651905707।
- ↑ IUPAC, Compendium of Chemical Terminology, 2nd ed. (the "Gold Book") (1997). Online corrected version: (2006–) "Haworth representation". ডিওআই:10.1351/goldbook.H02749