বিষয়বস্তুতে চলুন

স্প্রাখবুন্ড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

স্প্রাখবুন্ড (জার্মান: Sprachbund, শ্‌প্‌রাখ়বুন্‌ট, জার্মান উচ্চারণ: [ˈʃpʁaːxbʊnt]), আক্ষরিক 'ভাষা সঙ্ঘ') আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন বিভিন্ন ভাষার একটি দল। ভাষাগুলি হয়তো বিভিন্ন ভাষা পরিবারের অংশ, কিন্তু স্প্রাখবুন্ড বৈশিষ্ট্যের ফলে তাদের মধ্যে আপাত মিল পাওয়া যায়। সমবৈশিষ্ট্যযুক্ত একটি ভাষাগুচ্ছ তবেই একটি স্প্রাখবুন্ড হবে যদি সেই বৈশিষ্ট্যগুলি ভাষাদের সাধারণ জিনগত ইতিহাস ছাড়াই বিস্তৃত হয়েছে। সেইজন্য ইতিহাস জ্ঞান ছাড়া বিভিন্ন ভাষা পরিবারকে স্প্রাখবুন্ড বা বিভিন্ন স্প্রাখবুন্ডকে ভাষা পরিবার বলে ভুল শ্রেণিবিভাগ করা হয়।[]

উদাহরণ

[সম্পাদনা]

ইন্দোচীন

[সম্পাদনা]
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মূলভূখণ্ডের বিভিন্ন ভাষা সম্প্রদায়

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মূলভূখণ্ডের ভাষাসমূহ বিভিন্ন পৃথক ভাষা পরিবারের অংশ হলেও তাদের মধ্যে বহু মিল বর্তমান। এই ভাষাগুলি চীনা-তিব্বতি, মং-মিয়েন, তাই-কাদাই, অস্ট্রোনেশীয়অস্ট্রো-এশীয় পরিবারের অংশ, যা থাইল্যান্ড থেকে চীন পর্যন্ত বিস্তৃত।

হিলারিও দে সৌসা (২০১৫) দেখিয়েছেন যে দক্ষিণ চীনের ক্যান্টনীয়ফিংহুয়া উপভাষাও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মূলভূখণ্ডের ভাষা অঞ্চলের অংশ।

মার্ক পোস্ট (২০১৫) লক্ষ্য করলেন যে উত্তর-পূর্ব ভারতের অরুণাচল প্রদেশের তানি ভাষাসমূহ ভাষাতাত্ত্বিক শ্রেণিকরণের দিক থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মূলভূখণ্ডের ভাষা অঞ্চলের অংশ এবং তিব্বতি প্রভাব ক্ষেত্রের ভাষার তুলনায় তানি ভাষাগুলিতে ক্রিওলের মতো রূপমূলতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য বর্তমান। মার্ক পোস্ট এটাও বলেছেন যে তানি সংস্কৃতি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মূলভূখণ্ডের পাহাড়ি সংস্কৃতির মতো এবং এটি শীতল পার্বত্য পরিবেশে অভিযোজিত হয়নি।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Mallinson, Graham; Blake, Barry J. (১৯৮১)। Language Typology - Cross-linguistic Studies in Syntax। North-Holland। পৃষ্ঠা 17–18। আইএসবিএন 0-444-863117