স্প্যামিং

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ইলেক্ট্রনিক স্প্যামিং হচ্ছে একটি তথ্য একই সাথে অনেক ব্যাক্তির কাছে প্ররণ করা, যারা বার্তাটি বা মেসেজটি পেতে চায় না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন বা প্রচারের উদ্দেশ্যে নিজেরা বা কয়েকটি সার্ভিসের সাথে যুক্ত হয়ে স্প্যাম ছড়ানো হয়। যদিও এটা অনেকভাবে করা হয়ে থাকে, তবে বেশির ভাগের কাছে ইমেইল স্প্যাম শব্দটি পরিচিত। এটি ইলেকট্রনিক বার্তা (mail) প্রেরণ ব্যবস্থা সমূহ ব্যবহার করে পাঠানো একটি অপ্রার্থিত বার্তা (spamming), বিশেষত বিজ্ঞাপন (advertise) পাঠাতে বা, একই সাইটে বারবার মেসেজ (message) পাঠাতে এটা করা হয়ে থাকে। এছাড়াও আরো অনেক ভাবে স্প্যাম সংগঠিত হতে পারে। যেমন: ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং, ইউজনেট নিউজগ্রুপ, ওয়েব সার্চ ইঞ্জিন, ব্লগ, উইকি, অনলাইন শ্রেণীবদ্ধ বিজ্ঞাপন, মোবাইল ফোন মেসেজিং, ইন্টারনেট ফোরাম, জাঙ্ক ফ্যাক্স সম্প্রচার, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, মোবাইল অ্যাপস, টেলিভিশন বিজ্ঞাপন ও ফাইল শেয়ারিং

এর নামকরণ করা হয়েছে মন্টি পাইথন স্কেচ নামক এক ধরনের মাংসের তৈরি খাবার থেকে। এই খাবারটি লোকেদের কাছে অপছন্দনীয় ও অবাঞ্চিত হওয়ায় তা থেকে এই নামকরণ করা হয়েছে।

স্প্যামিং অর্থনৈতিকভাবে টেকসই কারণ বিজ্ঞাপনদাতাদের তাদের মেইলিং লিস্টে ব্যবস্থাপনা, সার্ভার, অবকাঠামো, আইপি রেঞ্জ, এবং ডোমেইন নাম এর জন্য কোন অতিরিক্ত খরচ করতে হয় না। এতে গণবার্তা প্রেরণকারীদের দায়ী করা কঠিন হয়ে পড়ে। এতে প্রবেশ বাধা খুবই কম, স্প্যামাররা সংখ্যায় অনেক বেশি, তাই অপ্রার্থিত বার্তা (spamming) পাঠানোর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ২০১১ সালে, স্প্যাম বার্তার আনুমানিক সংখ্যা প্রায় ৭ ট্রিলিয়ন। স্প্যামিং এর জন্য সরকারী ও ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সমূহের খরচ বেড়ে গেছে, কমেছে উৎপাদনশীলতা। দূর্নীতির এই মহাপ্লাবনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে তাদের অতিরিক্ত ক্ষমতা যোগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। স্প্যামিং অনেক বিচারব্যবস্থায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

স্প্যামার[সম্পাদনা]

যে ব্যক্তি ইলেকট্রনিক স্প্যাম করেন তাকে স্প্যামার বলা হয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]