সৈয়দ শাহিদুর রহমান
সৈয়দ শাহিদুর রহমান হাইকোর্ট বিভাগের একজন অতিরিক্ত বিচারপতি ছিলেন যাকে দুর্নীতির দায়ে অভিশংসন করা হয়েছিল।[১][২]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]সৈয়দ শাহিদুর রহমান বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে থাকাকালীন তহবিল অপব্যবহারের অভিযোগের সম্মুখীন হন।[৩] ২০০৩ সালের এপ্রিলে, শাহিদুর রহমানকে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি নিযুক্ত করা হয়।[৪] সমিতির পক্ষ থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বার অ্যাসোসিয়েশন ও সিনিয়র আইনজীবীরা তার নিয়োগের বিরোধিতা করেন।[৪]
২০০৩ সালের অক্টোবরে, বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রোকনউদ্দিন মাহমুদ সৈয়দ শাহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে জামিনের জন্য ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ আনেন।[৪] এই অভিযোগের ফলে বাংলাদেশে প্রথম সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করা হয়।[৪] প্রধান বিচারপতি খন্দকার মাহমুদ হাসানের নেতৃত্বে কাউন্সিল অভিযোগগুলি তদন্ত করে এবং ২০০৪ সালের ২৬ জানুয়ারি তারিখে তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়।[৪][৫][৬]
২০০৪ সালের ২০ এপ্রিল,[৫] সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের সুপারিশ এবং প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সম্মতিতে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ সৈয়দ শাহিদুর রহমানকে বিচারক পদ থেকে অপসারণ করেন।[৪][৭] তিনি এক আসামির কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন।[৪] হাইকোর্ট বিভাগের একটি রায়ে শাহিদুর রহমানের অপসারণ অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল তবে প্রধান বিচারপতি জেআর মুদাসির হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের স্থগিতাদেশের মাধ্যমে তা স্থগিত করা হয়েছিল।[৪][৫] সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইদ্রিসুর রহমানের আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে আদেশটি স্থগিত করা হয়।[৮]
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির প্যানেল ২০১৫ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বিচারপতি শাহিদুর রহমানের অপসারণ অবৈধ ঘোষণা করে করা হাই কোর্টের রায়টি বাতিল করেন।[৩][৯][১০]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Bangladesh Government Fires Judge for Bribery - 2004-04-20"। ভিওএ। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-১০।
- ↑ Nur, Shah Alam। "Justices removed on different grounds | The Asian Age Online, Bangladesh"। The Asian Age (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-১০।
- ↑ ক খ sun, daily। "Decision to remove HC judge Shahidur Rahman upheld | Daily Sun"। daily sun (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-১০।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ Staff Correspondent (২০১৫-০৯-১৭)। "SC upholds dismissal of judge Shahidur"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-১০।
- ↑ ক খ গ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। "SC stays HC order declaring illegal Shahidur's removal"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-১০।
- ↑ "Judgment search - Chancery Law Chronicles"। www.clcbd.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-১০।
- ↑ "Bangladesh Judge Fired for Graft"। Arab News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৪-০৪-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-১০।
- ↑ Staff Correspondent। "SC upholds president's order removing HC judge"। দৈনিক প্রথম আলো (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-১০।
- ↑ "Judges to be signed within 6 months: SC"। Risingbd Online Bangla News Portal (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-১০।
- ↑ প্রতিবেদক, সুপ্রিম কোর্ট। "বিচারক পদে ফেরা হচ্ছে না শাহিদুর রহমানের"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২০২৩-০৭-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-০৮।