সুমেরীয় সভ্যতা
![]() আধুনিক মানচিত্রে সুমেরীয় সভ্যতা ও তার মূল শহরগুলোর অবস্থান। প্রাচীন সময়ে উপকূল প্রায় উর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিলো। | |
ভৌগলিক সীমা | মেসোপটেমিয়া, নিকট প্রাচ্য, মধ্যপ্রাচ্য |
---|---|
সময় | নব্যপ্রস্তর যুগের শেষভাগ, মধ্য ব্রোঞ্জ যুগ |
তারিখ | আনু. ৪৫০০ – আনু. ১৯০০ খ্রিস্টপূর্ব |
পূর্বসূরী | উবাইদ কাল |
উত্তরসূরী | আক্কাদীয় সাম্রাজ্য |
সুমেরীয় সভ্যতা যা ইংরেজিতে সুমের (/ˈsuːmər/) নামে পরিচিত, (মিশরীয় সাঙ্গার, বাইবেলে শিনার নামে পরিচিত, স্থানীয় উচ্চারণ কি-এন-গির) মেসোপটেমিয়ার দক্ষিণাংশের একটি প্রাচীন সভ্যতা। এর অবস্থান ছিল আধুনিক রাষ্ট্র ইরাক এর দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে। সুমেরীয় সভ্যতার অস্তিত্ব ছিল খ্রিষ্টপূর্ব ৪৫০০ হতে খ্রিষ্টপূর্ব ১৯০০-এর মধ্যে। ব্যাবিলন সভ্যতার উত্থানের সাথে সাথে সুমেরীয় সভ্যতার পতন ঘটে। সুমেরীয় সভ্যতাকে পৃথিবীর প্রথম সংগঠিত সভ্যতা হিসাবে গণ্য করা হয়।
সুমেরীয় সভ্যতার উৎস[সম্পাদনা]
বর্তমানে ইরাকের টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস (তৎকালীন দজলা ও ফোরাত) নদীর মধ্যবর্তী উর্বর স্থানে সুমেরীয় সভ্যতার গোড়াপত্তন ঘটে। পশ্চিম এশিয়ার নবোপলয়ী পর্যায় থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে মেসোপটেমিয়া অঞ্চলে প্রথম যে সভ্যতা গড়ে উঠে তাই সুমেরীয় সভ্যতা।
দক্ষিণ মেসোপটেমিয়ার আদি অ-সেমেটিকবাসীরা সাধারণভাবে সুমেরিয়ান নামে পরিচিত।
সুমেরীয়দের আদি বাসস্থান[সম্পাদনা]
নির্ভরযোগ্য প্রমাণের অভাবে সুমেরীয়দের আদি বাসস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত কিছু বলা যায় না। সুমেরীয়দের একটি দল ৪০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে উত্তর-পূর্বাঞ্চল বিশেষত এলামের পাহাড়ি অঞ্চল থেকে অগ্রসর হয়েছিল। মূলত উৎস ভূমিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সুমেরীয়দের গোষ্ঠী উর্বর কৃষিজ ভূমির সন্ধানে অগ্রসর হয়ে মেসোপটেমিয়া অঞ্চলে চলে এসেছিল। সুমেরীয়দের নামানুসারে এ অংশটি সুমেরীয় (সুমের) নামে পরিচিত হয়। আবার অন্য একদল ঐতিহাসিক মনে করেন, এরা মধ্য এশিয়ার মালভূমি থেকে সমুদ্রপথে আগমন করেছে। ভারতীয় ঐতিহাসিকদের ধারণা এরা যাযাবর। পশু ও নিজেদের খাদ্য অন্বেষণে এরা মেসোপটেমিয়া অঞ্চলে চলে আসে। তবে তাদের আদি বাসস্থান যেখানেই না কেন তারা খুব একটা বাধার সম্মুখীন না হয়ে নিম্ন উপত্যকায় বসবাস শুরু করে। ইটনা নামক স্থানে প্রথম তারা বসতি গড়ে তোলেন। কোন কোন বিশেষজ্ঞের মতে,টেমপ্লেট:কারা এরা আধুনিক তুরস্কের আনাতোলিয়া নামক স্থান থেকে এসেছিল। সুমেরীয়দের মূল আবাস নিয়ে বিতর্ক আছে বলেই এটা নিয়ে অনেক রহস্যময় গল্প ও ব্যাখ্যা চালু আছে। ষড়যন্ত্র তত্ত্বানুসারে সুমেরীয় একটা জনপ্রিয় ধারণা।
সুমেরীয়দের অবদান[সম্পাদনা]
বড় অবদান চাকা আবিষ্কার করেন। জলঘড়ি ও চন্দ্রপঞ্জিকা আবিষ্কারে বিশেষ অবদান রয়েছে।
লিখন পদ্ধতি আবিষ্কার[সম্পাদনা]
সুমেরিয় গণ কিউনিফার্ম নামে একটি নতুন লিপির উদ্ভাবন করেন।কিউনিফার্ম কে বলা হয় অক্ষরভিত্তিক বর্ণমালা।
সুমেরীয় সাহিত্য[সম্পাদনা]
সুমেরীয় সাহিত্য মিশরীয়দের চেয়ে উন্নত ছিল।সুমেরীয়রাই প্রথম মহাকাব্য রচনা করেছিলেন।তাদের বিখ্যাত মহাকাব্যের নাম “গিলগামেশ”।
সুমেরীয় ধর্ম[সম্পাদনা]
সুমেরীয়দের জীবনে ধর্ম একটি বিশেষ স্থান দখল করেছিল। তারা অনেক দেবতায় বিশ্বাসী ছিল। তাদের সূর্য দেবতা ছিল “শামাশ”।
সুমেরীয়দের কাছে আইন বলতেছিল তারা সবাই একত্রে বসবাস করবে এবং তাদের কাছে জমি জায়গা ছিলনা তারা এক ধরনের যাযাবর ছিল বলে সেরকম তাদের মধ্যে কোন ঝগড়া লাগত না এবং কোন ধরনের অসুবিধা হলে তাদের একজন দলনেতা ছিল তার কাছে গিয়ে বলতো এবং সেই দলের নেতা বা রাজা তাদের বিচার করত তবে যেকোনো একজনকে বলি দিতে হতো
অন্যান্য অবদান[সম্পাদনা]
পৃথিবীর প্রথম আইন—উর–নাম্মু কোড।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |