বিষয়বস্তুতে চলুন

সুকুমারী (চলচ্চিত্র)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সুকুমারী
পরিচালকঅম্বুজ প্রসন্ন গুপ্ত
প্রযোজকঢাকার নবাব পরিবার
শ্রেষ্ঠাংশে
  • খাজা আদেল
  • খাজা নাসরুল্লাহ
  • সৈয়দ আব্দুস সোবহান
চিত্রগ্রাহকখাজা আজাদ
পরিবেশকঢাকার নবাব পরিবার
মুক্তি১৯২৭
স্থিতিকাল৪০ মিনিট
দেশ ব্রিটিশ ভারত
ভাষানির্বাক চলচ্চিত্র

সুকুমারী ঢাকায় নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্রঢাকার নবাব পরিবারের কিছু শৌখিন মানুষ ছিলেন এই চলচ্চিত্র নির্মাণের মূল উদ্যোগতা। তাদের উৎসাহে ১৯২৭ সালে এই স্বল্পদৈর্ঘ্যের নির্বাক চলচ্চিত্রটি পরীক্ষামূলকভাবে অম্বুজপ্রসন্ন গুপ্তের পরিচালনায় নির্মাণ করা হয়।[১][২] এই চলচ্চিত্রের অভিনেতা ও কলাকুশলীরা সবাই ছিলেন ঢাকার অধিবাসী। সকল কলাকুশলীদের জন্য চলচ্চিত্রটি ছিল প্রথম অভিজ্ঞতা। এ হিসেবে এই চলচ্চিত্রের প্রযোজক, পরিচালক ও অভিনেতা তথা সকল কলাকুশলীরা ঢাকা তথা বাংলাদেশে চলচ্চিত্র নির্মাণের সূচনাকারী।[৩]:১৬,১৭

কলাকৌশলীবৃন্দ[সম্পাদনা]

সুকুমারী'র একটি দৃশ্যে নায়ক খাজা নসরুল্লাহ ও নায়িকা বেশে সৈয়দ আব্দুস সোবহান

অভিনেতা[সম্পাদনা]

ঢাকার নওয়াব পরিবারের তরুণরা চলচ্চিত্র নির্মাণ ও অভিনয়ে উৎসাহী ছিলেন। নবাব পরিবারের খাজা জহির, খাজা আজাদ, সৈয়দ সাহেব আলম প্রমুখ চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছিলেন বলে জানা যায়। সামাজিক ও পাশাপাশি ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞার কারণে নারীদের চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুযোগ ছিল না। পুরুষদেরই নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করতে হতো। বিভিন্ন তথ্য উৎস থেকে জানা যায় সৈয়দ আবদুস সোবহান সুকুমারী ছবিতে নারী সেজে অভিনয় করেন।[৪]

অন্যান্য কলাকুশলী[সম্পাদনা]

সুকুমারী চলচ্চিত্রের পরিচালক ছিলেন জগন্নাথ কলেজের তৎকালীন ক্রীড়াশিক্ষক, ওয়ারী ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও নাটকের পরিচালক অম্বুজপ্রসন্ন গুপ্ত।[৫][৬] তিনি নবাব পরিবারের পূর্ব পরিচিত ছিলেন।এই চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রহণ করেছিলেন খাজা আজাদ। এ প্রেক্ষিতে অম্বুজপ্রসন্ন গুপ্ত ও খাজা আজাদ বাংলাদেশের ভূখন্ডে নির্মিত চলচ্চিত্রের প্রথম পরিচালক ও চিত্রগ্রাহক।[৩]:১৭,১৮

নির্মাণের ইতিহাস[সম্পাদনা]

চিত্রগ্রহণ[সম্পাদনা]

সম্পূর্ণ চলচ্চিত্রটি ঢাকার নবাব পরিবারের মালিকানাধীন দিলকুশা গার্ডেন বা বর্তমান বঙ্গ ভবনের এলাকায় চিত্রায়িত হয়েছিল। ফিল্ম নষ্ট না করার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে গিয়ে কোন দৃশ্য দ্বিতীয় বার ধারণ করা হয়নি। চিত্রগ্রহণে দিনের আলো ব্যবহারের জন্য সিগারেটের প্যাকেটের রাংতা কাগজ পিচবোর্ডে সেঁটে আলোর প্রতিফলক বানানো হয়েছিল[৩]:১৭,১৮


সম্পাদনা[সম্পাদনা]

এই চলচ্চিত্রটি ঢাকার নওয়াব পরিবারের উৎসাহে ও পৃষ্টপোষকতায় নির্মিত হয়; যা মাত্র চার রিলের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছিল।[৭][৮] চলচ্চিত্রটি সংরক্ষণের কথা বিবেচনা করে এটি কোন দৃশ্যই সম্পাদনা করে বাদ দেয়া হয়নি। চলচ্চিত্রটির একটি মাত্র প্রিন্ট করা হয়েছিল।[৩]:১৮

প্রদর্শন[সম্পাদনা]

সুকুমারী চলচ্চিত্রটি নওয়াব পরিবারে ঘরোয়াভাবে প্রদর্শন করা হয়।[৩]:১৮

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

  • বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের রূপরেখা:অনুপম হায়াৎ, পলল প্রকাশনী।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "মনে আছে কি?"Prothom Alo। ২০১৪-০৬-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-২৮ 
  2. বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নিয়ে কিছু জানা কথা ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩০ অক্টোবর ২০১২ তারিখে, তপন বাগচী
  3. হাসান, খন্দকার মাহমুদুল (ফেব্রুয়ারি ২০১১)। মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্রবাংলাবাজার, ঢাকা: কথা প্রকাশ। আইএসবিএন ৯৮৪-৭০১২০০১৬৭৭ |আইএসবিএন= এর মান পরীক্ষা করুন: invalid character (সাহায্য) 
  4. "ঢাকাই চলচ্চিত্রের শুরুর সময়"। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০১২ 
  5. "১০০ বছরে রাজা হরিশচন্দ্র"www.prothom-alo.com। ২০১২-০৪-২১। ২০২০-০২-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-০৫ 
  6. "টাইম লাইন বাংলা চলচ্চিত্র"সমকাল। ২০১৮-০৮-০৪। ২০২০-০৮-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-০৪ 
  7. Azadi, Dainik (২০২১-১১-২৯)। "বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের চলচ্চিত্র"দৈনিক আজাদী (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-২৮ 
  8. ঢালিউডের নন্দিত নায়িকাদের গল্প[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]