সিল (প্রাণী)
সিল সময়গত পরিসীমা: সাম্প্রতিক অলিগোসিন – হলোসিন, ২৪–০কোটি | |
---|---|
ঘড়ির কাঁটার দিকে: গ্রে সিল (Halichoerus grypus), স্টেলার সি লায়ন (Eumetopias jubatus), নিউজিল্যান্ড ফার সিল (Arctocephalus forsteri), সিন্ধুঘোটক (Odobenus rosmarus), সাদার্ন এলিফ্যান্ট সিল (Mirounga leonina) | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ/রাজ্য: | অ্যানিম্যালিয়া (Animalia) |
পর্ব: | কর্ডাটা (Chordata) |
শ্রেণি: | স্তন্যপায়ী (ম্যামেলিয়া) |
বর্গ: | শ্বাপদ বর্গ (মাংসাশী) |
গোষ্ঠী: | Pinnipedimorpha |
গোষ্ঠী: | Pinnipediformes |
গোষ্ঠী: | Pinnipedia ইলিগার, ১৮১১[১] |
Subclades | |
| |
বিস্তারের মানচিত্র |
সিল, বৈজ্ঞানিক নাম Pinnipedia, একপ্রকার মাংসাশী অর্ধ-জলজ স্তন্যপায়ী প্রাণী, যা বৃহৎ এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। এটি Odobenidae (যার একমাত্র বিদ্যমান সদস্য সিন্ধুঘোটক), Otariidae (কানযুক্ত সিল: সি লায়ন ও ফার সিল) ও Phocidae (কানবিহীন সিল) বিদ্যমান পরিবার, ৩৪টি বিদ্যমান প্রজাতি ও ৫০এর বেশি বিলুপ্ত প্রজাতি নিয়ে গঠিত। সিলের আকার ১ মিটার (৩ ফুট ৩ ইঞ্চি) দীর্ঘ ও ৪৫ কিলোগ্রাম (১০০ পাউন্ড) ওজনের বৈকাল সিল থেকে ৫ মিটার (১৬ ফুট) দীর্ঘ ও ৩,২০০ কিলোগ্রাম (৭,১০০ পাউন্ড) ওজনের সাদার্ন এলিফ্যান্ট সিল পর্যন্ত হতে পারে। সিলের দেহ স্ট্রিমলাইন্ড এবং এর চারটি তাড়নী থাকে। পানিতে এটি শুশুকের মতো দ্রুতগতির না হলেও সিল তুলনায় আরও নমনীয় ও ক্ষিপ্রগতির। পানিতে প্রচলিত করার জন্য কানযুক্ত সিল মূলত তার সামনের তাড়নীদের ব্যবহার করে, যেখানে কানবিহীন সিল ও সিন্ধুঘোটক একই উদ্দেশ্যে মূলত তার পিছনের তাড়নীদের ব্যবহার করে। স্থলভাগে চলাফেরার সময় কানযুক্ত সিল ও সিন্ধুঘোটক তাদের পিছনের তাড়নীদের পা হিসাবে ব্যবহার করে। সিলদের দৃষ্টি ও শ্রবণ বায়ু ও পানির জন্য অভিযোজিত। তাদের ত্বকের নিচে চর্বির স্তর রয়েছে যা শীতল পানিতে দেহকে উষ্ণ রাখতে পারে। সিলের কিছু প্রজাতি অত্যন্ত গভীরে ডুব দেওয়ার জন্য ভালোভাবে অভিযোজিত। সিন্ধুঘোটক বাদে অন্যান্য সিল প্রজাতিদের দেহ রোমে আচ্ছাদিত।
ব্যুৎপত্তি
[সম্পাদনা]প্রচলিত নাম "সিল" ইংরেজি শব্দ seal হতে উদ্ভূত, যা আবার প্রাচীন ইংরেজি শব্দ seolh এবং প্রত্ন-জার্মানিক *selkhaz হতে উদ্ভূত।[২] বৈজ্ঞানিক নাম Pinnipedia লাতিন শব্দ pinna ('(জলচর প্রাণীর) ডানা') ও pes, pedis ('পা') হতে উদ্ভূত।[৩]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Illiger, J. K. W. (১৮১১)। Prodromus Systematis Mammalium et Avium (লাতিন ভাষায়)। Sumptibus C. Salfeld। পৃষ্ঠা 138–39।
- ↑ "seal"। Online Etymology Dictionary। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০২০।
- ↑ Elias, J. S. (২০০৭)। Science Terms Made Easy: A Lexicon of Scientific Words and Their Root Language Origins। Greenwood Publishing Group। পৃষ্ঠা 157। আইএসবিএন 978-0-313-33896-0।
গ্রন্থপঞ্জি
[সম্পাদনা]- Berta, Annalisa (২০১২)। Return to the Sea: The life and evolutionary times of marine mammals। University of California Press। আইএসবিএন 978-0-520-27057-2।
- Berta, Annalisa; Sumich, James L.; Kovacs, Kit M. (২০০৬)। Marine Mammals। Evolutionary Biology (2nd সংস্করণ)। Academic Press। আইএসবিএন 978-0-12-088552-7।
- Dickenson, Victoria (২০১৬)। Seal। Reaktion Books। আইএসবিএন 9781780235561।
- MacDonald, David, সম্পাদক (২০০১)। The Encyclopedia of Mammals (2nd সংস্করণ)। Oxford University Press। আইএসবিএন 978-0-7607-1969-5।
- Perrin, William F.; Würsig, Bernd; Thewissen, J. G. M., সম্পাদকগণ (২০০৯)। Encyclopedia of Marine Mammals (2nd সংস্করণ)। Academic Press। আইএসবিএন 978-0-12-373553-9।
- Riedman, Marianne (১৯৯০)। The Pinnipeds: Seals, sea lions, and walruses। University of California Press। আইএসবিএন 978-0-520-06497-3।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- "Seal Conservation home page"। Seal Conservation Society।
- "Pinnipeds: Seals, sea lions, and walruses"। Department of Fisheries। National Oceanographic and Atmospheric Administration। ১৯ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- "Pinniped Research Lab (PEARL) home page"। Pinniped Ecology Applied Research Laboratory। Oregon State University। ৫ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০১৩।
- "Pinniped Laboratory home page"। Pinniped Cognition & Sensory Systems Laboratory। University of California, Santa Cruz।