বিষয়বস্তুতে চলুন

সারদাচরণ মিত্র

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সারদাচরণ মিত্র
জন্ম(১৮৪৮-১২-১৭)১৭ ডিসেম্বর ১৮৪৮
পানিসেহালা গ্রাম, হুগলি ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ
মৃত্যু২৩ মে ১৯১৭(1917-05-23) (বয়স ৮৮)
পেশাবিচারপতিলেখক
দাম্পত্য সঙ্গীকৃষ্ণামোহিনী মিত্র (বি.১৮৬৮)

সারদাচরণ মিত্র (১৭ ডিসেম্বর ১৮৪৮ - ১৯১৭) ছিলেন একজন প্রসিদ্ধ বাঙালি আইনজীবী, গ্রন্থকার ও বিদ্যানুরাগী। []

জন্ম ও শিক্ষা জীবন

[সম্পাদনা]

সারদাচরণ মিত্র ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দের ১৭ ডিসেম্বর ব্রিটিশ ভারতের অধুনা পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার পানিসেহালা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সারদাচরণ অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। তিনি কলকাতার গভর্নমেন্ট কলুটোলা ব্রাঞ্চ স্কুল (বর্তমানের হেয়ার স্কুল )হতে এন্ট্রান্স, প্রেসিডেন্সি কলেজ হতে এফ.এ এবং স্নাতকস্তরের সকল পরীক্ষায় প্রথম হন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম. এ পরীক্ষায় অবশ্য তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। এন্ট্রান্স পাশ করার পর মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যেই তিনি সমস্ত পরীক্ষায় পাশ করেন। ১৮৭১ খ্রিস্টাব্দে তিনি প্রেমচাঁদ-রায়চাঁদ বৃত্তি লাভ করেন। ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি আইনের পাঠ শেষ করেন।[]

কর্মজীবন

[সম্পাদনা]

ওকালতি পাশের পর সারদাচরণ কলকাতা হাইকোর্টে আইন ব্যবসায় ব্রতী হন। ১৯০২-০৩ খ্রিস্টাব্দে অস্থায়ী বিচারপতি এবং ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে স্যার গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় অবসর গ্রহণ করলে স্থায়ীভাবে স্থলাভিষিক্ত হন। তবে ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি পদত্যাগ করেন। []

সাহিত্যকর্ম

[সম্পাদনা]

সারদাচরণ বিচারপতির পদ ত্যাগ করে বাংলা সাহিত্য সেবায় নিয়োজিত হন। "বিদ্যাপতির পদাবলি"-র সটীক সংস্করণ প্রকাশ যেমন ছিল বাংলা সাহিত্যে তার অন্যতম কীর্তি আবার অন্যদিকে "কায়স্থকারিকা" সংকলন প্রকাশ ছিল তার সামাজিক সাহিত্যের পুষ্টিসাধনে অনন্য সাধারণ অবদান। বাংলায় কায়স্থ সমাজের উন্নতির জন্য কায়স্থ পরিষদ গঠন এবং সারা ভারতে 'একলিপি' বিস্তার ও প্রচারকল্পে 'একলিপি প্রচার সমিতি' প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দ হতে ১৯১২ খ্রিস্টাব্দ সময়ের মধ্যে কয়েকবার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সভাপতিও হয়ে ছিলেন। তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য রচনাগুলি হল -

  • উৎকলে শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য
  • ভারতরত্নমালা
  • টেগোর ল' লেকচার্স
  • ল্যান্ড ল' অফ বেঙ্গল ( উইথ বেহার অ্যান্ড ওড়িশা)

১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি উত্তর কলকাতায় আর্যবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। পর এটি তার নামে নামাঙ্কিত হয়ে "সারদাচরণ এরিয়ান ইন্সটিটিউশন" নামে পরিচিত হয়। ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে তিনি মাধবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রবর্তিত বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকার কাজে যুক্ত মহামহোপাধ্যায় মহেশচন্দ্র ন্যায়রত্ন সাহায্য করেন। ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দের সারদাচরণ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো হন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময়ের নানা পদে অন্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন-

পারিবারিক জীবন

[সম্পাদনা]

১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে সারদাচরণ কলকাতার শ্রীনাথ ঘোষের কন্যা তথা রাজা স্যার রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের পৌত্রী কৃষ্ণামোহিনীকে বিবাহ করেন। সারদাচরণ ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে প্রয়াত হন।।[]


তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬, পৃষ্ঠা ৭৭৮, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
  2. "Sarada Charan Mitra (ইংরেজীতে)"। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-১১