মহেশচন্দ্র ন্যায়রত্ন
মহেশচন্দ্র ন্যায়রত্ন, মহামহোপাধ্যায় | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ১২ এপ্রিল ১৯০৬ | (বয়স ৭০)
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পরিচিতির কারণ | Sanskrit Academic administration Social welfare philosophy |
পিতা-মাতা | হরিনারায়ণ তর্করত্ন |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | Academics, Sanskrit, academic administration, social welfare, philosophy |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | সংস্কৃত কলেজ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নারিট ন্যায়রত্ন ইনস্টিটিউশন Hungarian Academy of Sciences এশিয়াটিক সোসাইটি (কলকাতা) ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অব সায়েন্স Anthropological Society of Bombay ভারতীয় প্রকৌশল বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান, শিবপুর |
মহেশচন্দ্র ন্যায়রত্ন, মহামহোপাধ্যায়, CIE (২২ ফেব্রুয়ারি ১৮৩৬ – ১২ এপ্রিল ১৯০৬), ভারতীয় সংস্কৃত পণ্ডিত এবং ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দ হতে ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত কলকাতার সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সুহৃদ ছিলেন এবং ঊনবিংশ শতকের বাংলার ও বাংলার নবজাগরণের এক অনন্য সাধারণ ব্যক্তি ছিলেন।
জন্ম ও শিক্ষা জীবন
[সম্পাদনা]মহেশচন্দ্রের পিতা হরিনারায়ণ তর্কসিদ্ধান্ত শ্রীমদ ভাগবতের প্রসিদ্ধ টীকাকার শ্রীধর স্বামীর বংশধর। তিনি প্রথমে মেদিনীপুর জেলার রায়গঞ্জ প্রসিদ্ধ বৈয়াকরণ ঠাকুরদাস চূড়ামণির নিকট ব্যাকরণ পাঠ সমাপ্ত করেন। তারপর তিনি বিভিন্ন অধ্যাপকের নিকট কাব্য, স্মৃতি, বেদান্ত ও অলংকাশাস্ত্র অধ্যয়ন করে কাশী যান। সেখানে বেদ উপনিষদ ও বেদান্তশাস্ত্র পাঠ করেন। কলকাতার জয়নারায়ণ তর্কপঞ্চাননের নিকট নব্যন্যায় অধ্যয়ন শেষ করে 'ন্যায়রত্ন' উপাধি পান।[১]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার শোভাবাজারের মহারাজা কমলকৃষ্ণ দেবের আনুকূল্যে চতুষ্পাঠী স্থাপন করে অধ্যাপনা করতে থাকেন। ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে সংস্কৃত কলেজের অলংকারশাস্ত্রের অধ্যাপক নিযুক্ত হন[২] ও নিজে ইংরাজী ভাষা শিক্ষা নেন। ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে উক্ত কলেজের অধ্যক্ষ হন ও ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে অবসর গ্রহণ করেন।[১]
অবদান
[সম্পাদনা]মহেশচন্দ্রই সংস্কৃত আদ্য মধ্য ও উপাধি পরীক্ষার প্রবর্তক। নিজের গ্রামে তারই উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত উচ্চ ইংরাজী বিদ্যালয় বর্তমানে 'ন্যায়রত্ন ইনস্টিটিউশন' নামে পরিচিত। মার্টিন কোম্পানির হাওড়া- আমতা রেলপথ তারই প্রচেষ্টায় নির্মিত হয়েছিল। তিনি 'কাব্যপ্রকাশ' গ্রন্থের টীকা এবং ন্যায়কুসুমাঞ্জলি'র তাৎপর্য বিবরণ' ও 'বাক্যপ্রকাশের তাৎপর্য বিবরণ' নামে টিপ্পনী গ্রন্থ রচনা করেন এছাড়া এশিয়াটিক সোসাইটির আনুকূল্যে সায়ণভাষ্যসহ 'তৈত্তিরীয় সংহিতা' তৃতীয় চতুর্থ ও পঞ্চম খণ্ড এবং শবরভাষাসহ 'মীমাংসাদর্শন' সম্পাদনা করেন। বাংলা পঞ্জিকা সংস্কার কার্যেও ব্রতী হয়েছিলেন।[১][৩]
উপাধি
[সম্পাদনা]১৮৮১ খ্রিস্টাব্দে বৃটিশ সরকার কর্তৃক তিনি সি.আই.ই এবং ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে 'মহামহোপাধ্যায়' দ্বারা সম্মানিত হন।[৪]
মৃত্যু
[সম্পাদনা]মহেশচন্দ্র ন্যায়রত্ন ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দের ১২ ই এপ্রিল প্রয়াত হন।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, পঞ্চম সংস্করণ তৃতীয় মুদ্রণ। সংসদ চরিতাভিধান প্রথম খণ্ড। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ৫৬৯ – ৫৬০।
- ↑ "হেরিটেজ তকমা সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়কে"। Eisamay। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-১০।
- ↑ admin (২০২৩-০৩-১৫)। "মহামোহপাধ্যায় মহেশচন্দ্র ন্যায়রত্ন" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-১০।
- ↑ "পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (প্রথম খণ্ড).pdf/১৪৪ - উইকিসংকলন একটি মুক্ত পাঠাগার"। bn.wikisource.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-১০।
- ১৮৩৬-এ জন্ম
- ১৯০৬-এ মৃত্যু
- হাওড়া জেলার ব্যক্তি
- বাঙালি সমাজ সংস্কারক
- বাঙালি শিক্ষাবিদ
- ১৯শ শতাব্দীর বাঙালি
- ১৯শ শতাব্দীর ভারতীয় পণ্ডিত
- ১৯শ শতাব্দীর ভারতীয় লেখক
- ২০শ শতাব্দীর বাঙালি
- ২০শ শতাব্দীর ভারতীয় লেখক
- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
- বাঙালি হিন্দু
- ভারতীয় সংস্কৃত পণ্ডিত
- ভারতীয় শিক্ষায়তনিক
- ভারতীয় শিক্ষাবিদ
- ভারতীয় পুরুষ লেখক
- ভারতীয় জনহিতৈষী
- ভারতীয় পণ্ডিত
- ভারতীয় সমাজকর্মী
- ভারতীয় লেখক
- কলকাতার পণ্ডিত
- পশ্চিমবঙ্গের সমাজকর্মী
- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষায়তনিক
- কলকাতার শিক্ষায়তনিক