সাকেত

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অযোধ্যা ভারত-এ অবস্থিত
অযোধ্যা
অযোধ্যা
অযোধ্যার (সাকেত)অবস্থান, ভারত।

সাকেত ( সংস্কৃত: साकेत ) হলো ভারতের অযোধ্যা শহরের সংস্কৃত নাম। [১] হিন্দু মহাকাব্যে বৈকুণ্ঠ ধামকেও বিকল্পভাবে সাকেত বলা হয় যেখানে মুক্তাত্মারা বাস করে। [২] "সাকেত" অযোধ্যা রাজ্যের নামটি পরে বৌদ্ধ পর্যটক ও দূরবর্তী ব্যবসায়ীদের দ্বারা এই রাজ্যের অধীনস্থ অঞ্চলের সম্মিলিত নাম হিসাবে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

সামগ্রিকভাবে, হিন্দি, বাংলা, গুজরাটি, মারাঠি, সংস্কৃত সাহিত্য রামায়ণরামচরিতমানসে পাওয়া প্রাথমিক ইতিহাস অনুসারে শহরটির নাম অযোধ্যা, সাকেত নয়।

সাহিত্যে[সম্পাদনা]

সাকেত (১৯৩২) হলো মৈথিলী শরণ গুপ্তের বিখ্যাত হিন্দি মহাকাব্য রামচরিতমানসের একটি আধুনিক সংস্করণ যেখানে একটি আদর্শ হিন্দু সমাজ তথা রামকে একজন আদর্শ মানুষরূপে বর্ণনা করেছে। [৩] [৪] এটি মিথিলার রাজা জনকের কন্যা ও সীতার কনিষ্ঠা ভগিনী ঊর্মিলার দৃষ্টিতে রামায়ণের একটি বিবরণ। ঊর্মিলা পরবর্তীতে লক্ষ্মণের স্ত্রী হয়েছিলেন।

বৌদ্ধ ধর্মে[সম্পাদনা]

বৌদ্ধধর্মে স্থানটিতে ওক্কাকার পুত্ররা একটি শহর প্রতিষ্ঠা করেছিল বলে মনে করা হয়।[ উদ্ধৃতি প্রয়োজন ]

বৌদ্ধ সাহিত্যে অযোধ্যা বড় গুরুত্ব বহন করে। প্রথাগত বৌদ্ধ সাহিত্যে এস্থানকে সাকেত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ব্রিটিশ প্রত্নতাত্ত্বিক আলেকজান্ডার কানিংহাম যিনি এএসআই-এর প্রথম মহাপরিচালক ছিলেন তিনি অযোধ্যায় তিনটি বৌদ্ধ স্থান - মণি পর্বত, কুবের পর্বত ও সুগ্রীব পর্বত চিহ্নিত করেছিলেন।[ উদ্ধৃতি প্রয়োজন ]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Allchin, F. R.; Erdosy, George (১৯৯৫-০৯-০৭)। The Archaeology of Early Historic South Asia: The Emergence of Cities and States (ইংরেজি ভাষায়)। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 298। আইএসবিএন 978-0-521-37695-2 
  2. Tulasīdāsa (১৯৮৯)। Gosvāmī Tulasīdāsakr̥ta Śrīrāmacaritamānasa। Motilal Banarsidass। পৃষ্ঠা 892–। আইএসবিএন 978-81-208-0443-2। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৩ 
  3. Kuśa Satyendra (২০০০)। Dictionary Of Hindu Literature। Sarup & Sons। পৃষ্ঠা 71–। আইএসবিএন 978-81-7625-159-4। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৩ 
  4. Gilbert Pollet (১৯৯৫)। Indian Epic Values: Rāmāyaṇa and Its Impact : Proceedings of the 8th International Rāmāyaṇa Conference, Leuven, 6-8 July 1991। Peeters Publishers। পৃষ্ঠা 198–। আইএসবিএন 978-90-6831-701-5। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৩