সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়
সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় Govt. Coronation Secondary Girl's School | |
---|---|
ঠিকানা | |
আহসান আহমেদ রোড , ৯১০০ | |
তথ্য | |
বিদ্যালয়ের ধরন | সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯১১[১] |
প্রতিষ্ঠাতাগণ |
|
অবস্থা | চালু |
বিদ্যালয় বোর্ড | মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর[২] |
বিদ্যালয় জেলা | খুলনা জেলা |
ইআইআইএন | ১১৭১৩৮[৩][২] |
প্রধান শিক্ষিকা | মোছাঃ মাকামী মাকছুদা[৪] |
কর্মকর্তা | ১৪ জন[১] |
শিক্ষকমণ্ডলী | ৫৩ জন[১] |
লিঙ্গ | বালিকা |
শিক্ষার্থী সংখ্যা | ২০৮৬[৩][৫] |
ভাষা | বাংলা |
শ্রেণিকক্ষ | ২৬টি[৩] |
ক্যাম্পাসসমূহ | ০১টি |
আয়তন | ১.৭১ একর (৬,৯০০ মি২)[৩] |
ক্যাম্পাসের ধরন | শহুরে |
ওয়েবসাইট | www |
সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় খুলনা জেলার একটি প্রাচীন বালিকা বিদ্যালয়। ১৯১১ সালে প্রতিষ্ঠার পর ১৯৩৫ সালে বিদ্যালয়টি সরকারি স্বীকৃতি লাভ করে এবং ১৯৬০ সালে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় উন্নীত হয়।[১][৩] বিদ্যালয়টি জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ পুরুস্কার সহ মেয়র পদক-২০১১ পেয়েছে।[১][৬]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯১১ সালে খুলনার বিশিষ্ট আইনজীবি রায় বাহাদুর বিপিন বাহারি সেন, বিমলানন্দ দাশগুপ্ত, শামছুর রাহমান প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ খুলনা শহরে খুলনা মডেল ইংলিশ গার্লস স্কুল নামে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ১৯১১ সালেই বিদ্যালয়ের নাম করোনেশন গার্লস স্কুল দেওয়া হয়। এরপর ১৯১২ সাল থেকে এই বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। ঐ সময় বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি রায় বাহাদুর মহেন্দ্র কুমার ঘোষ ও অন্যান্য উদ্যোক্তাদের অর্থানুকুল্যে বিদ্যালয়টির বর্তমান স্থানে জমি কিনে বিদ্যালয়টি স্থানান্তর করা হয়। ১৯৩৫ সালে বিদ্যালয়টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে সরকারি স্বীকৃতি লাভ করে। বিদ্যালয়টি স্থানান্তরিত হওয়ার পর পাকা, সেমিপাকা ও টিনশেড ঘরে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলে। ১৯৪০ সালে বাংলার গভর্ণরের পত্নী লেডি মেরি হারবার্ট বিদ্যালয় পরির্দশনে আসেন। তিনি বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য এক লক্ষ টাকা অনুদান ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে ১৯৬০ সালের পহেলা জানুয়ারি বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ হয়। এ সময় মিসেস হাসিনা খানম প্রধান শিক্ষিকার পদে যোগদান করেন। তখন থেকে বিদ্যালয়টি সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় নামে যাত্রা শুরু করে বর্তমান অবস্থায় উন্নীত হয়েছে।[১][৩]
বিদ্যালয়টি জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৪ ও ২০১৬ সালে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ স্কুলের গৌরব এবং ২০১১ সালের মেয়র পদক লাভ করে।[১]
একাডেমিক কার্যক্রম
[সম্পাদনা]বিদ্যাল্যের একাডেমিক কার্যক্রম ০২টি শিফটে পরিচালিত হয়।[১]
- প্রভাতী (সকাল ০৭:১৫ থেকে দুপুর ১২:০০ পর্যন্ত)
- দিবা (দুপুর ১২:৩০ বিকাল থেকে ৫:২৫ পর্যন্ত)
উভয় শিফটের জন্য একজন প্রধান শিক্ষিকা, প্রত্যেক বিভাগের জন্য একজন করে সহকারী প্রধান শিক্ষিকা এবং প্রতি বিভাগের জন্য ২৫ জন করে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক ও শিক্ষিকা রয়েছেন। এছাড়া ৪ জন অফিস সহকারী এবং ১০ জন ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী রয়েছে। প্রতি বিভাগ ৩য় থকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত এবং প্রতিটি শ্রেণিতে ০২টি শাখা যথাক্রমে ‘ক’ ও ‘খ’ রয়েছে।[১]
শিক্ষক-শিক্ষিকা
[সম্পাদনা]বর্তমানে বিদ্যালয়ে মোট ৫৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন। ০১ জন প্রধান শিক্ষিকা, ০২ জন সহকারী প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ ৩৭ জন সিনিয়র শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং ১২ জন সহকারীশিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছে।[৪]
শিক্ষার্থী
[সম্পাদনা]বর্তমানে বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ২০৮৬।[৫]
ধর্ম ভিত্তিক
[সম্পাদনা]বিদ্যালয়ে ০৪টি ধর্মের শিক্ষার্থী রয়েছে।[৫]
- মুসলিম শিক্ষার্থী ১৭০৮ জন
- হিন্দু শিক্ষার্থী ৩৭৪ জন
- বৌদ্ধ শিক্ষার্থী ০২ জন
- খ্রিস্টান শিক্ষার্থী ০২ জন
বিভাগ ভিত্তিক
[সম্পাদনা]নবম ও দশম শ্রেণিতে ০৩টি বিভাগ রয়েছে।[৫][২]
- বিজ্ঞান বিভাগে ২৫৩ জন
- মানবিক বিভাগে ১৩ জন
- বানিজ্য বিভাগে ১২ জন
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ "সংক্ষিপ্ত ইতিহাস"। প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট-সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। ২০২৪-০৪-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-০৮।
- ↑ ক খ গ "Govt. Coronation Secondary Girls School"। govtcoronationsecondarygirlsschool.jessoreboard.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-০৮।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ "এক নজরে"। প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট-সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-০৮।
- ↑ ক খ "কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকা"। প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট-সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-০৮।
- ↑ ক খ গ ঘ "অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী"। প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট-সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-০৮।
- ↑ "সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় পুরস্কার বিতরণ"। বেঙ্গল টাইমস। ২০২৩-০১-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-০৮।