সন্তোষ যাদব

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সন্তোষ যাদব
২০০৮ সালে সন্তোষ যাদব
জন্ম (1967-10-10) ১০ অক্টোবর ১৯৬৭ (বয়স ৫৬)
জাতীয়তাভারতীয়
পেশাপর্বতারোহী
দাম্পত্য সঙ্গীউত্তম কুমার লাল (বি. ১৯৯২)
পুরস্কারপদ্মশ্রী পুরস্কার (২০০০ ) তেনজিং নোরগে ন্যাশনাল এডভেঞ্চার এওয়ার্ড (১৯৯৪)
ওয়েবসাইটsantoshyadavmountaineer.com

সন্তোষ যাদব (জন্ম ১০ অক্টোবর ১৯৬৭) একজন ভারতীয় পর্বতারোহী। তিনি বিশ্বের প্রথম মহিলা যিনি দুবার মাউন্ট এভারেস্ট আরোহণ করেন[১] এবং কাংশুং ফেস থেকে সফলভাবে মাউন্ট এভারেস্ট আরোহণকারী প্রথম মহিলা। তিনি প্রথমে ১৯৯২ সালের মে মাসে এবং তারপর আবার ১৯৯৩ সালের মে মাসে একটি ইন্দো-নেপালী দলের সাথে এভারেস্ট শিখরে আরোহণ করেন।

১৯৯২ সালে তার এভারেস্ট মিশনের সময়, তিনি একজন পর্বতারোহী মোহন সিং এর সাথে অক্সিজেন ভাগ করে নিয়ে তার জীবন রক্ষা করেছিলেন। সাউথ কলে মারা যাচ্ছিলেন এমন একজন পর্বতারোহীকেও তিনি সাহায্য করার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু তাকে বাঁচাতে ব্যর্থ হন।[২]

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা[সম্পাদনা]

তিনি ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের রেওয়ারি জেলার জোনিয়াওয়াস গ্রামে পাঁচ ছেলের পরিবারে ষষ্ঠ সন্তান হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আগে একটি স্থানীয় গ্রামের স্কুলে পড়েন এবং তারপর দিল্লিতে চলে যান এবং সেখানে একটি স্কুলে ভর্তি হন। তিনি জয়পুরের মহারানি কলেজে পড়েন, যেখানে তিনি তার ঘর থেকে পর্বতারোহীদের আরাবল্লী পর্বতশ্রেণীতে আরোহণ করতে দেখতেন। আরাবল্লীতে পর্বতারোহীদের পাহাড়ে চড়া দেখতে দেখতে, তিনি উত্তরকাশীর নেহরু ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং-এ যোগদানের জন্য অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন, সাথে নয়ডার অ্যামিটি ইউনিভার্সিটি দ্বারা প্রদত্ত একটি হোস্টেলে সফলভাবে ভারতীয় প্রশাসনিক পরিষেবা (আইএএস) পরীক্ষার জন্য পড়াশোনা চালিয়ে যান।[৩]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

১৯৯২ সালে, যাদব মাউন্ট এভারেস্টে যখন আরোহন করেন, তখন তিনি সবেমাত্র ২৫ বছর বয়সে এই কৃতিত্ব অর্জনকারী বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী মহিলা ছিলেন, এই রেকর্ডটি পরবর্তীতে ২০১৩ সালে ১৩ বছর বয়সী পূর্ণা ভেঙেছিলেন।[৪] ১৯৯২ সালে আরোহনের পর বারো মাসের মধ্যে, তিনি একটি ইন্দো-নেপালী মহিলা অভিযানের সদস্য হন এবং দ্বিতীয়বার এভারেস্ট চূড়া আরোহন করেন, এইভাবে প্রথম মহিলা হিসেবে দুবার এভারেস্ট চূড়ার রেকর্ড গড়েন।[৫] তিনি ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশের অফিসার হিসেবেও কর্মরত ছিলেন।[৬] তিনি ১৯৮৯ সালে তিনি নুন কুনে নয়টি দেশের আন্তর্জাতিক ক্লাইম্বিং ক্যাম্প-সহ-অভিযানের অংশ ছিলেন। এছাড়াও, তিনি একজন উত্সাহী পরিবেশবাদী হওয়ায়, তিনি হিমালয় থেকে ৫০০ কেজি অন্য অভিযাত্রীদলের ফেলে আসা বর্জ্য সংগ্রহ করেছিলেন।[৭]

সন্তোষ যাদব ১৯৯৪ সালে জাতীয় অ্যাডভেঞ্চার পুরস্কার এবং ২০০০ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হন[১][৮]

অভিযান[সম্পাদনা]

  • ১৯৯৯ সালে, সন্তোষ যাদব এভারেস্টের কাংশুং ফেস থেকে একটি ভারতীয় পর্বতারোহণ অভিযানের নেতৃত্ব দেন।[৯]
  • ২০০১ সালে, মাউন্ট এভারেস্টের তিনি ইস্ট ফেস থেকে একটি পর্বতারোহী দলের নেতৃত্ব দেন।[৯]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Santosh Yadav feels motivated to climb Everest again"। News.webindia123.com। ২০০৭-০৫-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-২০ 
  2. Beehive: Textbook in English for class IX। Central Board of Secondary Education। ২০০৬। পৃষ্ঠা 102। আইএসবিএন 81-7450-502-4 
  3. "On top of the world at Baluchi!"The Hindu। ২৯ মে ২০০৩। Archived from the original on ২০০৩-০৬-০৮। 
  4. "Meet Santosh Yadav, The World's First Woman To Have Scaled Mt Everest Twice"femina.in (ইংরেজি ভাষায়)। 
  5. Bhatt, Apurva (ফেব্রুয়ারি ৪, ২০০২)। "Santosh Yadav: On top of the world... twice"The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০২১ 
  6. Kamdar, Seema (৪ মার্চ ২০১৬)। "'I became a mountaineer by fluke'"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। 
  7. "Santosh Yadav"India Speakers Bureau 
  8. "National Adventure Awards Announced" (পিডিএফ) (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)। Press Information Bureau, India। ২০ জুলাই ১৯৯৫। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  9. Menon, Shaym G. (২৫ মে ২০১৩)। "No work on any expedition was below my dignity"The Hindus। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৩