সত্য ও জবাবদিহি কমিশন
গঠিত | ৩০ জুলাই ২০০৮ |
---|---|
সদরদপ্তর | ঢাকা, বাংলাদেশ |
যে অঞ্চলে কাজ করে | বাংলাদেশ |
দাপ্তরিক ভাষা | বাংলা |
সত্য ও জবাবদিহি কমিশন, ট্রুথ কমিশন নামেও পরিচিত, [১] ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার কর্তৃক দুর্নীতি তদন্তের জন্য গঠিত বাংলাদেশ সরকারের নিয়ন্ত্রক কমিশন এবং অবশেষে আদালত কর্তৃক অবৈধ ঘোষণা করা হয়।[২][৩] কমিশনের প্রধান ছিলেন বিচারপতি হাবিবুর রহমান খান।[৪]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]দুর্নীতি মামলার গতি বাড়াতে ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ৩০ জুলাই ২০০৮ সালে সত্য ও জবাবদিহিতা কমিশন প্রতিষ্ঠা করে।[৫][৬][৭] তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াসহ অসংখ্য রাজনীতিবিদকে গ্রেপ্তার করেছিল।[১] বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি হাবিবুর রহমান খান, বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত নিয়ন্ত্রক ও অডিটর জেনারেল আসিফ আলী এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মঞ্জুর রশিদ চৌধুরীকে নিয়ে কমিশন গঠিত হয়েছিল।[১][৮]
যারা দুর্নীতির কথা স্বীকার করে এবং তাদের অর্জিত সম্পদ সরকারকে দেয় তাদের দায়মুক্তি দেওয়ার ক্ষমতা কমিশনের ছিল।[৫] কমিশনের স্বল্পায়ু জীবনে ৪৪৮ জন স্বীকারোক্তি দিয়ে ৩৪ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেন।[৫] ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ উল্লেখ করেছে যে কমিশন দুর্নীতির সন্দেহভাজনদের কাছ থেকে জরিমানা হিসাবে নির্বিচারে অর্থ সংগ্রহ করেছে।[৯] সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ দ্য ডেইলি স্টারের এক মতামতে কমিশনকে ‘অব্যবহারিক’ বলে বর্ণনা করেছেন।[১০] সন্দেহভাজনদের দ্বারা রিপোর্ট করা এবং তাদের জমা করা অর্থ দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুমান যে তারা চুরি করেছে তার একটি ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ মাত্র।[১১]
২৫ আগস্ট ২০০৮-এ, বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদরা এই যুক্তির ভিত্তিতে কমিশনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে পিটিশন দাখিল করেন যে শুধুমাত্র আদালতই বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী রায় দেওয়ার জন্য অনুমোদিত।[৫] ১৩ নভেম্বর ২০০৮ বাংলাদেশ হাইকোর্ট সত্য ও জবাবদিহি কমিশনকে অবৈধ ঘোষণা করে।[৫] বিচারপতি মীর হাসমত আলী ও বিচারপতি শামীম হাসনাইন এ রায় দেন।[১২] ২০০৯ সালের এপ্রিলে কমিশনের [১৩] স্বীকারোক্তিমূলক ৪৫৬ জনের নাম প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ এ.এম.এম শওকত আলী (২০১২)। "ট্রুথ কমিশন"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ "Bangladesh truth commission is declared 'illegal'"। BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১১-০৫-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২৮।
- ↑ "Law and Our Rights"। archive.thedailystar.net। ২০২২-০১-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২৮।
- ↑ "Justice Habibur Rahman Khan passes away"। www.observerbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২৮।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "Bangladesh: Truth and Accountability Commission Declared Illegal"। Library of Congress। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২৮।
- ↑ "The Truth Commission"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৮-০৪-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২৮।
- ↑ Faisal, Farhad; e-mail, On (২০০৮-০৩-২৮)। "Truth commission"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২৮।
- ↑ Staff Correspondent (২০০৮-০৭-৩১)। "Truth Commission gets chief, members"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২৮।
- ↑ "Anti-Corruption Commission: How can it be truly effective? - Transparency International Bangladesh (TIB)"। www.ti-bangladesh.org। ২০২১-১০-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২৮।
- ↑ Ershad, Hussain Muhammad (২০০৭-১০-২১)। "Truth commission: An impractical proposition in Bangladesh context"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২৮।
- ↑ Hossain, Emran (২০০৯-০১-২০)। "Lies in the Truth Commission"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২৮।
- ↑ Staff Correspondent (২০০৮-১১-১৪)। "Truth Commission not legal"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২৮।
- ↑ Staff Correspondent (২০০৯-০৪-০২)। "PM discloses list of 456 people seeking Tac clemency"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-০৪।