সঙ্গীতা এন ভাটিয়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সঙ্গীতা এন ভাটিয়া
সঙ্গীতা এন ভাটিয়া ২০২৩ সালে এমআইটি তে
জন্ম (1968-06-24) ২৪ জুন ১৯৬৮ (বয়স ৫৫)
জাতীয়তামার্কিন
নাগরিকত্বমার্কিন
মাতৃশিক্ষায়তনব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয় (বি.এস.)
ম্যাসাচুসেট্‌স ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এম.এস., পিএইচডি)
হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল (এম.ডি.)
পরিচিতির কারণকোষকলা মেরামত এবং পুনর্জন্মের জন্য ন্যানো প্রযুক্তি
পুরস্কারপ্যাকার্ড ফেলোশিপ (১৯৯৯ - ২০০৪)
হাওয়ার্ড হিউজ মেডিকেল ইনস্টিটিউট তদন্তকারী (২০০৮)
লেমেলসন-এমআইটি পুরস্কার
হেইঞ্জ পুরস্কার (২০১৫)
অথমার স্বর্ণ পদক (২০১৯)
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রন্যানো প্রযুক্তি, কোষকলা প্রকৌশল
প্রতিষ্ঠানসমূহম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতাল
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সান ডিয়েগো (১৯৯৮ - ২০০৫)
ম্যাসাচুসেট্‌স ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (২০০৫– )
উচ্চশিক্ষায়তনিক উপদেষ্টামেহমেত টোনার
বাহ্যিক ভিডিও
video icon "এই ক্ষুদ্র কণা টিউমার খুঁজে পেতে আপনার শরীরে ঘুরে বেড়াতে পারে", সঙ্গীতা ভাটিয়া, টেড টক লাইভ, নভেম্বর ২০১৫
video icon "সঙ্গীতা ভাটিয়া, ২০১৪ লেমেলসন-এমআইটি পুরস্কার বিজয়ী", ২৯শে জানুয়ারি, ২০১৫

সঙ্গীতা এন ভাটিয়া (জন্ম ১৯৬৮) একজন আমেরিকান বায়োলজিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেমব্রিজে, ম্যাসাচুসেটসে, ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (এমআইটি) ইনস্টিটিউট ফর মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাণ্ড সায়েন্স অ্যাণ্ড ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাণ্ড কম্পিউটার সায়েন্স (ইইসিএস) এর জন জে এবং ডরোথি উইলসন অধ্যাপক। তিনি কোষকলা মেরামত এবং পুনর্জন্মের জন্য মাইক্রো- ও ন্যানো-প্রযুক্তির প্রয়োগগুলির পরীক্ষা নিয়ে গবেষণা করেন। তিনি কম্পিউটার প্রযুক্তি এবং প্রকৌশল থেকে ধারণা নিয়ে রোগের অধ্যয়ন ও চিকিৎসার জন্য ক্ষুদ্রাকৃতি জৈব চিকিৎসা (বায়োমেডিকেল) সরঞ্জামগুলির নকশা করেন যেগুলি বিশেষত লিভারের রোগ, হেপাটাইটিস, ম্যালেরিয়া এবং ক্যান্সারের ক্ষেত্রে প্রযুক্ত হয়।[১]

২০০৩ সালে, তাঁকে এমআইটি প্রযুক্তি পর্যালোচনা দ্বারা ৩৫ বছরের কম বয়সী বিশ্বের শীর্ষ ১০০ উদ্ভাবকদের একজন হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল।[২][৩] তিনি ২০০৬ সালে দ্য সায়েন্টিস্ট দ্বারা "সায়েন্টিস্ট টু ওয়াচ" নামেও পরিচিত হন।[৪] তিনি একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন এবং ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেস,[৫] ন্যাশনাল একাডেমি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং,[৬] ন্যাশনাল একাডেমি অফ মেডিসিন,[৭]ন্যাশনাল একাডেমি অফ ইনভেনটরসে নির্বাচিত হয়েছেন।[৮]

সঙ্গীতা এন ভাটিয়ার গবেষণামূলক প্রবন্ধটি মাইক্রোফ্যাব্রিকেশন ইন টিস্যু ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাণ্ড বায়ো আর্টিফিসিয়াল অর্গ্যানস (১৯৯৯)-এর ভিত্তি হয়ে ওঠে।[৯] তিনি টিস্যু ইঞ্জিনিয়ারিং -এর উপর প্রথম স্নাতক পাঠ্যপুস্তক, টিস্যু ইঞ্জিনিয়ারিং (২০০৪) সহ-লেখক, এটি বার্নহার্ড প্যালসনের সাথে সিনিয়র-লেভেল এবং প্রথম-বর্ষের স্নাতক কোর্সের জন্য লেখা।[১০] তিনি মাইক্রোডিভাইসেস ইন বায়োলজি অ্যাণ্ড মেডিসিন (২০০৯)[১১] এবং বায়োসেন্সিং: ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ অ্যাণ্ড ডেভেলপমেন্ট (২০০৫) -এর সহ-সম্পাদক ছিলেন।[১২]

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা[সম্পাদনা]

সঙ্গীতা এন ভাটিয়ার বাবা-মা ভারত থেকেম্যাসাচুসেটসের বস্টনে, চলে আসেন; তাঁর বাবা ছিলেন একজন প্রকৌশলী এবং মা ছিলেন ভারতে এমবিএ প্রাপ্ত প্রথম নারীদের একজন। সঙ্গীতা ভাটিয়া তাঁর ১০ম গ্রেডের জীববিজ্ঞান ক্লাসের পরে তাঁর বাবার সাথে একটি এমআইটি ল্যাবে ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য একটি আল্ট্রাসাউণ্ড মেশিনের প্রদর্শনী দেখার পরে একজন প্রকৌশলী হতে অনুপ্রাণিত হন।[১৩]

সঙ্গীতা এন ভাটিয়া ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োইঞ্জিনিয়ারিং অধ্যয়ন করেছেন, সেখানে তিনি একটি গবেষণা দলে যোগদান করেছিলেন যাঁরা কৃত্রিম অঙ্গ নিয়ে অধ্যয়ন করেন। এরপর তিনি এই ক্ষেত্রে স্নাতক অধ্যয়ন করতে শুরু করেন।[১৪] ১৯৯০ সালে অনার্স সহ স্নাতক হওয়ার পর,[১৫] প্রাথমিকভাবে তিনি হার্ভার্ড-এমআইটি ডিভিশন অফ হেলথ সায়েন্সেস অ্যাণ্ড টেকনোলজি (এইচএসটি) দ্বারা পরিচালিত এমডি-পিএইচডি প্রোগ্রাম থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাস্টার্স প্রোগ্রামে গৃহীত হয়েছিলেন। পরে তিনি এইচএসটি এমডি-পিএইচডি প্রোগ্রামে গৃহীত হন, সেখানে মেহমেত টোনার এবং মার্টিন ইয়ারমুশ তাঁর পরামর্শদাতা ছিলেন। তিনি ১৯৯৭ সালে পিএইচডি এবং ১৯৯৯ সালে এমডি লাভ করেন এবং ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে পোস্টডক্টরাল প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন।[১৩][১৫]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

সঙ্গীতা এন ভাটিয়া ১৯৯৮ সালে সান দিয়েগোইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার (ইউসিএসডি) অনুষদে যোগদান করেন,[১৬] একজন সহকারী অধ্যাপক হিসেবে। তাঁকে ১৯৯৯ সালে ডেভিড এবং লুসিল প্যাকার্ড ফাউণ্ডেশন থেকে বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের জন্য পাঁচ বছরের প্যাকার্ড ফেলোশিপ প্রদান করা হয়।[১৬] তিনি জ্যাকবস স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং- এর বায়োইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ২০০১ সালের "বর্ষের শিক্ষক" মনোনীত হন,[১৭] এবং ২০০৩ সালে এমআইটি টেকনোলজি রিভিউ দ্বারা ৩৫ বছরের কম বয়সী একজন উদ্ভাবক হিসেবে মনোনীত হন।[৩]

২০০৫ সালে, তিনি ইউসিএসডি ত্যাগ করেন এবং ডিভিশন অফ হেলথ সায়েন্সেস অ্যাণ্ড টেকনোলজি এবং ডিপার্টমেন্ট অফ ইলেকট্রিক্যাল অ্যাণ্ড কম্পিউটার সায়েন্সের এমআইটি অনুষদে যোগদান করেন। তাঁকে ২০০৬ সালে দ্য সায়েন্টিস্ট দ্বারা "সায়েন্টিস্ট টু ওয়াচ" নাম দেওয়া হয় এবং ২০০৮ সালে তিনি হাওয়ার্ড হিউজেস মেডিকেল ইনস্টিটিউটের অন্বেষী হন।[৪][১৮][১৯]

সঙ্গীতা এন ভাটিয়া বর্তমানে এমআইটি-তে মাল্টিস্কেল রিজেনারেটিভ টেকনোলজির জন্য গবেষণাগার পরিচালনা করেন এবং তিনি ব্রিগহাম অ্যাণ্ড উইমেনস হসপিটালকোচ ইনস্টিটিউট ফর ইন্টিগ্রেটিভ ক্যান্সার রিসার্চের সাথে যুক্ত।[২০] তিনি স্টেম ক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা এবং অন্তর্ভুক্তির জন্য একজন শক্তিশালী প্রবক্তা।[২১] তিনি বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং সোসাইটির ডাইভারসিটি কমিটি তৈরি করতে সাহায্য করেছিলেন এবং এমআইটি-র সোসাইটি অফ উইমেন ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে জড়িত।[১] এমআইটি-তে থাকাকালীন, তিনি যুবদের ক্ষমতায়নের চাবিকাঠি (কিজ টু এমপাওয়ারিং ইয়ুথ) শুরু করতে সাহায্য করেছিলেন। এটি এমন একটি প্রোগ্রাম যা মধ্যম-স্কুলের মেয়েদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে উৎসাহিত করার উপায় হিসেবে উচ্চপ্রযুক্তিপরীক্ষাগার পরিদর্শন করতে নিয়ে আসে।[২২] সঙ্গীতা এন ভাটিয়া এবং তাঁর স্বামী জাগেশ শাহের দুটি মেয়ে রয়েছে।[১৩][২২]

২০১৫ সালে, সঙ্গীতা এন ভাটিয়া টিস্যু ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টিস্যু পুনর্জন্ম প্রযুক্তি, স্টেম সেল ডিফারেন্সিয়েশন এবং প্রাক-ক্লিনিক্যাল ড্রাগ মূল্যায়নের জন্য ন্যাশনাল একাডেমি অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সদস্য নির্বাচিত হন।

গবেষণা[সম্পাদনা]

সঙ্গীতা এন ভাটিয়ার ডক্টরাল কাজ যকৃতের কোষগুলিকে মানবদেহের বাইরে কার্যকর রাখার উপায়ের বিকাশের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।[২৩] তিনি কম্পিউটার চিপ ডিজাইন এবং প্রকৌশল থেকে যকৃতের কোষগুলির জন্য একটি স্তরের মাইক্রোফ্যাব্রিকেশনের ধারণাগুলিকে অভিযোজিত করেছিলেন।[২৪] তিনি সফলভাবে ফটোলিথোগ্রাফি থেকে পেট্রি ডিশগুলিতে একটি স্তর তৈরি করতে কৌশল প্রয়োগ করেছিলেন, যা ডিশগুলিতে কার্যকরী মাইক্রোলিভারের বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।[১][২৪] [২৫] তিনি ফ্রান্সের ক্রিশ্চিয়ান গুগুয়েন-গুইলোজোর কাজের উপর ভিত্তি করে লিভার কোষের বিভেদ রোধ করতে একাধিক কোষের কো-কালচার (অণুজীবের বৃদ্ধি, যেমন ব্যাকটেরিয়া ও খামির, বা পরীক্ষাগারে মানুষ, উদ্ভিদ, বা প্রাণী কোষ বা টিস্যু) ব্যবহার করেছিলেন।[২৪] তিনি এবং তাঁর সহকর্মীরা কৃত্রিম লিভারের মতো বৃহত্তর টিস্যু কাঠামোকে সমর্থন করার লক্ষ্যে একটি সমন্বয়ী সংবহন তন্ত্রের কাঠামো হিসাবে চিনির জালি তৈরি করতে ত্রিমাত্রিক মুদ্রণের কৌশলও ব্যবহার করেছেন।[২৬] জৈবিক মাইক্রো-ইলেক্ট্রোমেকানিকাল সিস্টেম বা বায়ো-এমইএমএস এর ক্ষেত্রে তাঁর কাজটি এমআইটি-তে প্রথম প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি।[২৪][২৭] তিনি মাতৃকোষগুলিতে বায়ো-এমইএমএসের মৌলিক দিকগুলি অধ্যয়নের জন্য উচ্চ-থ্রুপুট (একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়া উপাদানের পরিমাণ) মঞ্চ হিসাবে সজীব কোষের বিন্যাস ব্যবহার করতে আগ্রহী।[২৭][২৮]

মাল্টিস্কেল রিজেনারেটিভ টেকনোলজিস (এলএমআরটি) এর গবেষণাগারে সঙ্গীতা এন ভাটিয়ার গবেষণা টিস্যু মেরামত এবং পুনর্জন্মের জন্য মাইক্রো- এবং ন্যানো প্রযুক্তি ধারণাগুলি প্রয়োগ করে চলেছে।[২৯] তিনি হেপাটোসাইট (লিভার কোষ) এবং তাদের মাইক্রো পরিবেশের মধ্যে যোগাযোগ অধ্যয়ন করেন এবং লিভারের রোগের জন্য সেলুলার থেরাপিগুলিকে হেপাটিক টিস্যু ইঞ্জিনিয়ারিং হিসাবে উল্লেখ করা পদ্ধতিতে উন্নত করার জন্য মাইক্রোফ্যাব্রিকেশন সরঞ্জামগুলি বিকাশ করেন।[৩০] তাঁর লক্ষ্য হল হেপাটোসাইট ফাংশন সর্বাধিক করা,[৩১][৩২] যকৃতের রোগের জন্য কার্যকর সেলুলার থেরাপির নকশাকে সহজতর করা,[৩০] এবং যকৃৎ কোষগঠন ও প্যাথোফিজিওলজির মৌলিক দিকগুলি বোঝা।[৩৩] হেপাটাইটিস এবং ম্যালেরিয়া সহ রোগগুলি অধ্যয়নের জন্য পদ্ধতিটি ব্যবহার করা হয়েছে।[১][৩৪]

২০০৮ সাল থেকে, মেডিসিনস ফর ম্যালেরিয়া ভেঞ্চার (এমএমভি) এবং বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সহায়তায় তাঁর পরীক্ষাগার প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম এবং প্লাজমোডিয়াম ভাইভ্যাক্সের কোষ-ভিত্তিক গবেষণার উন্নয়নে কাজ করেছে। এগুলি পরজীবী অধ্যয়নকে সমর্থন করতে এবং সম্ভাব্য ডিফারেনশিয়াল ড্রাগ সংবেদনশীলতা অন্বেষণ করতে ও ম্যালেরিয়ার জন্য নতুন পুনরায় সংক্রমণ বিরোধী ওষুধ সনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়।[৩৫][৩৬]

সঙ্গীতা এন ভাটিয়ার পরীক্ষাগার জৈবিক অধ্যয়নের সরঞ্জাম এবং ক্যান্সার থেরাপির জন্য বহুমুখী এজেন্ট হিসাবে ন্যানোম্যাটেরিয়ালগুলি বিকাশের বহু-বিষয়ক প্রচেষ্টায় জড়িত। ন্যানো পার্টিকেল এবং ন্যানোপোরাস উপাদানগুলির চারপাশে আগ্রহ কেন্দ্রীভূত হয় যা জটিল কাজগুলি সম্পাদন করার জন্য নকশা করা যেতে পারে। তারা একটি টিউমার, কোষ বা টিস্যুতে পরিবর্তনের সংকেত দিতে, ইমেজিং উন্নত করতে বা একটি চিকিৎসাগত উপাদান প্রকাশ করতে সক্ষম হতে পারে।[৩৭] ২০০২ সালে, তিনি টিউমারের ভিভো টার্গেটিং এর জন্য ফেজ-উৎপন্ন পেপটাইড-টার্গেটেড ন্যানোম্যাটেরিয়াল, বা কোয়ান্টাম ডটস বিকাশের জন্য এরকি রুসলাটি এবং ওয়ারেন চ্যানের সাথে কাজ করেছিলেন।[২৪][৩৮][৩৯] ন্যানো পার্টিকেলগুলিতে টিউমার-এনজাইম অণু যুক্ত করে তিনি বিশেষ ন্যানো পার্টিকেলও তৈরি করেছেন যা রক্ত বা প্রস্রাবের নমুনায় সনাক্তযোগ্য সিন্থেটিক বায়োমার্কার তৈরি করতে রোগাক্রান্ত টিস্যুর সাথে প্রতিক্রিয়া করতে পারে।[৪০] আরেকটি প্রকল্পে ক্যান্সার কোষ সনাক্ত বা চিকিৎসা করার ক্ষমতা সহ ইঞ্জিনিয়ারিং উপকারী প্রোবায়োটিক জড়িত।[১]

তাঁর প্রকৌশল নীতির ক্লিনিকাল এবং বায়োটেকনোলজিকাল উভয় প্রয়োগের জন্য বেশ কয়েকটি পেটেন্ট রয়েছে।[৩৭] ২০১৫ সালে, তাঁর কোম্পানী গ্লিম্পসে বায়ো আসপেক্ট ভেঞ্চারস-এ কিরণ মজুমদার-শ এবং থেরেশিয়া গৌ- এর কাছ থেকে প্রাথমিক অর্থায়ন পেয়েছে। ২০১৮ সালে, রোগ সনাক্ত করতে এবং ওষুধের প্রতি রোগীর প্রতিক্রিয়া নিরীক্ষণের জন্য "অ্যাক্টিভিটি সেন্সর" আরও বিকাশ করতে গ্লিম্পসে $২২ মিলিয়ন পেয়েছে।[৪১]

বই[সম্পাদনা]

পুরস্কার[সম্পাদনা]

সঙ্গীতা এন ভাটিয়া নিম্নলিখিত সহ বেশ কয়েকটি পুরস্কার এবং সম্মানের প্রাপক:

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Vickmark, Bryce (সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৪)। "Cancer-Fighting Inventor Sangeeta Bhatia Wins $500,000 Prize"Science News। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১১, ২০১৯ 
  2. "2003 Innovators Under 35"MIT Technology Review। ২০০৩। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ১৫, ২০১১ 
  3. "Innovators Under 35: Sangeeta Bhatia, 35"MIT Technology Review। ২০০৩। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ১২, ২০০৯ 
  4. Nadis, Steve (ফেব্রুয়ারি ১, ২০০৬)। "Sangeeta Bhatia Looks at Life's Architecture"The Scientist। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ১২, ২০০৯ 
  5. "National Academy of Sciences elects six MIT professors for 2017"MIT News। সংগ্রহের তারিখ মে ১১, ২০১৭ 
  6. "Eight from MIT elected to National Academy of Engineering"MIT News। সংগ্রহের তারিখ মে ১১, ২০১৭ 
  7. "Two from MIT elected to the National Academy of Medicine for 2019"MIT News। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২১, ২০১৯ 
  8. "Four MIT faculty named 2015 fellows of the National Academy of Inventors"MIT News। সংগ্রহের তারিখ মে ১১, ২০১৭ 
  9. Bhatia, Sangeeta (১৯৯৯)। Microfabrication in tissue engineering and bioartificial organs। Microsystems। Kluwer Academic Publishers। আইএসবিএন 978-1-4613-7386-5ডিওআই:10.1007/978-1-4615-5235-2 
  10. Palsson, Bernhard Ø.; Bhatia, Sangeeta N. (২০০৪)। Tissue engineering। Pearson Prentice Hall। 
  11. Microdevices in biology and medicine। Artech House। ২০০৯। 
  12. Biosensing: International Research and Development। Springer Science & Business Media। জুলাই ১৫, ২০০৬। আইএসবিএন 978-1-4020-4058-0 
  13. Seftel, Josh; Lewis, Susan K. (২০০৯)। "The Many Sides of Sangeeta Bhatia"NOVA Science NowPublic Broadcasting Service। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ১২, ২০০৯ 
  14. "Sangeeta N. Bhatia, MD, PhD Investigator / 2009—Present"। Howard Hughes Medical Institute। মার্চ ৩১, ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ১২, ২০০৯ 
  15. "People: Sangeeta N. Bhatia"। Harvard-MIT Health Science & Technology। সেপ্টেম্বর ১৯, ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ১২, ২০০৯ 
  16. Hagen, Denine (ডিসেম্বর ১, ১৯৯৯)। "UC San Diego Bioengineering Professor Receives Prestigious Packard Foundation Fellowship"। UCSD Jacobs School of Engineering। মে ৩, ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১০, ২০২৪ 
  17. "Keiko Nomura Named Teacher of the Year"Pulse Newsletter। UCSD Jacobs School of Engineering। ২০০২। আগস্ট ২৯, ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ১২, ২০০৯Other 2001 Teacher of the Year award recipients include: Sangeeta Bhatia Bioengineering 
  18. "The 2008 HHMI Investigators"। Howard Hughes Medical Institute। মে ২৭, ২০০৮। ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ১২, ২০০৯ 
  19. "Indian chosen for prestigious scientists' body"India Abroad। জুলাই ৯, ২০০৮। 
  20. "Sangeeta N. Bhatia, MD, PhD"। Koch Institute for Integrative Cancer Research, Massachusetts Institute of Technology। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ১২, ২০০৯ 
  21. "Sangeeta Bhatia: the biotech entrepreneur advocating for gender equity in STEM fields"The Guardian। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১২, ২০১৯ 
  22. Wood, Martha Crosier (মে ২৬, ২০১৫)। "Scene and Herd: Bhatia wins Heinz Award, focuses on tissue engineering"Lexington Local। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১১, ২০১৯ 
  23. Rinde, Meir (জুলাই ৯, ২০১৯)। "Interview: Sangeeta Bhatia Distillations talks to the 2019 Othmer Gold Medal winner about her work using nanotechnology to detect and treat disease"Distillations। Science History Institute। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ৬, ২০১৯ 
  24. Scudellari, Megan (মে ১, ২০১৩)। "The Organist When molecular biology methods failed her, Sangeeta Bhatia turned to engineering and microfabrication to build a liver from scratch"The Scientist। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১১, ২০১৯ 
  25. "Engineering Artificial Organs"NOVA। জুন ১, ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১১, ২০১৯ 
  26. "3D-printed sugar network to help grow artificial liver"BBC News। জুলাই ২, ২০১২। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১২, ২০১৯ 
  27. Chin, Vicki I.; Taupin, Philippe (নভেম্বর ৫, ২০০৪)। "Microfabricated platform for studying stem cell fates" (পিডিএফ): 399–415। ডিওআই:10.1002/bit.20254পিএমআইডি 15486946। আগস্ট ১০, ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১১, ২০১৯ 
  28. Borenstein, J. T.; Vunjak-Novakovic, G. (নভেম্বর ২০১১)। "Engineering Tissue with BioMEMS": 28–34। ডিওআই:10.1109/MPUL.2011.942764পিএমআইডি 22147066পিএমসি 3414430অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  29. Thalmann, Nadia (২০১৪)। 3D Multiscale Physiological Human। Springer। পৃষ্ঠা 39। আইএসবিএন 978-1-4471-6275-9ওসিএলসি 867854892 
  30. Bhatia, S. N.; Underhill, G. H. (জুলাই ১৬, ২০১৪)। "Cell and tissue engineering for liver disease": 245sr2। ডিওআই:10.1126/scitranslmed.3005975পিএমআইডি 25031271পিএমসি 4374645অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  31. Bhatia, Sangeeta N. (১৯৯৯)। Microfabrication in Tissue Engineering and Bioartificial Organs। Springer US। আইএসবিএন 978-1-4613-7386-5। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৭, ২০১৯ 
  32. Hui, E. E.; Bhatia, S. N. (মার্চ ২৭, ২০০৭)। "Micromechanical control of cell-cell interactions": 5722–5726। ডিওআই:10.1073/pnas.0608660104অবাধে প্রবেশযোগ্যপিএমআইডি 17389399পিএমসি 1851558অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  33. Park, J.-K.; Lee, S.-K. (ফেব্রুয়ারি ১১, ২০০৯)। "Bioartificial Liver"Fundamentals of tissue engineering and regenerative medicine। Springer। পৃষ্ঠা 407। আইএসবিএন 978-3-540-77755-7। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৭, ২০১৯ 
  34. "Tracking dormant malaria Novel technology could allow researchers to develop and test new antimalaria drugs"Science Daily। ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১১, ২০১৯ 
  35. "Discovering new molecules to target the relapse Prof Sangeeta Bhatia Prof Sangeeta Bhatia, Director, Laboratory for Multiscale Regenerative Technologies, MIT"MMV। ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১১, ২০১৯ 
  36. March, Sandra; Ng, Shengyong (জুলাই ২০১৩)। "A Microscale Human Liver Platform that Supports the Hepatic Stages of Plasmodium falciparum and vivax": 104–115। ডিওআই:10.1016/j.chom.2013.06.005পিএমআইডি 23870318পিএমসি 3780791অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  37. "Sangeeta Bhatia Core Faculty"Institute for Medical Engineering & Science। অক্টোবর ১৭, ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১১, ২০১৯ 
  38. Akerman, M. E.; Chan, W. C. W. (সেপ্টেম্বর ১৬, ২০০২)। "Nanocrystal targeting in vivo": 12617–12621। ডিওআই:10.1073/pnas.152463399অবাধে প্রবেশযোগ্যপিএমআইডি 12235356পিএমসি 130509অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  39. Mann, AP; Scodeller, P (২০১৬)। "A peptide for targeted, systemic delivery of imaging and therapeutic compounds into acute brain injuries" (ইংরেজি ভাষায়): 11980। ডিওআই:10.1038/ncomms11980পিএমআইডি 27351915পিএমসি 4931241অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  40. Trafton, Anne (ডিসেম্বর ১৭, ২০১২)। "Earlier Detection of Cancer May Be Enhanced by MIT Discovery with Biomarkers Collected in Urine"Senior Journal: Health & Medicine for Senior Citizens। New Tech Media। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১২, ২০১৯ 
  41. Carroll, John (অক্টোবর ৯, ২০১৮)। "MIT spinout from Sangeeta Bhatia's lab gets a $22M round to develop new disease and drug sensors"Endpoints News। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১১, ২০১৯ 
  42. "Sangeeta Bhatia FTSE"Australian Academy of Technological Sciences and Engineering (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-১১ 
  43. "Othmer Gold Medal"Science History Institute। মে ৩১, ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৭, ২০১৮ 
  44. "Utrecht University to present two honorary doctorates"। ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ৩, ২০১৮ 
  45. "Announcing our 2017 Catalyst Award Winners!"Science Club for Girls community। ডিসেম্বর ৩০, ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১২, ২০১৯ 
  46. "The Heinz Awards :: Sangeeta Bhatia"www.heinzawards.net। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ৩, ২০১৮ 
  47. "Dr. Sangeeta Bhatia - Lemelson-MIT Program"lemelson.mit.edu। সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ৩, ২০১৮ 
  48. "BEAM Award Winners"Brown School of Engineering। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৭, ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]