শাজিয়া খুশক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শাজিয়া খুশক
شازیہ خشک
জন্মনামশাজিয়া খুশক
জন্ম১৯৭০ সালের ১৬ই সেপ্টেম্বর
জামশোরো, সিন্ধু প্রদেশ, পাকিস্তান
ধরনলোকসঙ্গীত
পেশাসঙ্গীত শিল্পী

শাজিয়া খুশক (উর্দু: شازیہ خشک‎‎, সিন্ধি: شازيه خشڪ) (জন্ম ১৯৭০ সালের ১৬ই সেপ্টেম্বরে[১] জামশোরো) হলেন একজন পাকিস্তানি প্রাক্তন লোক গায়ক।[২] তাঁর মাতৃভাষা কাশ্মীরী হলেও তিনি সিন্ধি, বেলুচি, সারাইকি, উর্দু, কাশ্মীরি, ব্রাহুই এবং পাঞ্জাবি ভাষায় গান গেয়েছেন। তবে তিনি সিন্ধি এবং বেলুচি এই দুটি বিশিষ্ট ভাষার গায়িকা হিসেবে বেশি জনপ্রিয় হয়েছিলেন।[১]

জীবনী[সম্পাদনা]

শাজিয়া খুশকের জন্ম জামশোরোতে। তাঁর বাবার নাম ফারুক আহমেদ মির্জা। তাঁর বাবা শিক্ষা বিভাগের সাথে যুক্ত এবং একটি কলেজে শিক্ষক ছিলেন। শাজিয়া ১৯৯০ সালে সিন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস করেন এবং সেখানে তিনি সিন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওস্তাদ মুহাম্মদ ইব্রাহিম খুশক কে বিয়ে করেন। ছোটবেলা থেকেই তাঁর গানের প্রতি আগ্রহ ছিল। অধ্যয়নের সময়, তিনি সিন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীতানুষ্ঠানেও সঙ্গীত পরিবেশন করেছিলেন। আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি সুলতানা সিদ্দিকীর প্রযোজনায় ১৯৯২ সালে পাকিস্তান টেলিভিশনে প্রথম সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এর পেছনে ছিল তাঁর স্বামীর উৎসাহ। তাঁর সম্পর্কে শাজিয়া বলেন, "আমার স্বামী আমাকে প্রায়ই কণ্ঠের রানী বলে ডাকতেন"।[১]

একই বছর, তিনি শাহ আবদুল লতিফ ভিটাইয়ের বার্ষিক উরসেও সঙ্গীত পরিবেশন করেছিলেন। তাঁকে পাকিস্তান টেলিভিশনে অভিনেত্রী হিসেবে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।[১]

তিনি সিন্ধি এবং বেলুচি এই দুটি বিশিষ্ট ভাষার গায়িকা হিসেবে জনপ্রিয় হয়েছিলেন। তাঁর প্রথম গান মারা উধেতা পাখিইয়ারা কাদি আও না মারে দেস তাঁর নামকে দেশব্যাপী জনপ্রিয় করে তুলেছে। [৩]

ঐতিহ্য[সম্পাদনা]

শাজিয়া খুশক তাঁর কর্মজীবনে ৫০০টিরও বেশি গান পরিবেশন করেছেন এবং বিশ্বের ৪৫টি দেশে সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন। তিনি আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, দুবাই, কাতার, সিঙ্গাপুর, হল্যান্ড, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, ভারত এবং আরও অনেক দেশে গান গেয়েছেন। তাঁর বিখ্যাত গানগুলো হল: মাহি ইয়ার দি ঘরোলি (সচল সরমস্ত), তু দিলরি ইয়ার ধুতারি (তালিব উল মওলা), লাল মেরি পাত, হাসিনা পোপরি (শামশের উল হায়দারি) ঘুম চরখড়ি (শাহ হোসেন মধু লাল) এবং দাম মস্ত কালান্দর। তিনি নিজের বাড়িতে সঙ্গীত গ্রন্থাগার স্থাপন করেছেন যেখানে তিনি বিভিন্ন সঙ্গীতজ্ঞদের অডিও এবং ভিডিও ক্যাসেট স্থাপন করেছেন। অবসর সময়ে তিনি কিছু কবিতাও লেখেন।[১]

করাচিতে ইউএস কনস্যুলেট জেনারেল শাজিয়াকে 'শুভেচ্ছা দূত' হিসেবে নির্বাচিত করেছিলেন। জামশোরোর সিন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে 'সুফিবাদ - লোকসংগীত'-এর জন্য একটি সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে। তিনি উজবেকিস্তান সরকারের কাছ থেকে 'রাষ্ট্রপতি পুরস্কার' পেয়েছেন।

পুরস্কার[সম্পাদনা]

সঙ্গীতজগত ত্যাগ[সম্পাদনা]

২০১৯ সালে, শাজিয়া খুশক ঘোষণা করেছেন যে তিনি সঙ্গীত জগত থেকে সরে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এবং বাকি জীবন ইসলামের সেবায় নির্বাহ করবেন।[৪] শাজিয়া নিজেই একটি সাক্ষাৎকারের সময় ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি বিভিন্ন দেশ থেকে গান গাওয়ার জন্য অনেক প্রস্তাব পেয়েছিলেন কিন্তু নিজের ধর্মীয় বাধ্যবাধকতার কারণে তিনি সব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।[১]

গান[সম্পাদনা]

তাঁর বিখ্যাত কিছু গান:

  • রুবারো-ই-ইয়ার
  • তেরা নাম লিয়া
  • লাল মেরি পাত রাখিও لعل میری پت رکھیو
  • নিয়ানি নিমানি
  • মেধা রঞ্জনা میڈھا رانجھنا
  • মাদা উদথা পাখি কে আও না মারে দেশ
  • আলে মুহিঞ্জা মারাওরা


আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Singer Shazia Khushk"। সংগ্রহের তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 
  2. "Singer Shazia Khushk calls it quits owing to 'religious obligations'"। ৩ অক্টোবর ২০১৯। 
  3. "Eighteen years later, singer Shazia Khushk still enthrals"The Express Tribune (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১০-১২-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-০৯ 
  4. "Singer Shazia Khushk calls it quits owing to 'religious obligations'"The Express Tribune (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-১০-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-০৯