শহীদী মসজিদ

স্থানাঙ্ক: ২৪°২৬′০৩″ উত্তর ৯০°৪৭′০৫″ পূর্ব / ২৪.৪৩৪৩° উত্তর ৯০.৭৮৪৭° পূর্ব / 24.4343; 90.7847
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শহীদী মসজিদ

شهيدي مسجد

শহীদী মসজিদের একটি ছবি

শহীদী মসজিদ বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
শহীদী মসজিদ
শহীদী মসজিদ
মানচিত্রে শহীদী মসজিদ
স্থানাঙ্ক: ২৪°২৬′০৩″ উত্তর ৯০°৪৭′০৫″ পূর্ব / ২৪.৪৩৪৩° উত্তর ৯০.৭৮৪৭° পূর্ব / 24.4343; 90.7847
অবস্থান কিশোরগঞ্জ, বাংলাদেশ
প্রতিষ্ঠিত ১৯৩৮ এর পূর্বে
প্রশাসন মসজিদ কমিটি
মালিকানা সকলের জন্য উন্মুক্ত (মসজিদ কমিটি দ্বারা পরিচালিত)
স্থাপত্য তথ্য
ধরন আধুনিক স্থাপত্য
ধারণক্ষমতা ১৫০০
মিনার
মিনারের উচ্চতা ৫ তলা

শহীদী মসজিদ (আরবি: شهيدي مسجد) কিশোরগঞ্জ জেলার এক ঐতিহাসিক আধুনিক স্থাপত্য। দেশ বিখ্যাত পাগলা মসজিদের পর জেলাটিতে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় মসজিদ হলো শহীদী মসজিদ। ঐতিহাসিক মসজিদটি জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। তাছাড়া দেশের বৃহত্তম ঈদগাহ ময়দান - ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান এই মসজিদের কাছেই অবস্থিত। তিন তলা ভবন বিশিষ্ট মসজিদটির উপরে রয়েছে ৫ তলা সমান সুউচ্চ বিশাল এক মিনার।[১]পাগলা মসজিদ এর পর সবচেয়ে বেশি মুসল্লি হয় এই মসজিদে। প্রতি সপ্তাহে জুমার দিন শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন জুমার নামাজ আদায় করতে ছুটে আসে। শোলাকিয়া ঈদগাহর‌‌‌‌‌‌‌ মত অনেক সময় মুসল্লিদের রাস্তার পাশে নামাজ পড়তে দেখা যায়।

মসজিদকে ঘিরে রয়েছে একটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান‌ যার‌ নাম আল-জামিয়াতুল ইমদাদিয়া যেখানে শিশু শ্রেণী থেকে দাওরায়ে হাদীস এবং কুরআন হিফজ করার ক্লাস সমূহতে অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন।

সংক্ষিপ্ত ইতিহাস[সম্পাদনা]

শহীদী মসজিদের ইতিহাস খুব পুরনো না হলেও এর ঐতিহ্য খুবই সমৃদ্ধ। ১৯৩৮ সালে মাওলানা আতাহার আলী কিশোরগঞ্জ আসেন তার মাধ্যমে মসজিদটি পুনর্নির্মিত হওয়ার পরপর ১৩৬৪ বাংলা সনে তিনি মসজিদটিতে ৫ তলা উচ্চতা বিশিষ্ট একটি মিনার নির্মাণের ভিত্তিস্থাপন করেন যার ফলে মসজিদটি ঐতিহ্যবাহী মসজিদ এ পরিণত হয় এবং সকলের দৃষ্টি কাড়ে। কিন্তু মসজিদটির নামকরণের পিছনে একটি ঘটনা রয়েছে ঘটনাটি হল: মসজিদটিতে একদা মুসল্লীরা নামাজ আদায় করছে তখন স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন তাদের পূজা উৎসব পালন করার জন্য মসজিদের পাশদিয়ে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে যাচ্ছিল যার কারণে মুসল্লিদের নামাজ আদায় করতে সমস্যা সৃষ্টি হয়। তখন অনেক মুসল্লি হিন্দুদের বাধা দেয় এবং যার ফলে একটি সংঘর্ষ তৈরি হয়। সেই সংঘর্ষকে থামানোর জন্য পুলিশ মুসল্লিদের উপর গুলিবর্ষণ করে ফলে অনেক মুসল্লি শহীদ হয় এবং অনেকে আহত হয়। তখন থেকে এর নামকরণ করা হয় শহীদী মসজিদ[২]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "শহীদী-মসজিদ,-কিশোরগঞ্জ"www.kishoreganj.gov.bd। ২৪ জুলাই ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০২১ 
  2. "শহীদী মসজিদ"www.aljamiatulimdadia.org.bd। ২২ জুলাই ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২১