লালসাঙ্গজুয়ালি সাইলো

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
লালসাঙ্গজুয়ালি সাইলো
জন্ম(১৯৪৯-০৫-১৫)১৫ মে ১৯৪৯
মৃত্যু১৪ অক্টোবর ২০০৬(2006-10-14) (বয়স ৫৭)
পেশাসাহিত্যিক, গীতিকার, সমাজকর্মী
পুরস্কারপদ্মশ্রী

লালসাঙ্গজুয়ালি সাইলো (১৫ই মে ১৯৪৯ - ১৪ই অক্টোবর, ২০০৬) ছিলেন একজন ভারতীয় সাহিত্যিক, গায়িকা, গীতিকার, সুরকার ও সমাজকর্মী। তিনি মিজোরামের অন্যতম বিখ্যাত গায়িকা [১]মিজো সাহিত্যের ক্ষেত্রে তাঁর অবদানের জন্য ১৯৯৯ সালে তিনি ভারত সরকার দ্বারা পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হন[২]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

সাইলো ১৯৪৯ সালের ১৫ই মে দক্ষিণ মিজোরামের থিংসাইয়ে এস ভানচুমা এবং সপ্তাঙ্গী চৌভেন্তুর ঘরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ১৯৬৮ সালে চেরাপুঞ্জির সেন্ট জন বসকোস কনভেন্ট থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। ১৯৭২ সালে শিলংয়ের সেন্ট মেরিস কলেজ থেকে স্নাতক এবং ২০০৫ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট হিন্দি আগ্রায় প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন।তিনি মিজো সাহিত্যে ডিলিট এবং পিএইচডিও অর্জন করেছিলেন। [৩] তিনি লালদিনিয়ানার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। সাইলো ২০০৬-এর ১৪ই অক্টোবর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

তিনি মিজোরামের আইজলে সরকারী জেএল উচ্চ বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষক হিসাবে কাজ করেছিলেন এবং তারপরে একই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদে উন্নীত হন।

সঙ্গীতজীবন[সম্পাদনা]

চাকরির পাশাপাশি সাইলো তাঁর সঙ্গীতচর্চাও চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁর মিষ্টি সুরেলা কণ্ঠের জন্যে "দ্য স্টেটসম্যান" তাঁকে "দ্য গার্ল উইথ দ্য গোল্ডেন ভয়েস" রুপে বর্ণনা করেছিল। প্রথম মিজোগায়িকা হিসেবে ১৯৭৭ সালে তাঁর প্রথম একক সঙ্গীতের আলবাম প্রকাশিত হয়। তিনি বিভিন্ন মিজো ছায়াছবিতে নেপথ্য কণ্ঠশিল্পীরূপে কাজও করেছেন। তাঁর মোট ২৯টি অডিও ক্যাসেট অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে এবং ৪৫০টিরও বেশি গান রেকর্ড করেছেন তিনি। ভারতের বিভিন্ন শহরে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সহ বিভিন্ন দেশে সাইলো তাঁর মিজো কয়ারের গান নিয়ে অনুষ্ঠান করেছেন।

সাহিত্য কর্ম[সম্পাদনা]

লালসাংজুয়ালি সাইলো প্রায় ৩৬৫টি শিশুদের গান, বীর গাথা, দেশাত্মবোধক গান ও ভক্তিমূলক গান লিখেছেন। তাঁর গানগুলি মিজোরামের স্কুল সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত ছিল। তাঁর গান "দুহলাই মি ইউ" এবং তাঁর কবিতা "নুংচেতে আউ আও" ১৯৭৭ সাল থেকে স্নাতকোত্তরের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। তিনি একজন লেখক এবং তিনি তাঁর লেখার মাধ্যমে মিজো সংস্কৃতিতে অপরিসীম অবদান রেখে চলেছেন। তিনি ২৫ টি বই এবং তিনটি পুস্তিকা লিখেছেন। তিনি ম্যাগাজিন এবং কাগজপত্রের জন্য নিবন্ধও লেখেন। তিনি মিজোরামের প্রতিনিধি হিসাবে নয়াদিল্লিতে অনুবাদে সাহিত্যের প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। তিনি মিজো একাডেমি অফ লেটারসের নির্বাহী পরিষদের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি রান মওতু ম্যাগাজিনের সম্পাদক ছিলেন। তিনি আকাশবাণীর অনুষ্ঠানের জন্য ছোট নাটিকা এবং নাটকও লেখেন।

সামাজিক কর্মজীবন[সম্পাদনা]

সাইলো একজন সমাজকর্মীও ছিলেন এবং সেন্ট্রাল এমএইচআইপি এবং মিজোরাম প্রিসবিটারিয়ান গির্জার মহিলা কেন্দ্রীয় কমিটিতে আজীবন সভাপতি ছিলেন[৪]

সম্মাননা ও পুরস্কার[সম্পাদনা]

  • মিজো সাহিত্যে তাঁর অবদানের জন্য মিজো একাডেমি জেট হিকার্স লুঙ্গেলেই দ্বারা পু বুয়াঙ্গা পুরস্কার, ২০০০ সাল
  • মিজো সাহিত্যে তাঁর অবদানের জন্যে ভারত সরকার দ্বারা পদ্মশ্রী পুরস্কার, ১৯৯৮ সাল
  • রিমাওই খাওভেল সঙ্গীত পত্রিকা দ্বারা আজীবন সম্মাননা, ২০০২ সাল

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Lalsangzuali Sailo (1949- present)"। India Online। ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০১৫ 
  2. "Padma Awards" (পিডিএফ)। Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১৫। ১৫ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৫ 
  3. Ramaṇikā Guptā (২০০৬)। Indigenous Writers of India: North-East India। Concept Publishing Company। পৃষ্ঠা 167 of 227। আইএসবিএন 9788180693007 
  4. "Tlawm ve lo Lalnu Ropuiliani"। Mizo Academy of Letters। ২০১৫। ৯ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০১৫