ললিত মাকেন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ললিত মাকেন
জন্ম১৬ই অক্টোবর ১৯৫১
মৃত্যু৩১শে জুলাই ১৯৮৫
কীর্তি নগরে, নতুন দিল্লি
পেশারাজনীতি বিদ
জাতীয়তাভারতীয়
দাম্পত্যসঙ্গীগীতাঞ্জলি
সন্তানঅবন্তিকা (কন‍্যা)

ললিত মাকেন ছিলেন একজন সংসদ সদস্য। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের রাজনৈতিক নেতা এবং শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা ছিলেন। তিনি ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি শঙ্কর দয়াল শর্মার জামাই।।

১৯৮৪ সালে তিনি ভারতের দক্ষিণ দিল্লি থেকে ভারতের সংসদের প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচিত নিম্ন সংসদ থেকে সংসদ সদস্য হিসাবে লোকসভায় নির্বাচিত হন। তিনি ভারতের সংসদ নির্বাচনের আগে মহানগর কাউন্সিলর ছিলেন।

শিখ মার্ডার্স ১ ' হু আর দ্য গিলিটি ' শীর্ষক ৩১ পৃষ্ঠার একটি পুস্তিকায়, পিপলস ইউনিয়ন ফর সিভিল লিবার্টিজ (পিইউসিএল) ২২৭ জন লোককে তালিকাভুক্ত করেছিল যারা এই জনতার নেতৃত্বে ছিলেন তারা তিন দিনের মধ্যে ১৭,০০০ জন শিখকে হত্যা করেছিল। তালিকায় তৃতীয় স্থানে ছিল ললিত মাকেনের নাম। [১] এই অভিযোগ যদিও কখনও প্রমাণিত হয় নি।


গুপ্তহত্যা[সম্পাদনা]

১৯৮৫ সালের ৩১শে জুলাই মাকেন এবং তার স্ত্রী রাষ্ট্রপতি শঙ্কর দয়াল শর্মার কন্যা গীতাঞ্জলিকে পশ্চিম দিল্লিরর কীর্তি নগরে তাদের বাড়ির বাইরে হরজিন্দর সিং জিন্দা, সুখদেব সিং সুখা এবং রঞ্জিত সিং গিল ওরফে কুুু্ক্কি গুলি করে হত্যা করেছিলেন [২] কীর্তি নগরে তাঁর বাাড়ির কাছে দাঙ্গায় যুক্ত থাকার কারণে।ললিত মাকেন যখন নয়াদিল্লির কীর্তি নগরে বাড়ি থেকে রাস্তার পাশে পার্কিং করা গাড়িটির দিকে যাচ্ছিলেন তখন তাকে গুলি করা হয়।তিনজন হামলাকারীই গুলি চালিয়ে যেতে থাকে তখন মাকেন তার বাড়ির দিকে ছুটতে থাকেন। মাকনের স্ত্রী গীতাঞ্জলি এবং একজন দর্শনার্থী বালকিশানও এইসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে যান। গীতাঞ্জলি দেবীকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। হামলাকারীরা তাদের স্কুটারে পালিয়ে যায়। [১] ললিত মাকেন, গীতাঞ্জলি মাকেন এবং বালকিশনকে নয়া দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সে নেওয়া হয়েছিল। টিডি ডোগরার নেতৃত্বে চিকিৎসকদের একটি দল পোস্টমর্টেম পরীক্ষা করেছিল।

পরে পুলিশ ১৯৮৬ সালে সুখদেব সিং সুখাকে এবং ১৯৮৭ সালে হরজিন্দর সিং জিন্দাকে গ্রেপ্তার করে। পরে উভয়কেই ভারতীয় সেনা জেনারেল অরুণ শ্রীধর বৈদ্য ( অপারেশন ব্লু স্টারের স্থপতি) হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল এবং ১৯৯৯ সালের ৯ অক্টোবর তাদের ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের পুনের ইয়ারওয়াদা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। [৩] ভারতীয় অনুরোধ অনুসারে রঞ্জিত সিং গিলকে ইন্টারপোল কর্তৃক আমেরিকার নিউ জার্সিতে ১৯৮৭ সালের ১৪ মে গ্রেপ্তার হয়েছিল। একজন ফেডারেল ম্যাজিস্ট্রেট ১৯৮৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার প্রত্যর্পণের অনুমোদন দেন [৪] তিনি দেশে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করার পরে (অনুরোধটি পূর্বে তিন বার প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল) [৫] এবং দীর্ঘ আইনী মামলার পরে ২০০০সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছিল এবং ২০০৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দণ্ডিত করা হয়েছিল। অবশেষে ২০ শে মে ২০০৯ এ তার যাবজ্জীবন সাজা কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। [৬]

পরিবার[সম্পাদনা]

ভারত সরকারের প্রাক্তন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী অজয় মাকেন তাঁর ভাগ্নে। তাঁর একমাত্র সন্তান (কন্যা) অবন্তিকা মাকেন ১৯৯৭ সালে সুচিতর শর্মাকে বিয়ে করেছিলেন। পরে তিনি বিবাহবিচ্ছেদ দায়ের করেন এবং ২০০৫ সালে বিয়ে করেন ভারতীয় যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি এবং সংসদ সদস্য অশোক তানওয়ারকে ।

অজয় মাকেন [৭] এবং অবন্তিকা মাকেন উভয়ই ললিত মাকনের ঘাতক রঞ্জিত সিং গিল ওরফে মুক্তির জন্য অনুরোধ করেছিলেন। [৮][৯][১০]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]