রিতিকা ভাজিরানি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রিতিকা ভাজিরানি
জন্ম৯ই আগস্ট ১৯৬২
পাটিয়ালা, ভারত
মৃত্যু১৬ জুলাই ২০০৩(2003-07-16) (বয়স ৪০)
চেভি চেজ, মেরিল্যাণ্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
পেশালেখক
জাতীয়তামার্কিন
ধরনকবিতা

রিতিকা জিনা ভাজিরানি (৯ই আগস্ট ১৯৬২ - ১৬ই জুলাই ২০০৩) একজন ভারতীয় - আমেরিকান অভিবাসী কবি এবং শিক্ষাবিদ ছিলেন।[১]

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

রিতিকা ভাজিরানি ১৯৬২ সালে ভারতের পাতিয়ালায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৫ সালে অভিবাসন আইন শিথিল হওয়ার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উদ্দেশ্যে চলা ভারতীয়দের একটি তরঙ্গের অংশ হিসাবে ১৯৬৮ সালে যখন তাঁর পরিবার পাঞ্জাব ছেড়ে যায় তখন তাঁর বয়স ছিল ছয় বছর। পরিবারটি পথে কিছু অন্তর্বর্তী বিরতির পর ইলিনয়ের হোয়াইট ওক-এ বসতি স্থাপন করে। তাঁর বাবা সুন্দর ভাজিরানি ছিলেন মুখগহ্বর-সংক্রান্ত একজন শল্যচিকিৎসক, যিনি ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক শিক্ষা লাভ করেন এবং পরে হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেন্টাল স্কুলে সহকারী ডিন হন। রিতিকা মেরিল্যাণ্ডের সিলভার স্প্রিংয়ের স্প্রিংব্রুক হাই স্কুল থেকে পাস করেন এবং ওয়েলেসলি কলেজে তাঁর শিক্ষা অব্যাহত রেখে ১৯৮৪ সালে সেখান থেকে স্নাতক হন। সেখানেই তিনি ভারত, থাইল্যান্ড, জাপান এবং চীন ভ্রমণের জন্য টমাস জে. ওয়াটসন ফেলোশিপ পেয়েছিলেন। তিনি পরে হয়ন্স ফেলো হিসেবে ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএফএ অর্জন করেন।[২]

পরবর্তী জীবন এবং দুঃখজনক মৃত্যু[সম্পাদনা]

ভাজিরানি তাঁর ছেলে জেহানের সাথে নিউ জার্সির ট্রেন্টনে থাকতেন, কবি ইউসেফ কমুন্যাকার কাছে, যিনি তাঁর সঙ্গী এবং জেহানের বাবা ছিলেন।[৩] সেখানে তিনি নিউ জার্সির কলেজে পরিদর্শক অনুষদ সদস্য হিসেবে সৃজনশীল লেখা শেখাতেন।[৪] মৃত্যুর সময়, ভাজিরানি এমরি ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজি বিভাগে যোগদানের অভিপ্রায়ে ভার্জিনিয়ার উইলিয়ামসবার্গে উইলিয়াম অ্যাণ্ড মেরি কলেজের লেখক-নিবাসে ছিলেন। ভাজিরানি ২০০৩ সালের ১৬ই জুলাই, মেরিল্যাণ্ডের চেভি চেজে, ঔপন্যাসিক হাওয়ার্ড নরম্যান এবং তাঁর স্ত্রী, কবি, জেন শোরের বাড়িতে[৩] বসে ছিলেন। সেখানে, ভাজিরানি তাঁর দুই বছরের ছেলে জেহানকে একাধিকবার ছুরিকাঘাত ক'রে হত্যা করেন, তারপরে নিজেকে ছুরিকাঘাত করেন।[৫][৬][৭][৮]

লেখা[সম্পাদনা]

ভাজিরানি দুটি কবিতা সংকলনের লেখক ছিলেন, সেগুলি হলো- হোয়াইট এলিফ্যান্টস,[৯] এবং ওয়ার্ল্ড হোটেল ( কপার ক্যানিয়ন প্রেস, ২০০২)।[১০] এর মধ্যে প্রথমটি ১৯৯৫ সালের বার্নার্ড নিউ উইমেন পোয়েটস পুরস্কার বিজয়ী এবং দ্বিতীয়টি ২০০৩ অ্যানিসফিল্ড-ওল্ফ বুক পুরস্কারের বিজয়ী। তিনি শেনান্দোয়াহ- এর জন্য অবদানকারী এবং উপদেষ্টা সম্পাদক, কাল্লালো- এর বই পর্যালোচনা সম্পাদক এবং দক্ষিণ এশিয়ার সাহিত্যের জার্নাল ক্যাটামারান- এর একজন বরিষ্ঠ কবিতা সম্পাদক ছিলেন। তিনি উর্দু থেকে কবিতা অনুবাদ করেছিলেন এবং তাঁর নিজের কিছু কবিতা ইতালীয় ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন।[১১][১২]

তাঁর কবিতা "মাউথ-অর্গানস অ্যাণ্ড ড্রামস" প্রকাশিত হয়েছিল পোয়েটস এগেইনস্ট দ্য ওয়ার (নেশন বুকস, ২০০৩) কবিতা সংকলনে।[১৩]

লেসলি ম্যাকগ্রা এবং রবি শঙ্কর সম্পাদিত ভাজিরানির কবিতার চূড়ান্ত সংকলন, রাধা সেজ, ২০০৯ সালে ড্রঙ্কেন বোট মিডিয়া দ্বারা প্রকাশিত হয়েছিল।[১৪]

পুরস্কার[সম্পাদনা]

তিনি একটি ডিসকভারি / দ্য নেশন অ্যাওয়ার্ড, একটি পুশকার্ট পুরস্কার, কবি ও লেখক বিনিময় প্রোগ্রাম পুরস্কার, ব্রেড লোফ এবং সেওয়ানি লেখক সম্মেলনের ফেলোশিপ পেয়েছিলেন। তাঁর প্রবন্ধ "দ্য আর্ট অফ ব্রীথিং" এর জন্য তিনি গ্লেনা লুশেই /প্রেইরি শুনার পুরস্কারের প্রাপক ছিলেন,"[১৬] এটি হাউ উই লিভ আওয়ার ইয়োগা (বীকন ২০০১) সংকলনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দ্য বেস্ট আমেরিকান পোয়েট্রি ২০০০- এ তাঁর একটি কবিতা ছিল।[১৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Reetika Vazirani"poets.org। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  2. Dove, Rita (২০০৪)। "Remebering Reetika Vazirani: National Press Club, Washington, DC, July 26, 2003"। jstor.org: 368–369। জেস্টোর 3300649ডিওআই:10.1353/cal.2004.0062 
  3. "Senseless tragedy strikes the American poetry scene"। chicagopoetry.com। ৫ ডিসেম্বর ২০০৪। ১ অক্টোবর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০১-২৩ 
  4. Fiore, Kristina। "A loss for words: Reetika Vazirani, poet and professor, commits suicide at 40"The Signal। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০২-০৭ 
  5. "The Failing Light: Why did a rising young poet plunge into despair, taking her own life and the life of her 2-year-old son?"washingtonpost.com। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  6. David A. Fahrenthold and Simone Weichselbaum In Final Hours, Despair Defeated Poet, 15 July 2003 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৭ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে
  7. "The Inscrutable Tragedy of Reetika Vazirani"longreads.com। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  8. "A loss for words: Reetika Vazirani, poet and professor, commits suicide at 40"tcnjsignal.net। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  9. "White Elephants Reetika Vazirani"cse.iitk.ac.in। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  10. "World Hotel"Copper Canyon Press। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০২-০৭ 
  11. "Reetika Vazirani"pshares.org। Ploughshares at Emerson College। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  12. "Independence by Reetika Vazirani"theparisreview.org। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  13. "Reetika Vazirani"। ১১ মার্চ ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  14. "Radha Says"thecafereview.com। ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  15. "Reetika Vazirani"anisfield-wolf.org। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  16. Vazirani, Reetika (২০০১)। "The Art of Breathing"। jstor.org: 63–74। জেস্টোর 40635929 
  17. ""My Flu" by Reetika Vazirani"bestamericanpoetry.com। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]