রঙিয়া রেলওয়ে স্টেশন

স্থানাঙ্ক: ২৬°২৬′৫০″ উত্তর ৯১°৩৬′২০″ পূর্ব / ২৬.৪৪৭২° উত্তর ৯১.৬০৫৬° পূর্ব / 26.4472; 91.6056
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রঙিয়া
Indian Railway Junction Station
রঙিয়া জংশন
অবস্থানরঙিয়া, আসাম
আসাম
স্থানাঙ্ক২৬°২৬′৫০″ উত্তর ৯১°৩৬′২০″ পূর্ব / ২৬.৪৪৭২° উত্তর ৯১.৬০৫৬° পূর্ব / 26.4472; 91.6056
উচ্চতা৫৩ মিটার (১৭৪ ফু)
মালিকানাধীনভারতীয় রেল
পরিচালিতউত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে
লাইননিউ বঙাইগাঁও-গুয়াহাটি শাখা
বারাউনী-গুয়াহাটি পথ
রঙিয়া-ডেকারগাঁও/মুর্কংচেলেক পথ
প্ল্যাটফর্ম
নির্মাণ
গঠনের ধরনStandard on ground
অন্য তথ্য
অবস্থাকার্যক্ষম
স্টেশন কোডRNY
বিভাগ রঙিয়া
ইতিহাস
চালু১৯০৯
অবস্থান
মানচিত্র

রঙিয়া হচ্ছে বারাউনী-গুয়াহাটি রেলপথের নিউ বঙাইগাঁও-গুয়াহাটি শাখায় এবং রঙিয়া-রঙাপারা-ডেকারগাঁও/মুর্কংচেলেক পথে থাকা একটি জংশন রেলওয়ে স্টেশন। এটি কামরূপ জেলা-এর রঙিয়া মহকুমায় অবস্থিত। এটি রঙিয়া এবং এর নিকটবর্তী অঞ্চলসমূহের মুখ্য রেলওয়ে স্টেশন।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

মূলতঃ ভারতীয় চা সংস্থার জন্য ১৯০২ সালে ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে-এর মিটারগজ কওনিয়া-ধারলা রেলপথ (বর্তমান বাংলাদেশ-এর অন্তর্গত) আসাম-এর ধুবুরী পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হয়, যাতে আসামের চা সহজে কলকাতায় পরিবহন করা যায়। ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে ভারতীয় উপ-মহাদেশ-এর অন্যান্য রেল এবং পথ জালিকার মাধ্যমে সু-সংযোজিত হয়েছিল।[১] ১৯০৮ সালে এই রেলপথটি গোলোকগঞ্জ থেকে গুয়াহাটি-এর উত্তরে অবস্থিত আমিনগাঁও পর্যন্ত পুনঃ সম্প্রসারণ করা হয়। এখান থেকে ফেরীতে ব্রহ্মপুত্র নদ পার হয়ে পাণ্ডু স্টেশনে উজনী আসাম পর্যন্ত যাওয়া ট্রেন ধরতে হত।[২][৩] ১৯৬২ সালে শরাইঘাট সেতু নির্মাণ হওয়ার পরে রেলপথ ধীরে ধীরে গুয়াহাটি পর্যন্ত হয়।[৪]

১৯১২ সালে ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে রঙিয়া থেকে টংলা পর্যন্ত একটি শাখা রেলপথ নির্মাণ করে ফেলে এবং ১৯৩২ সালে একে রঙাপারা পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হয়।[৫]

১৯৮৪ সালে নিউ বঙাইগাঁও থেকে রঙিয়া হয়ে গুয়াহাটি পর্যন্ত ব্রডগজ রেলপথ নির্মাণ করা হয় এবং পরে পর্যায়ক্রমে মিটারগজ রেলপথটি রেল-কর্তৃপক্ষই বন্ধ করে দেয়।[৬]

২০১১ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে গজ পরিবর্তনের কাজ চলার জন্য এই রঙিয়া-রঙাপারা-তেজপুর/মুর্কংচেলেক পথে যাত্রীবাহী রেলের চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০১৩ সালের ৪ জানুয়ারি থেকে ব্রডগজ পর্যন্ত পরিবর্তন হওয়া রঙিয়া-রঙাপরা-ডেকারগাঁও রেলপথে যাত্রীবাহী রেল চলাচলের সূত্রপাত হয়।[৭]

রেলপথ দ্বৈতকরণ[সম্পাদনা]

রঙিয়া হয়ে যাওয়া নিউ বঙাইগাঁও-কামাখ্যা অংশের রেলপথের দ্বৈতকরণ প্রকল্পটি ২০১৩-১৪ সালের রেল বাজেটে অনুমোদন জানানো হয়।[৮]

সা-সুবিধা[সম্পাদনা]

রঙিয়া রেলওয়ে স্টেশনে একটি দুই বিছানাযুক্ত রিটায়ারিং রুম আছে।[৯]

অবকাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা[সম্পাদনা]

ভারতীয় রেলওয়ে, রেলওয়ে স্টেশনগুলিতে যাত্রীদের অভিজ্ঞতা উন্নত করার প্রচেষ্টায়, আসামের রাঙ্গিয়া জংশন স্টেশনটিকে আধুনিকীকরণ এবং একটি আকর্ষণীয় চেহারা পেয়েছে।ভারতীয় রেলওয়ে স্টেশনের সৌন্দর্যায়ন এবং পুনঃউন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে সংস্কার করা হয়েছে, প্ল্যাটফর্ম এবং স্টেশনের অবস্থার উন্নতির জন্য বেশ কিছু উন্নয়ন কাজ অন্তর্ভুক্ত করেছে।[১০] নতুন সুবিধা প্রদান এবং স্থানীয় আর্ট পেইন্টিং দিয়ে স্টেশনের সৌন্দর্যায়নের জন্য 10-15 কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।[১০]

স্টেশনে সংস্কারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ:[১০]

১.স্টেশনের সম্মুখভাগে নীল এবং রূপালী রং দিয়ে ACP ক্ল্যাডিং দ্বারা একটি ফেসলিফ্ট পেয়েছে।

২সার্কুলেটিং এরিয়া আপগ্রেড করা হয়েছে এবং ট্রাফিক নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য স্টেশনের পার্কিং এরিয়া পাথওয়ে নির্মাণের মাধ্যমে পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।

৩.প্রথম শ্রেণীর ওয়েটিং রুমটি টেক্সচার পেইন্ট দিয়ে সংস্কার করা হয়েছে এবং ভাল মানের টাইলস, গ্রানাইট এবং একটি ফলস সিলিং সহ দ্বিতীয় শ্রেণীর ওয়েটিং হলের সংস্কার করা হয়েছে।

৪প্ল্যাটফর্ম এবং স্টেশনের ভাঙ্গা পৃষ্ঠের মেঝেতে নতুন মোজাইক টাইলস স্থাপন করা হয়েছিল।

৫.স্টেশনের রিফ্রেশমেন্ট রুমটি ফলস সিলিং এবং ভাল মানের মেঝে এবং দেয়াল টাইলস দিয়ে ঢেকে সংস্কার করা হয়েছিল।

৬ভবনের রান্নাঘরের অংশেও সংস্কার করা হয়েছে।

৭নতুন ফুট ওভার ব্রিজ নির্মাণ এবং নতুন লিফট ও এসকেলেটর স্থাপনের কাজ চলছে।

৮যাত্রীদের সুবিধার্থে স্টেশনে একটি নতুন পে অ্যান্ড ইউজ টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Eastern Bengal Railway"। National Encyclopedia of Bangladesh। ৩ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে' ২০১৪  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  2. "IRFCA Timeline"। IFRCA। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে' ২০১৪  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  3. John Hurd and Ian J.Kerr। "India's Railway History: A Research Handbook"page 175, table 6-3। Koninklijke Brill NV, Leien, The Netherlands। আইএসবিএন 978-90-04-23003-3। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে' ২০১৩  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  4. "50 yers of Saraighat bridge"। The Times of India, 7 November 2012। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে' ২০১৩  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  5. "The Tezpur Balipara Light Railway"Indian Railway Fun Club। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  6. "IR History: Part V (1970-19950"। IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে' ২০১৩  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  7. "কামাখ্যা স্টেশন থেকে তেজপুর পর্যন্ত নীরবে আরম্ভ হল ঐতিহাসিক রেল যাত্রা, অসমীয়া প্রতিদিন"। ৫ জানুয়ারি ২০১৪। পৃষ্ঠা ১, ১০। 
  8. "Rail budget 2013: Wait for electric trains in India's North-East gets longer"। First post economy। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০১৩ 
  9. "Retiring rooms in Northeast Frontier Railway"। Indian Railways। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০১৩ 
  10. Devanjana, Nag (২৮ আগস্ট ২০১৯)। "Beautiful! Indian Railways' Rangiya Junction station in Assam gets a ravishing makeover; see pics here"The Financial Express। Financial Express। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]