বিষয়বস্তুতে চলুন

রক্তদহ নদী

স্থানাঙ্ক: ২৪°৩১′ উত্তর ৮৯°১৩′ পূর্ব / ২৪.৫২° উত্তর ৮৯.২২° পূর্ব / 24.52; 89.22
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(রক্তদহ বিল থেকে পুনর্নির্দেশিত)
রক্তদহ নদী
অবস্থানরানীনগর উপজেলা , আদমদীঘি উপজেলা
স্থানাঙ্ক২৪°৩১′ উত্তর ৮৯°১৩′ পূর্ব / ২৪.৫২° উত্তর ৮৯.২২° পূর্ব / 24.52; 89.22
ধরনবৃহৎ বিল
প্রাথমিক অন্তর্প্রবাহ৪৬টি নদনদী[]
অববাহিকার দেশসমূহবাংলাদেশ
পৃষ্ঠতল অঞ্চল২৬ কিমি (১০ মা)
গড় গভীরতা২ মি (৬.৬ ফু)
সর্বাধিক গভীরতা৪ মি (১৩ ফু)

রক্তদহ নদী বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি নদী।[] এই নদীর একাংশকে বিলের মতো দেখায় এবং এটি অন্যতম বৃহৎ বিল। এটি নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপজেলা এবং বগুড়া জেলার আদমদিঘী উপজেলা জুড়ে বিস্তৃত।[] তেরটি খাল ও অন্যান্য জলপথ রক্তদহ বিলের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত। ।[][]

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

ফকির মজনু শাহ এখান থেকেই সশস্ত্র অনুচরসহ প্রায় প্রতি বছর তৎকালীন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধিকারভুক্ত বাংলা ও বিহারের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাতেন। প্রধানত বিহারের পানিয়া অঞ্চল এবং বাংলার রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, মালদহ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও ময়মনসিংহ জেলা ছিল তার অভিয়ানের অঞ্চল। ১৭৮৬ সালের আগস্ট মাসে বগুড়া থেকে ৩৫ মাইল দূরবর্তী এক স্থানে লেফটেন্যান্ট আইন শাইনের সঙ্গে তার সংঘর্ষ হয়েছিল। গবেষণায় দেখা গেছে , এ স্থানটি আদমদীঘি থানার রক্তদহ বিল। এখানে ব্যাপক ইংরেজ সৈন্য হতাহত হয়েছিল এবং রক্তের বন্যা বয়ে গিয়েছিল বলে সে সময় এর নাম রাখা হয় রক্তদহ বিল।[] রক্তদহ বিলে ফকির বাহিনীর একজন শাহাদত প্রাপ্ত মুজাহিদ শায়িত আছেন। এই রক্তদহ মাজারটি স্থানীয় ভাবে ‘রক্তদহ দরগা’ নামে পরিচিত

আরেকটি যুদ্ধে মজনু শাহ ও ইংরেজ সৈন্যদের মাঝে যুদ্ধে প্রচুর লোক হতাহত হওয়ায় বিল ভোমরার পানি রক্তের জোয়ারে লাল রং ধারণ করে সেই থেকে বিল ভোমরা ঐতিহাসিক রক্তদহ বিল নাম ধারণ করে আসছে। ঐ যুদ্ধে মজনু শাহ এর একজন শীর্ষ সহযোগী শহীদ হন। তার লাশ ঐ বিলের মধ্যেই একটু উঁচু স্থানে দাফন করা হয়। সেখানে একটি বটগাছ সর্বক্ষণ দাঁড়িয়ে আছে। []

বিবরণ

[সম্পাদনা]

বগুড়ার আদমদীঘির ঐতিহাসিক রক্তদহ বিল ফাল্গুনের শুরুতে চারপাশে ইরি-বোরো ধানের আবাদ হয়। প্রায় ৯শত একর এলাকাজুড়ে বিস্তৃতি এ বিলে একসময় পানি পরিপূর্ণ হয়ে প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। এ বিল থেকে এলাকায় মাছের চাহিদা পূরণ করে বগুড়া, নাটোর, জয়পুরহাট ও নওগাঁ জেলার দক্ষিণ পূর্ব এলাকার মাছের চাহিদা পূরণ হতো। এ বিলে বোয়াল, চিতল, আইড়, গজার, পবদাসহ মাছের সুক্ষাতি আজও ছড়িয়ে রয়েছে। ২০০৩ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত এনজিও সংস্থা ব্র্যাক এই বিলের সংস্কার ও মাছ চাষের দায়িত্ব গ্রহণ করে।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Srinivasan, Roopa; Tiwari, Manish; Silas, Sandeep (২০০৬)। Our Indian Railway: Themes in India's Railway History। New Delhi: Foundation Books। আইএসবিএন 81-7596-330-1। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১১-২৯ 
  2. ম ইনামুল হক, বাংলাদেশের নদনদী, অনুশীলন ঢাকা, জুলাই ২০১৭, পৃষ্ঠা ১৬৯।
  3. ফারুক, ওমর (২০২৩-১০-১৩)। "অপরূপ রক্তদহ বিল"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০১-৩০ 
  4. মোহা. শামসুল আলম এবং মোঃ সাজ্জাদ হোসেন (২০১২)। "চলন বিল"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 
  5. "রাণীনগর উপজেলা"তথ্য বাতায়ন। ২০১৯-০৮-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১৫