যতীন্দ্রলোচন মিত্র

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

যতীন্দ্রলোচন মিত্র (১১ এপ্রিল, ১৮৯৫ - ২০ জুন, ১৯৬৮) একজন বাঙালি ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনকারী বিপ্লবী ও লব্ধপ্রতিষ্ঠ বাস্তুকার, আর্কিটেক্ট। তিনি বিপ্লবী বাঘা যতীনের নেতৃত্বে ইন্দো জার্মান ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন।

বিপ্লবী কার্য[সম্পাদনা]

বিপ্লবী যতীন্দ্রলোচন অল্পবয়েসে স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি প্রমথনাথ মিত্র ও সতীশচন্দ্র বসুর প্রভাবে অনুশীলন সমিতির সদস্য হন। ছাত্রাবস্থায় সশস্ত্র বিপ্লবের মুখপত্র বেআইনি যুগান্তর পত্রিকা পূন:মুদ্রিত করে প্রকাশ করতে থাকেন। বাঘা যতীনের সাথে ১৯১৫ সালের ইন্দো-জার্মান পরিকল্পনায় অংশ নিয়েছিলেন। ১৯১৩ সালে বিপ্লবীরা যে স্বাধীন ভারতের প্রতীক তৈরি করেন তিনিই সেই প্রতীকের উদ্ভাবক। ১৯১৫ সালে তদানীং বি.ই কলেজ বা বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটি, শিবপুরে ভর্তি হন। তার পরিচালনায় গোপনে অস্ত্র বানানো ও মেরামতির কারখানা চলতো। সহ বিপ্লবীদের কাছে সেটি লোচন মিস্ত্রীর কারখানা নামে পরিচিত ছিল। তিনি লোচন নামেই সমধিক পরিচিত ছিলেন বিপ্লবীমহলে। রডা কোম্পানীর অস্ত্র লুন্ঠন কেসে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র সহ তিনি ধরা পড়ে জেলে যান। পরে তিনি মহাত্মা গাঁধীঅসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন।[১]

কারাজীবন[সম্পাদনা]

মেদিনীপুর জেলে থাকাকালীন কারা কর্তৃপক্ষের দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদে ঐতিহাসিক অনশন ধর্মঘটে সামিল হন যতীন্দ্রলোচন। ১৯২০ সালে জেল থেকে বেরিয়ে বিভিন্ন সময় বহুবার তাকে অন্তরীন থাকতে হয়।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু, প্রথম খন্ড (২০০২)। সংসদ বাঙালী চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ৪৩৫।