মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ

মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ হচ্ছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। তিনি বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারপারসন।

কর্মজীবন

আহমেদ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার কাছাকাছি সময়ে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি নিযুক্ত হন। প্রধান বিচারপতির সুপারিশ সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক নিযুক্ত আহমেদসহ অন্যান্য বিচারপতিদের হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি করা হয়নি ঐতিহ্য ভঙ্গ করে নবনির্বাচিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। আহমেদসহ ১০ জন বিচারপতি হাইকোর্ট বিভাগে একটি আপিল দাখিল করেন যা ২০০৮ সালে সরকারকে জ্যেষ্ঠতার সাথে ১০ জন স্থায়ী বিচারপতি করার নির্দেশ দেয়।

আইন ও সালিশ কেন্দ্র এবং চার বাসিন্দার আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে, আহমেদ এবং বিচারপতি নাইমা হায়দার শেরে বাংলা নগরের শহীদেরটেক বস্তিতে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধের নির্দেশ দেন।

আহমেদ এবং বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ২০১১ সালের মার্চ মাসে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে তাকে অপসারণের বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মোহাম্মদ ইউনুসের একটি আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন। ইউনূস ও তার আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ এরপর হাইকোর্ট বেঞ্চের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করেন।

আহমেদ ২০১৭ সালের আগস্টে দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারপারসন হিসেবে পুনরায় নিযুক্ত হন। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে, আহমেদকে প্রেস আপিল বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল যার মধ্যে গোলাম সারওয়ারও ছিলেন। তিনি সাংবাদিকদের দেশব্যাপী ডাটাবেস তৈরির প্রস্তাব করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। তিনি এবং প্রেস কাউন্সিল ২০২০ সালের আগস্ট মাসে রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার পরিদর্শন করেন।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কমিশনার পদের জন্য আহমেদের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল।