মোশতাক আহমেদ গুরমানি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মোশতাক আহমেদ গুরমানি
১ম পশ্চিম পাকিস্তানের গভর্নর
কাজের মেয়াদ
১৪ অক্টেবর ১৯৫৫ – ২৭ আগস্ট ১৯৫৭
সার্বভৌম শাসকদ্বিতীয় এলিজাবেথ
রাষ্ট্রপতিইস্কান্দার মির্জা
পূর্বসূরীঅফিস স্থাপিত
উত্তরসূরীআক্তার হোসেন
তৃতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
২৬ নভেম্বর ১৯৫১ – ২৪ অক্টোবর ১৯৫৪
প্রধানমন্ত্রীখাজা নাজিমুদ্দিন
মোহাম্মদ আলী বগুড়া
পূর্বসূরীখাজা শাহাবুদ্দিন
উত্তরসূরীইস্কান্দার মির্জা
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১৯০৫
কোট আদ্দু, পাঞ্জাব, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানকালীন পাঞ্জাব, পাকিস্তান)
মৃত্যু১৯৮১

নবাব মুশতাক আহমেদ গুরমানি (উর্দু: مشتاق احمد گرمانی‎; ১৯০৫-১৯৮১) একজন পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ যিনি বাহাওয়ালপুর রাজ্যের দেওয়ান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ভারত বিভাজন-এর ফলে বাহাওয়ালপুর পাকিস্তানের অংশ হওয়ায়, তিনি পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারে 'দফতর ছাড়া মন্ত্রী' হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি কাশ্মীর বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন।

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

মুশতাক আহমেদ গুরমানি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুজাফফরগড় জেলার থাথা গুরমানি গ্রামের সুপরিচিত জমিদার গুরমানি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

দফতর ছাড়া মন্ত্রীর পাশাপাশি কাশ্মীর বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর ভুমিকায় তিনি ১৯৪৯ সালের করাচি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন যা কাশ্মীরের পাকিস্তান ও ভারতীয় এলাকার মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি রেখা স্থাপন করে, পরবর্তীতে যা নিয়ন্ত্রণ রেখা নামে পরিচিত হয়। করাচি চুক্তি হল ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক প্রতিনিধিদের দ্বারা স্বাক্ষরিত একটি ঐতিহাসিক চুক্তি যা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ১৯৪৯ জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হয়। নিয়ন্ত্রণ রেখা বা লাইন অব কন্ট্রোল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যবর্তী সামরিক বাহিনী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত পূর্বতন জম্মু-কাশ্মীর দেশীয় রাজ্যের সীমানার মধ্যে অবস্থিত আন্তর্জাতিক সীমানা নির্ধারণকারী একটি রেখা। ১৯৪৭ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে এই চুক্তি স্কাক্ষরিত হয়। ১৯৫১ সালে, তিনি কাশ্মীর বিষয়ক এবং উত্তর অঞ্চলের নির্বাহী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৫১ থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী[১] হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৪ থেকে ১৯৫৭ সালের মধ্যে তিনি পাঞ্জাবের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৫ সালে, পাঞ্জাবের গভর্নরের পদ বিলুপ্ত করা হয় এবং গুরমানি পশ্চিম পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর হন[২]। মুশতাক আহমেদ গুরমানি গুরমানি-বেলুচ উপজাতির অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তার মৃত্যুর পর তার পরিবার গুরমানি ফাউন্ডেশন নামে একটি ফাউন্ডেশন তৈরি করে যা লাহোরের এলইউএমএস ইউনিভার্সিটিতে “মোশতাক আহমেদ গুরমানি স্কুল অফ হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস” নামে নতুন বিভাগ প্রতিষ্ঠার জন্য এক বিলিয়ন টাকা দেয়। এটি ছিল এলইউএমএস এর পাওয়া এই পর্যন্ত সবচেয়ে বড় একক উপহার এবং সম্ভবত পাকিস্তানের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া একক বৃহত্তম উপহার। গুরমানি ফাউন্ডেশন বেশ কয়েকটি কল্যাণমূলক প্রকল্প গ্রহণ করছে, বেশিরভাগই শিক্ষার ক্ষেত্রে। এই প্রকল্প মুজাফফরগড়েও রয়েছে।

বইসমূহ[সম্পাদনা]

নিজের লেখা[সম্পাদনা]

কাশ্মীর, একটি সমীক্ষা, ১৯৫১। পাকিস্তানের কৃষি সংকট, বক্তৃতা, ১৯৫৭।

তার সম্পর্কে লেখা[সম্পাদনা]

নবাব মিয়াঁ মুশতাক আহমেদ গুরমানি: কিছু ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য এবং নেতৃত্ব, লেখক- এস. কালব-ই-আবিদ; ২০১৭।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Akhtar Balouch (১৬ অক্টোবর ২০১৫)। "The mystery that shrouds Liaquat Ali Khan's murder"। Dawn (newspaper)। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৮ 
  2. Provinces of Pakistan since 1947 - World Statesmen website