মেয়রাজউদ্দীন আহমদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মরহূম জনাব

মেয়রাজউদ্দীন আহমদ

সাহেব
জন্ম
মৃত্যু
মাতৃশিক্ষায়তনসেন্ট জেভিয়ার'স কলেজ
পেশালেখক ও সাংবাদিক
যুগব্রিটিশ রাজ

মেয়রাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন 19 শতকের একজন বাঙ্গালী শিক্ষাবিদ, লেখক এবং দাঈ[১]

জিন্দেগী[সম্পাদনা]

মেয়রাজউদ্দীন আহমদ বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির খুলনা জেলার সাতক্ষীরা মহকুমায় পয়দা হন। তিনি বাংলা ও উর্দু ভাষায় পারদর্শী ছিলেন।[২]

মেয়রাজউদ্দীন আহমদ সাহেব সুধাকর পত্রিকার জন্য উর্দু ভাষার প্রবন্ধ বাংলায় তরজমা করতেন। ঢাকা মুসলমান সুহৃদ সম্মিলনী নামক একটি নারীশিক্ষার আন্দোলন সংগঠন তাকে বালিকাদের লাগিয়া একটি বই লিখতে বলে। ১৮৮৫ খ্রীষ্টাব্দে তিনি মোহাম্মদ রেয়াজউদ্দীন আহমদ সাহেবের সাথে তাদের জন্য তোহফাতুল মোসলেমিন রচনা করেন।[৩]

তিনি কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে আরবীফার্সী ভাষার অধ্যাপক ছিলেন। ১৮৯০ খ্রীষ্টাব্দে তিনি শেখ আবদুর রহীম সাহেবের সহযোগিতায় জিহাদ এবং সমাজকল্যাণ সম্পর্কে ধর্মযুদ্ধ বা জিহাদ ও সমাজ সংস্কর লিখেছিলেন। বইটিতে তিনি লিখেছেন যে ভারতবর্ষের মুসলমানদের ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে জেহাদ করা জায়েজ নয় কারণ তারা মুসলমানদের দ্বীনের আজাদী হেফাজৎ করেছিল।[২]

তিনি কলকাতার ডোভেটন কলেজে ফার্সী ভাষাও পড়াতেন।[৪]

মেয়রাজউদ্দীন আহমদ সাহেব কলকাতার মুসলমান সাহিত্য সমাজের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। ১৮৯০ খ্রীষ্টাব্দে, কবি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক তার বই ফেরদৌসী চরিত মরহূম জনাব মেয়রাজউদ্দীন আহমদ সাহেবকে উৎসর্গ করেন।

সূত্র তালিকা[সম্পাদনা]

  1. সুফিয়া আহমদ (১৯৭৪)। Muslim community in Bengal, 1884-1912 (ইংরেজি ভাষায়)। S. Ahmed : distributed by Oxford University Press। পৃষ্ঠা 314। আইএসবিএন 978-0-19-576022-4। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৮ 
  2. ওয়াকিল আহমদ (২০১২)। "আহমদ, মেয়রাজউদ্দীন"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 
  3. co, thacker spnk and (১৮৮১)। the calcutta university calendar 1881-82 (ইংরেজি ভাষায়)। পৃষ্ঠা 128। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৮ 
  4. অমিত দে (২০০৫)। The Image Of The Prophet In Bengali Muslim Piety (1850-1947) (ইংরেজি ভাষায়)। Readers Service। পৃষ্ঠা 107। আইএসবিএন 978-81-87891-34-5। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৮