বিষয়বস্তুতে চলুন

মেকং নদী

স্থানাঙ্ক: ১০°১১′২০″ উত্তর ১০৬°৪৪′৫৬″ পূর্ব / ১০.১৮৯° উত্তর ১০৬.৭৪৯° পূর্ব / 10.189; 106.749
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মেকং নদী
湄公河 (Méigōnghé)
မဲခေါင်မြစ် (Megaung Myit)
ແມ່ນ້ຳຂອງ (Maenam Khong)
แม่น้ำโขง (Maenam Khong)
ទន្លេមេគង្គ (Tónlé Mékóng)
Sông Mê Kông / Sông Cửu Long (九龍)
মেকং নদী, লুয়াং প্রবাং, লাওস
স্থানীয় নামমেকং নদী {{স্থানীয় নামের পরীক্ষক}} ত্রুটি: প্যারামিটারের মান ত্রুটিপূর্ণ (সাহায্য)
অবস্থান
রাষ্ট্রচীন, মিয়ানমার, লাওস, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম
প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য
উৎসলাসাইগংমা (拉赛贡玛) প্রস্রবণ
 • অবস্থানমাউন্ট কৌসুংমুছা (果宗木查), সাতোই, ইউশু তিব্বতি স্বায়ত্তশাসিত প্রিফেকচার, ছিংহাই, চীন
 • স্থানাঙ্ক৩৩°৪২.৫′ উত্তর ৯৪°৪১.৭′ পূর্ব / ৩৩.৭০৮৩° উত্তর ৯৪.৬৯৫০° পূর্ব / 33.7083; 94.6950
 • উচ্চতা৫,২২৪ মি (১৭,১৩৯ ফু)
মোহনামেকং বদ্বীপ
 • অবস্থান
ভিয়েতনাম
 • স্থানাঙ্ক
১০°১১′২০″ উত্তর ১০৬°৪৪′৫৬″ পূর্ব / ১০.১৮৯° উত্তর ১০৬.৭৪৯° পূর্ব / 10.189; 106.749, ১০°১৫′৪১″ উত্তর ১০৬°৪৫′১১″ পূর্ব / ১০.২৬১২৯১৩৩৪২২২২১৮° উত্তর ১০৬.৭৫২৯৭৬৯৬৬০৩৪৩২° পূর্ব / 10.261291334222218; 106.75297696603432
 • উচ্চতা
০ মি (০ ফু)
দৈর্ঘ্য৪,৩৫০ কিমি (২,৭০০ মা)
অববাহিকার আকার৭,৯৫,০০০ কিমি (৩,০৭,০০০ মা)
নিষ্কাশন 
 • অবস্থানমেকং বদ্বীপ, দক্ষিণ চীন সাগর
 • গড়১৬,০০০ মি/সে (৫,৭০,০০০ ঘনফুট/সে)
 • সর্বনিম্ন১,৪০০ মি/সে (৪৯,০০০ ঘনফুট/সে)
 • সর্বোচ্চ৩৯,০০০ মি/সে (১৪,০০,০০০ ঘনফুট/সে)
অববাহিকার বৈশিষ্ট্য
উপনদী 
 • বামেস্রেপোক, নাম খান, থা, নাম ওউ
 • ডানেমুন, তনলে স্যাপ, কোক, রুয়াক

মেকং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। এটি বিশ্বের দ্বাদশতম দীর্ঘ নদী[] এবং এশিয়ার সপ্তম দীর্ঘতম নদী। এর আনুমানিক দৈর্ঘ্য ৪,৩৫০ কিলোমিটার (২,৭৩০ মাইল)[] এবং এটির জল নিষ্কাশন এলাকা ৭৯৫,০০০ বর্গকিমি (৩০৭,০০০ বর্গ মাইল)। নদীটির দ্বারা বছরে নিষ্কাশিত জলের পরিমাণ ৪৭৫ ঘনকিলোমিটার (১১৪ কিউসেক মাইল)।[]

তিব্বতীয় মালভূমির থেকে নদীটি চীনের ইউনান প্রদেশে প্রবেশ করে। সেখান থেকে নদীটি মিয়ানমার, লাওস, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া এবং ভিয়েতনাম মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। ১৯৯৫ সালে লাওস, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া এবং ভিয়েতনাম মেকং রিসোর্স কমিশন (এমআরসি) প্রতিষ্ঠা করে মেকং নদীর সম্পদের পরিচালনা ও সমন্বয় সাধন করার জন্য। ১৯৯৬ সালে চীনমায়ানমার এমআরসি এর "কথোপকথন অংশীদার" হয়ে ওঠে এবং ছয় দেশ এখন সমবায় কাঠামোতে একত্রে কাজ করে।

প্রবাহের চরম মৌসুমী বৈচিত্র্য এবং মেকোং- র‍্যাপিড এবং জলপ্রপাতের উপস্থিতি নদীপথে জলযানের চলাচলকে কঠিন করে তোলে। এমনকি, পশ্চিমা চীন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে এটি একটি প্রধান বাণিজ্যিক পথ।

গতিপথ

[সম্পাদনা]
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল, যেখানে থাইল্যান্ড, লাওস এবং মায়ানমারের সীমানা রুয়াক এবং মেকং নদীর সঙ্গমস্থলে মিলিত হয়েছে। চিয়াং সেন, চিয়াং রাই, উত্তর থাইল্যান্ড।

মেকং নদীটি জা কো নামে উৎপন্ন হয় এবং এটি এরপর ল্যানসাঙ্গ (লান্টসং) নামে পরিচিত হয় তিব্বতী মালভূমির সানচিয়ানউইয়েন জাতীয় প্রকৃতি সংরক্ষিত অঞ্চলের অন্তর্গত "তিনটি নদী উৎস এলাকা"য়। সংরক্ষিত অঞ্চলটি উত্তর থেকে দক্ষিণে যথাক্রমে হুয়াংহো নদী (হুয়াং হো), ছাং চিয়াং নদী এবং মেকং নদীর জলের উৎস হিসেবে কাজ করে।[] মেকং নদী তিব্বতী স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের মধ্য প্রবাহিত হয়ে দক্ষিণপূর্ব ইউনান প্রদেশে প্রবেশ করে এবং তারপর তার পূর্ব দিকে ইয়াংটেজ এবং পশ্চিমে সালভিন নদী (চীনা ভাষায় নুজিয়াং) পাশাপাশি হেনডুয়ান পর্বতমালার তিনটি সমান্তরাল নদী এলাকা জুড়ে প্রবাহিত হয়।

তারপর মেকং চীন অতিক্রম করে মায়ানমার এবং লাওসের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর পর থেকে এটি দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রবাহিত হয় এবং মায়ানমার, লাওস এবং থাইল্যান্ডের "ট্রাইপয়েন্ট"- এলাকায় প্রায় ১০০ কিলোমিটার (৬২ মাইল) পর্যন্ত মিয়ানমার এবং লাওসের সীমানা গঠন করে। এটি রুক নদী (যা থাই-মায়ানমার সীমানা অনুসরণ করে) এবং মেকং-এর মিলিতভাবে গঠন করে। এই "ট্রিপয়েন্ট" এলাকাটিকে কখনো কখনো "গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল" বলে অভিহিত করা হয়, যদিও এই শব্দটিও সেই তিনটি দেশের বৃহত্তর এলাকাকে বোঝায় যা ড্রাগ উৎপাদনকারী অঞ্চলের মত কুখ্যাত।

গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গলের ট্রিপয়েন্ট থেকে মেকং নদী দক্ষিণপূর্ব দিকে থাইল্যান্ডের সাথে লাওসের সীমানা গঠন করে।

পরিবেশগত বিষয়

[সম্পাদনা]

মেকং নদীর গতিপথ জুড়ে অবস্থিত নগর ও নগর অঞ্চলের পয়ঃপ্রণালীর বর্জ্য পদার্থ নদীতে ফেলা হচ্ছে, যেমন লাওসের ভিয়েনতিয়েন শহর। ফলে জল দূষণের কারণে নদীটির পরিবেশগত ক্ষতি হচ্ছে।

পৃথিবীতে উপস্থিত থাকা ৮.৩ বিলিয়ন টন প্লাস্টিকের বেশির ভাগই[] মহাসাগরের দিকে যাত্রা করে। মাত্র ১০টি নদী দ্বারা মহাসাগরের প্লাস্টিকের নব্বই শতাংশ প্রবাহিত হয়। মেকং নদী এই ১০ নদীর মধ্যে একটি।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. S. Liu; P. Lu; D. Liu; P. Jin; W. Wang (২০০৯)। "Pinpointing source and measuring the lengths of the principal rivers of the world"। International Journal of Digital Earth2 (1): 80–87। ডিওআই:10.1080/17538940902746082 
  2. Mekong River Commission (২০১০)। "State of the Basin Report, 2010" (PDF]])Vientiane: MRC। 
  3. Franzen, Harald (২০১৭-০৭-২০)। "There are 8.3 billion tons of plastic in the world"Deutsche Welle। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৮ 
  4. Franzen, Harald (২০১৭-১১-৩০)। "Almost all plastic in the ocean comes from just 10 rivers"Deutsche Welle। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৮ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]
সকল স্থানাঙ্কের মানচিত্র: ওপেনস্ট্রীটম্যাপ 
এই হিসেবে স্থানাঙ্ক ডাউনলোড করুন: KML · GPX