মুহাম্মদ উল্লাহ (বিচারক)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মুহাম্মদ উল্লাহ
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিচারক
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
৩০ এপ্রিল ১৯৯৪
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১৮ মার্চ ১৯৭০
জীবিকাবিচারক

মুহাম্মদ উল্লাহ বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি। [১]

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

উল্লাহ ১৯৭০ সালের ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন [২] তার আইনে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর রয়েছে। [২]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

১৯৯৪ সালের ৩০শে এপ্রিল উল্লা জেলা আদালতে আইনজীবী হয়।[২] ১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট তিনি হাইকোর্ট বিভাগে অনুশীলন শুরু করেন। [২]

২০১১ সালের ১৩ জানুয়ারি বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আইনজীবী হয়।[২] ২০ অক্টোবর তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক নিযুক্ত হন।[২]

২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর উল্লাকে হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারক করা হয়।[২][৩]

২০১৫ সালের জুলাই মাসে , উল্লা এবং বিচারপতি ফরিদ আহমেদ ইসলামিক স্টেটের জন্য নিয়োগ করতে বাংলাদেশে আসা এক ব্রিটিশ - বাংলাদেশী জিহাদি ব্যক্তির জামিন নামঞ্জুর করেন।[৪] সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশের ইংরেজি মাধ্যমের বিদ্যালয়গুলোতে মূল্য সংযোজন কর আরোপের সরকারি প্রচেষ্টাকে উল্লা এবং বিচারপতি শামিম হাসনাইন বাধা দেন।[৫]

পটুয়াখালী জেলায় এক বন্দিকে নির্যাতনের দায়ে সহকারী পুলিশ সুপার সৈফুল ইসলামকে বদলি করার জন্য পুলিশের মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দেন উল্লা ও বিচারপতি কাজী রেজা - উল হক।[৬] ২০১৭ সালের নভেম্বরে , উল্লা এবং বিচারপতি কাজী রেজা - উল হক শব্দ দূষণ সীমিত করতে বাংলাদেশে বায়ুসংক্রান্ত হর্ন নিষিদ্ধ করেন।[৭] ২০১৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর বিচারপতি কাজী রেজা - উল হক ও উল্লাহ্ ক্ষমতা অপব্যবহারের দায়ে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নূরুজ্জমান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শেখ মোর্শেদুল ইসলামকে বরখাস্ত করেন ।[৮][৯]

২০১১ সালের হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী বুড়িগঙ্গা নদীতে সমস্ত লাইন বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে উল্লা এবং বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ঢাকা জল সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করেন।[১০] এটি কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসেম এ খানকে সতর্ক করে।[১১]

২০২০ সালের মার্চ মাসে ছাত্রকর্মী নুরুল হক নুরকে পাসপোর্ট দেওয়ার জন্য উল্লা এবং বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগকে নির্দেশ দেন।[১২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "10 addl HC judges regularised"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৩-১০-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-০১ 
  2. "Home : Supreme Court of Bangladesh"www.supremecourt.gov.bd। ২০২৩-০৬-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-০১ 
  3. "News in Brief"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৩-১০-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-০১ 
  4. "Syria-linked jihadist denied bail"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-০৭-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-০১ 
  5. "HC stays VAT on tuition fees for 6 months"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-০৯-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-০১ 
  6. "Torture in custody: HC asks IGP to transfer Baufal ASP"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০২-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-০১ 
  7. "HC orders nationwide pneumatic horn ban"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-১১-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-০১ 
  8. Staff Correspondent। "High Court sees abuse of power in mobile courts, cites Lakshmipur jailing of pensioner"bdnews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  9. Express, The Financial। "Jailing of former civil surgeon: Laxmipur ADC, UNO seek unconditional apology to High Court"The Financial Express (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০১-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০২ 
  10. "HC slams Wasa for making untrue statement over sewerage lines"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-১২-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-০১ 
  11. "Dumping in Buriganga: Wasa MD not complying intentionally"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৯-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-০১ 
  12. "HC orders issuing of passport to VP Nur within 3 days"The Business Standard (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৩-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-০১